একটি নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম শরিফুল ইসলামের। গ্রামের বাড়ি বরগুনা হলেও বেড়ে ওঠা ঢাকায়। মা-বাবা উচ্চশিক্ষিত নন, তবু তাঁর পড়াশোনা নিয়ে ছিলেন যথেষ্ট সচেতন। ছোট্ট থেকে লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ ছিল শরিফুলের। তাঁর মাধ্যমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনার গল্পটা খুবই কষ্টের ছিল। সে সময়ে তাঁর পরিবারে অর্থসংকট লেগেই ছিল। ছোট্ট একটি বাসা নিয়ে কোনো রকমে বসবাস করতে হয়েছে তাঁদের। গৃহশিক্ষক রাখা তো দূরের কথা, পড়ার টেবিলটা পর্যন্ত ছিল না। সে সময় শরিফুলের পড়ালেখা চালিয়ে যেতে তাঁর বাবার বেশ কষ্টই হয়েছে। এর মধ্যে এসএসসিতে ভালো ফল করায় বাবা বেশ সাহস ও শক্তি পেয়েছিলেন।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রস্তুতি
শরিফুল ২০১৪ সালে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। কিন্তু চেষ্টা করেও কিছু ভুল সিদ্ধান্তের কারণে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ব্যর্থ হন। তাঁর বাবারও সামর্থ্য ছিল না যে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াবে। তাই দ্বিতীয়বার বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। দ্বিতীয়বার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরু থেকে টিউশনি করে নিজের খরচ চালিয়েছেন, পাশাপাশি পরিবারেও কিছু সাহায্য করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষ পর্যন্ত বিসিএসের ব্যাপারে তিনি ছিলেন উদাসীন। তবে চতুর্থ বর্ষের একদম শেষ প্রান্তে এসে মা-বাবার পরামর্শে বিসিএস পরীক্ষার দেবেন বলে ঠিক করেন এবং প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন। টিউশন এবং কোচিংয়ে ক্লাস নেওয়া কমিয়ে দেন। বিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে গণিত ও বিজ্ঞানের বেসিক তাঁর ভালো ছিল। আর সাধারণ জ্ঞান ও বাংলা সাহিত্য পড়ার প্রতি তীব্র আগ্রহ অনুভব করতেন। মনোযোগ দিয়ে একনাগাড়ে পড়ার প্রবণতা ছিল প্রবল। সর্বক্ষেত্র থেকেই জ্ঞানার্জন করতে চেষ্টা করতেন। লিখে লিখে নোট করে পড়তেন। প্রচুর পরীক্ষা দিয়েছেন। প্রতিদিন অন্তত একটি প্রশ্ন সমাধান করতেন। পরীক্ষা দিয়ে দুর্বলতার জায়গাগুলো চিহ্নিত করে সেখানে আলাদা করে সময় দিয়েছেন।
লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি
৪৩ বিসিএস ছিল তাঁর প্রথম বিসিএস। প্রায় এক বছরের গোছানো প্রস্তুতিতে তিনি প্রথমবারেই বেশ ভালো নম্বর নিশ্চিত করে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা উতরে যান। বিসিএস প্রিলির প্রস্তুতি দিয়েই বিভিন্ন ব্যাংক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রিলিও পাস করতে থাকেন। তবে তাঁর চিন্তা আবর্তিত হতো বিসিএসকে কেন্দ্র করেই। সে জন্য প্রিলি দিয়েই শুরু করে দেন লিখিত প্রস্তুতি। শরিফুল জানানা, ‘লিখিত প্রস্তুতিতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি ডাইজেস্ট পড়াকে এবং কম সময়ে কীভাবে দ্রুত লিখে আসতে পারা যায়, সেই কৌশলে।
এ সময় আমরা তিন-চারজন সমমনা বন্ধু মিলে অনেক গবেষণা করে পড়ালেখা করতাম। এর সুফলও আমরা লিখিত পরীক্ষায় পেয়েছি।’ বিসিএস লিখিতের পাশাপাশি সে সময় সমন্বিত ব্যাংকের অফিসার, সিনিয়র অফিসার, সিজিএ অডিটর, ডিসিডির এডি ইত্যাদির লিখিত পরীক্ষায়ও পাস করতে থাকেন শরিফুল। তাঁর মতে, বিসিএস লিখিততে ভালো করার মূল হচ্ছে ইংরেজি ও গণিতে ভালো হওয়া এবং অন্যান্য বিষয়ে সবকিছু লিখে আসতে পারা। শরিফুল বলেন, ‘ইংরেজিতে ভালো করতে পত্রিকা পড়ার বিকল্প নেই। পড়তে হবে ভেঙে ভেঙে গবেষণা করে। আর গণিতে ভালো করতে নবম-দশম শ্রেণির গণিত বই সমাধান করতে হবে। বাংলাদেশ-আন্তর্জাতিক ভালো করতে ইতিহাস, বিশ্বরাজনীতি, সংবিধান, সরকারের অর্জন ও অর্থনীতির পাশাপাশি সাম্প্রতিক সব বিষয়ে সম্যক ধারণা রাখতে হবে।’ শরিফুল আরও বলেন, ‘সব লিখে আসতে গিয়ে অবশ্যই সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে।’
ভাইভার প্রস্তুতি
লিখিত পরীক্ষা শেষে ভাইভার প্রস্তুতি হিসেবে নিজ বিষয় ও ক্যাডার বিষয়ক তথ্যের পাশাপাশি কিছু সাহিত্যের বই, মুক্তিযুদ্ধের প্রবন্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী পড়েছেন শরিফুল। ভাইভা তাঁর মোটামুটি হয়েছিল, কিন্তু লিখিতই ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়। সর্বশেষ ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলে ‘অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস’ ক্যাডার পান।
একটি নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম শরিফুল ইসলামের। গ্রামের বাড়ি বরগুনা হলেও বেড়ে ওঠা ঢাকায়। মা-বাবা উচ্চশিক্ষিত নন, তবু তাঁর পড়াশোনা নিয়ে ছিলেন যথেষ্ট সচেতন। ছোট্ট থেকে লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ ছিল শরিফুলের। তাঁর মাধ্যমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনার গল্পটা খুবই কষ্টের ছিল। সে সময়ে তাঁর পরিবারে অর্থসংকট লেগেই ছিল। ছোট্ট একটি বাসা নিয়ে কোনো রকমে বসবাস করতে হয়েছে তাঁদের। গৃহশিক্ষক রাখা তো দূরের কথা, পড়ার টেবিলটা পর্যন্ত ছিল না। সে সময় শরিফুলের পড়ালেখা চালিয়ে যেতে তাঁর বাবার বেশ কষ্টই হয়েছে। এর মধ্যে এসএসসিতে ভালো ফল করায় বাবা বেশ সাহস ও শক্তি পেয়েছিলেন।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রস্তুতি
শরিফুল ২০১৪ সালে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। কিন্তু চেষ্টা করেও কিছু ভুল সিদ্ধান্তের কারণে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ব্যর্থ হন। তাঁর বাবারও সামর্থ্য ছিল না যে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াবে। তাই দ্বিতীয়বার বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। দ্বিতীয়বার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরু থেকে টিউশনি করে নিজের খরচ চালিয়েছেন, পাশাপাশি পরিবারেও কিছু সাহায্য করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষ পর্যন্ত বিসিএসের ব্যাপারে তিনি ছিলেন উদাসীন। তবে চতুর্থ বর্ষের একদম শেষ প্রান্তে এসে মা-বাবার পরামর্শে বিসিএস পরীক্ষার দেবেন বলে ঠিক করেন এবং প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন। টিউশন এবং কোচিংয়ে ক্লাস নেওয়া কমিয়ে দেন। বিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে গণিত ও বিজ্ঞানের বেসিক তাঁর ভালো ছিল। আর সাধারণ জ্ঞান ও বাংলা সাহিত্য পড়ার প্রতি তীব্র আগ্রহ অনুভব করতেন। মনোযোগ দিয়ে একনাগাড়ে পড়ার প্রবণতা ছিল প্রবল। সর্বক্ষেত্র থেকেই জ্ঞানার্জন করতে চেষ্টা করতেন। লিখে লিখে নোট করে পড়তেন। প্রচুর পরীক্ষা দিয়েছেন। প্রতিদিন অন্তত একটি প্রশ্ন সমাধান করতেন। পরীক্ষা দিয়ে দুর্বলতার জায়গাগুলো চিহ্নিত করে সেখানে আলাদা করে সময় দিয়েছেন।
লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি
৪৩ বিসিএস ছিল তাঁর প্রথম বিসিএস। প্রায় এক বছরের গোছানো প্রস্তুতিতে তিনি প্রথমবারেই বেশ ভালো নম্বর নিশ্চিত করে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা উতরে যান। বিসিএস প্রিলির প্রস্তুতি দিয়েই বিভিন্ন ব্যাংক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রিলিও পাস করতে থাকেন। তবে তাঁর চিন্তা আবর্তিত হতো বিসিএসকে কেন্দ্র করেই। সে জন্য প্রিলি দিয়েই শুরু করে দেন লিখিত প্রস্তুতি। শরিফুল জানানা, ‘লিখিত প্রস্তুতিতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি ডাইজেস্ট পড়াকে এবং কম সময়ে কীভাবে দ্রুত লিখে আসতে পারা যায়, সেই কৌশলে।
এ সময় আমরা তিন-চারজন সমমনা বন্ধু মিলে অনেক গবেষণা করে পড়ালেখা করতাম। এর সুফলও আমরা লিখিত পরীক্ষায় পেয়েছি।’ বিসিএস লিখিতের পাশাপাশি সে সময় সমন্বিত ব্যাংকের অফিসার, সিনিয়র অফিসার, সিজিএ অডিটর, ডিসিডির এডি ইত্যাদির লিখিত পরীক্ষায়ও পাস করতে থাকেন শরিফুল। তাঁর মতে, বিসিএস লিখিততে ভালো করার মূল হচ্ছে ইংরেজি ও গণিতে ভালো হওয়া এবং অন্যান্য বিষয়ে সবকিছু লিখে আসতে পারা। শরিফুল বলেন, ‘ইংরেজিতে ভালো করতে পত্রিকা পড়ার বিকল্প নেই। পড়তে হবে ভেঙে ভেঙে গবেষণা করে। আর গণিতে ভালো করতে নবম-দশম শ্রেণির গণিত বই সমাধান করতে হবে। বাংলাদেশ-আন্তর্জাতিক ভালো করতে ইতিহাস, বিশ্বরাজনীতি, সংবিধান, সরকারের অর্জন ও অর্থনীতির পাশাপাশি সাম্প্রতিক সব বিষয়ে সম্যক ধারণা রাখতে হবে।’ শরিফুল আরও বলেন, ‘সব লিখে আসতে গিয়ে অবশ্যই সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে।’
ভাইভার প্রস্তুতি
লিখিত পরীক্ষা শেষে ভাইভার প্রস্তুতি হিসেবে নিজ বিষয় ও ক্যাডার বিষয়ক তথ্যের পাশাপাশি কিছু সাহিত্যের বই, মুক্তিযুদ্ধের প্রবন্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী পড়েছেন শরিফুল। ভাইভা তাঁর মোটামুটি হয়েছিল, কিন্তু লিখিতই ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়। সর্বশেষ ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলে ‘অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস’ ক্যাডার পান।
চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ে আট পদের লিখিত পরীক্ষার তারিখ প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বাছাই কমিটির চেয়ারম্যান সরকার হাসান শাহরিয়ার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৭ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ব্যাংকে ‘সহকারী পরিচালক’ পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মো. জবদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগেজনবল নিয়োগের জন্য পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির দুই ধরনের শূন্য পদে ১২ জন নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
১ দিন আগেসিনিয়র স্টাফ নার্স (১০ম গ্রেড) পদের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪ হাজার ৫৫২ জন প্রার্থী। বুধবার পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে