আনিসুল ইসলাম নাঈম
বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় বাংলাদেশ বিষয়াবলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়ে ২০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়। ভালোভাবে উত্তর করতে পারলে পছন্দের ক্যাডার প্রাপ্তির সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। বাংলাদেশ বিষয়াবলির বিশাল সিলেবাস দেখে অনেকে শুরুতেই ঘাবড়ে যান। কিন্তু একটু কৌশলে পড়াশোনা করলে এখানে ১৩০-১৪০ নম্বর পাওয়া সম্ভব।
কোথায় গুরুত্ব দিতে হবে
বাংলাদেশ বিষয়াবলির সিলেবাসকে ১৬টি অধ্যায়ে ভাগ করা হয়েছে। কিন্তু ১৬টি অধ্যায় সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ নয়। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো হলো—
■ বাংলাদেশের ভৌগোলিক পরিচিতি
■ বাংলাদেশের জনসংখ্যা
■ বাংলাদেশের সমাজ, অর্থনীতি, সাহিত্য ও সংস্কৃতি, বাংলাদেশের পরিবেশ, প্রকৃতি, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা
■ বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ
■ বাংলাদেশের সংবিধান
■ সরকারের অঙ্গসমূহ
■ বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ও বৈদেশিক সম্পর্ক
■ বাংলাদেশের নির্বাচনব্যবস্থা
■ স্বাধীনতাযুদ্ধ ও এর পটভূমি
এই অধ্যায়গুলো থেকে লিখিত পরীক্ষায় সাধারণত ১৫০-১৮০ নম্বরের প্রশ্ন এসে থাকে। তাই এই অধ্যায়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে যত্ন নিয়ে পড়তে হবে।
প্রশ্নের উত্তর তিন ভাগে
প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর ভূমিকা, মূল অংশ এবং উপসংহার এই তিন ভাগে ভাগ করে উত্তর করতে হবে। এ ক্ষেত্রে যে বিষয়ে প্রশ্ন আসবে, সেই বিষয়ের প্রাসঙ্গিক কোনো কথা ভূমিকা অংশে লিখতে পারেন। এরপর মূল প্রশ্নের উত্তর লিখবেন এবং উপসংহারে সে বিষয়ে আপনার কোনো মতামত জানাতে পারেন।
পয়েন্ট আকারে উত্তর করা
একটি প্রশ্নের উত্তর দুজন পরীক্ষার্থী একসঙ্গে লিখলেও শুধু উপস্থাপনার ভিন্নতার কারণে একজন থেকে অন্যজন নম্বর প্রাপ্তিতে এগিয়ে যান। কোনো প্রশ্নের উত্তর ঢালাওভাবে না লিখে যদি পয়েন্ট আকারে লেখা যায়, সে ক্ষেত্রে পরীক্ষকের কাছে খাতা পড়তেও সুবিধা হয় এবং ভালো নম্বর প্রাপ্তির সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। যেসব প্রশ্নের উত্তর পয়েন্ট আকারে দেওয়া সম্ভব নয়, সেগুলো প্যারা করে লিখবেন।
মানচিত্রের ব্যবহার
বাংলাদেশের মানচিত্র বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন বাংলাদেশের ভূ-প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে কোনো প্রশ্ন এলে সেখানে যদি বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান উল্লেখপূর্বক বাংলাদেশের মানচিত্র এঁকে বিভিন্ন এলাকা চিহ্নিতকরণ, বিভিন্ন অঞ্চলের আয়তন উল্লেখ করে উত্তর করা যায়, তবে ভালো নম্বর পাওয়া যাবে। একইভাবে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ, কৃষিজ সম্পদ, মুক্তিযুদ্ধের সেক্টরগুলো বা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী-সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তরে মানচিত্রে এঁকে অবস্থান উল্লেখ করতে পারেন।
ডেটা এবং কোটেশনের ব্যবহার
বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে বিভিন্ন ডেটা (তথ্য) এবং কোটেশনে প্রশ্নের উত্তরে যোগ করতে পারলে সেই উত্তরের গ্রহণযোগ্যতা বেড়ে যায় এবং ভালো নম্বর প্রাপ্তি নিশ্চিত হয়।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক-সামাজিক উন্নয়ন-সম্পর্কিত কোনো প্রশ্নের উত্তরে বিগত ৫ বছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয়, রপ্তানি আয় বা শিক্ষার হার বৃদ্ধির তুলনামূলক তথ্য দিতে পারেন। বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন, ৬ দফা আন্দোলন বা মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে কোনো প্রশ্ন এলে সেখানে যদি বঙ্গবন্ধু বা কোনো বিখ্যাত সাময়িকী/পত্রিকার কোটেশন যোগ করা যায়, তা খাতায় বাড়তি সৌন্দর্য যোগ করবে। পরিবেশ-সম্পর্কিত প্রশ্নে জাতিসংঘ বা কোনো সংস্থার কোটেশন যোগ করতে পারেন। যেমন ‘We are digging our own graves’—জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস (COP26 চলাকালীন)। নারীর ক্ষমতায়ন-সংক্রান্ত প্রশ্নে প্রাসঙ্গিক বিখ্যাত প্রবন্ধ/কবিতার লাইন থাকলেও কোটেশন হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। কোনো ডেটা বা তথ্য দিলে অবশ্যই নিচে সূত্র উল্লেখ করবেন।
সংবিধানের অনুচ্ছেদ উল্লেখ
উত্তরপত্রে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে মহান সংবিধানের অনুচ্ছেদ যদি যোগ করতে পারেন, তবে তা পরীক্ষকের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে নিশ্চিতভাবে। যেমন পরিবেশ-সম্পর্কিত কোনো প্রশ্নে সংবিধানের ১৮(ক) অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে উত্তর করতে পারেন। তেমনিভাবে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী-সম্পর্কিত প্রশ্নে সংবিধানের ২৩(ক) অনুচ্ছেদ, বৈদেশিক সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্নে সংবিধানের ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদ, নারীর ক্ষমতায়ন-সম্পর্কিত প্রশ্নে সংবিধানের ১৯(৩), ২৮(২)(৪) অনুচ্ছেদ, নির্বাচন-সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে এ-সংক্রান্ত সংবিধানের অনুচ্ছেদ লিখে দিতে পারলে তা অন্য প্রার্থীদের চেয়ে আপনাকে অবশ্যই এগিয়ে রাখবে। এভাবে প্রতিটি অধ্যায়ভিত্তিক ২-৩টি করে কোটেশন, ডেটা এবং প্রাসঙ্গিক সংবিধানের অনুচ্ছেদ নোট করে রাখবেন, যাতে পরীক্ষার আগের রাতে চোখ বুলিয়ে যেতে পারেন। এভাবে যদি উত্তর করতে পারেন, ভালো নম্বর পাবেন বলেই আমার বিশ্বাস।
বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় বাংলাদেশ বিষয়াবলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়ে ২০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়। ভালোভাবে উত্তর করতে পারলে পছন্দের ক্যাডার প্রাপ্তির সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। বাংলাদেশ বিষয়াবলির বিশাল সিলেবাস দেখে অনেকে শুরুতেই ঘাবড়ে যান। কিন্তু একটু কৌশলে পড়াশোনা করলে এখানে ১৩০-১৪০ নম্বর পাওয়া সম্ভব।
কোথায় গুরুত্ব দিতে হবে
বাংলাদেশ বিষয়াবলির সিলেবাসকে ১৬টি অধ্যায়ে ভাগ করা হয়েছে। কিন্তু ১৬টি অধ্যায় সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ নয়। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো হলো—
■ বাংলাদেশের ভৌগোলিক পরিচিতি
■ বাংলাদেশের জনসংখ্যা
■ বাংলাদেশের সমাজ, অর্থনীতি, সাহিত্য ও সংস্কৃতি, বাংলাদেশের পরিবেশ, প্রকৃতি, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা
■ বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ
■ বাংলাদেশের সংবিধান
■ সরকারের অঙ্গসমূহ
■ বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ও বৈদেশিক সম্পর্ক
■ বাংলাদেশের নির্বাচনব্যবস্থা
■ স্বাধীনতাযুদ্ধ ও এর পটভূমি
এই অধ্যায়গুলো থেকে লিখিত পরীক্ষায় সাধারণত ১৫০-১৮০ নম্বরের প্রশ্ন এসে থাকে। তাই এই অধ্যায়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে যত্ন নিয়ে পড়তে হবে।
প্রশ্নের উত্তর তিন ভাগে
প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর ভূমিকা, মূল অংশ এবং উপসংহার এই তিন ভাগে ভাগ করে উত্তর করতে হবে। এ ক্ষেত্রে যে বিষয়ে প্রশ্ন আসবে, সেই বিষয়ের প্রাসঙ্গিক কোনো কথা ভূমিকা অংশে লিখতে পারেন। এরপর মূল প্রশ্নের উত্তর লিখবেন এবং উপসংহারে সে বিষয়ে আপনার কোনো মতামত জানাতে পারেন।
পয়েন্ট আকারে উত্তর করা
একটি প্রশ্নের উত্তর দুজন পরীক্ষার্থী একসঙ্গে লিখলেও শুধু উপস্থাপনার ভিন্নতার কারণে একজন থেকে অন্যজন নম্বর প্রাপ্তিতে এগিয়ে যান। কোনো প্রশ্নের উত্তর ঢালাওভাবে না লিখে যদি পয়েন্ট আকারে লেখা যায়, সে ক্ষেত্রে পরীক্ষকের কাছে খাতা পড়তেও সুবিধা হয় এবং ভালো নম্বর প্রাপ্তির সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। যেসব প্রশ্নের উত্তর পয়েন্ট আকারে দেওয়া সম্ভব নয়, সেগুলো প্যারা করে লিখবেন।
মানচিত্রের ব্যবহার
বাংলাদেশের মানচিত্র বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন বাংলাদেশের ভূ-প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে কোনো প্রশ্ন এলে সেখানে যদি বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান উল্লেখপূর্বক বাংলাদেশের মানচিত্র এঁকে বিভিন্ন এলাকা চিহ্নিতকরণ, বিভিন্ন অঞ্চলের আয়তন উল্লেখ করে উত্তর করা যায়, তবে ভালো নম্বর পাওয়া যাবে। একইভাবে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ, কৃষিজ সম্পদ, মুক্তিযুদ্ধের সেক্টরগুলো বা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী-সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তরে মানচিত্রে এঁকে অবস্থান উল্লেখ করতে পারেন।
ডেটা এবং কোটেশনের ব্যবহার
বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে বিভিন্ন ডেটা (তথ্য) এবং কোটেশনে প্রশ্নের উত্তরে যোগ করতে পারলে সেই উত্তরের গ্রহণযোগ্যতা বেড়ে যায় এবং ভালো নম্বর প্রাপ্তি নিশ্চিত হয়।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক-সামাজিক উন্নয়ন-সম্পর্কিত কোনো প্রশ্নের উত্তরে বিগত ৫ বছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয়, রপ্তানি আয় বা শিক্ষার হার বৃদ্ধির তুলনামূলক তথ্য দিতে পারেন। বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন, ৬ দফা আন্দোলন বা মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে কোনো প্রশ্ন এলে সেখানে যদি বঙ্গবন্ধু বা কোনো বিখ্যাত সাময়িকী/পত্রিকার কোটেশন যোগ করা যায়, তা খাতায় বাড়তি সৌন্দর্য যোগ করবে। পরিবেশ-সম্পর্কিত প্রশ্নে জাতিসংঘ বা কোনো সংস্থার কোটেশন যোগ করতে পারেন। যেমন ‘We are digging our own graves’—জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস (COP26 চলাকালীন)। নারীর ক্ষমতায়ন-সংক্রান্ত প্রশ্নে প্রাসঙ্গিক বিখ্যাত প্রবন্ধ/কবিতার লাইন থাকলেও কোটেশন হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। কোনো ডেটা বা তথ্য দিলে অবশ্যই নিচে সূত্র উল্লেখ করবেন।
সংবিধানের অনুচ্ছেদ উল্লেখ
উত্তরপত্রে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে মহান সংবিধানের অনুচ্ছেদ যদি যোগ করতে পারেন, তবে তা পরীক্ষকের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে নিশ্চিতভাবে। যেমন পরিবেশ-সম্পর্কিত কোনো প্রশ্নে সংবিধানের ১৮(ক) অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে উত্তর করতে পারেন। তেমনিভাবে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী-সম্পর্কিত প্রশ্নে সংবিধানের ২৩(ক) অনুচ্ছেদ, বৈদেশিক সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্নে সংবিধানের ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদ, নারীর ক্ষমতায়ন-সম্পর্কিত প্রশ্নে সংবিধানের ১৯(৩), ২৮(২)(৪) অনুচ্ছেদ, নির্বাচন-সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে এ-সংক্রান্ত সংবিধানের অনুচ্ছেদ লিখে দিতে পারলে তা অন্য প্রার্থীদের চেয়ে আপনাকে অবশ্যই এগিয়ে রাখবে। এভাবে প্রতিটি অধ্যায়ভিত্তিক ২-৩টি করে কোটেশন, ডেটা এবং প্রাসঙ্গিক সংবিধানের অনুচ্ছেদ নোট করে রাখবেন, যাতে পরীক্ষার আগের রাতে চোখ বুলিয়ে যেতে পারেন। এভাবে যদি উত্তর করতে পারেন, ভালো নম্বর পাবেন বলেই আমার বিশ্বাস।
চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ে আট পদের লিখিত পরীক্ষার তারিখ প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বাছাই কমিটির চেয়ারম্যান সরকার হাসান শাহরিয়ার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ব্যাংকে ‘সহকারী পরিচালক’ পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মো. জবদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগেজনবল নিয়োগের জন্য পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির দুই ধরনের শূন্য পদে ১২ জন নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
১ দিন আগেসিনিয়র স্টাফ নার্স (১০ম গ্রেড) পদের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪ হাজার ৫৫২ জন প্রার্থী। বুধবার পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে