কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী শরীফুল ইসলাম। তিনি ২০১৪-১৫ সেশনে লোকপ্রশাসন বিভাগ থেকে পড়াশোনা সম্পন্ন করেছেন। পরে ৪৩তম বিসিএসে অংশগ্রহণ করে তথ্য ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হন। তাঁর চাকরি পাওয়ার পেছনের গল্প তুলে ধরেছেন তুষার ইমরান।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা শরীফুল ইসলামের। আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়েই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি পার হতে হয় তাঁকে। এরপর ভর্তি হন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে। একই সঙ্গে পড়াশোনা, টিউশন ও চাকরির প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি। এর ফল হিসেবে পেয়েছেন তথ্য ক্যাডার।
যেভাবে শুরু
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর থেকেই স্বপ্ন দেখতেন দেশের মানুষের জন্য কিছু করবেন। সেই পণ থেকেই প্রথম বর্ষেই শুরু চাকরির টুকটাক পড়াশোনা। অনুপ্রেরণার জায়গা ছিল বিভাগের বড় ভাইদের বিসিএস সাফল্য। প্রচণ্ড জেদ আর ধৈর্য শরীফুলকে সফলতা এনে দিয়েছে। পড়াশোনার জন্য তাঁদের একটা গ্রুপ ছিল এবং সেই গ্রুপই তাঁকে ক্যাডার বানিয়েছে। চাকরিজীবনের প্রথমে প্রবল ইচ্ছা ও আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমেই পুলিশের উপপরিদর্শকের (এসআই) চাকরিতে সুপারিশপ্রাপ্ত হন। তবে বিসিএসের প্রতি তাঁর প্যাশন ছিল; যার কারণে উপপরিদর্শকের (এসআই) চাকরি ছেড়ে দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে ৪১তম বিসিএসের ভাইভা দেন। সেখানেও ১০ম গ্রেডের একটা চাকরিতে সুপারিশপ্রাপ্ত হন। তবে তাঁর দ্বিতীয় বিসিএসে (৪৩তম) সাফল্যের দেখা পেয়ে যান। তিনি তথ্য ক্যাডারে (সাধারণ) মেধাতালিকায় ২১তম স্থান অর্জন করেন।
কোচিং সেন্টার ও টিউশনির গুরুত্ব
বাংলাদেশে নবম ও দশম গ্রেডের চাকরির জন্য, বিশেষ করে বিসিএসের জন্য টিউশন ও কোচিং সেন্টারের ভূমিকা অপরিহার্য। তিনি টিউশনি করিয়েছেন, কোচিং সেন্টারে ক্লাসও নিয়েছেন। কোচিংয়ে ক্লাস নেওয়ায় তাঁর মৌলিক বিষয়গুলো আয়ত্ত হয়েছে। আত্মবিশ্বাস বেড়েছে।
প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভার প্রস্তুতি
সিভিল সার্ভিসের পড়াশোনা ঘড়ি দেখে হয় না, সিলেবাস দেখে করতে হয়। সিলেবাস যদি ২ ঘণ্টায় শেষ হয়ে যায় তাহলে ২ ঘণ্টা পড়বে আর যদি ১০ ঘণ্টায় শেষ না হয়, তাহলে আপনাকে ১০ ঘণ্টাই পড়তে হবে। আসলে বিসিএসে প্রিলিমিনারি, লিখিত এবং ভাইভা একটার পর অন্য একটা ধাপ। তবে কেউ যদি প্রিলির প্রস্তুতি ভালোভাবে নিতে পারে তার জন্য লিখিত পরীক্ষা সহজ হয়ে যায়। আর লিখিত, প্রিলি ও নিজের দৃষ্টিভঙ্গির একটা সংযুক্তি হলো ভাইভা; বিশেষ করে মৌলিক বিষয়গুলো আয়ত্ত করা। নবম-দশম শ্রেণির গণিত বইয়ের মৌলিক গণিতের ওপর ভালো দক্ষতা থাকে। প্রতিদিন খবরের কাগজ পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা। বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি পত্রিকা পড়ার ফলে ইংরেজির প্রস্তুতি হয়ে যায়।
বিসিএস ক্যাডার হওয়ার প্রবল ইচ্ছা
বিসিএস একটা প্যাশনের জায়গা। আমার প্রথম থেকেই সিভিল সার্ভিসে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। যেহেতু আমার পরিবার নিম্নমধ্যবিত্ত, তাই আমার চাওয়া ছিল এটি। আর যখন বিসিএসের সঙ্গে পরিচিত হই, তখন মনে হয়েছিল এর মাধ্যমেই আমি দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে পারব। দেশের মানুষকে সরাসরি সেবা দিতে পারব। আর এ বিষয়টিই আমার মূল অনুপ্রেরণার জায়গা ছিল। দেশের মানুষের সেবা করার জন্য আমার কাছে সিভিল সার্ভিসের চাকরি সবচেয়ে বেশি কার্যকর মনে হয়েছিল।
নতুনদের জন্য পরামর্শ
লক্ষ্য যা-ই থাকুক, সেখানেই অটল থাকতে হবে। আর বিসিএস খুবই ধৈর্যের বিষয়। এর সঙ্গে লেগে থাকলে সফলতা নিশ্চিত। বিসিএস সম্পর্কে ভালোভাবে জানা, প্রশ্ন বা অন্যান্য বিষয় বিশ্লেষণ করা দরকার। যদি মনে হয় সিভিল সার্ভিসে এসে দেশের মানুষের সেবা করার মানসিকতা আছে, তবে তার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা উচিত।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী শরীফুল ইসলাম। তিনি ২০১৪-১৫ সেশনে লোকপ্রশাসন বিভাগ থেকে পড়াশোনা সম্পন্ন করেছেন। পরে ৪৩তম বিসিএসে অংশগ্রহণ করে তথ্য ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হন। তাঁর চাকরি পাওয়ার পেছনের গল্প তুলে ধরেছেন তুষার ইমরান।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা শরীফুল ইসলামের। আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়েই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি পার হতে হয় তাঁকে। এরপর ভর্তি হন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে। একই সঙ্গে পড়াশোনা, টিউশন ও চাকরির প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি। এর ফল হিসেবে পেয়েছেন তথ্য ক্যাডার।
যেভাবে শুরু
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর থেকেই স্বপ্ন দেখতেন দেশের মানুষের জন্য কিছু করবেন। সেই পণ থেকেই প্রথম বর্ষেই শুরু চাকরির টুকটাক পড়াশোনা। অনুপ্রেরণার জায়গা ছিল বিভাগের বড় ভাইদের বিসিএস সাফল্য। প্রচণ্ড জেদ আর ধৈর্য শরীফুলকে সফলতা এনে দিয়েছে। পড়াশোনার জন্য তাঁদের একটা গ্রুপ ছিল এবং সেই গ্রুপই তাঁকে ক্যাডার বানিয়েছে। চাকরিজীবনের প্রথমে প্রবল ইচ্ছা ও আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমেই পুলিশের উপপরিদর্শকের (এসআই) চাকরিতে সুপারিশপ্রাপ্ত হন। তবে বিসিএসের প্রতি তাঁর প্যাশন ছিল; যার কারণে উপপরিদর্শকের (এসআই) চাকরি ছেড়ে দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে ৪১তম বিসিএসের ভাইভা দেন। সেখানেও ১০ম গ্রেডের একটা চাকরিতে সুপারিশপ্রাপ্ত হন। তবে তাঁর দ্বিতীয় বিসিএসে (৪৩তম) সাফল্যের দেখা পেয়ে যান। তিনি তথ্য ক্যাডারে (সাধারণ) মেধাতালিকায় ২১তম স্থান অর্জন করেন।
কোচিং সেন্টার ও টিউশনির গুরুত্ব
বাংলাদেশে নবম ও দশম গ্রেডের চাকরির জন্য, বিশেষ করে বিসিএসের জন্য টিউশন ও কোচিং সেন্টারের ভূমিকা অপরিহার্য। তিনি টিউশনি করিয়েছেন, কোচিং সেন্টারে ক্লাসও নিয়েছেন। কোচিংয়ে ক্লাস নেওয়ায় তাঁর মৌলিক বিষয়গুলো আয়ত্ত হয়েছে। আত্মবিশ্বাস বেড়েছে।
প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভার প্রস্তুতি
সিভিল সার্ভিসের পড়াশোনা ঘড়ি দেখে হয় না, সিলেবাস দেখে করতে হয়। সিলেবাস যদি ২ ঘণ্টায় শেষ হয়ে যায় তাহলে ২ ঘণ্টা পড়বে আর যদি ১০ ঘণ্টায় শেষ না হয়, তাহলে আপনাকে ১০ ঘণ্টাই পড়তে হবে। আসলে বিসিএসে প্রিলিমিনারি, লিখিত এবং ভাইভা একটার পর অন্য একটা ধাপ। তবে কেউ যদি প্রিলির প্রস্তুতি ভালোভাবে নিতে পারে তার জন্য লিখিত পরীক্ষা সহজ হয়ে যায়। আর লিখিত, প্রিলি ও নিজের দৃষ্টিভঙ্গির একটা সংযুক্তি হলো ভাইভা; বিশেষ করে মৌলিক বিষয়গুলো আয়ত্ত করা। নবম-দশম শ্রেণির গণিত বইয়ের মৌলিক গণিতের ওপর ভালো দক্ষতা থাকে। প্রতিদিন খবরের কাগজ পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা। বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি পত্রিকা পড়ার ফলে ইংরেজির প্রস্তুতি হয়ে যায়।
বিসিএস ক্যাডার হওয়ার প্রবল ইচ্ছা
বিসিএস একটা প্যাশনের জায়গা। আমার প্রথম থেকেই সিভিল সার্ভিসে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। যেহেতু আমার পরিবার নিম্নমধ্যবিত্ত, তাই আমার চাওয়া ছিল এটি। আর যখন বিসিএসের সঙ্গে পরিচিত হই, তখন মনে হয়েছিল এর মাধ্যমেই আমি দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে পারব। দেশের মানুষকে সরাসরি সেবা দিতে পারব। আর এ বিষয়টিই আমার মূল অনুপ্রেরণার জায়গা ছিল। দেশের মানুষের সেবা করার জন্য আমার কাছে সিভিল সার্ভিসের চাকরি সবচেয়ে বেশি কার্যকর মনে হয়েছিল।
নতুনদের জন্য পরামর্শ
লক্ষ্য যা-ই থাকুক, সেখানেই অটল থাকতে হবে। আর বিসিএস খুবই ধৈর্যের বিষয়। এর সঙ্গে লেগে থাকলে সফলতা নিশ্চিত। বিসিএস সম্পর্কে ভালোভাবে জানা, প্রশ্ন বা অন্যান্য বিষয় বিশ্লেষণ করা দরকার। যদি মনে হয় সিভিল সার্ভিসে এসে দেশের মানুষের সেবা করার মানসিকতা আছে, তবে তার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা উচিত।
চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ে আট পদের লিখিত পরীক্ষার তারিখ প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বাছাই কমিটির চেয়ারম্যান সরকার হাসান শাহরিয়ার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ব্যাংকে ‘সহকারী পরিচালক’ পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মো. জবদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগেজনবল নিয়োগের জন্য পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির দুই ধরনের শূন্য পদে ১২ জন নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
১ দিন আগেসিনিয়র স্টাফ নার্স (১০ম গ্রেড) পদের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪ হাজার ৫৫২ জন প্রার্থী। বুধবার পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে