আনিসুল ইসলাম নাঈম
মাইক্রোবায়োলজি বা অণুজীববিজ্ঞান হলো বিজ্ঞানের এমন একটি শাখা, যেখানে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অণুজীব (ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, শৈবাল, ছত্রাক ইত্যাদি) সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। মৌলিক বিজ্ঞান জ্ঞানকে এগিয়ে নিতে এবং ফার্মাসিউটিক্যালস ও বায়োটেকনোলজির পণ্যগুলোর বিকাশে অবদান রাখতে অণুজীববিজ্ঞানীদের প্রয়োজনীয়তা ব্যাপক।
অণুজীববিজ্ঞান বিষয়ে পড়ার যোগ্যতা
যেহেতু অণুজীববিজ্ঞান বিজ্ঞানের একটি বিষয়, তাই এ বিষয়ে স্নাতক পর্যায়ে লেখাপড়া করতে চাইলে একজন শিক্ষার্থীকে অবশ্যই এসএসসি ও এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ হতে হবে। পাশাপাশি এইচএসসিতে অবশ্যই জীববিজ্ঞান থাকতে হবে। আরও সুনির্দিষ্টভাবে যোগ্যতার মানদণ্ডগুলো বলা বেশ কঠিন, কেননা এই মানদণ্ডগুলো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত হয়ে থাকে এবং তা বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। এমনকি প্রতিবছর পরিবর্তনও হতে পারে। যেমন কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে অণুজীববিজ্ঞানে ভর্তির ক্ষেত্রে জীববিজ্ঞানের পাশাপাশি রসায়ন, এমনকি ইংরেজি বিষয়ের ওপরও জোর দেওয়া হয়। আবার কোথাও এইচএসসিতে জীববিজ্ঞান বা রসায়নে নির্দিষ্ট জিপিএ থাকতে হয় এবং ভর্তি পরীক্ষায় ওই বিষয়গুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত ন্যূনতম নম্বর পেতে হয়। তাই যোগ্যতার মানদণ্ডবিষয়ক সুনির্দিষ্ট তথ্যের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে নজর রাখাই বাঞ্ছনীয়।
কোথায় কোথায় ভর্তি হওয়া যায়
দেশের বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে অণুজীববিজ্ঞান বিষয়ের ওপর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ভর্তি হওয়া যায়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ইনডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়, গণবিশ্ববিদ্যালয় উল্লেখযোগ্য।
চাকরির সুযোগ কেমন
যেহেতু অণুজীববিজ্ঞান একটি গবেষণাধর্মী বিষয় তাই এ বিষয়ে পড়ালেখা শেষ করে গবেষণামূলক কাজ করতে পারলে অর্জিত জ্ঞানকে সবচেয়ে ভালোভাবে কাজে লাগানো যায়। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান, যেমন বাংলাদেশ শিল্প ও গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর), ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি (এনআইবি), বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশন জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর (আইপিএইচ), আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) ইত্যাদিতে গবেষক হিসেবে কাজের সুযোগ রয়েছে। গবেষণার কাজ ছাড়াও অণুজীববিজ্ঞানের জ্ঞানকে প্রায়োগিক ক্ষেত্রে ব্যবহারবিষয়ক কর্মক্ষেত্রও দেশে রয়েছে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ বিমান, বিএসটিআই, ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি, ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রি, কেমিক্যাল অ্যান্ড অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রি, ইত্যাদি হচ্ছে এমনই কিছু কাজের ক্ষেত্র, যেখানে অণুজীবের জ্ঞানকে সরাসরি জনকল্যাণমূলক কাজে লাগানো যায়। এ ছাড়া বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা ও গবেষণার পাশাপাশি বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের পরামর্শক হিসেবেও কাজ করা যায়। বর্তমানে অণুজীববিজ্ঞানের গ্র্যাজুয়েটদের জন্য সরকারি বিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে কাজের ক্ষেত্রও তৈরি হয়েছে।
উচ্চশিক্ষার সুযোগ-সুবিধা
উন্নত দেশগুলোতে অণুজীববিজ্ঞান বিষয়ক গবেষণায় অর্থায়ন অনেক বেশি হয় বলে সেসব দেশে এ বিষয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ অনেক বেশি। প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী দেশে অণুজীববিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ানসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মাস্টার্স এবং পিএইচডি করতে পাড়ি জমাচ্ছেন।
মাইক্রোবায়োলজি বা অণুজীববিজ্ঞান হলো বিজ্ঞানের এমন একটি শাখা, যেখানে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অণুজীব (ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, শৈবাল, ছত্রাক ইত্যাদি) সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। মৌলিক বিজ্ঞান জ্ঞানকে এগিয়ে নিতে এবং ফার্মাসিউটিক্যালস ও বায়োটেকনোলজির পণ্যগুলোর বিকাশে অবদান রাখতে অণুজীববিজ্ঞানীদের প্রয়োজনীয়তা ব্যাপক।
অণুজীববিজ্ঞান বিষয়ে পড়ার যোগ্যতা
যেহেতু অণুজীববিজ্ঞান বিজ্ঞানের একটি বিষয়, তাই এ বিষয়ে স্নাতক পর্যায়ে লেখাপড়া করতে চাইলে একজন শিক্ষার্থীকে অবশ্যই এসএসসি ও এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ হতে হবে। পাশাপাশি এইচএসসিতে অবশ্যই জীববিজ্ঞান থাকতে হবে। আরও সুনির্দিষ্টভাবে যোগ্যতার মানদণ্ডগুলো বলা বেশ কঠিন, কেননা এই মানদণ্ডগুলো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত হয়ে থাকে এবং তা বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। এমনকি প্রতিবছর পরিবর্তনও হতে পারে। যেমন কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে অণুজীববিজ্ঞানে ভর্তির ক্ষেত্রে জীববিজ্ঞানের পাশাপাশি রসায়ন, এমনকি ইংরেজি বিষয়ের ওপরও জোর দেওয়া হয়। আবার কোথাও এইচএসসিতে জীববিজ্ঞান বা রসায়নে নির্দিষ্ট জিপিএ থাকতে হয় এবং ভর্তি পরীক্ষায় ওই বিষয়গুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত ন্যূনতম নম্বর পেতে হয়। তাই যোগ্যতার মানদণ্ডবিষয়ক সুনির্দিষ্ট তথ্যের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে নজর রাখাই বাঞ্ছনীয়।
কোথায় কোথায় ভর্তি হওয়া যায়
দেশের বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে অণুজীববিজ্ঞান বিষয়ের ওপর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ভর্তি হওয়া যায়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ইনডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়, গণবিশ্ববিদ্যালয় উল্লেখযোগ্য।
চাকরির সুযোগ কেমন
যেহেতু অণুজীববিজ্ঞান একটি গবেষণাধর্মী বিষয় তাই এ বিষয়ে পড়ালেখা শেষ করে গবেষণামূলক কাজ করতে পারলে অর্জিত জ্ঞানকে সবচেয়ে ভালোভাবে কাজে লাগানো যায়। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান, যেমন বাংলাদেশ শিল্প ও গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর), ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি (এনআইবি), বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশন জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর (আইপিএইচ), আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) ইত্যাদিতে গবেষক হিসেবে কাজের সুযোগ রয়েছে। গবেষণার কাজ ছাড়াও অণুজীববিজ্ঞানের জ্ঞানকে প্রায়োগিক ক্ষেত্রে ব্যবহারবিষয়ক কর্মক্ষেত্রও দেশে রয়েছে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ বিমান, বিএসটিআই, ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি, ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রি, কেমিক্যাল অ্যান্ড অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রি, ইত্যাদি হচ্ছে এমনই কিছু কাজের ক্ষেত্র, যেখানে অণুজীবের জ্ঞানকে সরাসরি জনকল্যাণমূলক কাজে লাগানো যায়। এ ছাড়া বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা ও গবেষণার পাশাপাশি বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের পরামর্শক হিসেবেও কাজ করা যায়। বর্তমানে অণুজীববিজ্ঞানের গ্র্যাজুয়েটদের জন্য সরকারি বিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে কাজের ক্ষেত্রও তৈরি হয়েছে।
উচ্চশিক্ষার সুযোগ-সুবিধা
উন্নত দেশগুলোতে অণুজীববিজ্ঞান বিষয়ক গবেষণায় অর্থায়ন অনেক বেশি হয় বলে সেসব দেশে এ বিষয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ অনেক বেশি। প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী দেশে অণুজীববিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ানসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মাস্টার্স এবং পিএইচডি করতে পাড়ি জমাচ্ছেন।
চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ে আট পদের লিখিত পরীক্ষার তারিখ প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বাছাই কমিটির চেয়ারম্যান সরকার হাসান শাহরিয়ার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ব্যাংকে ‘সহকারী পরিচালক’ পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মো. জবদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগেজনবল নিয়োগের জন্য পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির দুই ধরনের শূন্য পদে ১২ জন নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
১ দিন আগেসিনিয়র স্টাফ নার্স (১০ম গ্রেড) পদের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪ হাজার ৫৫২ জন প্রার্থী। বুধবার পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে