এম এম মুজাহিদ উদ্দীন
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রধান সেনাপতি ছিলেন জেনারেল মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানী। দেশের স্বাধীনতা এনে দেওয়া রণাঙ্গনের অন্যতম এই মহারথীর নাম শুনলে পাকিস্তান ক্যান্টনমেন্টে ত্রাস সৃষ্টি হতো। বিসিএসসহ অন্য চাকরির পরীক্ষায় এই বঙ্গবীরকে নিয়ে প্রশ্ন আসতে দেখা যায়। তাঁকে নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন-উত্তর লিখেছেন এম এম মুজাহিদ উদ্দীন।
প্রশ্ন: জেনারেল এম এ জি ওসমানীর শিক্ষাজীবন সম্পর্কে বলুন।
উত্তর: গুয়াহাটিতে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় হাতেখড়ি হয় ওসমানীর। ১৯৩৪ সালে সিলেট সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় তিনি পুরো ভারতবর্ষে প্রথম হয়েছিলেন। এই অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য ব্রিটিশ সরকার ওসমানীকে প্রাইওটোরিয়া পুরস্কার দেয়। ১৯৩৮ সালে আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি স্নাতক পাস করেছিলেন। এরপর তৎকালীন সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। ১৯৩৯ সালে রয়্যাল আর্মড ফোর্সে ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিয়ে দেরাদুনে ব্রিটিশ-ভারতীয় মিলিটারি একাডেমিতে প্রশিক্ষণ শেষে ১৯৪০ সালে যোগ দেন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর কমিশনড অফিসার হিসেবে।
প্রশ্ন: জেনারেল ওসমানীর রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে বলুন।
উত্তর: জেনারেল ওসমানী ১৯৬৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন। পরে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে ১৯৭০ সালের জুলাই মাসে ওসমানী আওয়ামী লীগে যোগ দেন। পরে সাধারণ নির্বাচনে বালাগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ, বিশ্বনাথসহ চার এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
অবসরের প্রায় চার বছর পর মাতৃভূমির চরম সংকটময় মুহূর্তে জেনারেল ওসমানী আবার সামরিক পোশাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। যার দৃষ্টান্ত বিশ্বে বিরল। জাতির প্রতি দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতিস্বরূপ সরকার ওসমানীকে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল পদে উন্নীত করেন। একই সঙ্গে অসাধারণ বীরত্বের জন্য ‘বঙ্গবীর’ উপাধিতে ভূষিত করেন। ১৯৭২ সালের ১০ এপ্রিল বঙ্গবীর ওসমানীকে বঙ্গবন্ধু তাঁর মন্ত্রিসভায় জাহাজ চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ ও বিমানমন্ত্রী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেন।
১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু সংসদীয় গণতন্ত্র বিলুপ্ত করে বাকশাল কায়েম করলে এর তীব্র প্রতিবাদ করে ওসমানী সংসদ সদস্যপদ, মন্ত্রিত্ব ও আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৭৬ সালে ৫ সেপ্টেম্বর তাঁর স্বপ্ন ‘সংসদীয় গণতন্ত্র’ পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি ‘জাতীয় জনতা পার্টি’ নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন এবং ‘গণনীতির রূপরেখা’ নামে একটি বই রচনা করেন। ১৯৭৮ ও ১৯৮১ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পেছনে ওসমানীর অবদান অসামান্য।
প্রশ্ন: জেনারেল ওসমানীর সেনাবাহিনীতে ক্যারিয়ার কেমন ছিল?
উত্তর: ১৯৩৯ সালে রয়্যাল আর্মড ফোর্সে ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিয়ে দেরাদুনে ব্রিটিশ-ভারতীয় মিলিটারি একাডেমিতে প্রশিক্ষণ শেষে ১৯৪০ সালে যোগ দেন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর কমিশনড অফিসার হিসেবে। ১৯৪২ সালে মেজর পদে পদোন্নতি পেয়েছিলেন ওসমানী। ১৯৪২ সালে ওসমানী ছিলেন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সর্বকনিষ্ঠ পদোন্নতি পাওয়া মেজর। দেশবিভাগের পর ১৯৪৭ সালের ৭ অক্টোবর ওসমানী যোগ দেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে। এ সময় তাঁর পদমর্যাদা ছিল লেফটেন্যান্ট কর্নেল।
১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের কোয়েটা স্টাফ কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন লাভ করেন জে. ওসমানী। ১৯৪৯ সালে চিফ অব জেনারেল স্টাফের ডেপুটি নিযুক্ত হন। ১৯৫০ সালে যশোর সেনানিবাসে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রথম ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক নিযুক্ত হন এবং চট্টগ্রাম সেনানিবাসে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টার প্রতিষ্ঠা ও এর পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ববাংলার আরও কয়েকটি আঞ্চলিক স্টেশনের দায়িত্বও তিনি সফলতার সঙ্গে পালন করেন।
পরে ১৪তম পাঞ্জাব রেজিমেন্টের নবম ব্যাটালিয়নের রাইফেলস কোম্পানির পরিচালক, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের (ইপিআর) অতিরিক্ত কমান্ড্যান্টের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৫ সালের পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধে তিনি বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক সংস্থা সিয়াটো ও সেন্টোতে পাকিস্তান বাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করেন। পাকিস্তান ক্যান্টনমেন্টে তাঁকে ‘পাপা টাইগার’, ‘টাইগার ওসমানী’, ‘বঙ্গশার্দূল’ প্রভৃতি নামে চিনত। ১৯৬৭ সালে সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অবসর নেন তিনি। পরে দেশের প্রয়োজনে ১৯৭১ সালে আবার সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং সেনাপ্রধান হন।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রধান সেনাপতি ছিলেন জেনারেল মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানী। দেশের স্বাধীনতা এনে দেওয়া রণাঙ্গনের অন্যতম এই মহারথীর নাম শুনলে পাকিস্তান ক্যান্টনমেন্টে ত্রাস সৃষ্টি হতো। বিসিএসসহ অন্য চাকরির পরীক্ষায় এই বঙ্গবীরকে নিয়ে প্রশ্ন আসতে দেখা যায়। তাঁকে নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন-উত্তর লিখেছেন এম এম মুজাহিদ উদ্দীন।
প্রশ্ন: জেনারেল এম এ জি ওসমানীর শিক্ষাজীবন সম্পর্কে বলুন।
উত্তর: গুয়াহাটিতে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় হাতেখড়ি হয় ওসমানীর। ১৯৩৪ সালে সিলেট সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় তিনি পুরো ভারতবর্ষে প্রথম হয়েছিলেন। এই অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য ব্রিটিশ সরকার ওসমানীকে প্রাইওটোরিয়া পুরস্কার দেয়। ১৯৩৮ সালে আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি স্নাতক পাস করেছিলেন। এরপর তৎকালীন সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। ১৯৩৯ সালে রয়্যাল আর্মড ফোর্সে ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিয়ে দেরাদুনে ব্রিটিশ-ভারতীয় মিলিটারি একাডেমিতে প্রশিক্ষণ শেষে ১৯৪০ সালে যোগ দেন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর কমিশনড অফিসার হিসেবে।
প্রশ্ন: জেনারেল ওসমানীর রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে বলুন।
উত্তর: জেনারেল ওসমানী ১৯৬৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন। পরে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে ১৯৭০ সালের জুলাই মাসে ওসমানী আওয়ামী লীগে যোগ দেন। পরে সাধারণ নির্বাচনে বালাগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ, বিশ্বনাথসহ চার এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
অবসরের প্রায় চার বছর পর মাতৃভূমির চরম সংকটময় মুহূর্তে জেনারেল ওসমানী আবার সামরিক পোশাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। যার দৃষ্টান্ত বিশ্বে বিরল। জাতির প্রতি দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতিস্বরূপ সরকার ওসমানীকে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল পদে উন্নীত করেন। একই সঙ্গে অসাধারণ বীরত্বের জন্য ‘বঙ্গবীর’ উপাধিতে ভূষিত করেন। ১৯৭২ সালের ১০ এপ্রিল বঙ্গবীর ওসমানীকে বঙ্গবন্ধু তাঁর মন্ত্রিসভায় জাহাজ চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ ও বিমানমন্ত্রী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেন।
১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু সংসদীয় গণতন্ত্র বিলুপ্ত করে বাকশাল কায়েম করলে এর তীব্র প্রতিবাদ করে ওসমানী সংসদ সদস্যপদ, মন্ত্রিত্ব ও আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৭৬ সালে ৫ সেপ্টেম্বর তাঁর স্বপ্ন ‘সংসদীয় গণতন্ত্র’ পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি ‘জাতীয় জনতা পার্টি’ নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন এবং ‘গণনীতির রূপরেখা’ নামে একটি বই রচনা করেন। ১৯৭৮ ও ১৯৮১ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পেছনে ওসমানীর অবদান অসামান্য।
প্রশ্ন: জেনারেল ওসমানীর সেনাবাহিনীতে ক্যারিয়ার কেমন ছিল?
উত্তর: ১৯৩৯ সালে রয়্যাল আর্মড ফোর্সে ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিয়ে দেরাদুনে ব্রিটিশ-ভারতীয় মিলিটারি একাডেমিতে প্রশিক্ষণ শেষে ১৯৪০ সালে যোগ দেন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর কমিশনড অফিসার হিসেবে। ১৯৪২ সালে মেজর পদে পদোন্নতি পেয়েছিলেন ওসমানী। ১৯৪২ সালে ওসমানী ছিলেন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সর্বকনিষ্ঠ পদোন্নতি পাওয়া মেজর। দেশবিভাগের পর ১৯৪৭ সালের ৭ অক্টোবর ওসমানী যোগ দেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে। এ সময় তাঁর পদমর্যাদা ছিল লেফটেন্যান্ট কর্নেল।
১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের কোয়েটা স্টাফ কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন লাভ করেন জে. ওসমানী। ১৯৪৯ সালে চিফ অব জেনারেল স্টাফের ডেপুটি নিযুক্ত হন। ১৯৫০ সালে যশোর সেনানিবাসে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রথম ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক নিযুক্ত হন এবং চট্টগ্রাম সেনানিবাসে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টার প্রতিষ্ঠা ও এর পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ববাংলার আরও কয়েকটি আঞ্চলিক স্টেশনের দায়িত্বও তিনি সফলতার সঙ্গে পালন করেন।
পরে ১৪তম পাঞ্জাব রেজিমেন্টের নবম ব্যাটালিয়নের রাইফেলস কোম্পানির পরিচালক, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের (ইপিআর) অতিরিক্ত কমান্ড্যান্টের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৫ সালের পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধে তিনি বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক সংস্থা সিয়াটো ও সেন্টোতে পাকিস্তান বাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করেন। পাকিস্তান ক্যান্টনমেন্টে তাঁকে ‘পাপা টাইগার’, ‘টাইগার ওসমানী’, ‘বঙ্গশার্দূল’ প্রভৃতি নামে চিনত। ১৯৬৭ সালে সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অবসর নেন তিনি। পরে দেশের প্রয়োজনে ১৯৭১ সালে আবার সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং সেনাপ্রধান হন।
বাংলাদেশ ব্যাংকে ‘সহকারী পরিচালক’ পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মো. জবদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগেজনবল নিয়োগের জন্য পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির দুই ধরনের শূন্য পদে ১২ জন নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
২১ ঘণ্টা আগেসিনিয়র স্টাফ নার্স (১০ম গ্রেড) পদের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪ হাজার ৫৫২ জন প্রার্থী। বুধবার পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগেজনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে আজকের পত্রিকা। প্রতিষ্ঠানটিতে অ্যাড অপারেশন পদে জনবল নেবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা ই-মেইলে অথবা সরাসরি প্রতিষ্ঠানের ঠিকানায় সিভি পাঠাতে পারবেন।
২ দিন আগে