আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিবছর বৃত্তির অনুদানে উচ্চশিক্ষা অর্জনের সুযোগ দিচ্ছে আগা খান ফাউন্ডেশন। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে আগা খান ফাউন্ডেশন ইন্টারন্যাশনাল স্কলারশিপ প্রোগ্রামের আওতায় উন্নয়নশীল দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হবে। এই বৃত্তির জন্য বাংলাদেশসহ আফগানিস্তান, কানাডা, মিসর, ফ্রান্স, ভারত, কেনিয়া, কিরগিজস্তান, মাদাগাস্কার, মোজাম্বিক, পাকিস্তান, পর্তুগাল, সিরিয়া, তাজিকিস্তান, তানজানিয়া, উগান্ডা ও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

উল্লেখ্য, নির্ধারিত উন্নয়নশীল দেশের উন্নয়ন-সম্পর্কিত গবেষণায় আগ্রহী কানাডা, ফ্রান্স, পর্তুগাল এবং যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কেবল শিক্ষার অর্থায়নের অন্য কোনো উপায় না থাকা সাপেক্ষে আবেদন গ্রহণ করা হবে।

অন্তর্ভুক্ত প্রোগ্রাম
স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি। 

সুযোগ-সুবিধা 
আগা খান ফাউন্ডেশন ইন্টারন্যাশনাল স্কলারশিপ প্রোগ্রামের সুযোগ-সুবিধা অর্ধেক অনুদান ও অর্ধেক ঋণ হিসেবে গঠিত, যেখানে শিক্ষার্থীকে বৃত্তির পরিমাণের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করতে হবে। ঋণ পরিশোধের সময়কাল পাঁচ বছর। স্নাতকোত্তর ডিগ্রিতে অধ্যয়নের জন্য পুরো প্রোগ্রামের সময়কাল এই বৃত্তি দেওয়া হয়। তবে পিএইচডি শিক্ষার্থীদের প্রথম দুই বছরের জন্য বৃত্তি দেওয়া হয়। পরে বিকল্প উৎস থেকে তহবিল খুঁজে পড়াশোনা শেষ করার নিয়ম পিএইচডি শিক্ষার্থীদের জন্য। বৃত্তির অর্থ মূলত একজন শিক্ষার্থীর টিউশন ফি ও জীবনযাত্রার খরচ বহন করে। এটি আন্তর্জাতিক ভ্রমণের খরচ, পোশাক, আসবাব বা পরিবারের সদস্যদের জীবনযাত্রার খরচের জোগান দেবে না। 

প্রয়োজনীয় যোগ্যতা
■    একটি স্নাতক ডিগ্রি বা সমমানের প্রশিক্ষণ বা পেশাদার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। অ্যাকাডেমিক ফলাফল ভালো হওয়া আবশ্যক।
■    প্রকৃত আর্থিক প্রয়োজন প্রদর্শন করতে হবে।
■    একটি চিন্তাশীল, নির্ভরযোগ্য, বহু-উৎসবিশিষ্ট তহবিলের পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে।
■    কোনো স্বনামধন্য স্নাতকোত্তর প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ অর্জন করতে হবে।
■    পড়াশোনার পাশাপাশি ব্যক্তিগত কৃতিত্ব ও সহশিক্ষামূলক কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

আবেদনের প্রক্রিয়া
বিদেশে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বৃত্তি ও আবেদন সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। ৩০ বছরের কম বয়সী তরুণ পেশাদারদের বৃত্তির জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। আবেদনের শেষ সময় ৩১ মার্চ ২০২৪।

সূত্র: আগা খান ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইট
অনুবাদ: শাহরিয়ার সিমন