আজকের পত্রিকা ডেস্ক
সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণ আল্লাহর অন্যতম নিদর্শন। এ দুই গ্রহণ সংঘটিত হওয়ার সময় দুই রাকাত নামাজ আদায় করা রাসুল (সা.)-এর সুন্নত। দশম হিজরিতে সূর্যগ্রহণ হলে নবী (সা.) সাহাবিদের সমবেত করে দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন। সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণের সময় তিনি মুসলমানদের নামাজ আদায়ের আহ্বান জানিয়েছেন। আল্লাহর দরবারে দোয়া করতে বলেছেন। গ্রহণকে ঘিরে প্রচলিত কুসংস্কারকে পাশ কাটিয়ে আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।
সূর্যগ্রহণের নামাজ আদায়ের নিয়ম—
• সূর্যগ্রহণ চলাকালে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা সুন্নত। ইসলামের পরিভাষায় এটিকে ‘সালাতুল কুসুফ’ বলা হয়।
• এ নামাজ জামাতে আদায় করা সুন্নত। জুমা ও ঈদের নামাজের ইমাম এতে ইমামতি করবেন। ইমাম উপস্থিত না থাকলে সবাই একা নামাজ পড়বেন।
• এ নামাজে আজান-একামত নেই। আজানের পরিবর্তে ‘আস-সালাতু জামিয়া’ বা ‘নামাজে চলো’ বলে মানুষকে ডাকা হবে।
• এ নামাজের কিরাত, রুকু, সেজদাসহ সব রুকন অনেক দীর্ঘ হবে। প্রথম রাকাতের রুকনগুলো দ্বিতীয় রাকাতের চেয়ে দীর্ঘ হবে।
• এ নামাজে কিরাত উঁচুস্বরে ও নিচুস্বরে—যেকোনোভাবে আদায় করা যাবে।
• দাঁড়ানো অবস্থায় কিরাত ছাড়াও তাসবিহ, তাহলিল, তাকবির, তাহমিদ ও দোয়া পড়ার কথাও হাদিসে এসেছে।
• প্রতি রাকাতে রুকু কতটি হবে, তা নিয়ে দুটি মতো রয়েছে। হানাফি মাজহাবের আলেমেরা বলেছেন, অন্য নামাজের মতো একটিই রুকু হবে। আর শাফিয়ি মাজহাবের আলেমেরা দুটি রুকুর কথা বলেছেন। দুই মতের পক্ষে হাদিস বর্ণিত হয়েছে।
• নামাজ শেষে ইমাম দুই হাত তুলে আল্লাহর দরবারে নিজেদের কৃতকর্মের জন্য দোয়া করতে থাকবেন এবং মুসল্লিরা ‘আমিন’, ‘আমিন’ বলবেন। এ মোনাজাত গ্রহণ শেষ হওয়া পর্যন্ত চলতে থাকবে।
• নামাজের পর কোনো খুতবা নেই। তবে গ্রহণ শেষ হওয়ার পর সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণ বিষয়ক ভুল ধারণাগুলো দূর করতে সংক্ষিপ্ত কথা বলা যেতে পারে।
• গ্রহণ চলাকালীন কোনো ফরজ নামাজের সময় হয়ে গেলে নামাজ আদায় করে নেবেন।
চন্দ্রগ্রহণের নামাজ আদায়ের নিয়ম—
• চন্দ্রগ্রহণ চলাকালে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা সুন্নত। ইসলামের পরিভাষায় এটিকে ‘সালাতুল খুসুফ’ বলা হয়।
• এ নামাজ একাকী আদায় করাই সুন্নত। সূর্যগ্রহণের নামাজ জামাতে আদায় করার নিয়ম থাকলেও চন্দ্রগ্রহণের ক্ষেত্রে তা সুন্নত নয়। কারণ, নফলের ক্ষেত্রে জামাতে নামাজ আদায় করার বিষয়টি প্রমাণিত না হলে জামাত ছাড়া আদায় করাই নিয়ম। তাই চন্দ্রগ্রহণের সময় নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে সমবেত হওয়ার প্রয়োজন নেই।
• যারা চন্দ্রগ্রহণ প্রত্যক্ষ করবেন, তারা নিজ নিজ বাসায় ফজরের নামাজের মতোই দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করবেন।
• ইচ্ছা করলে চার রাকাত বা এর চেয়ে বেশিও পড়া যাবে, তবে প্রত্যেক দুই বা চার রাকাত পরপর সালাম ফেরাতে হবে।
• অন্যান্য নফল নামাজের মতো এ নামাজেও আজান-একামত নেই।
• নামাজ শেষে চন্দ্রগ্রহণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত জিকির, দোয়া ও মোনাজাতে মশগুল থাকবে।
সূত্র: সহিহ্ বুখারি, আল-মাবসুত, শারহুল বিকায়া, আল-আদাবুল মুফরাদ
সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণ আল্লাহর অন্যতম নিদর্শন। এ দুই গ্রহণ সংঘটিত হওয়ার সময় দুই রাকাত নামাজ আদায় করা রাসুল (সা.)-এর সুন্নত। দশম হিজরিতে সূর্যগ্রহণ হলে নবী (সা.) সাহাবিদের সমবেত করে দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন। সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণের সময় তিনি মুসলমানদের নামাজ আদায়ের আহ্বান জানিয়েছেন। আল্লাহর দরবারে দোয়া করতে বলেছেন। গ্রহণকে ঘিরে প্রচলিত কুসংস্কারকে পাশ কাটিয়ে আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।
সূর্যগ্রহণের নামাজ আদায়ের নিয়ম—
• সূর্যগ্রহণ চলাকালে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা সুন্নত। ইসলামের পরিভাষায় এটিকে ‘সালাতুল কুসুফ’ বলা হয়।
• এ নামাজ জামাতে আদায় করা সুন্নত। জুমা ও ঈদের নামাজের ইমাম এতে ইমামতি করবেন। ইমাম উপস্থিত না থাকলে সবাই একা নামাজ পড়বেন।
• এ নামাজে আজান-একামত নেই। আজানের পরিবর্তে ‘আস-সালাতু জামিয়া’ বা ‘নামাজে চলো’ বলে মানুষকে ডাকা হবে।
• এ নামাজের কিরাত, রুকু, সেজদাসহ সব রুকন অনেক দীর্ঘ হবে। প্রথম রাকাতের রুকনগুলো দ্বিতীয় রাকাতের চেয়ে দীর্ঘ হবে।
• এ নামাজে কিরাত উঁচুস্বরে ও নিচুস্বরে—যেকোনোভাবে আদায় করা যাবে।
• দাঁড়ানো অবস্থায় কিরাত ছাড়াও তাসবিহ, তাহলিল, তাকবির, তাহমিদ ও দোয়া পড়ার কথাও হাদিসে এসেছে।
• প্রতি রাকাতে রুকু কতটি হবে, তা নিয়ে দুটি মতো রয়েছে। হানাফি মাজহাবের আলেমেরা বলেছেন, অন্য নামাজের মতো একটিই রুকু হবে। আর শাফিয়ি মাজহাবের আলেমেরা দুটি রুকুর কথা বলেছেন। দুই মতের পক্ষে হাদিস বর্ণিত হয়েছে।
• নামাজ শেষে ইমাম দুই হাত তুলে আল্লাহর দরবারে নিজেদের কৃতকর্মের জন্য দোয়া করতে থাকবেন এবং মুসল্লিরা ‘আমিন’, ‘আমিন’ বলবেন। এ মোনাজাত গ্রহণ শেষ হওয়া পর্যন্ত চলতে থাকবে।
• নামাজের পর কোনো খুতবা নেই। তবে গ্রহণ শেষ হওয়ার পর সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণ বিষয়ক ভুল ধারণাগুলো দূর করতে সংক্ষিপ্ত কথা বলা যেতে পারে।
• গ্রহণ চলাকালীন কোনো ফরজ নামাজের সময় হয়ে গেলে নামাজ আদায় করে নেবেন।
চন্দ্রগ্রহণের নামাজ আদায়ের নিয়ম—
• চন্দ্রগ্রহণ চলাকালে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা সুন্নত। ইসলামের পরিভাষায় এটিকে ‘সালাতুল খুসুফ’ বলা হয়।
• এ নামাজ একাকী আদায় করাই সুন্নত। সূর্যগ্রহণের নামাজ জামাতে আদায় করার নিয়ম থাকলেও চন্দ্রগ্রহণের ক্ষেত্রে তা সুন্নত নয়। কারণ, নফলের ক্ষেত্রে জামাতে নামাজ আদায় করার বিষয়টি প্রমাণিত না হলে জামাত ছাড়া আদায় করাই নিয়ম। তাই চন্দ্রগ্রহণের সময় নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে সমবেত হওয়ার প্রয়োজন নেই।
• যারা চন্দ্রগ্রহণ প্রত্যক্ষ করবেন, তারা নিজ নিজ বাসায় ফজরের নামাজের মতোই দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করবেন।
• ইচ্ছা করলে চার রাকাত বা এর চেয়ে বেশিও পড়া যাবে, তবে প্রত্যেক দুই বা চার রাকাত পরপর সালাম ফেরাতে হবে।
• অন্যান্য নফল নামাজের মতো এ নামাজেও আজান-একামত নেই।
• নামাজ শেষে চন্দ্রগ্রহণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত জিকির, দোয়া ও মোনাজাতে মশগুল থাকবে।
সূত্র: সহিহ্ বুখারি, আল-মাবসুত, শারহুল বিকায়া, আল-আদাবুল মুফরাদ
ওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
২ ঘণ্টা আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
৩ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
৩ ঘণ্টা আগেনাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ বা উপহাস করা গুনাহের কাজ। নাম বিকৃত করা, অসম্পূর্ণ নামে ডাকা কোনো মুমিনের কাজ নয়। কারণ প্রকৃত মুসলিমের কথা বা কাজে অন্য কেউ কষ্ট পেতে পারে না। কারও নাম নিয়ে বিদ্রূপ করা তাকে কষ্ট দেওয়ার নামান্তর। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
১ দিন আগে