ইসলাম ডেস্ক
ঈদুল ফিতর মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এই উৎসবের দিনেও রয়েছে কিছু কর্তব্য। এই দিনে কিছু করণীয় যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে কিছু বর্জনীয়ও। এখানে সংক্ষেপে তা তুলে ধরা হলো—
ঈদের দিনে করণীয়
১. ঈদের নামাজের আগে গোসল করা।
২. উত্তম পোশাক পরিধান করা।
৩. সুগন্ধি ব্যবহার করা।
হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) ঈদের দিন উত্তমভাবে গোসল করতেন, সুগন্ধি থাকলে তা ব্যবহার করতেন, নিজের সর্বোত্তম পোশাক পরিধান করতেন। এরপর ঈদের নামাজে যেতেন। (শরহুস সুন্নাহ: ৪/৩০২)
৪. ঈদগাহে যাওয়ার আগে কিছু খাওয়া। হজরত আনাস (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) ঈদুল ফিতরে খেজুর না খেয়ে ঘর থেকে বের হতেন না। তিনি বেজোড় সংখ্যক খেজুর খেতেন। (বুখারি: ৯৫৩)
৫. ঈদগাহে যাওয়ার আগে সদকাতুল ফিতর আদায় করা। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রোজাদারকে অর্থহীন ও অশ্লীল কথা-কাজ থেকে পবিত্র করার জন্য এবং মিসকিনদের খাবারের ব্যবস্থা হিসেবে রাসুল (সা.) সদকাতুল ফিতর ওয়াজিব করেছেন। যে (ঈদের) নামাজের আগে তা আদায় করবে, তা গ্রহণযোগ্য হবে। আর যে নামাজের পর আদায় করবে, তা সাধারণ সদকা হিসেবে বিবেচিত হবে।’ (আবু দাউদ: ১৬০৯)
৬. ঈদগাহে এক পথ দিয়ে যাওয়া ও অন্য পথ দিয়ে ফেরা। পথ একটি হলে এক পাশ দিয়ে গিয়ে অন্য পাশ দিয়ে ফেরা। জাবের (রা.) বলেন, নবীজি (সা.) ঈদের দিন এক পথ দিয়ে ঈদগাহে যেতেন আর ভিন্ন পথ দিয়ে বাড়ি ফিরতেন। (বুখারি: ৯৮৬)
৭. সম্ভব হলে ঈদগাহে হেঁটে যাওয়া। (ইবনে মাজাহ) আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) ঈদগাহে হেঁটে যেতেন এবং হেঁটে ফিরতেন। (ইবনে মাজাহ: ১২৯৫)
৮. ঈদের দিন তাকবির পাঠের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলাকে বেশি বেশি স্মরণ করা। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতরের সকালে সশব্দে তাকবির বলতে বলতে ঈদগাহে যেতেন এবং ইমাম আসা পর্যন্ত তাকবির বলতে থাকতেন। (দারাকুতনি: ১৭১৬)
৯. ঈদের নামাজ আদায় করা।
১০. ঈদের দিনে ছোট-বড় সবার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করা। ঈদের দিনে সাহাবায়ে কেরামদের সম্ভাষণ ছিল, ‘তাক্বাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকা’। (অর্থ: আল্লাহ আমাদের ও তোমার কাজ কবুল করুন)
১১. পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে খাওয়াদাওয়া ও আনন্দ করা।
১২. গরিব-দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ানো।
১৩. আত্মীয়স্বজনদের খোঁজখবর নেওয়া।
১৪. কারও সঙ্গে শত্রুতা ও মনোমালিন্য থাকলে তা ভুলে যাওয়া।
১৫. অপচয় ও অপব্যয় না করা।
ঈদের দিনে বর্জনীয়
১. ঈদের নামাজের আগে ও ফজরের নামাজের পরে কোনো নামাজ নেই।
২. ঈদের নামাজের কোনো আজান ও ইকামত নেই।
৩. ঈদের দিন রোজা রাখা হারাম। রাসুলুল্লাহ (সা.) ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিনে রোজা রাখতে নিষেধ করেছেন।
৪. ঈদের দিনকে কবর জিয়ারতের বিশেষ দিন মনে করে জিয়ারত করা বিদাত। তবে পূর্বনির্ধারিত রুটিন ছাড়া হঠাৎ সুযোগ হয়ে গেলে একাকী কেউ জিয়ারত করলে দূষণীয় নয়।
৫. অনেকে ঈদের আনন্দে মশগুল হয়ে নতুন জামা-কাপড় পরিধান, সেমাই, ফিরনি ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে, ঈদের সালাত আদায় করার কথা ভুলে যায়। অথচ এই দিনে ঈদের সালাতই মুসলমানদের মূল কাজ।
৬. ঈদগাহে বা ঈদের দিন সাক্ষাৎ হলে মুসাফাহা ও মুআনাকা করতেই হবে এমন বিশ্বাস ও আমল করা বিদাত। তবে এমন বিশ্বাস না করে সালাম ও মুসাফাহার পর মুআনাকা (গলায় গলা মেলানো) করায় কোনো অসুবিধা নেই। কারণ মুসাফাহা ও মুআনাকা করার মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি হয়।
৭. ঈদের দিন উপলক্ষে যেখানে গান-বাজনা, অবাধে নারী-পুরুষ বিচরণ ইত্যাদির আয়োজন থাকে—এমন মেলা আয়োজন করা, অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা করা যাবে না।
ঈদুল ফিতর মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এই উৎসবের দিনেও রয়েছে কিছু কর্তব্য। এই দিনে কিছু করণীয় যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে কিছু বর্জনীয়ও। এখানে সংক্ষেপে তা তুলে ধরা হলো—
ঈদের দিনে করণীয়
১. ঈদের নামাজের আগে গোসল করা।
২. উত্তম পোশাক পরিধান করা।
৩. সুগন্ধি ব্যবহার করা।
হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) ঈদের দিন উত্তমভাবে গোসল করতেন, সুগন্ধি থাকলে তা ব্যবহার করতেন, নিজের সর্বোত্তম পোশাক পরিধান করতেন। এরপর ঈদের নামাজে যেতেন। (শরহুস সুন্নাহ: ৪/৩০২)
৪. ঈদগাহে যাওয়ার আগে কিছু খাওয়া। হজরত আনাস (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) ঈদুল ফিতরে খেজুর না খেয়ে ঘর থেকে বের হতেন না। তিনি বেজোড় সংখ্যক খেজুর খেতেন। (বুখারি: ৯৫৩)
৫. ঈদগাহে যাওয়ার আগে সদকাতুল ফিতর আদায় করা। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রোজাদারকে অর্থহীন ও অশ্লীল কথা-কাজ থেকে পবিত্র করার জন্য এবং মিসকিনদের খাবারের ব্যবস্থা হিসেবে রাসুল (সা.) সদকাতুল ফিতর ওয়াজিব করেছেন। যে (ঈদের) নামাজের আগে তা আদায় করবে, তা গ্রহণযোগ্য হবে। আর যে নামাজের পর আদায় করবে, তা সাধারণ সদকা হিসেবে বিবেচিত হবে।’ (আবু দাউদ: ১৬০৯)
৬. ঈদগাহে এক পথ দিয়ে যাওয়া ও অন্য পথ দিয়ে ফেরা। পথ একটি হলে এক পাশ দিয়ে গিয়ে অন্য পাশ দিয়ে ফেরা। জাবের (রা.) বলেন, নবীজি (সা.) ঈদের দিন এক পথ দিয়ে ঈদগাহে যেতেন আর ভিন্ন পথ দিয়ে বাড়ি ফিরতেন। (বুখারি: ৯৮৬)
৭. সম্ভব হলে ঈদগাহে হেঁটে যাওয়া। (ইবনে মাজাহ) আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) ঈদগাহে হেঁটে যেতেন এবং হেঁটে ফিরতেন। (ইবনে মাজাহ: ১২৯৫)
৮. ঈদের দিন তাকবির পাঠের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলাকে বেশি বেশি স্মরণ করা। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতরের সকালে সশব্দে তাকবির বলতে বলতে ঈদগাহে যেতেন এবং ইমাম আসা পর্যন্ত তাকবির বলতে থাকতেন। (দারাকুতনি: ১৭১৬)
৯. ঈদের নামাজ আদায় করা।
১০. ঈদের দিনে ছোট-বড় সবার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করা। ঈদের দিনে সাহাবায়ে কেরামদের সম্ভাষণ ছিল, ‘তাক্বাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকা’। (অর্থ: আল্লাহ আমাদের ও তোমার কাজ কবুল করুন)
১১. পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে খাওয়াদাওয়া ও আনন্দ করা।
১২. গরিব-দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ানো।
১৩. আত্মীয়স্বজনদের খোঁজখবর নেওয়া।
১৪. কারও সঙ্গে শত্রুতা ও মনোমালিন্য থাকলে তা ভুলে যাওয়া।
১৫. অপচয় ও অপব্যয় না করা।
ঈদের দিনে বর্জনীয়
১. ঈদের নামাজের আগে ও ফজরের নামাজের পরে কোনো নামাজ নেই।
২. ঈদের নামাজের কোনো আজান ও ইকামত নেই।
৩. ঈদের দিন রোজা রাখা হারাম। রাসুলুল্লাহ (সা.) ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিনে রোজা রাখতে নিষেধ করেছেন।
৪. ঈদের দিনকে কবর জিয়ারতের বিশেষ দিন মনে করে জিয়ারত করা বিদাত। তবে পূর্বনির্ধারিত রুটিন ছাড়া হঠাৎ সুযোগ হয়ে গেলে একাকী কেউ জিয়ারত করলে দূষণীয় নয়।
৫. অনেকে ঈদের আনন্দে মশগুল হয়ে নতুন জামা-কাপড় পরিধান, সেমাই, ফিরনি ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে, ঈদের সালাত আদায় করার কথা ভুলে যায়। অথচ এই দিনে ঈদের সালাতই মুসলমানদের মূল কাজ।
৬. ঈদগাহে বা ঈদের দিন সাক্ষাৎ হলে মুসাফাহা ও মুআনাকা করতেই হবে এমন বিশ্বাস ও আমল করা বিদাত। তবে এমন বিশ্বাস না করে সালাম ও মুসাফাহার পর মুআনাকা (গলায় গলা মেলানো) করায় কোনো অসুবিধা নেই। কারণ মুসাফাহা ও মুআনাকা করার মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি হয়।
৭. ঈদের দিন উপলক্ষে যেখানে গান-বাজনা, অবাধে নারী-পুরুষ বিচরণ ইত্যাদির আয়োজন থাকে—এমন মেলা আয়োজন করা, অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা করা যাবে না।
ওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
২ ঘণ্টা আগেইবনে মুকলা (৮৮৬-৯৪০ খ্রি.) ছিলেন ইসলামের ইতিহাসে সবচেয়ে বিখ্যাত এবং প্রভাবশালী ক্যালিগ্রাফারদের একজন। তিনি আব্বাসি খেলাফতের সময়ে কাজ করতেন এবং আরবি ক্যালিগ্রাফির নাসখ, তাওকিক ও রুকাশৈলীর প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে পরিচিত।
২ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
২ ঘণ্টা আগেনাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ বা উপহাস করা গুনাহের কাজ। নাম বিকৃত করা, অসম্পূর্ণ নামে ডাকা কোনো মুমিনের কাজ নয়। কারণ প্রকৃত মুসলিমের কথা বা কাজে অন্য কেউ কষ্ট পেতে পারে না। কারও নাম নিয়ে বিদ্রূপ করা তাকে কষ্ট দেওয়ার নামান্তর। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
১ দিন আগে