ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা
ইসলামে স্বাভাবিক নিয়মের বাইরে সব ধরনের যৌনাচার হারাম ও নিষেধ। যেমন বিবাহবহির্ভূত যৌনাচার, সমকামিতা, স্ত্রীর মাসিক চলাকালে বা পায়ুপথে যৌনাচার—সবই হারাম ও কবিরা গুনাহ। বিশেষ করে সমকামিতা বা পুরুষের সঙ্গে পুরুষের বা মেয়ের সঙ্গে মেয়ের যৌন চাহিদা মেটানো স্বভাববিরোধী, হীন, জঘন্য ও অভিশপ্ত কাজ।
ধ্বংসের কারণ সমকামিতা: সমকামিতার অপরাধে আল্লাহ তাআলা কওমে লুত তথা লুত (আ.)-এর সম্প্রদায়কে ধ্বংস করে দিয়েছেন। লুত (আ.) তাদের বারবার হালাল পন্থায় যৌন চাহিদা পূরণ করার অনুরোধ করলেও তারা তাঁর কথা শোনেনি। এসব দুশ্চরিত্র লোক চারটি জনপদে বাস করত। ফেরেশতাগণ সব জনপদকে একত্রে সমূলে উৎপাটিত করে শূন্যে নিয়ে যান এবং সেখান থেকে উল্টিয়ে নিচে ছুড়ে মারেন। এভাবে সব বসতি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। অনেকের মতে, এ জনপদগুলো উল্টে যাওয়ার ফলেই ডেড সি বা মৃত সাগর সৃষ্টি হয়েছে। এটি ভূপৃষ্ঠের সবচেয়ে নিচু স্থান। পৃথিবীর অন্য কোনো অঞ্চল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এতটা নিচু নয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যখন আমার আদেশ এসে পৌঁছাল, তখন আমি জনপদকে উল্টিয়ে দিলাম এবং তাদের ওপর ক্রমাগত বর্ষণ করলাম পাথর-কঙ্কর।’ (সুরা হুদ: ৮২)
বড় গুনাহের কাজ: সমকামিতা এক গর্হিত কুকর্ম এবং সবচেয়ে বড় কবিরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। পবিত্র কোরআনে লুত (আ.)-এর সম্প্রদায়ের এ ধরনের অশ্লীল কাজের সবিস্তার আলোচনা এসেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর আমি লুতকে প্রেরণ করেছিলাম। সে তার সম্প্রদায়কে বলেছিল—তোমরা এমন কুকর্ম করছ, যা তোমাদের আগে বিশ্বে কেউ করেনি। তোমরা তো কাম-তৃপ্তির জন্য নারী ছেড়ে পুরুষের কাছে গমন করো, তোমরা তো সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়। উত্তরে তার সম্প্রদায় শুধু বলল—এদেরকে তোমাদের জনপদ থেকে বের করে দাও; এরা এমন লোক, যারা পবিত্র থাকতে চায়। এরপর আমি তাকে এবং তার স্ত্রী ছাড়া পরিবার-পরিজনকে বাঁচিয়ে দিলাম। তার স্ত্রী ছিল পেছনে অবস্থানকারীদের অন্তর্ভুক্ত। আমি তাদের ওপর ভীষণভাবে বৃষ্টি বর্ষণ করলাম। সুতরাং অপরাধীদের পরিণাম কী হয়েছিল তা লক্ষ করো।’ (সুরা আরাফ: ৮০-৮৪)
স্বভাববিরোধী অপরাধ: পৃথিবীর সব প্রাণীই কামোত্তেজনায় বিপরীত লিঙ্গের দ্বারস্থ হয়। এটাই স্বভাবসুলভ বিষয়। এ ক্ষেত্রে সমলিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ স্বভাববিরোধী অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। পবিত্র কোরআনে এ ব্যাপারে কঠোর ভাষায় নিন্দা করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘গোটা বিশ্বের মানুষের মধ্যে তোমরাই কি পুরুষদের সঙ্গে কুকর্ম করো এবং তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের জন্য সঙ্গিনী হিসেবে যাদের সৃষ্টি করেছেন, তাদেরকে বর্জন করে থাকো? তোমরা তো সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়।’ (সুরা শুআরা: ১৬৫-১৬৬)
সমকামিতার শাস্তি: ইসলামি আদালতে সমকামিতার অপরাধ প্রমাণিত হলে তার শাস্তি হলো মৃত্যুদণ্ড। কোরআনের অনেক সুরায় লুত (আ.)-এর জাতির এ ধরনের অপকর্ম বিষয়ে মানুষকে বারবার সতর্ক করা হয়েছে। তাদের করুণ পরিণতির কথাও তুলে ধরা হয়েছে। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা যাদের লুত (আ.)-এর জাতির মতো কাজে (সমকামিতায়) লিপ্ত দেখবে, তাদের উভয়কেই হত্যা করো।’ (আবু দাউদ: ৪৪৬২)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এসব অপরাধের উৎস ও পরিবেশ সৃষ্টিকারী সবকিছু থেকে মুক্ত থেকে সমকামিতা ও বিকৃত যৌনাচার থেকে হেফাজত করুন।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ইসলামে স্বাভাবিক নিয়মের বাইরে সব ধরনের যৌনাচার হারাম ও নিষেধ। যেমন বিবাহবহির্ভূত যৌনাচার, সমকামিতা, স্ত্রীর মাসিক চলাকালে বা পায়ুপথে যৌনাচার—সবই হারাম ও কবিরা গুনাহ। বিশেষ করে সমকামিতা বা পুরুষের সঙ্গে পুরুষের বা মেয়ের সঙ্গে মেয়ের যৌন চাহিদা মেটানো স্বভাববিরোধী, হীন, জঘন্য ও অভিশপ্ত কাজ।
ধ্বংসের কারণ সমকামিতা: সমকামিতার অপরাধে আল্লাহ তাআলা কওমে লুত তথা লুত (আ.)-এর সম্প্রদায়কে ধ্বংস করে দিয়েছেন। লুত (আ.) তাদের বারবার হালাল পন্থায় যৌন চাহিদা পূরণ করার অনুরোধ করলেও তারা তাঁর কথা শোনেনি। এসব দুশ্চরিত্র লোক চারটি জনপদে বাস করত। ফেরেশতাগণ সব জনপদকে একত্রে সমূলে উৎপাটিত করে শূন্যে নিয়ে যান এবং সেখান থেকে উল্টিয়ে নিচে ছুড়ে মারেন। এভাবে সব বসতি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। অনেকের মতে, এ জনপদগুলো উল্টে যাওয়ার ফলেই ডেড সি বা মৃত সাগর সৃষ্টি হয়েছে। এটি ভূপৃষ্ঠের সবচেয়ে নিচু স্থান। পৃথিবীর অন্য কোনো অঞ্চল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এতটা নিচু নয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যখন আমার আদেশ এসে পৌঁছাল, তখন আমি জনপদকে উল্টিয়ে দিলাম এবং তাদের ওপর ক্রমাগত বর্ষণ করলাম পাথর-কঙ্কর।’ (সুরা হুদ: ৮২)
বড় গুনাহের কাজ: সমকামিতা এক গর্হিত কুকর্ম এবং সবচেয়ে বড় কবিরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। পবিত্র কোরআনে লুত (আ.)-এর সম্প্রদায়ের এ ধরনের অশ্লীল কাজের সবিস্তার আলোচনা এসেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর আমি লুতকে প্রেরণ করেছিলাম। সে তার সম্প্রদায়কে বলেছিল—তোমরা এমন কুকর্ম করছ, যা তোমাদের আগে বিশ্বে কেউ করেনি। তোমরা তো কাম-তৃপ্তির জন্য নারী ছেড়ে পুরুষের কাছে গমন করো, তোমরা তো সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়। উত্তরে তার সম্প্রদায় শুধু বলল—এদেরকে তোমাদের জনপদ থেকে বের করে দাও; এরা এমন লোক, যারা পবিত্র থাকতে চায়। এরপর আমি তাকে এবং তার স্ত্রী ছাড়া পরিবার-পরিজনকে বাঁচিয়ে দিলাম। তার স্ত্রী ছিল পেছনে অবস্থানকারীদের অন্তর্ভুক্ত। আমি তাদের ওপর ভীষণভাবে বৃষ্টি বর্ষণ করলাম। সুতরাং অপরাধীদের পরিণাম কী হয়েছিল তা লক্ষ করো।’ (সুরা আরাফ: ৮০-৮৪)
স্বভাববিরোধী অপরাধ: পৃথিবীর সব প্রাণীই কামোত্তেজনায় বিপরীত লিঙ্গের দ্বারস্থ হয়। এটাই স্বভাবসুলভ বিষয়। এ ক্ষেত্রে সমলিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ স্বভাববিরোধী অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। পবিত্র কোরআনে এ ব্যাপারে কঠোর ভাষায় নিন্দা করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘গোটা বিশ্বের মানুষের মধ্যে তোমরাই কি পুরুষদের সঙ্গে কুকর্ম করো এবং তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের জন্য সঙ্গিনী হিসেবে যাদের সৃষ্টি করেছেন, তাদেরকে বর্জন করে থাকো? তোমরা তো সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়।’ (সুরা শুআরা: ১৬৫-১৬৬)
সমকামিতার শাস্তি: ইসলামি আদালতে সমকামিতার অপরাধ প্রমাণিত হলে তার শাস্তি হলো মৃত্যুদণ্ড। কোরআনের অনেক সুরায় লুত (আ.)-এর জাতির এ ধরনের অপকর্ম বিষয়ে মানুষকে বারবার সতর্ক করা হয়েছে। তাদের করুণ পরিণতির কথাও তুলে ধরা হয়েছে। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা যাদের লুত (আ.)-এর জাতির মতো কাজে (সমকামিতায়) লিপ্ত দেখবে, তাদের উভয়কেই হত্যা করো।’ (আবু দাউদ: ৪৪৬২)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এসব অপরাধের উৎস ও পরিবেশ সৃষ্টিকারী সবকিছু থেকে মুক্ত থেকে সমকামিতা ও বিকৃত যৌনাচার থেকে হেফাজত করুন।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
১৪ ঘণ্টা আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
১৪ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
১৪ ঘণ্টা আগেনাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ বা উপহাস করা গুনাহের কাজ। নাম বিকৃত করা, অসম্পূর্ণ নামে ডাকা কোনো মুমিনের কাজ নয়। কারণ প্রকৃত মুসলিমের কথা বা কাজে অন্য কেউ কষ্ট পেতে পারে না। কারও নাম নিয়ে বিদ্রূপ করা তাকে কষ্ট দেওয়ার নামান্তর। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
২ দিন আগে