আব্দুল্লাহ আলমামুন আশরাফী
হিজরি সনের সর্বশেষ মাস জিলহজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যময় একটি মাস। এই মাসে হজ ও কোরবানির মতো বড় দুটি বিধান পালিত হয়। এ দুটি বিধান ছাড়াও জিলহজের প্রথম ১০ দিনের রয়েছে অনেক ফজিলত এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে জিলহজের প্রথম দশকের রাতগুলোর কসম করে একে মহিমান্বিত করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘কসম প্রভাতের এবং ১০ রাতের।’ (সুরা ফজর: ১-২) হজরত ইবনে আব্বাস (রা.)সহ একাধিক তাফসিরকারকের মতে, এখানে জিলহজের প্রথম ১০ রাতকেই বোঝানো হয়েছে। (তাফসিরে ইবনে কাসির ৪/৫৩৫)
এখানে এই দশকের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আমলের কথা তুলে ধরা হলো—
নখ-পশম কাটা থেকে বিরত থাকা
জিলহজ মাসের চাঁদ ওঠার পর থেকে কোরবানি করার আগপর্যন্ত সময়ে চুল, গোঁফ, নখ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানের লোম বা পশম না কাটা মুস্তাহাব। এ সম্পর্কে উম্মে সালমা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জিলহজের চাঁদ দেখে এবং কোরবানির নিয়ত করে, সে যতক্ষণ কোরবানি না করে, ততক্ষণ পর্যন্ত যেন চুল বা নখ না কাটে।’ (মুসলিম: ৩৬৫৬)
রোজা রাখা
জিলহজের প্রথম দশকের ৯ দিন রোজা রাখার চেষ্টা করা উচিত। বিশেষত আরাফাতের দিন তথা নবম দিনের রোজা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল। হজরত আবু কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আমি আল্লাহ তাআলার কাছে আশাবাদী, আরাফাতের দিনের রোজা আগের ও পরের এক বছরের গুনাহের কাফফারা হবে।’ (মুসলিম: ২৬৩৬)
তাকবিরে তাশরিক পাঠ
জিলহজের প্রথম দশকে অধিক পরিমাণে তাকবিরে তাশরিক তথা ‘আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ’ পাঠ করা উচিত। সাহাবায়ে কেরাম এই দশকে অধিক পরিমাণে কখনো উচ্চ স্বরে, কখনো নিম্ন স্বরে বাজারে, পথে-ঘাটে তাকবির পড়তেন।
আল্লাহর জিকির
জিকির করা তো সব সময় সওয়াবের কাজ, তবে জিলহজের প্রথম দশকে এর গুরুত্ব অনেক বেশি। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘এই ১০ দিনে নেক আমল করার চেয়ে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে অধিক প্রিয় ও মহান আর কোনো আমল নেই। তোমরা এই সময়ে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার ও আল-হামদুলিল্লাহ বেশি করে আদায় করো।’ (মুসনাদে আহমদ-১৩২)
ভালো কাজ
এই দশকে বেশি বেশি ভালো কাজ করার নির্দেশনা এসেছে। ওপরে উল্লিখিত হাদিস থেকে তা–ই প্রতীয়মান হয়। কাজেই আমাদের উচিত, এ সময় অধিক পরিমাণে নেক আমল করা। কোরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ, দান-সদকা ইত্যাদি আমলে আত্মনিয়োগ করা।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া গাফুরিয়া মাখযানুল উলুম টঙ্গী, গাজীপুর
হিজরি সনের সর্বশেষ মাস জিলহজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যময় একটি মাস। এই মাসে হজ ও কোরবানির মতো বড় দুটি বিধান পালিত হয়। এ দুটি বিধান ছাড়াও জিলহজের প্রথম ১০ দিনের রয়েছে অনেক ফজিলত এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে জিলহজের প্রথম দশকের রাতগুলোর কসম করে একে মহিমান্বিত করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘কসম প্রভাতের এবং ১০ রাতের।’ (সুরা ফজর: ১-২) হজরত ইবনে আব্বাস (রা.)সহ একাধিক তাফসিরকারকের মতে, এখানে জিলহজের প্রথম ১০ রাতকেই বোঝানো হয়েছে। (তাফসিরে ইবনে কাসির ৪/৫৩৫)
এখানে এই দশকের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আমলের কথা তুলে ধরা হলো—
নখ-পশম কাটা থেকে বিরত থাকা
জিলহজ মাসের চাঁদ ওঠার পর থেকে কোরবানি করার আগপর্যন্ত সময়ে চুল, গোঁফ, নখ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানের লোম বা পশম না কাটা মুস্তাহাব। এ সম্পর্কে উম্মে সালমা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জিলহজের চাঁদ দেখে এবং কোরবানির নিয়ত করে, সে যতক্ষণ কোরবানি না করে, ততক্ষণ পর্যন্ত যেন চুল বা নখ না কাটে।’ (মুসলিম: ৩৬৫৬)
রোজা রাখা
জিলহজের প্রথম দশকের ৯ দিন রোজা রাখার চেষ্টা করা উচিত। বিশেষত আরাফাতের দিন তথা নবম দিনের রোজা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল। হজরত আবু কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আমি আল্লাহ তাআলার কাছে আশাবাদী, আরাফাতের দিনের রোজা আগের ও পরের এক বছরের গুনাহের কাফফারা হবে।’ (মুসলিম: ২৬৩৬)
তাকবিরে তাশরিক পাঠ
জিলহজের প্রথম দশকে অধিক পরিমাণে তাকবিরে তাশরিক তথা ‘আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ’ পাঠ করা উচিত। সাহাবায়ে কেরাম এই দশকে অধিক পরিমাণে কখনো উচ্চ স্বরে, কখনো নিম্ন স্বরে বাজারে, পথে-ঘাটে তাকবির পড়তেন।
আল্লাহর জিকির
জিকির করা তো সব সময় সওয়াবের কাজ, তবে জিলহজের প্রথম দশকে এর গুরুত্ব অনেক বেশি। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘এই ১০ দিনে নেক আমল করার চেয়ে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে অধিক প্রিয় ও মহান আর কোনো আমল নেই। তোমরা এই সময়ে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার ও আল-হামদুলিল্লাহ বেশি করে আদায় করো।’ (মুসনাদে আহমদ-১৩২)
ভালো কাজ
এই দশকে বেশি বেশি ভালো কাজ করার নির্দেশনা এসেছে। ওপরে উল্লিখিত হাদিস থেকে তা–ই প্রতীয়মান হয়। কাজেই আমাদের উচিত, এ সময় অধিক পরিমাণে নেক আমল করা। কোরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ, দান-সদকা ইত্যাদি আমলে আত্মনিয়োগ করা।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া গাফুরিয়া মাখযানুল উলুম টঙ্গী, গাজীপুর
ওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
৩ ঘণ্টা আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
৩ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
৩ ঘণ্টা আগেনাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ বা উপহাস করা গুনাহের কাজ। নাম বিকৃত করা, অসম্পূর্ণ নামে ডাকা কোনো মুমিনের কাজ নয়। কারণ প্রকৃত মুসলিমের কথা বা কাজে অন্য কেউ কষ্ট পেতে পারে না। কারও নাম নিয়ে বিদ্রূপ করা তাকে কষ্ট দেওয়ার নামান্তর। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
১ দিন আগে