আবদুল আযীয কাসেমি
ভিটামিনের চাহিদা মেটাতে ফলের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বিশেষ করে, মৌসুমি ফলগুলো রোগবালাই প্রতিরোধেও দারুণ ভূমিকা রাখে। স্থান ও কালভেদে রকমারি ফলমূল উৎপাদিত হয়। ফলের স্বাদ, ঘ্রাণ ও রঙেও রয়েছে বৈচিত্র্য। মিষ্টি, টক বা পানসে ফল যেমন রয়েছে, তেমনি সুন্দর তবে সুস্বাদু নয়, এমন ফলও রয়েছে। রসে ভরা ফল যেমন দেখা যায়, একেবারে শুকনো ফলও রয়েছে। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে আমাদের দেশে নানা সুস্বাদু ফল বাজারে আসে। এসব মহান আল্লাহ তাআলার অপূর্ব নিয়ামত।
আরবি ভাষায় ফল বোঝানোর জন্য দুটি শব্দ ব্যবহার করা হয়—ফাকিহা ও সামার। পবিত্র কোরআনে ফাকিহা শব্দ বা এর বহুবচন ব্যবহৃত হয়েছে ১৪ বার। আল্লাহ তাআলা জান্নাতে বান্দাদের যেসব নিয়ামত দান করার ওয়াদা করেছেন, এর মধ্যে বারবার উচ্চারিত হয়েছে ফলের প্রসঙ্গটি। সামার শব্দটিও এসেছে অনেকবার।কোরআনে বিশেষভাবে যে ফলগুলোর নাম এসেছে, সেগুলো হলো—আঙুর, ত্বিন ফল, খেজুর, আনার, কলা ও বরই।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি আকাশ থেকে পরিমিত পরিমাণে পানি বর্ষণ করি, এরপর তা ভূমিতে জমিয়ে রাখি। আমি তা ছিনিয়ে নিতেও অবশ্যই সক্ষম। তারপর আমি তা দিয়ে তোমাদের জন্য উৎপন্ন করি খেজুর ও আঙুরের বাগান।’
বান্দাদের প্রতি আল্লাহ তাআলা তাঁর অনুগ্রহের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘যিনি তোমাদের জন্য ভূমিকে বানিয়েছেন বিছানা এবং আকাশকে বানিয়েছেন ছাদ ও আসমান থেকে বর্ষণ করেছেন বৃষ্টি, এরপর তা দিয়ে ফলমূল উৎপন্ন করেছেন তোমাদের রিজিক হিসেবে। অতএব, তোমরা কাউকে আল্লাহ তাআলার সমকক্ষ সাব্যস্ত কোরো না, অথচ তোমরা জানো তিনি অদ্বিতীয়।’ (সুরা বাকারা: ২২)
বিজ্ঞান গবেষণায় এ কথা প্রমাণিত যে মানুষের হাতের তৈরি বিভিন্ন খাবার থেকে আল্লাহ প্রদত্ত প্রাকৃতিক ফলমূল অনেক বেশি ভিটামিনসমৃদ্ধ ও স্বাস্থ্যকর হয়ে থাকে। স্বাস্থ্যের সুরক্ষায় মৌসুমি ফলের বিস্ময়কর উপকারিতার কথা বিজ্ঞানীরা অকপটে স্বীকার করেন।
মৌসুমের নতুন ফলটি দেখামাত্র নবী (সা.) একটি দোয়া পড়তেন। দোয়াটি হলো—‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি সামারিনা, ওয়া বারিক লানা ফি মাদিনাতিনা, ওয়া বারিক লানা ফি স্বা-ইনা ওয়া বারিক লানা ফি মুদ্দিনা।’ অর্থ: হে আল্লাহ, আমাদের ফলমূলে বরকত দিন। আমাদের শহরে, আমাদের সা ও মুদ্দে (প্রাচীনকালের পরিমাপ) বরকত দিন। (সহিহ মুসলিম)
উল্লেখ্য, সা ও মুদ্দ তৎকালীন আরবে প্রচলিত বিখ্যাত দুটি পরিমাপ। এক সা সাধারণত আড়াই থেকে তিন কেজির মধ্যে হয়ে থাকে। আর মুদ্দের পরিমাণ সাধারণত আধা কেজির চেয়ে একটু বেশি হয়ে থাকে।
লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
ভিটামিনের চাহিদা মেটাতে ফলের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বিশেষ করে, মৌসুমি ফলগুলো রোগবালাই প্রতিরোধেও দারুণ ভূমিকা রাখে। স্থান ও কালভেদে রকমারি ফলমূল উৎপাদিত হয়। ফলের স্বাদ, ঘ্রাণ ও রঙেও রয়েছে বৈচিত্র্য। মিষ্টি, টক বা পানসে ফল যেমন রয়েছে, তেমনি সুন্দর তবে সুস্বাদু নয়, এমন ফলও রয়েছে। রসে ভরা ফল যেমন দেখা যায়, একেবারে শুকনো ফলও রয়েছে। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে আমাদের দেশে নানা সুস্বাদু ফল বাজারে আসে। এসব মহান আল্লাহ তাআলার অপূর্ব নিয়ামত।
আরবি ভাষায় ফল বোঝানোর জন্য দুটি শব্দ ব্যবহার করা হয়—ফাকিহা ও সামার। পবিত্র কোরআনে ফাকিহা শব্দ বা এর বহুবচন ব্যবহৃত হয়েছে ১৪ বার। আল্লাহ তাআলা জান্নাতে বান্দাদের যেসব নিয়ামত দান করার ওয়াদা করেছেন, এর মধ্যে বারবার উচ্চারিত হয়েছে ফলের প্রসঙ্গটি। সামার শব্দটিও এসেছে অনেকবার।কোরআনে বিশেষভাবে যে ফলগুলোর নাম এসেছে, সেগুলো হলো—আঙুর, ত্বিন ফল, খেজুর, আনার, কলা ও বরই।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি আকাশ থেকে পরিমিত পরিমাণে পানি বর্ষণ করি, এরপর তা ভূমিতে জমিয়ে রাখি। আমি তা ছিনিয়ে নিতেও অবশ্যই সক্ষম। তারপর আমি তা দিয়ে তোমাদের জন্য উৎপন্ন করি খেজুর ও আঙুরের বাগান।’
বান্দাদের প্রতি আল্লাহ তাআলা তাঁর অনুগ্রহের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘যিনি তোমাদের জন্য ভূমিকে বানিয়েছেন বিছানা এবং আকাশকে বানিয়েছেন ছাদ ও আসমান থেকে বর্ষণ করেছেন বৃষ্টি, এরপর তা দিয়ে ফলমূল উৎপন্ন করেছেন তোমাদের রিজিক হিসেবে। অতএব, তোমরা কাউকে আল্লাহ তাআলার সমকক্ষ সাব্যস্ত কোরো না, অথচ তোমরা জানো তিনি অদ্বিতীয়।’ (সুরা বাকারা: ২২)
বিজ্ঞান গবেষণায় এ কথা প্রমাণিত যে মানুষের হাতের তৈরি বিভিন্ন খাবার থেকে আল্লাহ প্রদত্ত প্রাকৃতিক ফলমূল অনেক বেশি ভিটামিনসমৃদ্ধ ও স্বাস্থ্যকর হয়ে থাকে। স্বাস্থ্যের সুরক্ষায় মৌসুমি ফলের বিস্ময়কর উপকারিতার কথা বিজ্ঞানীরা অকপটে স্বীকার করেন।
মৌসুমের নতুন ফলটি দেখামাত্র নবী (সা.) একটি দোয়া পড়তেন। দোয়াটি হলো—‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি সামারিনা, ওয়া বারিক লানা ফি মাদিনাতিনা, ওয়া বারিক লানা ফি স্বা-ইনা ওয়া বারিক লানা ফি মুদ্দিনা।’ অর্থ: হে আল্লাহ, আমাদের ফলমূলে বরকত দিন। আমাদের শহরে, আমাদের সা ও মুদ্দে (প্রাচীনকালের পরিমাপ) বরকত দিন। (সহিহ মুসলিম)
উল্লেখ্য, সা ও মুদ্দ তৎকালীন আরবে প্রচলিত বিখ্যাত দুটি পরিমাপ। এক সা সাধারণত আড়াই থেকে তিন কেজির মধ্যে হয়ে থাকে। আর মুদ্দের পরিমাণ সাধারণত আধা কেজির চেয়ে একটু বেশি হয়ে থাকে।
লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
ওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
১০ ঘণ্টা আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
১০ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
১০ ঘণ্টা আগেনাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ বা উপহাস করা গুনাহের কাজ। নাম বিকৃত করা, অসম্পূর্ণ নামে ডাকা কোনো মুমিনের কাজ নয়। কারণ প্রকৃত মুসলিমের কথা বা কাজে অন্য কেউ কষ্ট পেতে পারে না। কারও নাম নিয়ে বিদ্রূপ করা তাকে কষ্ট দেওয়ার নামান্তর। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
১ দিন আগে