ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান
আল্লাহ তাআলা এই বিশ্বজাহানের মালিক। তিনি এর পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছেন মানুষকে। তাই মানুষকে ‘খলিফা’ বা প্রতিনিধি বলা হয়। আর জনপ্রতিনিধিকে বলা হয় ‘খলিফাতুন নাস’। পরিবার, সমাজ, গ্রাম-মহল্লা, রাষ্ট্র—প্রতিটি স্তরেই যিনি জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত হয়ে তাদেরই নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন, তিনিই জনপ্রতিনিধি। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তিনিই তোমাদের পৃথিবীতে প্রতিনিধি বানিয়েছেন।’ (সুরা ফাতির: ৩৯)। জনপ্রতিনিধি সম্মান ও মর্যাদার পদ। এই পদের দায়-দায়িত্ব গুরুগম্ভীর হওয়ায় যে কেউ এর যোগ্য হতে পারে না। বরং জনপ্রতিনিধি হওয়ার জন্য কিছু বৈশিষ্ট্য থাকা জরুরি। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যের কথা তুলে ধরা হলো:
প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া
জনপ্রতিনিধি প্রাপ্তবয়স্ক ও বিবেকবান হওয়া আবশ্যক। কেননা, অপ্রাপ্তবয়স্ক ও পাগল নেতৃত্বের যোগ্য হতে পারে না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমরা নির্বোধদের হাতে তোমাদের ধন-সম্পদ দিয়ো না, যাকে আল্লাহ তোমাদের জন্য করেছেন জীবিকার মাধ্যম।’ (সুরা নিসা: ৫)। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তিন ব্যক্তির দোষ-ত্রুটি ক্ষমা করা হয়েছে। অপ্রাপ্তবয়স্ক, যতক্ষণ না সে প্রাপ্তবয়স্ক হয়। ঘুমন্ত ব্যক্তি, যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয়। পাগল, যতক্ষণ না সে জ্ঞানপ্রাপ্ত হয়।’ (নাসায়ি)
সুস্থ হওয়া
শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হওয়া নেতা হওয়ার অন্যতম শর্ত। কোনো ব্যক্তি অসুস্থ হলে তিনি দায়িত্ব পালনে অপারগ। যেমন অন্ধ, বধির, বোবা ব্যক্তি জনপ্রতিনিধি হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাকে তোমাদের জন্য মনোনীত করেছেন এবং তাকে জ্ঞানে ও দেহে অনেক বাড়িয়ে দিয়েছেন।’ (সুরা বাকারা: ২৪৭)
যোগ্য হওয়া
রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব উত্তমভাবে পালনের যোগ্য হওয়া জনপ্রতিনিধির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। রাষ্ট্রীয় দায়িত্বসমূহ সুচারুরূপে পালনের জন্য জনপ্রতিনিধির স্বভাবগত যোগ্যতা একান্ত অপরিহার্য। আলী (রা.) বলেন, ‘মানুষের নেতৃত্বদানের অধিকারী হবে সে, যে তাদের সবার তুলনায় অধিক দৃঢ় ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ও অধিক শক্তিশালী হবে।’ সায়িদ হাভি বলেন, ‘জনপ্রতিনিধির জন্য শর্ত হলো, তাকে অবশ্যই জনগণের নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্য হতে হবে।’ (আল-ইসলাম: ২ / ১৪৮)
ন্যায়পরায়ণ হওয়া
জনপ্রতিনিধিকে সুবিচার, ন্যায়পরায়ণতা ও নিরপেক্ষতার গুণে গুণান্বিত হতে হবে। অন্যথায় সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা অসম্ভব। ন্যায়বিচার একটি মানসিক অবস্থাবিশেষ, তা জনপ্রতিনিধিকে সর্বপ্রকার পাপ থেকে যেমন দূরে রাখে, তেমনি জাতীয় পর্যায়ে বিশ্বাসঘাতকতা, মিথ্যা, প্রতারণা ও নির্যাতনমূলক কার্যক্রম থেকেও পবিত্র থাকতে উদ্বুদ্ধ করে।
আইনে পারদর্শী হওয়া
জনপ্রতিনিধিকে রাষ্ট্রের আইন বিষয়ে অভিজ্ঞ ও পারদর্শী হওয়া আবশ্যক। ইসলামি রাষ্ট্র হলে আল্লাহর আইন সম্পর্কে পারদর্শী হতে হবে। সমাজের অন্যান্য সাধারণ নাগরিকের মতো জনপ্রতিনিধিও সমভাবে আইনের আওতায় থাকবেন। (অভিযুক্ত হলে তাঁকে বিচারের আওতায় আনার সুযোগ থাকতে হবে। ইসলামে জনপ্রতিনিধির ক্ষমতা ও কার্যাবলি লাগামবদ্ধ করা হয়েছে।) সায়িদ হাভি বলেন, ‘রাষ্ট্রের বিধিবিধান সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়া সর্বপ্রথম আবশ্যক। কেননা, তিনি তাঁর রাষ্ট্রে তা বাস্তবায়ন করে থাকেন।’ (আল-ইসলাম: ২/ ১৪৮)।
জন্মসূত্রের পবিত্রতা
জনপ্রতিনিধিকে অবশ্যই জন্মসূত্রে পবিত্র হতে হবে। ব্যভিচারের পথ বন্ধ করার জন্য এমন শর্তারোপ করা হয়েছে। ব্যভিচারপ্রসূত ব্যক্তিকে যদি রাষ্ট্রের উচ্চতর আসনে বসানো হয়, তাহলে তা গোটা জাতির জন্য কলঙ্কের বিষয়। ফলে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো সেই জনগোষ্ঠীর পক্ষে সম্ভব নয়।
মানবিক হওয়া
জনপ্রতিনিধিকে অবশ্যই উন্নতমানের মানবিক ও ইসলামি চারিত্রিক গুণে ভূষিত হতে হবে। কোরআন মজিদে এই গুণসমূহের সমন্বিত গুণ তাকওয়ার কথা বলা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি অধিক মর্যাদাসম্পন্ন, যে তোমাদের মধ্যে অধিক মুত্তাকি।’ (সুরা হুজুরাত: ১৩)
অর্থ-পদের মোহ না থাকা
জনপ্রতিনিধি জনগণের রায়ের ভিত্তিতে নির্বাচিত হন। তিনি ওই পদ পাওয়ার জন্য কারও দ্বারস্থ হবেন না অথবা পদের মোহে অর্থ খরচ করবেন না। এমন করলে তা তার অযোগ্যতা বলে বিবেচিত হবে। এমনকি তিনি যখন জনগণের রায়ে নির্বাচিত হবেন, তখনো আর্থিক দিক থেকে স্বচ্ছ থাকবেন এবং অনিয়ম করবেন না, যার দ্বারা অর্থ আত্মসাৎ বা এ-জাতীয় কোনো দোষ প্রকাশ হয়ে পড়ে।
আদর্শিক হওয়া
জনপ্রতিনিধি জনগণের উদ্দেশ্যে যা কিছু বলবেন, তা অবশ্যই ব্যক্তিগত জীবনে পালন করবেন। যদি তাঁর কথা ও কাজে সামঞ্জস্য না থাকে, তবে তিনি সমাজে মূল্যহীন হয়ে পড়বেন। ফলে তাঁর কথা কারও ওপর প্রভাব ফেলতে সক্ষম হবে না। কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা কি মানুষকে ভালো কাজের আদেশ দিচ্ছ আর নিজদের বেলায় ভুলে যাচ্ছ? অথচ তোমরা কিতাব তিলাওয়াত করো। তোমরা কি বোঝো না?’ (সুরা বাকারা: ৪৪)। তিনি আরও বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা তা কেন বলো, যা তোমরা নিজেরা করো না? তোমরা যা করো না, তা বলা আল্লাহর কাছে বড়ই ক্রোধের বিষয়।’ (সুরা সফ: ২-৩)
আল্লাহর ওপর ভরসা করা
জনপ্রতিনিধিকে অবশ্যই আল্লাহর ওপর নির্ভরশীল হতে হবে। কেননা, আল্লাহ ছাড়া কারও ওপর ভরসা করা তাঁর জন্য সমীচীন নয়। কাজে-কর্মে আল্লাহর ওপর ভরসা ও তাঁর কাছে সাহায্য কামনা করবেন। আল্লাহ বলেন, ‘এরপর (সিদ্ধান্ত দেওয়ার পর) যখন সংকল্প করবে, তখন আল্লাহর ওপর ভরসা করবে।’ (সুরা আল ইমরান: ১৫৯)
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
আল্লাহ তাআলা এই বিশ্বজাহানের মালিক। তিনি এর পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছেন মানুষকে। তাই মানুষকে ‘খলিফা’ বা প্রতিনিধি বলা হয়। আর জনপ্রতিনিধিকে বলা হয় ‘খলিফাতুন নাস’। পরিবার, সমাজ, গ্রাম-মহল্লা, রাষ্ট্র—প্রতিটি স্তরেই যিনি জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত হয়ে তাদেরই নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন, তিনিই জনপ্রতিনিধি। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তিনিই তোমাদের পৃথিবীতে প্রতিনিধি বানিয়েছেন।’ (সুরা ফাতির: ৩৯)। জনপ্রতিনিধি সম্মান ও মর্যাদার পদ। এই পদের দায়-দায়িত্ব গুরুগম্ভীর হওয়ায় যে কেউ এর যোগ্য হতে পারে না। বরং জনপ্রতিনিধি হওয়ার জন্য কিছু বৈশিষ্ট্য থাকা জরুরি। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যের কথা তুলে ধরা হলো:
প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া
জনপ্রতিনিধি প্রাপ্তবয়স্ক ও বিবেকবান হওয়া আবশ্যক। কেননা, অপ্রাপ্তবয়স্ক ও পাগল নেতৃত্বের যোগ্য হতে পারে না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমরা নির্বোধদের হাতে তোমাদের ধন-সম্পদ দিয়ো না, যাকে আল্লাহ তোমাদের জন্য করেছেন জীবিকার মাধ্যম।’ (সুরা নিসা: ৫)। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তিন ব্যক্তির দোষ-ত্রুটি ক্ষমা করা হয়েছে। অপ্রাপ্তবয়স্ক, যতক্ষণ না সে প্রাপ্তবয়স্ক হয়। ঘুমন্ত ব্যক্তি, যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয়। পাগল, যতক্ষণ না সে জ্ঞানপ্রাপ্ত হয়।’ (নাসায়ি)
সুস্থ হওয়া
শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হওয়া নেতা হওয়ার অন্যতম শর্ত। কোনো ব্যক্তি অসুস্থ হলে তিনি দায়িত্ব পালনে অপারগ। যেমন অন্ধ, বধির, বোবা ব্যক্তি জনপ্রতিনিধি হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাকে তোমাদের জন্য মনোনীত করেছেন এবং তাকে জ্ঞানে ও দেহে অনেক বাড়িয়ে দিয়েছেন।’ (সুরা বাকারা: ২৪৭)
যোগ্য হওয়া
রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব উত্তমভাবে পালনের যোগ্য হওয়া জনপ্রতিনিধির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। রাষ্ট্রীয় দায়িত্বসমূহ সুচারুরূপে পালনের জন্য জনপ্রতিনিধির স্বভাবগত যোগ্যতা একান্ত অপরিহার্য। আলী (রা.) বলেন, ‘মানুষের নেতৃত্বদানের অধিকারী হবে সে, যে তাদের সবার তুলনায় অধিক দৃঢ় ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ও অধিক শক্তিশালী হবে।’ সায়িদ হাভি বলেন, ‘জনপ্রতিনিধির জন্য শর্ত হলো, তাকে অবশ্যই জনগণের নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্য হতে হবে।’ (আল-ইসলাম: ২ / ১৪৮)
ন্যায়পরায়ণ হওয়া
জনপ্রতিনিধিকে সুবিচার, ন্যায়পরায়ণতা ও নিরপেক্ষতার গুণে গুণান্বিত হতে হবে। অন্যথায় সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা অসম্ভব। ন্যায়বিচার একটি মানসিক অবস্থাবিশেষ, তা জনপ্রতিনিধিকে সর্বপ্রকার পাপ থেকে যেমন দূরে রাখে, তেমনি জাতীয় পর্যায়ে বিশ্বাসঘাতকতা, মিথ্যা, প্রতারণা ও নির্যাতনমূলক কার্যক্রম থেকেও পবিত্র থাকতে উদ্বুদ্ধ করে।
আইনে পারদর্শী হওয়া
জনপ্রতিনিধিকে রাষ্ট্রের আইন বিষয়ে অভিজ্ঞ ও পারদর্শী হওয়া আবশ্যক। ইসলামি রাষ্ট্র হলে আল্লাহর আইন সম্পর্কে পারদর্শী হতে হবে। সমাজের অন্যান্য সাধারণ নাগরিকের মতো জনপ্রতিনিধিও সমভাবে আইনের আওতায় থাকবেন। (অভিযুক্ত হলে তাঁকে বিচারের আওতায় আনার সুযোগ থাকতে হবে। ইসলামে জনপ্রতিনিধির ক্ষমতা ও কার্যাবলি লাগামবদ্ধ করা হয়েছে।) সায়িদ হাভি বলেন, ‘রাষ্ট্রের বিধিবিধান সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়া সর্বপ্রথম আবশ্যক। কেননা, তিনি তাঁর রাষ্ট্রে তা বাস্তবায়ন করে থাকেন।’ (আল-ইসলাম: ২/ ১৪৮)।
জন্মসূত্রের পবিত্রতা
জনপ্রতিনিধিকে অবশ্যই জন্মসূত্রে পবিত্র হতে হবে। ব্যভিচারের পথ বন্ধ করার জন্য এমন শর্তারোপ করা হয়েছে। ব্যভিচারপ্রসূত ব্যক্তিকে যদি রাষ্ট্রের উচ্চতর আসনে বসানো হয়, তাহলে তা গোটা জাতির জন্য কলঙ্কের বিষয়। ফলে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো সেই জনগোষ্ঠীর পক্ষে সম্ভব নয়।
মানবিক হওয়া
জনপ্রতিনিধিকে অবশ্যই উন্নতমানের মানবিক ও ইসলামি চারিত্রিক গুণে ভূষিত হতে হবে। কোরআন মজিদে এই গুণসমূহের সমন্বিত গুণ তাকওয়ার কথা বলা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি অধিক মর্যাদাসম্পন্ন, যে তোমাদের মধ্যে অধিক মুত্তাকি।’ (সুরা হুজুরাত: ১৩)
অর্থ-পদের মোহ না থাকা
জনপ্রতিনিধি জনগণের রায়ের ভিত্তিতে নির্বাচিত হন। তিনি ওই পদ পাওয়ার জন্য কারও দ্বারস্থ হবেন না অথবা পদের মোহে অর্থ খরচ করবেন না। এমন করলে তা তার অযোগ্যতা বলে বিবেচিত হবে। এমনকি তিনি যখন জনগণের রায়ে নির্বাচিত হবেন, তখনো আর্থিক দিক থেকে স্বচ্ছ থাকবেন এবং অনিয়ম করবেন না, যার দ্বারা অর্থ আত্মসাৎ বা এ-জাতীয় কোনো দোষ প্রকাশ হয়ে পড়ে।
আদর্শিক হওয়া
জনপ্রতিনিধি জনগণের উদ্দেশ্যে যা কিছু বলবেন, তা অবশ্যই ব্যক্তিগত জীবনে পালন করবেন। যদি তাঁর কথা ও কাজে সামঞ্জস্য না থাকে, তবে তিনি সমাজে মূল্যহীন হয়ে পড়বেন। ফলে তাঁর কথা কারও ওপর প্রভাব ফেলতে সক্ষম হবে না। কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা কি মানুষকে ভালো কাজের আদেশ দিচ্ছ আর নিজদের বেলায় ভুলে যাচ্ছ? অথচ তোমরা কিতাব তিলাওয়াত করো। তোমরা কি বোঝো না?’ (সুরা বাকারা: ৪৪)। তিনি আরও বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা তা কেন বলো, যা তোমরা নিজেরা করো না? তোমরা যা করো না, তা বলা আল্লাহর কাছে বড়ই ক্রোধের বিষয়।’ (সুরা সফ: ২-৩)
আল্লাহর ওপর ভরসা করা
জনপ্রতিনিধিকে অবশ্যই আল্লাহর ওপর নির্ভরশীল হতে হবে। কেননা, আল্লাহ ছাড়া কারও ওপর ভরসা করা তাঁর জন্য সমীচীন নয়। কাজে-কর্মে আল্লাহর ওপর ভরসা ও তাঁর কাছে সাহায্য কামনা করবেন। আল্লাহ বলেন, ‘এরপর (সিদ্ধান্ত দেওয়ার পর) যখন সংকল্প করবে, তখন আল্লাহর ওপর ভরসা করবে।’ (সুরা আল ইমরান: ১৫৯)
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
৩ ঘণ্টা আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
৩ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
৩ ঘণ্টা আগেনাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ বা উপহাস করা গুনাহের কাজ। নাম বিকৃত করা, অসম্পূর্ণ নামে ডাকা কোনো মুমিনের কাজ নয়। কারণ প্রকৃত মুসলিমের কথা বা কাজে অন্য কেউ কষ্ট পেতে পারে না। কারও নাম নিয়ে বিদ্রূপ করা তাকে কষ্ট দেওয়ার নামান্তর। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
১ দিন আগে