ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান
পানাহার মানুষের অন্যতম মৌলিক চাহিদা। পানাহারের কোন কোন নিয়মাবলি অনুসরণ করতে হবে, সে ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) আমাদের জন্য উত্তম আদর্শ। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।’ (সুরা আহজাব: ২১) এখানে পানাহারের সুন্নতসম্মত পদ্ধতি আলোচনা করা হলো—
হালাল-হারাম যাচাই করা: মুসলমানদের জন্য হারাম খাবার গ্রহণের সুযোগ নেই। খাবার শুরু করার আগে হালাল-হারাম যাচাই করা আবশ্যক। খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) খাবার সম্বন্ধে না জেনে কোনো খাবারে হাত দিতেন না।’ (বুখারি)
আহারে সন্তুষ্টি প্রকাশ: পরিবেশিত আহারে সন্তুষ্টি প্রকাশ করা মুমিনের দায়িত্ব। এর ফলে রাঁধুনি বা মেজবান খুবই খুশি হন। জাবির (রা.) বলেন, ‘একবার মহানবী (সা.) রুটি খাওয়ার জন্য তরকারি চাইলেন। ঘর থেকে জানানো হলো, তরকারি হিসেবে সিরকা ছাড়া আর কিছু নেই। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, সেটাই পেশ করো। রাসুলুল্লাহ (সা.) সিরকা দিয়ে রুটি খাচ্ছিলেন আর বলছিলেন, সিরকা তো অনেক ভালো তরকারি! সিরকা তো অনেক ভালো তরকারি!’ (মুসলিম)
হেলান দিয়ে না বসা: খাবার খাওয়ার সময় হেলান দিয়ে না বসে সোজা হয়ে বসা উচিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) কখনো হেলান দিয়ে বসে খেতেন না। মহানবী (সা.) বলেন, ‘আমি কখনো হেলান দিয়ে বসে খাই না।’ (বুখারি)
উপুড় হয়ে পানাহার না করা: অনেকে উপুড় হয়ে শুয়ে আহার গ্রহণ করেন, যা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এর ফলে নানা রোগ সৃষ্টি হতে পারে। সালিম (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) উপুড় হয়ে খেতে নিষেধ করেছেন।’ (ইবন মাজাহ)। আহার গ্রহণ করার সময় আমাদের সমতল জায়গায় বসা উচিত, যা মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) মাটির ওপর ও মেঝেতে বসে খেতেন।’ (শুআবুল ইমান)
দস্তরখানা বিছানো: খাবার পড়ে গেলে তুলে খাওয়া রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নত। এ সুন্নত আদায়ের জন্য একটি সহায়ক বস্তু হলো দস্তরখানা। আনাস (রা.) বলেন, ‘মহানবী (সা.) দস্তরখানা বিছিয়ে খাবার গ্রহণ করতেন।’ (বুখারি)
খাবার ঠান্ডা করে খাওয়া: মাত্রাতিরিক্ত গরম খাবার গ্রহণ করা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এমন খাবার মহানবী (সা.) পছন্দ করতেন না। তাই খাবার স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘খাবার ঠান্ডা করে খাওয়া অধিক বরকতের কারণ।’ (মুসনাদ)
খাওয়ার আগে-পরে হাত ধোয়া: মহানবী (সা.) খাওয়ার আগে উভয় হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিতেন। আয়শা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন আহার করতেন, তখন উভয় হাত ধুয়ে নিতেন।’ (আবু দাউদ)। অন্য হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে নিজের হাতে লেগে থাকা তেল-চর্বি না ধুয়েই ঘুমিয়ে গেল, আর কোনো কিছুর দ্বারা আক্রান্ত হলো, এর দায় যেন সে নিজের ঘাড়েই চাপায়।’ (আবু দাউদ)
বিসমিল্লাহ বলা ও ডান হাতে খাওয়া: মহানবী (সা.) পানাহারের শুরুতে বিসমিল্লাহ্ বলতেন এবং ডান হাত দিয়ে আহার গ্রহণ করতেন। তিনি সঙ্গীদেরও এ বিষয়ে উৎসাহ প্রদান করেছেন। ‘ওমর ইবনে আবি সালামা (রা.) বলেন, ‘আমি ছোট ছেলে হিসেবে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর তত্ত্বাবধানে ছিলাম। খাবার পাত্রে আমার হাত ছোটাছুটি করত। রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বললেন, ‘বৎস, তুমি যখন খাবে তখন বিসমিল্লাহ বলবে। ডান হাতে খাবে এবং নিজের সামনে থেকে খাবে; পাত্রের এদিক-ওদিক থেকে নয়।’ (বুখারি)
দোয়া পড়া: মহানবী (সা.) আহারের শুরুতে দোয়া পড়তেন। এতে খাবারে বরকত হয়। দোয়া ছাড়া শয়তান খাবারের বরকত নষ্ট করে দেয়। একদিন মহানবী (সা.) এবং সাহাবিদের সামনে সুস্বাদু খাবার পেশ করা হলো। তাঁরা তৃপ্তিভরে খেলেন। তখন মহানবী (সা.) বললেন, ‘যখন তোমাদের সামনে এমন সুস্বাদু খাবার পেশ করা হয় এবং তোমরা খাবার শুরু করো, তখন বলো ‘বিসমিল্লাহি ওয়া আলা বারাকাতিহি।’ (শুআবুল ইমান)
আহারে দোষ-ত্রুটি না ধরা: খাবারের দোষ-ত্রুটি ধরা উচিত নয়। কেননা মহানবী (সা.) কখনো খাবারের দোষ ধরতেন না; ভালো লাগলে খেতেন, না লাগলে খেতেন না। আবু হুরাইরা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) কখনো কোনো খাবারের দোষ ধরেননি। পছন্দ হলে খেয়েছেন, নইলে না।’ (মুসনাদ)
তিন আঙুলে আহার: রাসুলুল্লাহ (সা.) বৃদ্ধা, তর্জনী ও মধ্যমা আঙুল ব্যবহার করে খাবার খেতেন এবং খাবার শেষে আঙুল চেটে খেতেন। বর্ণিত আছে, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) তিন আঙুল দিয়ে খেতেন এবং হাত মোছার আগে তা চেটে খেতেন।’ (মুসলিম) মহানবী (সা.) বলেন, ‘আঙুল চাটার আগে যেন কেউ রুমাল দিয়ে তার হাত মোছে। কারণ তার জানা নেই খাবারের কোন অংশে বরকত রয়েছে।’ (তিরমিজি)
পরিমিত খাওয়া: খাবার আল্লাহর একটি নিয়ামত। সর্বদা স্বাভাবিক পরিমাণ খাবার খাওয়া উচিত। প্রয়োজনের অতিরিক্ত খেলে খাবার নষ্ট হওয়া ছাড়াও পেটের সমস্যা হতে পারে। মহানবী (সা.) পেট তিন ভাগ করে খেতেন। তিনি বলেন, ‘পেটের এক-তৃতীয়াংশ খাদ্য, এক-তৃতীয়াংশ পানি এবং অবশিষ্টাংশ শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করার জন্য।’ (নাসায়ি)
তিন শ্বাসে পান করা: মহানবী (সা.) তিন শ্বাসে পান করতেন। তিনি বলেন, ‘উটের মতো এক নিশ্বাসে পানি পান কোরো না; বরং দুই বা তিন নিশ্বাসে পান করো।’ (তিরমিজি)
আল্লাহর প্রশংসা করা: পানাহার শেষে আল্লাহর প্রশংসাস্বরূপ ‘আলহামদু লিল্লাহ’ বলা সুন্নত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ ওই বান্দার প্রতি সন্তুষ্ট হন, যে খাওয়ার পর বা পান করার পর আল্লাহর প্রশংসা করে।’ (মুসলিম)
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
পানাহার মানুষের অন্যতম মৌলিক চাহিদা। পানাহারের কোন কোন নিয়মাবলি অনুসরণ করতে হবে, সে ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) আমাদের জন্য উত্তম আদর্শ। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।’ (সুরা আহজাব: ২১) এখানে পানাহারের সুন্নতসম্মত পদ্ধতি আলোচনা করা হলো—
হালাল-হারাম যাচাই করা: মুসলমানদের জন্য হারাম খাবার গ্রহণের সুযোগ নেই। খাবার শুরু করার আগে হালাল-হারাম যাচাই করা আবশ্যক। খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) খাবার সম্বন্ধে না জেনে কোনো খাবারে হাত দিতেন না।’ (বুখারি)
আহারে সন্তুষ্টি প্রকাশ: পরিবেশিত আহারে সন্তুষ্টি প্রকাশ করা মুমিনের দায়িত্ব। এর ফলে রাঁধুনি বা মেজবান খুবই খুশি হন। জাবির (রা.) বলেন, ‘একবার মহানবী (সা.) রুটি খাওয়ার জন্য তরকারি চাইলেন। ঘর থেকে জানানো হলো, তরকারি হিসেবে সিরকা ছাড়া আর কিছু নেই। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, সেটাই পেশ করো। রাসুলুল্লাহ (সা.) সিরকা দিয়ে রুটি খাচ্ছিলেন আর বলছিলেন, সিরকা তো অনেক ভালো তরকারি! সিরকা তো অনেক ভালো তরকারি!’ (মুসলিম)
হেলান দিয়ে না বসা: খাবার খাওয়ার সময় হেলান দিয়ে না বসে সোজা হয়ে বসা উচিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) কখনো হেলান দিয়ে বসে খেতেন না। মহানবী (সা.) বলেন, ‘আমি কখনো হেলান দিয়ে বসে খাই না।’ (বুখারি)
উপুড় হয়ে পানাহার না করা: অনেকে উপুড় হয়ে শুয়ে আহার গ্রহণ করেন, যা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এর ফলে নানা রোগ সৃষ্টি হতে পারে। সালিম (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) উপুড় হয়ে খেতে নিষেধ করেছেন।’ (ইবন মাজাহ)। আহার গ্রহণ করার সময় আমাদের সমতল জায়গায় বসা উচিত, যা মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) মাটির ওপর ও মেঝেতে বসে খেতেন।’ (শুআবুল ইমান)
দস্তরখানা বিছানো: খাবার পড়ে গেলে তুলে খাওয়া রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নত। এ সুন্নত আদায়ের জন্য একটি সহায়ক বস্তু হলো দস্তরখানা। আনাস (রা.) বলেন, ‘মহানবী (সা.) দস্তরখানা বিছিয়ে খাবার গ্রহণ করতেন।’ (বুখারি)
খাবার ঠান্ডা করে খাওয়া: মাত্রাতিরিক্ত গরম খাবার গ্রহণ করা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এমন খাবার মহানবী (সা.) পছন্দ করতেন না। তাই খাবার স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘খাবার ঠান্ডা করে খাওয়া অধিক বরকতের কারণ।’ (মুসনাদ)
খাওয়ার আগে-পরে হাত ধোয়া: মহানবী (সা.) খাওয়ার আগে উভয় হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিতেন। আয়শা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন আহার করতেন, তখন উভয় হাত ধুয়ে নিতেন।’ (আবু দাউদ)। অন্য হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে নিজের হাতে লেগে থাকা তেল-চর্বি না ধুয়েই ঘুমিয়ে গেল, আর কোনো কিছুর দ্বারা আক্রান্ত হলো, এর দায় যেন সে নিজের ঘাড়েই চাপায়।’ (আবু দাউদ)
বিসমিল্লাহ বলা ও ডান হাতে খাওয়া: মহানবী (সা.) পানাহারের শুরুতে বিসমিল্লাহ্ বলতেন এবং ডান হাত দিয়ে আহার গ্রহণ করতেন। তিনি সঙ্গীদেরও এ বিষয়ে উৎসাহ প্রদান করেছেন। ‘ওমর ইবনে আবি সালামা (রা.) বলেন, ‘আমি ছোট ছেলে হিসেবে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর তত্ত্বাবধানে ছিলাম। খাবার পাত্রে আমার হাত ছোটাছুটি করত। রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে বললেন, ‘বৎস, তুমি যখন খাবে তখন বিসমিল্লাহ বলবে। ডান হাতে খাবে এবং নিজের সামনে থেকে খাবে; পাত্রের এদিক-ওদিক থেকে নয়।’ (বুখারি)
দোয়া পড়া: মহানবী (সা.) আহারের শুরুতে দোয়া পড়তেন। এতে খাবারে বরকত হয়। দোয়া ছাড়া শয়তান খাবারের বরকত নষ্ট করে দেয়। একদিন মহানবী (সা.) এবং সাহাবিদের সামনে সুস্বাদু খাবার পেশ করা হলো। তাঁরা তৃপ্তিভরে খেলেন। তখন মহানবী (সা.) বললেন, ‘যখন তোমাদের সামনে এমন সুস্বাদু খাবার পেশ করা হয় এবং তোমরা খাবার শুরু করো, তখন বলো ‘বিসমিল্লাহি ওয়া আলা বারাকাতিহি।’ (শুআবুল ইমান)
আহারে দোষ-ত্রুটি না ধরা: খাবারের দোষ-ত্রুটি ধরা উচিত নয়। কেননা মহানবী (সা.) কখনো খাবারের দোষ ধরতেন না; ভালো লাগলে খেতেন, না লাগলে খেতেন না। আবু হুরাইরা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) কখনো কোনো খাবারের দোষ ধরেননি। পছন্দ হলে খেয়েছেন, নইলে না।’ (মুসনাদ)
তিন আঙুলে আহার: রাসুলুল্লাহ (সা.) বৃদ্ধা, তর্জনী ও মধ্যমা আঙুল ব্যবহার করে খাবার খেতেন এবং খাবার শেষে আঙুল চেটে খেতেন। বর্ণিত আছে, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) তিন আঙুল দিয়ে খেতেন এবং হাত মোছার আগে তা চেটে খেতেন।’ (মুসলিম) মহানবী (সা.) বলেন, ‘আঙুল চাটার আগে যেন কেউ রুমাল দিয়ে তার হাত মোছে। কারণ তার জানা নেই খাবারের কোন অংশে বরকত রয়েছে।’ (তিরমিজি)
পরিমিত খাওয়া: খাবার আল্লাহর একটি নিয়ামত। সর্বদা স্বাভাবিক পরিমাণ খাবার খাওয়া উচিত। প্রয়োজনের অতিরিক্ত খেলে খাবার নষ্ট হওয়া ছাড়াও পেটের সমস্যা হতে পারে। মহানবী (সা.) পেট তিন ভাগ করে খেতেন। তিনি বলেন, ‘পেটের এক-তৃতীয়াংশ খাদ্য, এক-তৃতীয়াংশ পানি এবং অবশিষ্টাংশ শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করার জন্য।’ (নাসায়ি)
তিন শ্বাসে পান করা: মহানবী (সা.) তিন শ্বাসে পান করতেন। তিনি বলেন, ‘উটের মতো এক নিশ্বাসে পানি পান কোরো না; বরং দুই বা তিন নিশ্বাসে পান করো।’ (তিরমিজি)
আল্লাহর প্রশংসা করা: পানাহার শেষে আল্লাহর প্রশংসাস্বরূপ ‘আলহামদু লিল্লাহ’ বলা সুন্নত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ ওই বান্দার প্রতি সন্তুষ্ট হন, যে খাওয়ার পর বা পান করার পর আল্লাহর প্রশংসা করে।’ (মুসলিম)
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
আল্লাহ মানুষকে দুভাবে পরীক্ষা করেন। বিপদ দিয়ে এবং নিয়ামত দিয়ে। নিয়ামতের পরীক্ষা বিপদের পরীক্ষার চেয়ে কঠিন। বিপদের সময় মানুষ আল্লাহর স্মরণ করে; তার সাহায্য প্রার্থনা করে।
৬ ঘণ্টা আগেসমাজের প্রত্যেক সদস্যের মধ্যে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি ও আন্তরিকতার সম্পর্ক থাকা চাই। পরস্পরের মধ্যে হৃদ্যতা ও মজবুত সম্পর্ক তৈরি করতে মহানবী (সা.) ৬টি কর্তব্যের কথা বলেছেন, যা পালন
১ দিন আগেএখানে কারণগুলো তুলে ধরা হলো—অন্যায় জুলুম থেকে বাঁচার জন্য মজলুম ব্যক্তি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জালিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে তার যে দোষ রয়েছে, তা সবিস্তারে তুলে ধরার অনুমতি আছে। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, একবার আমরা
২ দিন আগেওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
৩ দিন আগে