রহমতুল্লাহ শিহাব
প্রতীকী ছবিশবে কদর বা লাইলাতুল কদর হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ একটি রাত। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, আমি তা (কোরআন) লাইলাতুল কদরে অবতীর্ণ করেছি। জানো কি লাইলাতুল কদর কী? লাইলাতুল কদর হাজার মাসের চেয়ে উত্তম।’ (সুরা কদর) এ রাতের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজানে ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রোজা রাখবে, তার অতীতের গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হবে এবং যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় লাইলাতুল কদরে রাত জেগে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করবে, তার অতীতের গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হবে।’ (বুখারি: ১০১৪; মুসলিম: ৭৬০)
প্রত্যেক মুসলমানের হৃদয়েই মহিমান্বিত এই রাতের বরকত হাসিলের আকাঙ্ক্ষা থাকে। তবে এই রাতকে কেন্দ্র করে কিছু ভুল ধারণা প্রচলিত হয়ে আছে আমাদের সমাজে। এখানে তিনটি ভুল ধারণার কথা তুলে ধরা হলো—
এক. অনেকে রমজানের ২৭ তম রাতকেই নিশ্চিত লাইলাতুল কদর মনে করেন। অথচ বিষয়টি সঠিক নয়। রমজানের শেষ দশকের যেকোনো বেজোড় রাতই হতে পারে লাইলাতুল কদর। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘তোমরা মাহে রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদর তালাশ করো।’ (বুখারি: ২০১৭)
দুই. লাইলাতুল কদরে গোসল করার বিশেষ ফজিলত ও সওয়াব আছে বলে মনে করেন অনেকে। ইসলামের দৃষ্টিতে বিষয়টি সঠিক নয়। যারা ফজিলতের কথা বলেন, তাদের দলিল হলো, একটি দুর্বল হাদিস, যা মূলত রমজানের শেষ দশ রাতের প্রতি রাতে মাগরিব ও এশার মধ্যবর্তী সময়ে নবীজির গোসল করার কথা জানায়। (ইবনে রজব) তবে এর সঙ্গে শবে কদরের কোনো সম্পর্ক নেই এবং এর কোনো ফজিলতও বর্ণিত হয়নি।
তিন. এ রাতের বিশেষ নামাজ, এর নিয়ত, নিয়ম, রাকাতসংখ্যা, বিশেষ সুরা ইত্যাদি নিয়ে অনেক কথা শোনা যায়। কেউ কেউ বলেন, এক রাকাতে সুরা কদর অন্য রাকাতে সুরা ইখলাস পড়া হবে। ইসলামে এসব কথার কোনো ভিত্তি নেই। শবে কদরে ইবাদতের কথা থাকলেও নির্দিষ্ট কোনো ইবাদতের উল্লেখ নেই। (আবদুল হাই লখনবি, আল-আসার: ১১৫)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
প্রতীকী ছবিশবে কদর বা লাইলাতুল কদর হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ একটি রাত। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, আমি তা (কোরআন) লাইলাতুল কদরে অবতীর্ণ করেছি। জানো কি লাইলাতুল কদর কী? লাইলাতুল কদর হাজার মাসের চেয়ে উত্তম।’ (সুরা কদর) এ রাতের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজানে ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রোজা রাখবে, তার অতীতের গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হবে এবং যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় লাইলাতুল কদরে রাত জেগে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করবে, তার অতীতের গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হবে।’ (বুখারি: ১০১৪; মুসলিম: ৭৬০)
প্রত্যেক মুসলমানের হৃদয়েই মহিমান্বিত এই রাতের বরকত হাসিলের আকাঙ্ক্ষা থাকে। তবে এই রাতকে কেন্দ্র করে কিছু ভুল ধারণা প্রচলিত হয়ে আছে আমাদের সমাজে। এখানে তিনটি ভুল ধারণার কথা তুলে ধরা হলো—
এক. অনেকে রমজানের ২৭ তম রাতকেই নিশ্চিত লাইলাতুল কদর মনে করেন। অথচ বিষয়টি সঠিক নয়। রমজানের শেষ দশকের যেকোনো বেজোড় রাতই হতে পারে লাইলাতুল কদর। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘তোমরা মাহে রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদর তালাশ করো।’ (বুখারি: ২০১৭)
দুই. লাইলাতুল কদরে গোসল করার বিশেষ ফজিলত ও সওয়াব আছে বলে মনে করেন অনেকে। ইসলামের দৃষ্টিতে বিষয়টি সঠিক নয়। যারা ফজিলতের কথা বলেন, তাদের দলিল হলো, একটি দুর্বল হাদিস, যা মূলত রমজানের শেষ দশ রাতের প্রতি রাতে মাগরিব ও এশার মধ্যবর্তী সময়ে নবীজির গোসল করার কথা জানায়। (ইবনে রজব) তবে এর সঙ্গে শবে কদরের কোনো সম্পর্ক নেই এবং এর কোনো ফজিলতও বর্ণিত হয়নি।
তিন. এ রাতের বিশেষ নামাজ, এর নিয়ত, নিয়ম, রাকাতসংখ্যা, বিশেষ সুরা ইত্যাদি নিয়ে অনেক কথা শোনা যায়। কেউ কেউ বলেন, এক রাকাতে সুরা কদর অন্য রাকাতে সুরা ইখলাস পড়া হবে। ইসলামে এসব কথার কোনো ভিত্তি নেই। শবে কদরে ইবাদতের কথা থাকলেও নির্দিষ্ট কোনো ইবাদতের উল্লেখ নেই। (আবদুল হাই লখনবি, আল-আসার: ১১৫)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
ওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
৩ ঘণ্টা আগেক্যালিগ্রাফি বা লিপিকলা মুসলিম সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি লিপিকলার সূচনা মূলত পবিত্র কোরআনকে লিখিতরূপে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। এরপর মুসলিম অক্ষরশিল্পীরা এ শিল্পকে যুগে যুগে নান্দনিক সব অনুশীলনের মধ্য দিয়ে শিল্পকলার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গে পরিণত করেন। এখানে মুসলিম লিপিকলার ৫
৩ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা আগের যুগের নবীদের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাতে দেখা যায়, নবীগণ বারবার বলেছেন, আমরা তোমাদের কাছে আল্লাহর পথে আহ্বান করার বিনিময়ে কোনো প্রতিদান চাই না।
৩ ঘণ্টা আগেনাম নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ বা উপহাস করা গুনাহের কাজ। নাম বিকৃত করা, অসম্পূর্ণ নামে ডাকা কোনো মুমিনের কাজ নয়। কারণ প্রকৃত মুসলিমের কথা বা কাজে অন্য কেউ কষ্ট পেতে পারে না। কারও নাম নিয়ে বিদ্রূপ করা তাকে কষ্ট দেওয়ার নামান্তর। তাই এ কাজ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
১ দিন আগে