ফারুক মেহেদী
বিভিন্ন খাতে ক্ষতির মাত্রা কেমন? বিপুল পরিমাণ আলু কেন অবিক্রীত রয়েছে? তা কাজে লাগানোর উপায় কী? এসব বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন আলু ও পরিবহন খাতে উদ্যোক্তা, বিসিআইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট, এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: আপনি তো পরিবহন ও আলু খাতের সঙ্গে যুক্ত। ওই সব খাতের কী অবস্থা?
মোস্তফা আজাদ বাবু: কিছু কিছু ব্যবসা ভালো অবস্থানে আছে। যেমন গার্মেন্টস খাত ভালো আছে। ইউরোপ-আমেরিকায় শপিং মল দোকানপাট খুলে গেছে, ক্রয়াদেশ পাচ্ছে। ফার্মাসিউটিক্যালস, হাসপাতাল ব্যবসা ভালো। কিন্তু পরিবহন খাতের অবস্থা খুবই খারাপ। দীর্ঘ লকডাউনে বাস চলাচল বন্ধ ছিল ২৪৫ দিন। প্রায় ৪০ লাখ লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ খাতের সঙ্গে যুক্ত। এ সময় তারা বলতে গেলে না খেয়ে ছিল। অথচ তারা কোনো প্রণোদনা পায়নি। ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা। এত বড় খাতটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ব্যাংকের সুদ তো বন্ধ নেই। দিন যত যাচ্ছে সুদ যোগ হচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: ব্যাংক কোনো সহায়তা করছে না আপনাদের?
মোস্তফা আজাদ বাবু: ব্যবসায়ীরা ব্যাংকের ঋণে জর্জরিত হয়ে গেছে। ব্যাংকের বিষয়গুলো সরকার যদি কিছু নীতি সহায়তা না দেয়, তাহলে বেশ সংকট হবে। ব্যাংকগুলো আমানতে লাভ দিচ্ছে ৩ শতাংশ। অথচ সাধারণ ব্যবসায়ীদের ঋণ দিচ্ছে ৯ শতাংশ সুদে। আর যাঁরা বড় ব্যবসায়ী, হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নেন, তাঁদের দিচ্ছে ৭ শতাংশ সুদে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা এভাবে টিকে থাকবে কীভাবে? তাঁদের তো ৭ শতাংশ হারে ঋণ দিয়ে রক্ষা করা উচিত। আরও যাঁরা ভালো অবস্থায় আছেন, তাঁদের ঋণ দেওয়া হচ্ছে ৫ শতাংশ সুদে। এ বৈষম্য কমাতে হবে।
আজকের পত্রিকা: আমরা জানি, প্রচুর আলু উদ্বৃত্ত। এ আলুর বিক্রি নিয়ে কী ভাবছেন?
মোস্তফা আজাদ বাবু: এই মুহূর্তে ২৫ লাখ টন আলু উদ্বৃত্ত রয়েছে। তারপর এপ্রিল থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত লকডাউনে পরিবহন বন্ধ ছিল, দোকানে দোকানে আলু যেতে পারেনি। ভোক্তারা ঠিকমতো সরবরাহ পায়নি। কোল্ড স্টোরেজ পর্যন্ত প্রতি কেজি আলুর খরচ পড়েছে ১৮ টাকা, অথচ কোল্ড স্টোরেজ থেকে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩ টাকা কেজিতে। এই ৫ টাকা কৃষক, ব্যবসায়ী আর কোল্ড স্টোরেজ মালিকেরা লোকসান দিচ্ছে। যেহেতু এর সঙ্গে ব্যাংক জড়িত–তাদেরও লোকসান হবে।
আজকের পত্রিকা: আলু বিক্রি না হলে কত ক্ষতি হবে?
মোস্তফা আজাদ বাবু: ২৫ টাকা কেজি ধরে হিসাব করলেও ২৫ লাখ টন আলুতে ক্ষতি হবে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকার। যে আলুটা মজুত আছে, তা চাহিদার অতিরিক্ত। উৎপাদন বেশি হওয়ায় এই উদ্বৃত্ত হয়েছে। আর এপ্রিল থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত ভোগ কম হয়েছে। এর ফলে উদ্বৃত্ত আলুর পরিমাণ আরও বেড়েছে। ক্ষতি পোষানোর জন্য আমরা কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বিশেষ করে পুলিশ, আনসার, জেলখানাগুলো যেন এ আলু কেনে, এ কথা বলেছি। রোহিঙ্গাদেরও এই আলু দেওয়া যায়। টিসিবির মাধ্যমেও এই আলু বিক্রির ব্যবস্থা নেওয়া যায়। টিসিবিকে বলেছি, তারা আলু বাকিতে নিয়ে যে তিন দিন অন্য ভোগ্যপণ্য বিক্রি করে না, ওই দিনে তারা আলু বিক্রি করতে পারে। তারা যদি বাজারমূল্য ২৫ টাকার চেয়ে ৩-৪ টাকা কমে বিক্রি করতে পারে। সারা বাংলাদেশে ৩ হাজার ডিলার রয়েছেন। তাঁদের কাজে লাগিয়ে এই আলুগুলোর একটা গতি করা যায়। ‘আমরা বাণিজ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়কে বলেছি আপনারা প্রয়োজনে ক্রেডিটে আলু নেন। বিক্রি করে টাকা দেন। আমাদের বাঁচান।’
আজকের পত্রিকা: কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প তো আলু কিনতে পারে।
মোস্তফা আজাদ বাবু: যারা নুডলস বা চিপস বানায় তাদেরও চাহিদা নেই। তাদের আলুও উদ্বৃত্ত হয়েছে। লকডাউনের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় চিপসের চাহিদা নেই। কারণ, চিপসের মূল ক্রেতা বাচ্চারা বাইরে যেতে পারেনি, বিক্রিও হয়নি। ফলে আলুর চাহিদা বাড়েনি। চিপস ও নুডলস উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের আলুও কোল্ড স্টোরেজে পড়ে রয়েছে। কৃষিমন্ত্রী অবশ্য বিষয়টি আন্তরিকভাবে নিয়েছেন এবং কৃষি বিপণন অধিদপ্তরকে কত লাখ টন আলু উদ্বৃত্ত আছে তা জরিপ করে তাঁকে জানাতে বলেছেন। আমরা আশান্বিত। হয়তো কৃষিমন্ত্রী এ ব্যাপারে একটি কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন। এ আলু যদি বিক্রি না হয়, তাহলে কোথায় ফেলব এই আলু। এটা পরিবেশদূষণ করবে। সামনে নতুন মৌসুমে তো আরও আলুর উৎপাদন হবে। তখন তো বিপাকে পড়তে হবে।
বিভিন্ন খাতে ক্ষতির মাত্রা কেমন? বিপুল পরিমাণ আলু কেন অবিক্রীত রয়েছে? তা কাজে লাগানোর উপায় কী? এসব বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন আলু ও পরিবহন খাতে উদ্যোক্তা, বিসিআইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট, এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: আপনি তো পরিবহন ও আলু খাতের সঙ্গে যুক্ত। ওই সব খাতের কী অবস্থা?
মোস্তফা আজাদ বাবু: কিছু কিছু ব্যবসা ভালো অবস্থানে আছে। যেমন গার্মেন্টস খাত ভালো আছে। ইউরোপ-আমেরিকায় শপিং মল দোকানপাট খুলে গেছে, ক্রয়াদেশ পাচ্ছে। ফার্মাসিউটিক্যালস, হাসপাতাল ব্যবসা ভালো। কিন্তু পরিবহন খাতের অবস্থা খুবই খারাপ। দীর্ঘ লকডাউনে বাস চলাচল বন্ধ ছিল ২৪৫ দিন। প্রায় ৪০ লাখ লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ খাতের সঙ্গে যুক্ত। এ সময় তারা বলতে গেলে না খেয়ে ছিল। অথচ তারা কোনো প্রণোদনা পায়নি। ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা। এত বড় খাতটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ব্যাংকের সুদ তো বন্ধ নেই। দিন যত যাচ্ছে সুদ যোগ হচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: ব্যাংক কোনো সহায়তা করছে না আপনাদের?
মোস্তফা আজাদ বাবু: ব্যবসায়ীরা ব্যাংকের ঋণে জর্জরিত হয়ে গেছে। ব্যাংকের বিষয়গুলো সরকার যদি কিছু নীতি সহায়তা না দেয়, তাহলে বেশ সংকট হবে। ব্যাংকগুলো আমানতে লাভ দিচ্ছে ৩ শতাংশ। অথচ সাধারণ ব্যবসায়ীদের ঋণ দিচ্ছে ৯ শতাংশ সুদে। আর যাঁরা বড় ব্যবসায়ী, হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নেন, তাঁদের দিচ্ছে ৭ শতাংশ সুদে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা এভাবে টিকে থাকবে কীভাবে? তাঁদের তো ৭ শতাংশ হারে ঋণ দিয়ে রক্ষা করা উচিত। আরও যাঁরা ভালো অবস্থায় আছেন, তাঁদের ঋণ দেওয়া হচ্ছে ৫ শতাংশ সুদে। এ বৈষম্য কমাতে হবে।
আজকের পত্রিকা: আমরা জানি, প্রচুর আলু উদ্বৃত্ত। এ আলুর বিক্রি নিয়ে কী ভাবছেন?
মোস্তফা আজাদ বাবু: এই মুহূর্তে ২৫ লাখ টন আলু উদ্বৃত্ত রয়েছে। তারপর এপ্রিল থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত লকডাউনে পরিবহন বন্ধ ছিল, দোকানে দোকানে আলু যেতে পারেনি। ভোক্তারা ঠিকমতো সরবরাহ পায়নি। কোল্ড স্টোরেজ পর্যন্ত প্রতি কেজি আলুর খরচ পড়েছে ১৮ টাকা, অথচ কোল্ড স্টোরেজ থেকে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩ টাকা কেজিতে। এই ৫ টাকা কৃষক, ব্যবসায়ী আর কোল্ড স্টোরেজ মালিকেরা লোকসান দিচ্ছে। যেহেতু এর সঙ্গে ব্যাংক জড়িত–তাদেরও লোকসান হবে।
আজকের পত্রিকা: আলু বিক্রি না হলে কত ক্ষতি হবে?
মোস্তফা আজাদ বাবু: ২৫ টাকা কেজি ধরে হিসাব করলেও ২৫ লাখ টন আলুতে ক্ষতি হবে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকার। যে আলুটা মজুত আছে, তা চাহিদার অতিরিক্ত। উৎপাদন বেশি হওয়ায় এই উদ্বৃত্ত হয়েছে। আর এপ্রিল থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত ভোগ কম হয়েছে। এর ফলে উদ্বৃত্ত আলুর পরিমাণ আরও বেড়েছে। ক্ষতি পোষানোর জন্য আমরা কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বিশেষ করে পুলিশ, আনসার, জেলখানাগুলো যেন এ আলু কেনে, এ কথা বলেছি। রোহিঙ্গাদেরও এই আলু দেওয়া যায়। টিসিবির মাধ্যমেও এই আলু বিক্রির ব্যবস্থা নেওয়া যায়। টিসিবিকে বলেছি, তারা আলু বাকিতে নিয়ে যে তিন দিন অন্য ভোগ্যপণ্য বিক্রি করে না, ওই দিনে তারা আলু বিক্রি করতে পারে। তারা যদি বাজারমূল্য ২৫ টাকার চেয়ে ৩-৪ টাকা কমে বিক্রি করতে পারে। সারা বাংলাদেশে ৩ হাজার ডিলার রয়েছেন। তাঁদের কাজে লাগিয়ে এই আলুগুলোর একটা গতি করা যায়। ‘আমরা বাণিজ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়কে বলেছি আপনারা প্রয়োজনে ক্রেডিটে আলু নেন। বিক্রি করে টাকা দেন। আমাদের বাঁচান।’
আজকের পত্রিকা: কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প তো আলু কিনতে পারে।
মোস্তফা আজাদ বাবু: যারা নুডলস বা চিপস বানায় তাদেরও চাহিদা নেই। তাদের আলুও উদ্বৃত্ত হয়েছে। লকডাউনের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় চিপসের চাহিদা নেই। কারণ, চিপসের মূল ক্রেতা বাচ্চারা বাইরে যেতে পারেনি, বিক্রিও হয়নি। ফলে আলুর চাহিদা বাড়েনি। চিপস ও নুডলস উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের আলুও কোল্ড স্টোরেজে পড়ে রয়েছে। কৃষিমন্ত্রী অবশ্য বিষয়টি আন্তরিকভাবে নিয়েছেন এবং কৃষি বিপণন অধিদপ্তরকে কত লাখ টন আলু উদ্বৃত্ত আছে তা জরিপ করে তাঁকে জানাতে বলেছেন। আমরা আশান্বিত। হয়তো কৃষিমন্ত্রী এ ব্যাপারে একটি কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন। এ আলু যদি বিক্রি না হয়, তাহলে কোথায় ফেলব এই আলু। এটা পরিবেশদূষণ করবে। সামনে নতুন মৌসুমে তো আরও আলুর উৎপাদন হবে। তখন তো বিপাকে পড়তে হবে।
ইউনিক গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাখাওয়াত হোসেন। পর্যটনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মনজুরুল ইসলাম।
০৩ অক্টোবর ২০২৪বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, সুফি এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কোনো বিভাজনমূলক এজেন্ডায় রাজনীতির দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহৃত না হওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা দৃঢ়ভাবে কোনো সাম্প্রদায়িক ফাঁদে আটকা পড়তে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করি। কোনোভাবেই তা হতে দেওয়া যাবে না।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪‘আমি এটাকে ঠিক রাজনৈতিক ভাবাদর্শ বলব না। আমি এটাকে বলব, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, সেটা আমার পারিবারিক শিক্ষা। আমাদের ঘরের ডাইনিং টেবিল থেকে শুরু করে যেকোনো ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পরিবারের বড়দের সাথে আমরা দ্বিমত পোষণ করতে পেরেছি। ছোট থেকে বড়, কারও কোনো কথা বা কাজ ভুল মনে হলে সেটাকে আমরা তার প্রতি স
৩১ আগস্ট ২০২৪একেক মানুষ বেছে নেন একেক পেশা। তাঁদের মধ্যে কারও কারও পেশা একটু ভিন্ন ধরনের। যেমন—মো. মুনসুর আলী ওরফে মন্টু খলিফা। বাপ-দাদার পেশাকে ভালোবেসে শিশুদের খতনা করানো বা হাজামের কাজ বেছে নিয়েছেন পেশা হিসেবে। জীবনে পার করেছেন প্রায় ৮৫ বছর। জানিয়েছেন গত ৬০ বছরে ২ লাখের বেশি শিশুর মুসলমানি বা সুন্নতে খতনা দিয়
৩০ মার্চ ২০২৪