আবু সাইম
আজকের পত্রিকা: মোটরবাইকের বাজারে এসিআইয়ের অবস্থান কী?
হোসাইন মোহাম্মদ: বাংলাদেশে ইয়ামাহা মোটরসাইকেলের শুধু আমদানি বা বিপণনকারীই নয়, একমাত্র পরিবেশক এসিআই মোটরস। অন্য দেশে ইয়ামাহা নিজেরাই বিপণন করে।
ব্যতিক্রম হিসেবে বাংলাদেশে ইয়ামাহার একমাত্র টেকনিক্যাল কোলাবোরেশন পার্টনার হিসেবে ২০১৬ সাল থেকে মোটরসাইকেল সংযোজন, উৎপাদন ও বিপণন করে আসছে এসিআই মোটরস। সব মিলিয়ে ৯টি মডেল বাজারজাত করে মোটরসাইকেলের বাজারের প্রায় ১২ শতাংশ এখন এসিআই মোটরসের দখলে। ২৫ শতাংশ দখলে নিয়ে ১৫০ সিসির মোটরসাইকেলের বাজারে শীর্ষ অবস্থানের পথে রয়েছে এসিআই।
আজকের পত্রিকা: মোটরসাইকেল খাতের সম্ভাবনা কতটুকু?
হোসাইন মোহাম্মদ: বাংলাদেশে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও এখন বাইক চালানোয় আগ্রহী হয়ে উঠছেন। সব মিলিয়ে জিডিপিতে এ খাতের অবদান ১ শতাংশের মতো। মোটরসাইকেল এখন শুধু শখ নয়, জীবিকার অনুষঙ্গও হয়ে উঠছে; সময় ও অর্থ বাঁচাতে প্রয়োজনীয় পণ্য হয়ে পড়েছে। সব মিলিয়ে মোটরসাইকেলশিল্পের সম্ভাবনা ভালো।
আজকের পত্রিকা: সেই সম্ভাবনার পথে প্রতিবন্ধকতা কি কি?
হোসাইন মোহাম্মদ: কিছু ক্ষেত্রে নীতির পরিবর্তন মোটরসাইকেল খাতকে বড় বাধার মুখে ফেলে দিচ্ছে। এ খাতে বাংলাদেশে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার মতো বিনিয়োগ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরো বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু মাঝপথে নীতির পরিবর্তনের কারণে সমস্যা হচ্ছে। আগে শিক্ষানবিশ হিসেবে মোটরসাইকেলের নিবন্ধন করা যেত। এখন ড্রাইভিং লাইসেন্সের বাধ্যবাধকতা আরোপের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে মোটরসাইকেলশিল্প মুখ থুবড়ে পড়বে। কারণ, এখন বছরে মোটরসাইকেল বিক্রি হয় ৫ লাখের বেশি, যা কয়েক বছরে ১০ লাখে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে বছরে ১ লাখের বেশি ড্রাইভিং লাইসেন্স বা গাড়ির নিবন্ধন দেওয়ার সক্ষমতা বিআরটিএর আছে বলে মনে হয় না। তাহলে বাকি মোটরসাইকেল বিক্রি হবে কীভাবে? এই নীতির পরিবর্তন না হলে বিক্রিতে ধস নামবে। মোটরসাইকেল এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাহন। কিন্তু এর সব জায়গায় যাওয়ার অনুমতি না থাকলে বৈষম্য সৃষ্টি হবে। পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল উঠতে পারে না; মহাসড়কে উঠতে পারবে না। দেশের সড়ক ব্যবস্থাই এমন যে এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় যেতে হলে মহাসড়ক পার হতে হবে। এ জন্য সড়ক নিরাপত্তায় বেশি নজর দিতে হবে, চলাচল বন্ধ করা কোনো সমাধান নয়।
আজকের পত্রিকা: মোটরসাইকেলে বেশি দুর্ঘটনা হয় বলে অভিযোগ আছে, এ বিষয়ে কি বলবেন?
হোসাইন মোহাম্মদ: অনেকেই বলে মোটরসাইকেলে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে- আমি এর সঙ্গে একমত নই। কেননা দেশের মোট গাড়ির লাইসেন্সের ৭০ শতাংশই মোটরসাইকেল। কিন্তু মোটরসাইকেলকেন্দ্রিক সড়ক দুর্ঘটনা হয় ৪০ শতাংশ। অর্থাৎ বেশির ভাগ বা ৬০ শতাংশ দুর্ঘটনার সঙ্গে মোটরসাইকেল জড়িত নয়। দুর্ঘটনার জন্য আসলেই মোটরসাইকেল দায়ী
কি না তা ভেবে দেখতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে বড় যানবাহন মোটরসাইকেলকে গ্রাহ্য করে না। এ ছাড়া অসচেতনতা ও অবহেলার জন্যও অনেক দুর্ঘটনা হয়।
আজকের পত্রিকা: দুর্ঘটনা রোধে করণীয় কী?
হোসাইন মোহাম্মদ: সড়কের শৃঙ্খলা নিশ্চিত করাই হবে দুর্ঘটনা রোধের বড় উপায়। এ জন্য সড়কে আলাদা লেন থাকতে হবে, সার্টিফাইড হেলমেটের ব্যবহার বাড়াতে হবে। শহর এলাকায় মোটরসাইকেলের সঙ্গে হেলমেটের ব্যবহার বাড়ছে। শহরের বাইরেও হেলমেট ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়ার পাশাপাশি আইনের কড়াকড়ি বাড়াতে হবে। সার্টিফাইড হেলমেটের ব্যবহার বাড়াতে আমদানি শুল্ক মওকুফসহ প্রণোদনা দিয়ে এর দাম কমাতে হবে।
আজকের পত্রিকা: এসিআই মোটরসের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
হোসাইন মোহাম্মদ: আমরা মোটরসাইকেলের বাজারে ১৫০ সিসির ক্ষেত্রে ‘লিডিং পজিশন’ ধরে রাখার পাশাপাশি অত্যাধুনিক টেকনোলজির ফিচার-সংবলিত মোটরসাইকেল বাজারে আনতে চাই। উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থার আমরা ‘অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম’ (এবিএস) এবং পরিবেশবান্ধব ‘এফআই টেকনোলজি’ নিয়ে এসেছি। উন্নত প্রযুক্তির মোটরসাইকেলের জন্য দেশজুড়ে ‘সার্ভিস নেটওয়ার্ক’ গড়ে তুলেছি। নিরাপদ বাইক রাইডিংয়ের জন্য আমরা ইয়ামাহা রাইডিং একাডেমিতে ‘ওআইআরএর’ মাধ্যমে নারী ও পুরুষকে মোটরসাইকেল রাইডিং প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। এই প্রশিক্ষণ একাডেমিতে জাপান এবং থাইল্যান্ডের প্রশিক্ষকের মাধ্যমে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: মোটরবাইকের বাজারে এসিআইয়ের অবস্থান কী?
হোসাইন মোহাম্মদ: বাংলাদেশে ইয়ামাহা মোটরসাইকেলের শুধু আমদানি বা বিপণনকারীই নয়, একমাত্র পরিবেশক এসিআই মোটরস। অন্য দেশে ইয়ামাহা নিজেরাই বিপণন করে।
ব্যতিক্রম হিসেবে বাংলাদেশে ইয়ামাহার একমাত্র টেকনিক্যাল কোলাবোরেশন পার্টনার হিসেবে ২০১৬ সাল থেকে মোটরসাইকেল সংযোজন, উৎপাদন ও বিপণন করে আসছে এসিআই মোটরস। সব মিলিয়ে ৯টি মডেল বাজারজাত করে মোটরসাইকেলের বাজারের প্রায় ১২ শতাংশ এখন এসিআই মোটরসের দখলে। ২৫ শতাংশ দখলে নিয়ে ১৫০ সিসির মোটরসাইকেলের বাজারে শীর্ষ অবস্থানের পথে রয়েছে এসিআই।
আজকের পত্রিকা: মোটরসাইকেল খাতের সম্ভাবনা কতটুকু?
হোসাইন মোহাম্মদ: বাংলাদেশে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও এখন বাইক চালানোয় আগ্রহী হয়ে উঠছেন। সব মিলিয়ে জিডিপিতে এ খাতের অবদান ১ শতাংশের মতো। মোটরসাইকেল এখন শুধু শখ নয়, জীবিকার অনুষঙ্গও হয়ে উঠছে; সময় ও অর্থ বাঁচাতে প্রয়োজনীয় পণ্য হয়ে পড়েছে। সব মিলিয়ে মোটরসাইকেলশিল্পের সম্ভাবনা ভালো।
আজকের পত্রিকা: সেই সম্ভাবনার পথে প্রতিবন্ধকতা কি কি?
হোসাইন মোহাম্মদ: কিছু ক্ষেত্রে নীতির পরিবর্তন মোটরসাইকেল খাতকে বড় বাধার মুখে ফেলে দিচ্ছে। এ খাতে বাংলাদেশে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার মতো বিনিয়োগ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরো বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু মাঝপথে নীতির পরিবর্তনের কারণে সমস্যা হচ্ছে। আগে শিক্ষানবিশ হিসেবে মোটরসাইকেলের নিবন্ধন করা যেত। এখন ড্রাইভিং লাইসেন্সের বাধ্যবাধকতা আরোপের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে মোটরসাইকেলশিল্প মুখ থুবড়ে পড়বে। কারণ, এখন বছরে মোটরসাইকেল বিক্রি হয় ৫ লাখের বেশি, যা কয়েক বছরে ১০ লাখে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে বছরে ১ লাখের বেশি ড্রাইভিং লাইসেন্স বা গাড়ির নিবন্ধন দেওয়ার সক্ষমতা বিআরটিএর আছে বলে মনে হয় না। তাহলে বাকি মোটরসাইকেল বিক্রি হবে কীভাবে? এই নীতির পরিবর্তন না হলে বিক্রিতে ধস নামবে। মোটরসাইকেল এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাহন। কিন্তু এর সব জায়গায় যাওয়ার অনুমতি না থাকলে বৈষম্য সৃষ্টি হবে। পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল উঠতে পারে না; মহাসড়কে উঠতে পারবে না। দেশের সড়ক ব্যবস্থাই এমন যে এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় যেতে হলে মহাসড়ক পার হতে হবে। এ জন্য সড়ক নিরাপত্তায় বেশি নজর দিতে হবে, চলাচল বন্ধ করা কোনো সমাধান নয়।
আজকের পত্রিকা: মোটরসাইকেলে বেশি দুর্ঘটনা হয় বলে অভিযোগ আছে, এ বিষয়ে কি বলবেন?
হোসাইন মোহাম্মদ: অনেকেই বলে মোটরসাইকেলে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে- আমি এর সঙ্গে একমত নই। কেননা দেশের মোট গাড়ির লাইসেন্সের ৭০ শতাংশই মোটরসাইকেল। কিন্তু মোটরসাইকেলকেন্দ্রিক সড়ক দুর্ঘটনা হয় ৪০ শতাংশ। অর্থাৎ বেশির ভাগ বা ৬০ শতাংশ দুর্ঘটনার সঙ্গে মোটরসাইকেল জড়িত নয়। দুর্ঘটনার জন্য আসলেই মোটরসাইকেল দায়ী
কি না তা ভেবে দেখতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে বড় যানবাহন মোটরসাইকেলকে গ্রাহ্য করে না। এ ছাড়া অসচেতনতা ও অবহেলার জন্যও অনেক দুর্ঘটনা হয়।
আজকের পত্রিকা: দুর্ঘটনা রোধে করণীয় কী?
হোসাইন মোহাম্মদ: সড়কের শৃঙ্খলা নিশ্চিত করাই হবে দুর্ঘটনা রোধের বড় উপায়। এ জন্য সড়কে আলাদা লেন থাকতে হবে, সার্টিফাইড হেলমেটের ব্যবহার বাড়াতে হবে। শহর এলাকায় মোটরসাইকেলের সঙ্গে হেলমেটের ব্যবহার বাড়ছে। শহরের বাইরেও হেলমেট ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়ার পাশাপাশি আইনের কড়াকড়ি বাড়াতে হবে। সার্টিফাইড হেলমেটের ব্যবহার বাড়াতে আমদানি শুল্ক মওকুফসহ প্রণোদনা দিয়ে এর দাম কমাতে হবে।
আজকের পত্রিকা: এসিআই মোটরসের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
হোসাইন মোহাম্মদ: আমরা মোটরসাইকেলের বাজারে ১৫০ সিসির ক্ষেত্রে ‘লিডিং পজিশন’ ধরে রাখার পাশাপাশি অত্যাধুনিক টেকনোলজির ফিচার-সংবলিত মোটরসাইকেল বাজারে আনতে চাই। উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থার আমরা ‘অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম’ (এবিএস) এবং পরিবেশবান্ধব ‘এফআই টেকনোলজি’ নিয়ে এসেছি। উন্নত প্রযুক্তির মোটরসাইকেলের জন্য দেশজুড়ে ‘সার্ভিস নেটওয়ার্ক’ গড়ে তুলেছি। নিরাপদ বাইক রাইডিংয়ের জন্য আমরা ইয়ামাহা রাইডিং একাডেমিতে ‘ওআইআরএর’ মাধ্যমে নারী ও পুরুষকে মোটরসাইকেল রাইডিং প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। এই প্রশিক্ষণ একাডেমিতে জাপান এবং থাইল্যান্ডের প্রশিক্ষকের মাধ্যমে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
ইউনিক গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাখাওয়াত হোসেন। পর্যটনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মনজুরুল ইসলাম।
০৩ অক্টোবর ২০২৪বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, সুফি এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কোনো বিভাজনমূলক এজেন্ডায় রাজনীতির দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহৃত না হওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা দৃঢ়ভাবে কোনো সাম্প্রদায়িক ফাঁদে আটকা পড়তে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করি। কোনোভাবেই তা হতে দেওয়া যাবে না।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪‘আমি এটাকে ঠিক রাজনৈতিক ভাবাদর্শ বলব না। আমি এটাকে বলব, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, সেটা আমার পারিবারিক শিক্ষা। আমাদের ঘরের ডাইনিং টেবিল থেকে শুরু করে যেকোনো ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পরিবারের বড়দের সাথে আমরা দ্বিমত পোষণ করতে পেরেছি। ছোট থেকে বড়, কারও কোনো কথা বা কাজ ভুল মনে হলে সেটাকে আমরা তার প্রতি স
৩১ আগস্ট ২০২৪একেক মানুষ বেছে নেন একেক পেশা। তাঁদের মধ্যে কারও কারও পেশা একটু ভিন্ন ধরনের। যেমন—মো. মুনসুর আলী ওরফে মন্টু খলিফা। বাপ-দাদার পেশাকে ভালোবেসে শিশুদের খতনা করানো বা হাজামের কাজ বেছে নিয়েছেন পেশা হিসেবে। জীবনে পার করেছেন প্রায় ৮৫ বছর। জানিয়েছেন গত ৬০ বছরে ২ লাখের বেশি শিশুর মুসলমানি বা সুন্নতে খতনা দিয়
৩০ মার্চ ২০২৪