ফারুক মেহেদী
করোনায় রাজস্ব আয়ের কৌশল কেমন? রিটার্ন দাখিল আরও সহজ করা যায় কীভাবে? উৎসে কর আদায়ে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি চালু করা যায় কি না? এসব বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন এনবিআরের আয়কর বিভাগের সাবেক সদস্য ও এলটিইউর সাবেক কমিশনার অপূর্ব কান্তি দাস। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: কোভিডে রাজস্ব আয়ের কৌশল কি ঠিক আছে?
অপূর্ব কান্তি দাস: এবারের বাজেটে নতুন করারোপ করা হয়নি; বরং ছাড় দেওয়া হয়েছে। তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত সবারই করপোরেট কর কমেছে। নতুন অনেক খাতকে কর ছাড় দেওয়া হয়েছে। আসলে করারোপ করলেই রাজস্ব বাড়বে–এটা কোনো কথা নয়; কর আদায়ের প্রক্রিয়া যত সহজ করা হবে, রাজস্ব তত বাড়বে। কোভিডের মধ্যেও দেশের অর্থনীতি কিন্তু ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে।
আজকের পত্রিকা: এনবিআরের রিটার্ন দেওয়া আরও সহজ করা যায় কীভাবে?
অপূর্ব কান্তি দাস: এবার এনবিআরে বড় ধরনের সংস্কারমূলক কাজ হচ্ছে। এমন নয় যে, আইনের পরিবর্তন করা হচ্ছে। সংস্কারটা হচ্ছে অটোমেশনে। এবার করদাতারা অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করবেন। এটা খুবই সহজ একটি রিটার্ন। যেকোনো করদাতা খুব সহজে রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। ধরেন, এখন যে রিটার্ন, এতে ৬টি পাতা পূরণ করতে হয়। কিছু কিছু ৭/৮ পাতাও আছে। করদাতারা এত পাতার ফরম দেখে আতঙ্কিত হন। তাই রিটার্ন ফরম খুব সহজ করা হচ্ছে। এখন যে রিটার্নটা অনলাইনে করা হয়েছে, এখানে আপনি নাম ও টিআইএন নম্বর দেবেন, কী কাজ করেন, চাকরি করেন কি না–এসব তথ্য দেবেন। যখন আপনি বলবেন আপনি চাকরি করেন, তখন তা আপনার জন্যই কাস্টমাইজড হয়ে যাবে। আপনি যদি বলেন, আপনার আয় শুধু বেতন-ভাতা, তখন আপনার আর বাড়তি তথ্য দিতে হবে না। সিস্টেমই আপনার রিটার্নটি কমপ্লিট করে দেবে।
আজকের পত্রিকা: অটোমেশনে কতটা সহজ হবে রিটার্ন দাখিল?
অপূর্ব কান্তি দাস: অটোমেশন হওয়ায় সহজেই হিসাবটাও স্বয়ংক্রিয়ভাবে হয়ে যাবে। যখন রিটার্নটি প্রিন্ট নেওয়া হবে, তখন সব তথ্য পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ফরমে দেখাবে। এর ফলে রাজস্ব আয় অনেক বাড়বে বলে আমরা মনে করি। কারণ, দেশের বেশির ভাগ জনগোষ্ঠী তরুণ প্রজন্ম। তারা অনলাইনে অভ্যস্ত। তারা যখন দেখবে তাদের রিটার্ন ঘরে বসে অনলাইনে খুব সহজে জমা দেওয়া যাচ্ছে, কোনো হয়রানি হচ্ছে না; তখন তারা উৎসাহের সঙ্গে কর দেবে। কর পরিশোধটাও সহজ হয়ে যাবে। অনলাইন গেটওয়ের মাধ্যমে এটা পরিশোধ করা যাবে। ব্যাংকেও যাওয়ার প্রয়োজন হবে না।
আজকের পত্রিকা: এলটিইউতে কর আদায় ভালো হওয়ার কারণ কী?
অপূর্ব কান্তি দাস: সারা দেশের যত করদাতা আছেন, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি কমপ্লায়েন্ট ট্যাক্সপেয়ার হচ্ছেন এলটিইউর করদাতা। দেখেন, করোনার মধ্যেও এলটিইউ এ বছর ২৪ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে। এর আগের বছর তা ছিল ২০ হাজার কোটি টাকা। সবকিছু বন্ধের মধ্যেও প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আয় করেছে। এখানে করদাতাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে খুবই সুন্দর করবান্ধব পরিবেশে রাজস্ব আদায় করা হয়। এ জন্য কারও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করার প্রয়োজন হয় না। আমাদের এলটিইউর ব্রাঞ্চ অফিস চট্টগ্রামে আছে। কিন্তু জনবলের সংকটে আদায় ঠিকমতো হচ্ছে না। রাজস্ব পেতে হলে বিনিয়োগ করতে হবে।
আজকের পত্রিকা: আইটির কাজ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় করা যায় কি না?
অপূর্ব কান্তি দাস: এখন একটা সম্প্রসারণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সরকারের কাছে এটা অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। হয়তো এটা অনুমোদন পাবে। তখন রাজস্ব খাতের ব্যাপক সম্প্রসারণ হবে। বলা যায় দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে রাজস্ব প্রশাসন। কর অঞ্চল বাড়বে। একটা আইটি বিভাগ হবে। এনবিআরকে সহায়তা করবে এ বিভাগ। এখানে প্রফেশনাল লোকজন থাকবে। এটা বিশেষায়িত একটি শাখা হবে। তাদের পুরোপুরি কাজ হলো, এনবিআরকে যাবতীয় আইটি সাপোর্ট করা। একটি ইনটেলিজেন্ট বিভাগও হবে। তারা করের ক্ষেত্রে ফাঁকির জায়গাগুলো আরও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। এ রকম বিশেষায়িত শাখা হবে। কর অঞ্চলের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হবে।
আজকের পত্রিকা: উৎসে কর আদায় আরও স্বয়ংক্রিয় করা যায় কি না?
অপূর্ব কান্তি দাস: এমন সফটওয়্যার দেওয়া হবে, যাতে ব্যবসায়ীরা তাঁদের যাবতীয় তথ্য ঠিকমতো সংরক্ষণ করতে পারেন। উৎসে যেটুকু কর দেওয়ার কথা, স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাটা হয়ে যাবে। এখানে বকেয়া রাখার কোনো সুযোগ থাকবে না। এটা এনবিআরের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। করের জন্য যেটুকু প্রয়োজন, সেটুকুতে কর বিভাগের অ্যাকসেস থাকবে। বাকিটা ব্যবসায়ীরা তাঁদের নিজেদের প্রয়োজনে রাখবেন। এতে কর ফাঁকি অনেকাংশে কমে যাবে।
করোনায় রাজস্ব আয়ের কৌশল কেমন? রিটার্ন দাখিল আরও সহজ করা যায় কীভাবে? উৎসে কর আদায়ে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি চালু করা যায় কি না? এসব বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন এনবিআরের আয়কর বিভাগের সাবেক সদস্য ও এলটিইউর সাবেক কমিশনার অপূর্ব কান্তি দাস। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: কোভিডে রাজস্ব আয়ের কৌশল কি ঠিক আছে?
অপূর্ব কান্তি দাস: এবারের বাজেটে নতুন করারোপ করা হয়নি; বরং ছাড় দেওয়া হয়েছে। তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত সবারই করপোরেট কর কমেছে। নতুন অনেক খাতকে কর ছাড় দেওয়া হয়েছে। আসলে করারোপ করলেই রাজস্ব বাড়বে–এটা কোনো কথা নয়; কর আদায়ের প্রক্রিয়া যত সহজ করা হবে, রাজস্ব তত বাড়বে। কোভিডের মধ্যেও দেশের অর্থনীতি কিন্তু ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে।
আজকের পত্রিকা: এনবিআরের রিটার্ন দেওয়া আরও সহজ করা যায় কীভাবে?
অপূর্ব কান্তি দাস: এবার এনবিআরে বড় ধরনের সংস্কারমূলক কাজ হচ্ছে। এমন নয় যে, আইনের পরিবর্তন করা হচ্ছে। সংস্কারটা হচ্ছে অটোমেশনে। এবার করদাতারা অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করবেন। এটা খুবই সহজ একটি রিটার্ন। যেকোনো করদাতা খুব সহজে রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। ধরেন, এখন যে রিটার্ন, এতে ৬টি পাতা পূরণ করতে হয়। কিছু কিছু ৭/৮ পাতাও আছে। করদাতারা এত পাতার ফরম দেখে আতঙ্কিত হন। তাই রিটার্ন ফরম খুব সহজ করা হচ্ছে। এখন যে রিটার্নটা অনলাইনে করা হয়েছে, এখানে আপনি নাম ও টিআইএন নম্বর দেবেন, কী কাজ করেন, চাকরি করেন কি না–এসব তথ্য দেবেন। যখন আপনি বলবেন আপনি চাকরি করেন, তখন তা আপনার জন্যই কাস্টমাইজড হয়ে যাবে। আপনি যদি বলেন, আপনার আয় শুধু বেতন-ভাতা, তখন আপনার আর বাড়তি তথ্য দিতে হবে না। সিস্টেমই আপনার রিটার্নটি কমপ্লিট করে দেবে।
আজকের পত্রিকা: অটোমেশনে কতটা সহজ হবে রিটার্ন দাখিল?
অপূর্ব কান্তি দাস: অটোমেশন হওয়ায় সহজেই হিসাবটাও স্বয়ংক্রিয়ভাবে হয়ে যাবে। যখন রিটার্নটি প্রিন্ট নেওয়া হবে, তখন সব তথ্য পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ফরমে দেখাবে। এর ফলে রাজস্ব আয় অনেক বাড়বে বলে আমরা মনে করি। কারণ, দেশের বেশির ভাগ জনগোষ্ঠী তরুণ প্রজন্ম। তারা অনলাইনে অভ্যস্ত। তারা যখন দেখবে তাদের রিটার্ন ঘরে বসে অনলাইনে খুব সহজে জমা দেওয়া যাচ্ছে, কোনো হয়রানি হচ্ছে না; তখন তারা উৎসাহের সঙ্গে কর দেবে। কর পরিশোধটাও সহজ হয়ে যাবে। অনলাইন গেটওয়ের মাধ্যমে এটা পরিশোধ করা যাবে। ব্যাংকেও যাওয়ার প্রয়োজন হবে না।
আজকের পত্রিকা: এলটিইউতে কর আদায় ভালো হওয়ার কারণ কী?
অপূর্ব কান্তি দাস: সারা দেশের যত করদাতা আছেন, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি কমপ্লায়েন্ট ট্যাক্সপেয়ার হচ্ছেন এলটিইউর করদাতা। দেখেন, করোনার মধ্যেও এলটিইউ এ বছর ২৪ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে। এর আগের বছর তা ছিল ২০ হাজার কোটি টাকা। সবকিছু বন্ধের মধ্যেও প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আয় করেছে। এখানে করদাতাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে খুবই সুন্দর করবান্ধব পরিবেশে রাজস্ব আদায় করা হয়। এ জন্য কারও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করার প্রয়োজন হয় না। আমাদের এলটিইউর ব্রাঞ্চ অফিস চট্টগ্রামে আছে। কিন্তু জনবলের সংকটে আদায় ঠিকমতো হচ্ছে না। রাজস্ব পেতে হলে বিনিয়োগ করতে হবে।
আজকের পত্রিকা: আইটির কাজ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় করা যায় কি না?
অপূর্ব কান্তি দাস: এখন একটা সম্প্রসারণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সরকারের কাছে এটা অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। হয়তো এটা অনুমোদন পাবে। তখন রাজস্ব খাতের ব্যাপক সম্প্রসারণ হবে। বলা যায় দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে রাজস্ব প্রশাসন। কর অঞ্চল বাড়বে। একটা আইটি বিভাগ হবে। এনবিআরকে সহায়তা করবে এ বিভাগ। এখানে প্রফেশনাল লোকজন থাকবে। এটা বিশেষায়িত একটি শাখা হবে। তাদের পুরোপুরি কাজ হলো, এনবিআরকে যাবতীয় আইটি সাপোর্ট করা। একটি ইনটেলিজেন্ট বিভাগও হবে। তারা করের ক্ষেত্রে ফাঁকির জায়গাগুলো আরও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। এ রকম বিশেষায়িত শাখা হবে। কর অঞ্চলের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হবে।
আজকের পত্রিকা: উৎসে কর আদায় আরও স্বয়ংক্রিয় করা যায় কি না?
অপূর্ব কান্তি দাস: এমন সফটওয়্যার দেওয়া হবে, যাতে ব্যবসায়ীরা তাঁদের যাবতীয় তথ্য ঠিকমতো সংরক্ষণ করতে পারেন। উৎসে যেটুকু কর দেওয়ার কথা, স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাটা হয়ে যাবে। এখানে বকেয়া রাখার কোনো সুযোগ থাকবে না। এটা এনবিআরের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। করের জন্য যেটুকু প্রয়োজন, সেটুকুতে কর বিভাগের অ্যাকসেস থাকবে। বাকিটা ব্যবসায়ীরা তাঁদের নিজেদের প্রয়োজনে রাখবেন। এতে কর ফাঁকি অনেকাংশে কমে যাবে।
ইউনিক গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাখাওয়াত হোসেন। পর্যটনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মনজুরুল ইসলাম।
০৩ অক্টোবর ২০২৪বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, সুফি এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কোনো বিভাজনমূলক এজেন্ডায় রাজনীতির দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহৃত না হওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা দৃঢ়ভাবে কোনো সাম্প্রদায়িক ফাঁদে আটকা পড়তে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করি। কোনোভাবেই তা হতে দেওয়া যাবে না।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪‘আমি এটাকে ঠিক রাজনৈতিক ভাবাদর্শ বলব না। আমি এটাকে বলব, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, সেটা আমার পারিবারিক শিক্ষা। আমাদের ঘরের ডাইনিং টেবিল থেকে শুরু করে যেকোনো ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পরিবারের বড়দের সাথে আমরা দ্বিমত পোষণ করতে পেরেছি। ছোট থেকে বড়, কারও কোনো কথা বা কাজ ভুল মনে হলে সেটাকে আমরা তার প্রতি স
৩১ আগস্ট ২০২৪একেক মানুষ বেছে নেন একেক পেশা। তাঁদের মধ্যে কারও কারও পেশা একটু ভিন্ন ধরনের। যেমন—মো. মুনসুর আলী ওরফে মন্টু খলিফা। বাপ-দাদার পেশাকে ভালোবেসে শিশুদের খতনা করানো বা হাজামের কাজ বেছে নিয়েছেন পেশা হিসেবে। জীবনে পার করেছেন প্রায় ৮৫ বছর। জানিয়েছেন গত ৬০ বছরে ২ লাখের বেশি শিশুর মুসলমানি বা সুন্নতে খতনা দিয়
৩০ মার্চ ২০২৪