ফারুক মেহেদী
কেন ঋণ আদায় হয় না? ঋণ দেওয়ার কৌশলে ত্রুটি আছে কি না? বদলে যাওয়া ব্যাংকিং কেমন হওয়া উচিত? এসব বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন সোনালী ও রূপালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক রবিউল হোসেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: ঋণের কিস্তি না পেয়েও তা হালনাগাদ দেখানো কতটা ভালো ব্যাংকিং?
রবিউল হোসেন: এটা অবশ্যই ব্যাংকের জন্য ঝুঁকি। কিস্তি না পাওয়ার পরও ঋণকে খেলাপি না দেখাতে বলা মানে ওভারলেপিং। অর্থাৎ খারাপ জিনিসকে ঢেকে রাখো। খারাপ জিনিসের ফল তো ভালো হবে না। সুতরাং ঢেকে রেখে কোনো লাভ নেই। আসলে এটা করলে, তখন বেতন বন্ধ হয়ে যাবে, ব্যাংকাররা হাউকাউ করবেন। এ কারণেই এ সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আয় না হওয়ার পরও ব্যাংককে বলতে হচ্ছে যে তাদের আয় হচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: ঋণ আসলে কাদের দেওয়া উচিত?
রবিউল হোসেন: গ্রামে যেতে হবে। ঘরে বসে ব্যাংকিং হবে না। খাওয়া-দাওয়া বন্ধ নেই, বাজারঘাট, দোকানপাট চলছে। কাজেই এসব যদি চলে, তাহলে ঋণ যাচ্ছে না কেন? ব্যবসা-দোকানপাট কী নিজের টাকায় হচ্ছে? যদি তা-ই হয়, তাহলে কী পরিমাণে হচ্ছে, তহবিল আরও বেশি দরকার কি না ইত্যাদি জানতে হবে। তাঁদের পয়সার অভাবটা যদি ব্যাংক বুঝতে পারে, তখন ভালো ব্যবসায়ী, যাঁরা টাকা শোধ দেবেন, তাঁদের ঋণ দিতে হবে। নিয়মিত তদারকি রাখতে হবে। যখনই তাঁদের হাতে টাকা আসবে তখনই কিস্তিটা আদায় করে নিতে হবে। যদি ওদের ওপর ছেড়ে দিয়ে তিন মাস, ছয় মাস পর কিস্তি দিতে বলা হয় তাহলে ওই টাকা কখনো আদায় হবে না।
আজকের পত্রিকা: ঋণ আদায় ঠিকমতো হয় না কেন?
রবিউল হোসেন: তহবিলের ধরন অনুযায়ী ঋণ দিতে হবে। সেই অনুযায়ী পরিশোধের সুযোগ দিতে হবে। এখন বাংলাদেশ ব্যাংকও ভুল করে। তারা এখন তিন মাসের জন্য দিয়ে রাখে। এটা ঠিক নয়। পয়সা আসছে দৈনিক, ও তো পয়সা খরচ করবে, না হলে অন্য জায়গায় বিনিয়োগ করে ফেলবে। যখনই দেখবে ব্যাংক টাকা আদায়ে তৎপর নয়, তখনই সে ব্যবসাকে রুগ্ণ করে অন্য ব্যবসায় মনোযোগ দেবে। এগুলো ব্যাংককে ক্ষতি করছে। সুতরাং ব্যাংকারদের সিরিয়াস হতে হবে। ব্যাংকাররা ঘরে বসে স্যুটেট বুটেড হয়ে, শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে ব্যাংকিং করছেন, এই ব্যাংকিংয়ের দিন এখন নেই।
আজকের পত্রিকা: নতুন ধারার ব্যাংকিং কেমন হওয়া উচিত?
রবিউল হোসেন: ধরা যাক এক গ্রামে এক শ লোকের বসবাস। সেখানে যদি একটি মুদিদোকানের চাহিদা থাকে, তা করার জন্য যদি পয়সা দেওয়া যায় এবং ওর ওপরে ব্যাংক চড়াও হয়ে থাকে যে, এই তুমি বাকি দিতে পারবে না। তাহলে তার ঋণ কখনো খেলাপি হবে না। মানুষ ব্যাংকের কাছে যাবে না, ব্যাংকই যাবে মানুষের কাছে। যারা ব্যাংকের কাছে আসবে তারা টাকা ফেরত দেবে না। ব্যাংকাররা ভাবে যত কম ঋণ, ততই তাদের চাকরি নিরাপদ। ব্যাংকের মূল কাজই তো ঋণ দেওয়া। না হলে আমানত নেওয়া হচ্ছে কেন? আমানতের বিপরীতে সুদ দিতে হচ্ছে না? ঋণ না দিলে, আয় না এলে চলবে কী করে? বাড়িভাড়া, গাড়িভাড়া, বেতন-ভাতা—এ সমস্ত কোথা থেকে আসবে?
আজকের পত্রিকা: ঋণের মেয়াদ কেমন হলে তা আদায়যোগ্য ও নিরাপদ?
রবিউল হোসেন: দীর্ঘমেয়াদি ঋণ ব্যাংকের জন্য মোটেও ফিজিবল না। ব্যাংক হচ্ছে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। একটা ব্যবসায় তহবিল ফিরে আসতে যদি এক বছর সময় লাগে, তাকে ১৫ বছর সময় দেব কেন? তার মানে টাকা নিয়ে তা আর ফেরত দেবে না। গাড়ি, বাড়ি কিনবে, বেনামে বিনিয়োগ করবে, সম্পত্তি বানাবে। এ ধরনের ঋণ কখনো দেওয়া উচিত নয়। এ ঋণ যাঁরা চান, তাঁদের বলতে হবে যে, কী ব্যবসা করবেন, রিটার্ন কীভাবে হবে, কত টাকা, কত দিনে হবে—এসব জানান। রিটার্ন যদি আগেই হয় তাহলে আপনি ১৫ বছর চাইছেন কেন? এ সমস্ত লোক যদি ঋণ চান তাহলে ব্যাংকার যদি ব্যাংকিং বোঝেন, তাহলে ওকে একেবারে সোজা করে দিতে পারবেন।
আজকের পত্রিকা: এখনকার ব্যাংকিংয়ের ত্রুটি কী কী?
রবিউল হোসেন: আসল কথা হলো কোন জায়গায় কী ব্যবসা হচ্ছে, সেটা দেখতে হবে। বাজারে কোন জিনিস আমদানি করে আনলে চলবে—এসব জিনিসের ব্যবসা করার জন্য যাঁদের তহবিল সংকট আছে মূলত তাঁদেরই ঋণ দিতে হবে। এখন ভুয়া কাগজপত্র, ভুয়া মর্টগেজ দেখিয়ে, নিজের ও বাপের নামের ঠিক নেই, জমির হদিস নেই, থাকলে বন্ধক দেওয়া—এসব অনিয়মের মধ্যেও ঋণ দেওয়া হচ্ছে। ব্যাংকাররাই ব্যাংকটা শেষ করে দিয়েছেন। আপনি টাকা দেবেন না, আপনাকে খুন করে টাকা নিয়ে যাবে—এত বড় সাহস? দেশে আইন নেই, এটা বলা
যাবে না।
কেন ঋণ আদায় হয় না? ঋণ দেওয়ার কৌশলে ত্রুটি আছে কি না? বদলে যাওয়া ব্যাংকিং কেমন হওয়া উচিত? এসব বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন সোনালী ও রূপালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক রবিউল হোসেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: ঋণের কিস্তি না পেয়েও তা হালনাগাদ দেখানো কতটা ভালো ব্যাংকিং?
রবিউল হোসেন: এটা অবশ্যই ব্যাংকের জন্য ঝুঁকি। কিস্তি না পাওয়ার পরও ঋণকে খেলাপি না দেখাতে বলা মানে ওভারলেপিং। অর্থাৎ খারাপ জিনিসকে ঢেকে রাখো। খারাপ জিনিসের ফল তো ভালো হবে না। সুতরাং ঢেকে রেখে কোনো লাভ নেই। আসলে এটা করলে, তখন বেতন বন্ধ হয়ে যাবে, ব্যাংকাররা হাউকাউ করবেন। এ কারণেই এ সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আয় না হওয়ার পরও ব্যাংককে বলতে হচ্ছে যে তাদের আয় হচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: ঋণ আসলে কাদের দেওয়া উচিত?
রবিউল হোসেন: গ্রামে যেতে হবে। ঘরে বসে ব্যাংকিং হবে না। খাওয়া-দাওয়া বন্ধ নেই, বাজারঘাট, দোকানপাট চলছে। কাজেই এসব যদি চলে, তাহলে ঋণ যাচ্ছে না কেন? ব্যবসা-দোকানপাট কী নিজের টাকায় হচ্ছে? যদি তা-ই হয়, তাহলে কী পরিমাণে হচ্ছে, তহবিল আরও বেশি দরকার কি না ইত্যাদি জানতে হবে। তাঁদের পয়সার অভাবটা যদি ব্যাংক বুঝতে পারে, তখন ভালো ব্যবসায়ী, যাঁরা টাকা শোধ দেবেন, তাঁদের ঋণ দিতে হবে। নিয়মিত তদারকি রাখতে হবে। যখনই তাঁদের হাতে টাকা আসবে তখনই কিস্তিটা আদায় করে নিতে হবে। যদি ওদের ওপর ছেড়ে দিয়ে তিন মাস, ছয় মাস পর কিস্তি দিতে বলা হয় তাহলে ওই টাকা কখনো আদায় হবে না।
আজকের পত্রিকা: ঋণ আদায় ঠিকমতো হয় না কেন?
রবিউল হোসেন: তহবিলের ধরন অনুযায়ী ঋণ দিতে হবে। সেই অনুযায়ী পরিশোধের সুযোগ দিতে হবে। এখন বাংলাদেশ ব্যাংকও ভুল করে। তারা এখন তিন মাসের জন্য দিয়ে রাখে। এটা ঠিক নয়। পয়সা আসছে দৈনিক, ও তো পয়সা খরচ করবে, না হলে অন্য জায়গায় বিনিয়োগ করে ফেলবে। যখনই দেখবে ব্যাংক টাকা আদায়ে তৎপর নয়, তখনই সে ব্যবসাকে রুগ্ণ করে অন্য ব্যবসায় মনোযোগ দেবে। এগুলো ব্যাংককে ক্ষতি করছে। সুতরাং ব্যাংকারদের সিরিয়াস হতে হবে। ব্যাংকাররা ঘরে বসে স্যুটেট বুটেড হয়ে, শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে ব্যাংকিং করছেন, এই ব্যাংকিংয়ের দিন এখন নেই।
আজকের পত্রিকা: নতুন ধারার ব্যাংকিং কেমন হওয়া উচিত?
রবিউল হোসেন: ধরা যাক এক গ্রামে এক শ লোকের বসবাস। সেখানে যদি একটি মুদিদোকানের চাহিদা থাকে, তা করার জন্য যদি পয়সা দেওয়া যায় এবং ওর ওপরে ব্যাংক চড়াও হয়ে থাকে যে, এই তুমি বাকি দিতে পারবে না। তাহলে তার ঋণ কখনো খেলাপি হবে না। মানুষ ব্যাংকের কাছে যাবে না, ব্যাংকই যাবে মানুষের কাছে। যারা ব্যাংকের কাছে আসবে তারা টাকা ফেরত দেবে না। ব্যাংকাররা ভাবে যত কম ঋণ, ততই তাদের চাকরি নিরাপদ। ব্যাংকের মূল কাজই তো ঋণ দেওয়া। না হলে আমানত নেওয়া হচ্ছে কেন? আমানতের বিপরীতে সুদ দিতে হচ্ছে না? ঋণ না দিলে, আয় না এলে চলবে কী করে? বাড়িভাড়া, গাড়িভাড়া, বেতন-ভাতা—এ সমস্ত কোথা থেকে আসবে?
আজকের পত্রিকা: ঋণের মেয়াদ কেমন হলে তা আদায়যোগ্য ও নিরাপদ?
রবিউল হোসেন: দীর্ঘমেয়াদি ঋণ ব্যাংকের জন্য মোটেও ফিজিবল না। ব্যাংক হচ্ছে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। একটা ব্যবসায় তহবিল ফিরে আসতে যদি এক বছর সময় লাগে, তাকে ১৫ বছর সময় দেব কেন? তার মানে টাকা নিয়ে তা আর ফেরত দেবে না। গাড়ি, বাড়ি কিনবে, বেনামে বিনিয়োগ করবে, সম্পত্তি বানাবে। এ ধরনের ঋণ কখনো দেওয়া উচিত নয়। এ ঋণ যাঁরা চান, তাঁদের বলতে হবে যে, কী ব্যবসা করবেন, রিটার্ন কীভাবে হবে, কত টাকা, কত দিনে হবে—এসব জানান। রিটার্ন যদি আগেই হয় তাহলে আপনি ১৫ বছর চাইছেন কেন? এ সমস্ত লোক যদি ঋণ চান তাহলে ব্যাংকার যদি ব্যাংকিং বোঝেন, তাহলে ওকে একেবারে সোজা করে দিতে পারবেন।
আজকের পত্রিকা: এখনকার ব্যাংকিংয়ের ত্রুটি কী কী?
রবিউল হোসেন: আসল কথা হলো কোন জায়গায় কী ব্যবসা হচ্ছে, সেটা দেখতে হবে। বাজারে কোন জিনিস আমদানি করে আনলে চলবে—এসব জিনিসের ব্যবসা করার জন্য যাঁদের তহবিল সংকট আছে মূলত তাঁদেরই ঋণ দিতে হবে। এখন ভুয়া কাগজপত্র, ভুয়া মর্টগেজ দেখিয়ে, নিজের ও বাপের নামের ঠিক নেই, জমির হদিস নেই, থাকলে বন্ধক দেওয়া—এসব অনিয়মের মধ্যেও ঋণ দেওয়া হচ্ছে। ব্যাংকাররাই ব্যাংকটা শেষ করে দিয়েছেন। আপনি টাকা দেবেন না, আপনাকে খুন করে টাকা নিয়ে যাবে—এত বড় সাহস? দেশে আইন নেই, এটা বলা
যাবে না।
ইউনিক গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাখাওয়াত হোসেন। পর্যটনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মনজুরুল ইসলাম।
০৩ অক্টোবর ২০২৪বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, সুফি এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কোনো বিভাজনমূলক এজেন্ডায় রাজনীতির দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহৃত না হওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা দৃঢ়ভাবে কোনো সাম্প্রদায়িক ফাঁদে আটকা পড়তে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করি। কোনোভাবেই তা হতে দেওয়া যাবে না।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪‘আমি এটাকে ঠিক রাজনৈতিক ভাবাদর্শ বলব না। আমি এটাকে বলব, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, সেটা আমার পারিবারিক শিক্ষা। আমাদের ঘরের ডাইনিং টেবিল থেকে শুরু করে যেকোনো ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পরিবারের বড়দের সাথে আমরা দ্বিমত পোষণ করতে পেরেছি। ছোট থেকে বড়, কারও কোনো কথা বা কাজ ভুল মনে হলে সেটাকে আমরা তার প্রতি স
৩১ আগস্ট ২০২৪একেক মানুষ বেছে নেন একেক পেশা। তাঁদের মধ্যে কারও কারও পেশা একটু ভিন্ন ধরনের। যেমন—মো. মুনসুর আলী ওরফে মন্টু খলিফা। বাপ-দাদার পেশাকে ভালোবেসে শিশুদের খতনা করানো বা হাজামের কাজ বেছে নিয়েছেন পেশা হিসেবে। জীবনে পার করেছেন প্রায় ৮৫ বছর। জানিয়েছেন গত ৬০ বছরে ২ লাখের বেশি শিশুর মুসলমানি বা সুন্নতে খতনা দিয়
৩০ মার্চ ২০২৪