ফারুক মেহেদী
তৈরি পোশাক খাতে অর্ডার (ক্রয়াদেশ) বাড়লেও দাম বাড়ছে না কেন? পণ্য পাঠানোর খরচ কমানোর উপায় কী? এসব বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন বিজিএমইএর সাবেক প্রেসিডেন্ট ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট সিদ্দিকুর রহমান। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: করোনার এই সময়ে পোশাক খাতে অর্ডার বাড়ার কারণ কী?
সিদ্দিকুর রহমান: রপ্তানি এখন একটি খাতের ওপর নির্ভরশীল। সেটা হলো, তৈরি পোশাক। এখন সত্যি সত্যি পোশাকের অর্ডার আসছে। বলা যায়, ভালো অর্ডারই আসছে। ভিয়েতনামে কারখানা বন্ধ। ভারতে দীর্ঘদিন লকডাউন ছিল। মিয়ানমারে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সেখানেও ঠিকমতো ফ্যাক্টরি চলছে না। এই সুযোগটা আমরা কিছুটা কাজে লাগাতে পারছি।
আজকের পত্রিকা: কিন্তু পোশাকের দাম বাড়ানো যাচ্ছে না কেন?
সিদ্দিকুর রহমান: এ বছর সুতার দাম বাড়তি। সুতার দাম বাড়লে কাপড়ের দামও বাড়ে। কাপড়ের দাম বাড়লে খরচ বাড়ে। ব্র্যান্ডগুলো আমাদের অর্ডার ঠিকই দিচ্ছে। এতে আমরা সবাই কাজও পাচ্ছি। কিন্তু আমাদের মুনাফা থাকছে না। কারণ, বেশির ভাগ ক্রেতা কাপড়ের বাড়তি দাম দিতে চাইছে না। তারা আগের দামেই পোশাক সরবরাহের দাবি করছে। তারপরও আমরা অর্ডার নিচ্ছি। কারণ, আমরা চাই ফ্যাক্টরিগুলো চালু থাকুক।
আজকের পত্রিকা: দাম বাড়াতে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়?
সিদ্দিকুর রহমান: আমরা পোশাকের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু সমস্যা হলো, যাদের আমরা নিয়মিত পণ্য দিই, তার কাছে হয়তো এবার একটু বেশি দাম চাইলাম। দেখা যাবে, পরের বছর সে আমার কাছে এল না, তখন আমার কী হবে? সে জন্য আমাদের সঙ্গে ক্রেতাদেরও একটা ভালো সম্পর্ক রেখে ব্যবসা করতে হয়। আজকে ব্যবসা করলাম, পরের বছর তাদের পিছে ঘুরলাম, এভাবে তো ব্যবসা হবে না। এখন আমাদের সম্পর্ক উন্নয়ন করে চলতে হবে। তবে আমাদের পণ্যের গুণগতমান ঠিক আছে। আমাদের পোর্ট না থাকা সত্ত্বেও যথাসময়ে পণ্য জাহাজীকরণ করছি।
আজকের পত্রিকা: প্রণোদনার ঋণের কিস্তি পরিশোধের কী অবস্থা?
সিদ্দিকুর রহমান: আমি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই এবং অর্থ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। তারা আমাদের সহযোগিতা করেছে। প্রণোদনা ঘোষণার পর তারা তা যথাসময়ে বাস্তবায়ন করেছে। এখন প্রণোদনা দেওয়ার পর ছয় মাস সময় দেওয়া হয়েছিল কিস্তি পরিশোধের জন্য। এরপর আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছিল। গেল সপ্তাহে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আমরা অনুরোধ জানিয়েছি, যাতে বেতনের কিস্তিটা আরও ১৮ মাস বাড়িয়ে দেয়।
আজকের পত্রিকা: পোশাক রপ্তানি বাজার টেকসই করতে কী করছেন?
সিদ্দিকুর রহমান: বাংলাদেশে মূল কাঁচামাল না থাকার পরও গভীর সমুদ্রবন্দর না থাকার পরও আমরা বিশ্বে দ্বিতীয় শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হয়েছি। এর মধ্যে ভিয়েতনাম ঢুকে গেলেও তারা এখন আমাদের পেছনে চলে গেছে। আমরা এখন নতুন নতুন বাজার ধরার চেষ্টা করছি। অটোমেশনের দিকে জোর দিয়েছি। কারখানার পরিবেশ উন্নত করেছি। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি গ্রিন ফ্যাক্টরি আমাদের দেশে। রানা প্লাজার ঘটনার পর আমাদের ফ্যাক্টরিগুলোর মান বিশ্বে সবার চেয়ে ভালো। পাশাপাশি আমাদের পোশাকের মানও বিশ্বের যেকোনো দেশের চেয়ে ভালো।
আজকের পত্রিকা: বিমানে পণ্য পাঠানোর জটিলতা কাটছে না কেন?
সিদ্দিকুর রহমান: এখন সমস্যা হচ্ছে ঢাকা শাহজালাল বিমানবন্দরে। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ইডিএফ মেশিন কেনার জন্য সহযোগিতা পেয়েছিলাম। তিনি চট্টগ্রাম বন্দরেও কিছু যন্ত্রপাতি কেনার অনুমোদন দিয়েছিলেন। তিনি বন্দরের কার্যক্রম ২৪ ঘণ্টা চালু রাখার কথা বলেছিলেন। এত কিছুর পরও চট্টগ্রাম বন্দরে ইডিএফ মেশিন বসেনি। ঢাকা এয়ারপোর্টে এডিএফ মেশিনসহ সবকিছু নষ্ট হয়ে গেছে। সম্প্রতি আমরা সিভিল অ্যাভিয়েশনের মন্ত্রী, সচিব ও চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তাঁরা কথা দিয়েছেন, নষ্ট ইডিএফ মেশিন সহসাই ঠিক হয়ে যাবে। সমস্যা হলো, আমরা এখন লিড টাইম রক্ষা করতে পারছি না।
আজকের পত্রিকা: পোশাক খাতে আর কী কী সমস্যা আছে?
সিদ্দিকুর রহমান: পৃথিবীতে যত এয়ারপোর্ট রয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি খরচ আমাদের এখানে। ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, চীন, ভারত সবার থেকে আমাদের এখানে মাশুল বেশি। যে ফ্রেইট আড়াই ডলার ছিল, সেটা এখন চৌদ্দ ডলার। কোনো দিন আমরা শুনিনি যে দেড় থেকে দুই হাজার ডলারের বেশি কনটেইনারের ভাড়া হতে পারে। সেটা এখন ৫-৬ হাজার ডলার। এগুলো আমাদের ভোগাচ্ছে। যদিও বিশ্বের সব জায়গায়ই ফ্রেইট বেড়েছে। তবে এখানে বেশি। আমাদের নিজস্ব জাহাজ নেই। আমাদের যেহেতু ডকইয়ার্ড আছে, সরকার যদি ৬টি জাহাজ দেয়, তাহলে আমাদের পণ্যগুলো প্রতিযোগিতামূলক খরচে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিদেশে পাঠাতে পারি। এটা সরকারের কাছে আমাদের দাবি।
তৈরি পোশাক খাতে অর্ডার (ক্রয়াদেশ) বাড়লেও দাম বাড়ছে না কেন? পণ্য পাঠানোর খরচ কমানোর উপায় কী? এসব বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন বিজিএমইএর সাবেক প্রেসিডেন্ট ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট সিদ্দিকুর রহমান। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: করোনার এই সময়ে পোশাক খাতে অর্ডার বাড়ার কারণ কী?
সিদ্দিকুর রহমান: রপ্তানি এখন একটি খাতের ওপর নির্ভরশীল। সেটা হলো, তৈরি পোশাক। এখন সত্যি সত্যি পোশাকের অর্ডার আসছে। বলা যায়, ভালো অর্ডারই আসছে। ভিয়েতনামে কারখানা বন্ধ। ভারতে দীর্ঘদিন লকডাউন ছিল। মিয়ানমারে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সেখানেও ঠিকমতো ফ্যাক্টরি চলছে না। এই সুযোগটা আমরা কিছুটা কাজে লাগাতে পারছি।
আজকের পত্রিকা: কিন্তু পোশাকের দাম বাড়ানো যাচ্ছে না কেন?
সিদ্দিকুর রহমান: এ বছর সুতার দাম বাড়তি। সুতার দাম বাড়লে কাপড়ের দামও বাড়ে। কাপড়ের দাম বাড়লে খরচ বাড়ে। ব্র্যান্ডগুলো আমাদের অর্ডার ঠিকই দিচ্ছে। এতে আমরা সবাই কাজও পাচ্ছি। কিন্তু আমাদের মুনাফা থাকছে না। কারণ, বেশির ভাগ ক্রেতা কাপড়ের বাড়তি দাম দিতে চাইছে না। তারা আগের দামেই পোশাক সরবরাহের দাবি করছে। তারপরও আমরা অর্ডার নিচ্ছি। কারণ, আমরা চাই ফ্যাক্টরিগুলো চালু থাকুক।
আজকের পত্রিকা: দাম বাড়াতে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়?
সিদ্দিকুর রহমান: আমরা পোশাকের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু সমস্যা হলো, যাদের আমরা নিয়মিত পণ্য দিই, তার কাছে হয়তো এবার একটু বেশি দাম চাইলাম। দেখা যাবে, পরের বছর সে আমার কাছে এল না, তখন আমার কী হবে? সে জন্য আমাদের সঙ্গে ক্রেতাদেরও একটা ভালো সম্পর্ক রেখে ব্যবসা করতে হয়। আজকে ব্যবসা করলাম, পরের বছর তাদের পিছে ঘুরলাম, এভাবে তো ব্যবসা হবে না। এখন আমাদের সম্পর্ক উন্নয়ন করে চলতে হবে। তবে আমাদের পণ্যের গুণগতমান ঠিক আছে। আমাদের পোর্ট না থাকা সত্ত্বেও যথাসময়ে পণ্য জাহাজীকরণ করছি।
আজকের পত্রিকা: প্রণোদনার ঋণের কিস্তি পরিশোধের কী অবস্থা?
সিদ্দিকুর রহমান: আমি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই এবং অর্থ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। তারা আমাদের সহযোগিতা করেছে। প্রণোদনা ঘোষণার পর তারা তা যথাসময়ে বাস্তবায়ন করেছে। এখন প্রণোদনা দেওয়ার পর ছয় মাস সময় দেওয়া হয়েছিল কিস্তি পরিশোধের জন্য। এরপর আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছিল। গেল সপ্তাহে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আমরা অনুরোধ জানিয়েছি, যাতে বেতনের কিস্তিটা আরও ১৮ মাস বাড়িয়ে দেয়।
আজকের পত্রিকা: পোশাক রপ্তানি বাজার টেকসই করতে কী করছেন?
সিদ্দিকুর রহমান: বাংলাদেশে মূল কাঁচামাল না থাকার পরও গভীর সমুদ্রবন্দর না থাকার পরও আমরা বিশ্বে দ্বিতীয় শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হয়েছি। এর মধ্যে ভিয়েতনাম ঢুকে গেলেও তারা এখন আমাদের পেছনে চলে গেছে। আমরা এখন নতুন নতুন বাজার ধরার চেষ্টা করছি। অটোমেশনের দিকে জোর দিয়েছি। কারখানার পরিবেশ উন্নত করেছি। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি গ্রিন ফ্যাক্টরি আমাদের দেশে। রানা প্লাজার ঘটনার পর আমাদের ফ্যাক্টরিগুলোর মান বিশ্বে সবার চেয়ে ভালো। পাশাপাশি আমাদের পোশাকের মানও বিশ্বের যেকোনো দেশের চেয়ে ভালো।
আজকের পত্রিকা: বিমানে পণ্য পাঠানোর জটিলতা কাটছে না কেন?
সিদ্দিকুর রহমান: এখন সমস্যা হচ্ছে ঢাকা শাহজালাল বিমানবন্দরে। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ইডিএফ মেশিন কেনার জন্য সহযোগিতা পেয়েছিলাম। তিনি চট্টগ্রাম বন্দরেও কিছু যন্ত্রপাতি কেনার অনুমোদন দিয়েছিলেন। তিনি বন্দরের কার্যক্রম ২৪ ঘণ্টা চালু রাখার কথা বলেছিলেন। এত কিছুর পরও চট্টগ্রাম বন্দরে ইডিএফ মেশিন বসেনি। ঢাকা এয়ারপোর্টে এডিএফ মেশিনসহ সবকিছু নষ্ট হয়ে গেছে। সম্প্রতি আমরা সিভিল অ্যাভিয়েশনের মন্ত্রী, সচিব ও চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তাঁরা কথা দিয়েছেন, নষ্ট ইডিএফ মেশিন সহসাই ঠিক হয়ে যাবে। সমস্যা হলো, আমরা এখন লিড টাইম রক্ষা করতে পারছি না।
আজকের পত্রিকা: পোশাক খাতে আর কী কী সমস্যা আছে?
সিদ্দিকুর রহমান: পৃথিবীতে যত এয়ারপোর্ট রয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি খরচ আমাদের এখানে। ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, চীন, ভারত সবার থেকে আমাদের এখানে মাশুল বেশি। যে ফ্রেইট আড়াই ডলার ছিল, সেটা এখন চৌদ্দ ডলার। কোনো দিন আমরা শুনিনি যে দেড় থেকে দুই হাজার ডলারের বেশি কনটেইনারের ভাড়া হতে পারে। সেটা এখন ৫-৬ হাজার ডলার। এগুলো আমাদের ভোগাচ্ছে। যদিও বিশ্বের সব জায়গায়ই ফ্রেইট বেড়েছে। তবে এখানে বেশি। আমাদের নিজস্ব জাহাজ নেই। আমাদের যেহেতু ডকইয়ার্ড আছে, সরকার যদি ৬টি জাহাজ দেয়, তাহলে আমাদের পণ্যগুলো প্রতিযোগিতামূলক খরচে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিদেশে পাঠাতে পারি। এটা সরকারের কাছে আমাদের দাবি।
ইউনিক গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাখাওয়াত হোসেন। পর্যটনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মনজুরুল ইসলাম।
০৩ অক্টোবর ২০২৪বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, সুফি এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কোনো বিভাজনমূলক এজেন্ডায় রাজনীতির দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহৃত না হওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা দৃঢ়ভাবে কোনো সাম্প্রদায়িক ফাঁদে আটকা পড়তে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করি। কোনোভাবেই তা হতে দেওয়া যাবে না।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪‘আমি এটাকে ঠিক রাজনৈতিক ভাবাদর্শ বলব না। আমি এটাকে বলব, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, সেটা আমার পারিবারিক শিক্ষা। আমাদের ঘরের ডাইনিং টেবিল থেকে শুরু করে যেকোনো ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পরিবারের বড়দের সাথে আমরা দ্বিমত পোষণ করতে পেরেছি। ছোট থেকে বড়, কারও কোনো কথা বা কাজ ভুল মনে হলে সেটাকে আমরা তার প্রতি স
৩১ আগস্ট ২০২৪একেক মানুষ বেছে নেন একেক পেশা। তাঁদের মধ্যে কারও কারও পেশা একটু ভিন্ন ধরনের। যেমন—মো. মুনসুর আলী ওরফে মন্টু খলিফা। বাপ-দাদার পেশাকে ভালোবেসে শিশুদের খতনা করানো বা হাজামের কাজ বেছে নিয়েছেন পেশা হিসেবে। জীবনে পার করেছেন প্রায় ৮৫ বছর। জানিয়েছেন গত ৬০ বছরে ২ লাখের বেশি শিশুর মুসলমানি বা সুন্নতে খতনা দিয়
৩০ মার্চ ২০২৪