ফারুক মেহেদী
করোনায় কেমন আছেন যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা? কেমন চলছে তাঁদের রেস্টুরেন্ট ব্যবসা? এসব বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন দেশটিতে বাংলাদেশি মালিকানাধীন রেস্টুরেন্ট খাতের অন্যতম শীর্ষ উদ্যোক্তা, চ্যানেল এস-এর চেয়ারম্যান আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: করোনা-পরবর্তী যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থা কেমন?
আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী: ব্রেক্সিটের পর একটা ধাক্কা খাওয়ার কথা ছিল। এখানে বর্তমানে সরবরাহ খাতে (সাপ্লাই সেক্টর) প্রায় ১ লাখ লরি ড্রাইভারের ঘাটতি রয়েছে। সরকার ইউরোপ থেকে ৫ হাজার আনার চিন্তা করছে। তারপরও প্রায় ৯৫ হাজার ড্রাইভারের ঘাটতি থেকে যাবে। এতে সাপ্লাই ইন্ডাস্ট্রিতে সমস্যা হচ্ছে। গেল কয়েক দিন পেট্রলপাম্পে লম্বা লাইন পড়েছে। কারণ, ড্রাইভার ঘাটতিতে জ্বালানি তেলের সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ ছাড়া করোনার কারণে ইউরোপের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্যিক চুক্তিও বিলম্বিত হয়েছে। সীমান্ত নিয়েও সমস্যা আছে। যদিও এখন করোনা পরিস্থিতি কিছুটা ভালো। তারপরও আশঙ্কা করা হচ্ছে যে শীত মৌসুমে এটা বাড়তে পারে।
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশি ব্রিটিশদের ব্যবসার খবর কী?
আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী: বাংলাদেশ থেকে একটি কনটেইনার আনতে আগে খরচ হতো ২ হাজার ৫০০ পাউন্ড। আর এখন খরচ হচ্ছে ১৮ হাজার পাউন্ড। যার ফলে বাংলাদেশি গ্রোসারি বা মুদি দোকানে একটা বড় প্রভাব পড়েছে। কারণ, খরচ বাড়ার ফলে সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ইউরোপ থেকে শাকসবজিজাতীয় যেসব পণ্য আসার কথা, সেগুলোও ঠিকমতো আসছে না। ইউরোপের বাইরে থেকে যেসব পণ্য আসত, করোনার কারণে বিলম্ব হচ্ছে বা ব্যয়বহুল হয়ে গেছে। আপনারা জানেন যে ব্রিটিশ সরকার করোনাকালে ব্যবসাকে বেশ সহায়তা দিয়েছিল। এখন এ সহায়তা সংকুচিত করা হচ্ছে। কারণ, বাজেট সীমাবদ্ধতা আছে।
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশিদের রেস্টুরেন্ট ব্যবসা কেমন চলছে?
আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী: যুক্তরাজ্যের ৯০ শতাংশ রেস্টুরেন্ট বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মানুষের মালিকানায়। করোনাকালে টেকওয়ে ব্যবসার পাশাপাশি সরকারের প্রণোদনা পাওয়ায় রেস্টুরেন্ট ব্যবসা মোটামুটি টিকে গেছে। এখন রেস্টুরেন্ট ব্যবসাটা চলছে, কিন্তু লোকজন তেমন আসছে না। তার সঙ্গে নতুন করে যোগ হচ্ছে বাড়তি ভ্যাট। ভ্যাট আগে ছিল ৫ শতাংশ। এটা এখন বাড়ানো হচ্ছে। রেস্টুরেন্ট কর্মীদের আয় থেকে একটা কর দিতে হয়। এটা আগে ছিল ১ শতাংশের নিচে, এখন তা ১ শতাংশের বেশি করা হয়েছে। একদিকে পণ্যের দাম বেড়েছে, অন্যদিকে আয়ের পরিমাণ কমেছে। আমাদের কমিউনিটি টিকে আছি, কিন্তু কষ্ট হচ্ছে। প্রায় ৭০ বছরের পুরোনো ব্রিটিশ বাংলাদেশি কমিউনিটি অনেক সহনশীল কমিউনিটি। এখানে খালি হাতে এসে, ব্যবসা-বাণিজ্য করে আজকে একটা ইন্ডাস্ট্রি নিয়ন্ত্রণ করছি। আমাদের ঘুরে দাঁড়াবার ক্ষমতা আছে।
আজকের পত্রিকা: সরকার কি আরও সহায়তা করতে পারে?
আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী: করোনায় এমন হয়েছে যে কোনো লিমিটেড কোম্পানি আবেদন করে ৫০ হাজার পাউন্ড পেয়েছে সরকারের কাছ থেকে। কিন্তু সরকারেরও অর্থের সীমাবদ্ধতা আছে। ব্রিটিশ সরকার ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। তাই তারা শক্ত অবস্থান নিচ্ছে। বিজনেস কমিউনিটি, ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স, বাংলাদেশ ক্যাটারার্স অ্যাসোসিয়েশন, মিডিয়াসহ আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছি, প্রচার করছি, জনমত গড়ে তুলছি।
আজকের পত্রিকা: আপনাদের নতুন প্রজন্ম কীভাবে এগোচ্ছে?
আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী: কমিউনিটির নতুন প্রজন্ম তাদের পেশার দিক থেকে ডাইভারসিফাইড হচ্ছে। তারা বিভিন্ন দিকে চলে যাচ্ছে। আমাদের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনায় ভালো ফলাফল করছে। এর ফলে এখন বাংলাদেশি কমিউনিটি থেকে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ফার্মাসিস্ট বের হচ্ছে। আমাদের উপমহাদেশের একটি দেশ আমাদের সামনে আছে। আশা করছি, সহসাই আমরা তাদেরও ডিঙিয়ে যাব।
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশ থেকে জনবল নেওয়ার ব্যাপারে কোনো আশার খবর আছে কি না?
আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী: বিগত ১০ বছর আমরা সংগ্রাম করছি বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কুক ও শেফ আনার জন্য। দেশে দক্ষ জনবল গড়ে তোলার জন্য উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান নেই। অথচ ভারতে হাজার হাজার প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। ১৪-১৫ বছর আগে কুক, ক্লিনারসহ বিভিন্ন খাতে লোক আনার জন্য সরকারের এক বছরের একটি কর্মসূচি ছিল। তারা এসে এক বছর পর আর ফিরে যায়নি। তারা এখন অবৈধভাবে এখানে আছে। এই সংখ্যা প্রায় ১ লাখের মতো। আমরা সরকারকে বোঝানোর চেষ্টা করছি যে তাদের যাতে বৈধতা দেওয়া হয়। এতে সরকার রাজস্ব পাবে, রেস্টুরেন্ট খাতও দক্ষ কর্মী পাবে। কিন্তু এটা এখন থমকে গেছে।
করোনায় কেমন আছেন যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা? কেমন চলছে তাঁদের রেস্টুরেন্ট ব্যবসা? এসব বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন দেশটিতে বাংলাদেশি মালিকানাধীন রেস্টুরেন্ট খাতের অন্যতম শীর্ষ উদ্যোক্তা, চ্যানেল এস-এর চেয়ারম্যান আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: করোনা-পরবর্তী যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থা কেমন?
আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী: ব্রেক্সিটের পর একটা ধাক্কা খাওয়ার কথা ছিল। এখানে বর্তমানে সরবরাহ খাতে (সাপ্লাই সেক্টর) প্রায় ১ লাখ লরি ড্রাইভারের ঘাটতি রয়েছে। সরকার ইউরোপ থেকে ৫ হাজার আনার চিন্তা করছে। তারপরও প্রায় ৯৫ হাজার ড্রাইভারের ঘাটতি থেকে যাবে। এতে সাপ্লাই ইন্ডাস্ট্রিতে সমস্যা হচ্ছে। গেল কয়েক দিন পেট্রলপাম্পে লম্বা লাইন পড়েছে। কারণ, ড্রাইভার ঘাটতিতে জ্বালানি তেলের সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ ছাড়া করোনার কারণে ইউরোপের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্যিক চুক্তিও বিলম্বিত হয়েছে। সীমান্ত নিয়েও সমস্যা আছে। যদিও এখন করোনা পরিস্থিতি কিছুটা ভালো। তারপরও আশঙ্কা করা হচ্ছে যে শীত মৌসুমে এটা বাড়তে পারে।
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশি ব্রিটিশদের ব্যবসার খবর কী?
আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী: বাংলাদেশ থেকে একটি কনটেইনার আনতে আগে খরচ হতো ২ হাজার ৫০০ পাউন্ড। আর এখন খরচ হচ্ছে ১৮ হাজার পাউন্ড। যার ফলে বাংলাদেশি গ্রোসারি বা মুদি দোকানে একটা বড় প্রভাব পড়েছে। কারণ, খরচ বাড়ার ফলে সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ইউরোপ থেকে শাকসবজিজাতীয় যেসব পণ্য আসার কথা, সেগুলোও ঠিকমতো আসছে না। ইউরোপের বাইরে থেকে যেসব পণ্য আসত, করোনার কারণে বিলম্ব হচ্ছে বা ব্যয়বহুল হয়ে গেছে। আপনারা জানেন যে ব্রিটিশ সরকার করোনাকালে ব্যবসাকে বেশ সহায়তা দিয়েছিল। এখন এ সহায়তা সংকুচিত করা হচ্ছে। কারণ, বাজেট সীমাবদ্ধতা আছে।
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশিদের রেস্টুরেন্ট ব্যবসা কেমন চলছে?
আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী: যুক্তরাজ্যের ৯০ শতাংশ রেস্টুরেন্ট বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মানুষের মালিকানায়। করোনাকালে টেকওয়ে ব্যবসার পাশাপাশি সরকারের প্রণোদনা পাওয়ায় রেস্টুরেন্ট ব্যবসা মোটামুটি টিকে গেছে। এখন রেস্টুরেন্ট ব্যবসাটা চলছে, কিন্তু লোকজন তেমন আসছে না। তার সঙ্গে নতুন করে যোগ হচ্ছে বাড়তি ভ্যাট। ভ্যাট আগে ছিল ৫ শতাংশ। এটা এখন বাড়ানো হচ্ছে। রেস্টুরেন্ট কর্মীদের আয় থেকে একটা কর দিতে হয়। এটা আগে ছিল ১ শতাংশের নিচে, এখন তা ১ শতাংশের বেশি করা হয়েছে। একদিকে পণ্যের দাম বেড়েছে, অন্যদিকে আয়ের পরিমাণ কমেছে। আমাদের কমিউনিটি টিকে আছি, কিন্তু কষ্ট হচ্ছে। প্রায় ৭০ বছরের পুরোনো ব্রিটিশ বাংলাদেশি কমিউনিটি অনেক সহনশীল কমিউনিটি। এখানে খালি হাতে এসে, ব্যবসা-বাণিজ্য করে আজকে একটা ইন্ডাস্ট্রি নিয়ন্ত্রণ করছি। আমাদের ঘুরে দাঁড়াবার ক্ষমতা আছে।
আজকের পত্রিকা: সরকার কি আরও সহায়তা করতে পারে?
আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী: করোনায় এমন হয়েছে যে কোনো লিমিটেড কোম্পানি আবেদন করে ৫০ হাজার পাউন্ড পেয়েছে সরকারের কাছ থেকে। কিন্তু সরকারেরও অর্থের সীমাবদ্ধতা আছে। ব্রিটিশ সরকার ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। তাই তারা শক্ত অবস্থান নিচ্ছে। বিজনেস কমিউনিটি, ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স, বাংলাদেশ ক্যাটারার্স অ্যাসোসিয়েশন, মিডিয়াসহ আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছি, প্রচার করছি, জনমত গড়ে তুলছি।
আজকের পত্রিকা: আপনাদের নতুন প্রজন্ম কীভাবে এগোচ্ছে?
আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী: কমিউনিটির নতুন প্রজন্ম তাদের পেশার দিক থেকে ডাইভারসিফাইড হচ্ছে। তারা বিভিন্ন দিকে চলে যাচ্ছে। আমাদের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনায় ভালো ফলাফল করছে। এর ফলে এখন বাংলাদেশি কমিউনিটি থেকে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ফার্মাসিস্ট বের হচ্ছে। আমাদের উপমহাদেশের একটি দেশ আমাদের সামনে আছে। আশা করছি, সহসাই আমরা তাদেরও ডিঙিয়ে যাব।
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশ থেকে জনবল নেওয়ার ব্যাপারে কোনো আশার খবর আছে কি না?
আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী: বিগত ১০ বছর আমরা সংগ্রাম করছি বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কুক ও শেফ আনার জন্য। দেশে দক্ষ জনবল গড়ে তোলার জন্য উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান নেই। অথচ ভারতে হাজার হাজার প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। ১৪-১৫ বছর আগে কুক, ক্লিনারসহ বিভিন্ন খাতে লোক আনার জন্য সরকারের এক বছরের একটি কর্মসূচি ছিল। তারা এসে এক বছর পর আর ফিরে যায়নি। তারা এখন অবৈধভাবে এখানে আছে। এই সংখ্যা প্রায় ১ লাখের মতো। আমরা সরকারকে বোঝানোর চেষ্টা করছি যে তাদের যাতে বৈধতা দেওয়া হয়। এতে সরকার রাজস্ব পাবে, রেস্টুরেন্ট খাতও দক্ষ কর্মী পাবে। কিন্তু এটা এখন থমকে গেছে।
ইউনিক গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাখাওয়াত হোসেন। পর্যটনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মনজুরুল ইসলাম।
০৩ অক্টোবর ২০২৪বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, সুফি এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কোনো বিভাজনমূলক এজেন্ডায় রাজনীতির দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহৃত না হওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা দৃঢ়ভাবে কোনো সাম্প্রদায়িক ফাঁদে আটকা পড়তে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করি। কোনোভাবেই তা হতে দেওয়া যাবে না।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪‘আমি এটাকে ঠিক রাজনৈতিক ভাবাদর্শ বলব না। আমি এটাকে বলব, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, সেটা আমার পারিবারিক শিক্ষা। আমাদের ঘরের ডাইনিং টেবিল থেকে শুরু করে যেকোনো ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পরিবারের বড়দের সাথে আমরা দ্বিমত পোষণ করতে পেরেছি। ছোট থেকে বড়, কারও কোনো কথা বা কাজ ভুল মনে হলে সেটাকে আমরা তার প্রতি স
৩১ আগস্ট ২০২৪একেক মানুষ বেছে নেন একেক পেশা। তাঁদের মধ্যে কারও কারও পেশা একটু ভিন্ন ধরনের। যেমন—মো. মুনসুর আলী ওরফে মন্টু খলিফা। বাপ-দাদার পেশাকে ভালোবেসে শিশুদের খতনা করানো বা হাজামের কাজ বেছে নিয়েছেন পেশা হিসেবে। জীবনে পার করেছেন প্রায় ৮৫ বছর। জানিয়েছেন গত ৬০ বছরে ২ লাখের বেশি শিশুর মুসলমানি বা সুন্নতে খতনা দিয়
৩০ মার্চ ২০২৪