ফারুক মেহেদী
পাট থেকে পরিবেশবান্ধব পলিথিন বানানোর প্রকল্পের কী অবস্থা? কেন এখনো এর ব্যাপক প্রসার হয়নি? এখানে অর্থায়ন কোনো বাধা কি না? এসব বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন পাট থেকে পরিবেশবান্ধব পলিথিনের আবিষ্কারক ও বিজেএমসির প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ড. মোবারক আহমেদ খান। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: পাট থেকে পলিথিন বানানোর উদ্যোগটা কোন পর্যায়ে আছে?
মোবারক আহমেদ খান: আমরা ইতিবাচক পথেই আছি। তেমন সমস্যা নেই। লকডাউনের কারণে একটু ধীরগতি। তারপরও এ সময়ে আমরা কাজ করে প্রায় এক টনের মতো উৎপাদন সক্ষমতা অর্জন করেছি। কিছু নতুন বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি কিনেছি। উৎপাদনের জন্য উপযোগী করেছি। উৎপাদনের জন্য আরও কিছু সহায়ক কাজ করেছি, ফলে এখন যে কেউ চাইলে নিজেরাও উৎপাদন করতে পারবে।
আজকের পত্রিকা: এত সময় পরেও এর অগ্রগতি কম কেন?
মোবারক আহমেদ খান: আমরা ২০১৬ সালে প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে এই আবিষ্কারের কথাটি বলি। পরে তখনকার পাটমন্ত্রী মির্জা আজম এটার প্রচার ও প্রসারে ব্যাপক উদ্যোগ নেন। যে কারণে আমরা দ্রুত অনেকটা পথ এগিয়ে গিয়েছিলাম। তবে লকডাউনের কারণে কিছুটা ধীরগতিতে এগিয়েছি এটা সত্য। এতে কারও হাত নেই। এ সময়ে জলবায়ু পরিবর্তনের টাকাও পেয়েছিলাম, খরচ করতে পারলাম না। পরে আরও সময় বাড়ানো হলো। তবে বলতে পারেন কারও গাফিলতি নেই।
আজকের পত্রিকা: বেসরকারি খাতে এতে কীভাবে জড়াতে পারে?
মোবারক আহমেদ খান: চাহিদা অনেক। সরকার তো তার মতো করে কাজ করছে। সরকারের বেশি কিছু করার নেই। মূলত এটা বেসরকারি খাতেরই করার কথা। তারা চাইলে যেকোনো সময় বাণিজ্যিকভাবে এটাকে সামনে নিয়ে যেতে পারে। একটি হলো তারা সরকারের সঙ্গে দেন-দরবার করে কীভাবে করবে তা ঠিক করে নিতে পারে। আরেকটি হলো, তারা বিজেএমসির সঙ্গে আলোচনা করতে পারে। এভাবে হবে কাজটা।
আজকের পত্রিকা: মূল চ্যালেঞ্জটা কী?
মোবারক আহমেদ খান: চ্যালেঞ্জ যেটা হলো, এর যন্ত্রপাতিগুলো কাস্টমাইজড করতে হয়। মূলত যারা ব্যাপক হারে উৎপাদনে যেতে চায়। বিশেষ করে ১০ বা ২০ টন বা ৫০ টন উৎপাদন করবে যারা। এখন তো আমরা ছোটখাটো একটা মানুষকে দেখানোর জন্য করছি। আমরা দেখাচ্ছি যে এভাবে মেশিন বানাতে হবে। এভাবে করলে উৎপাদন বাড়ানো যাবে ইত্যাদি। মোটকথা, যারা উৎপাদনে যাবে, তাদের বিদেশ থেকে ইঞ্জিনিয়ার এনে বা দেশের ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে মেশিনকে কাস্টমাইজড করার চ্যালেঞ্জটা নিতে হবে।
আজকের পত্রিকা: এর কাঙ্ক্ষিত প্রসার ও প্রচার হচ্ছে না কেন?
মোবারক আহমেদ খান: এটা যে একটা সম্ভাবনাময় বিজনেস মডেল, এটা বেসরকারি খাত বা দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তাদের জানাবে গণমাধ্যম। এখনো আসছে না যে তা নয়। দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ দেখাচ্ছে। অনেকে যেটা হিসাব করে তা হলো আজকে আমরা ব্যাংকঋণ নেব, ব্রেক ইভেনে আসতে সময় লাগবে এক থেকে দেড় বছর। বিদেশিরা এসে এ দেশের আমলাতন্ত্র দেখে ভয় পায়।
আজকের পত্রিকা: অর্থায়নই এর বড় সমস্যা কি না?
মোবারক আহমেদ খান: তবে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগটা আরও শক্ত হতে হবে। এরই মধ্যে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক-এডিবি আমার সঙ্গে বৈঠক করেছে। তারা খুবই ইতিবাচক। তারা ৫০০ কোটি টাকার মতো এ খাতে অর্থায়ন করতে চায়। এটা তো এডিবির কাছে কোনো টাকাই নয়! এমনকি এটা বাংলাদেশ সরকারের কাছে কিংবা অনেক ব্যবসায়ীর কাছেও এটা কোনো বড় অঙ্কের টাকা নয়।
আজকের পত্রিকা: কেন বেসরকারি খাত এতে যুক্ত হবে?
মোবারক আহমেদ খান: আমার কথা হলো এটাকে একটি সিঙ্গেল ম্যানেজমেন্টের আওতায় আনতে হবে। এটা বিজেএমসির আওতায় থাকলে হবে না। কারণ, বিজেএমসি এর পেছনে টাকা খরচ করতে ভয় পায়। এটা হয় সরকার, না হয় বেসরকারি খাত আর না হলে পিপিপির আওতায় এগিয়ে নিতে হবে। বিজেএমসির মিল-কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। কারখানার প্রচুর জায়গা আছে। জায়গার সমস্যা নেই। এখন কোনো উদ্যোক্তাকে বা বিদেশি বিনিয়োগকারী সরকারের সঙ্গে দর-কষাকষি করে এটাকে এগিয়ে নিলেই এর প্রসার হবে।
আজকের পত্রিকা: আমলাতন্ত্রই এর জন্য বাধা কি না?
বিডার সঙ্গে সভা করে বিদেশি বেশ কিছু বিনিয়োগকারী আগ্রহ প্রকাশ করেছে। পাটমন্ত্রীর সঙ্গেও সভা করেছে। তারা মনে করে সরকারকে তারা বোঝাতে পারবে না। তারা কী বোঝাতে চায় আমি জানি না। তারা আমাকেও কিছু বলেনি। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী গেল, সচিবও আসে যায়। একেকজন আসে, একেক রকম চিন্তা-ভাবনা করে চলে যায়। তাদের নতুন করে বোঝাতে হয়। চেয়ারম্যান এলে তাকেও নতুন করে সব বলতে হয়। তারা যে এর জন্য একটা ঝুঁকি নেবে এটা হয় না।
পাট থেকে পরিবেশবান্ধব পলিথিন বানানোর প্রকল্পের কী অবস্থা? কেন এখনো এর ব্যাপক প্রসার হয়নি? এখানে অর্থায়ন কোনো বাধা কি না? এসব বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন পাট থেকে পরিবেশবান্ধব পলিথিনের আবিষ্কারক ও বিজেএমসির প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ড. মোবারক আহমেদ খান। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: পাট থেকে পলিথিন বানানোর উদ্যোগটা কোন পর্যায়ে আছে?
মোবারক আহমেদ খান: আমরা ইতিবাচক পথেই আছি। তেমন সমস্যা নেই। লকডাউনের কারণে একটু ধীরগতি। তারপরও এ সময়ে আমরা কাজ করে প্রায় এক টনের মতো উৎপাদন সক্ষমতা অর্জন করেছি। কিছু নতুন বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি কিনেছি। উৎপাদনের জন্য উপযোগী করেছি। উৎপাদনের জন্য আরও কিছু সহায়ক কাজ করেছি, ফলে এখন যে কেউ চাইলে নিজেরাও উৎপাদন করতে পারবে।
আজকের পত্রিকা: এত সময় পরেও এর অগ্রগতি কম কেন?
মোবারক আহমেদ খান: আমরা ২০১৬ সালে প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে এই আবিষ্কারের কথাটি বলি। পরে তখনকার পাটমন্ত্রী মির্জা আজম এটার প্রচার ও প্রসারে ব্যাপক উদ্যোগ নেন। যে কারণে আমরা দ্রুত অনেকটা পথ এগিয়ে গিয়েছিলাম। তবে লকডাউনের কারণে কিছুটা ধীরগতিতে এগিয়েছি এটা সত্য। এতে কারও হাত নেই। এ সময়ে জলবায়ু পরিবর্তনের টাকাও পেয়েছিলাম, খরচ করতে পারলাম না। পরে আরও সময় বাড়ানো হলো। তবে বলতে পারেন কারও গাফিলতি নেই।
আজকের পত্রিকা: বেসরকারি খাতে এতে কীভাবে জড়াতে পারে?
মোবারক আহমেদ খান: চাহিদা অনেক। সরকার তো তার মতো করে কাজ করছে। সরকারের বেশি কিছু করার নেই। মূলত এটা বেসরকারি খাতেরই করার কথা। তারা চাইলে যেকোনো সময় বাণিজ্যিকভাবে এটাকে সামনে নিয়ে যেতে পারে। একটি হলো তারা সরকারের সঙ্গে দেন-দরবার করে কীভাবে করবে তা ঠিক করে নিতে পারে। আরেকটি হলো, তারা বিজেএমসির সঙ্গে আলোচনা করতে পারে। এভাবে হবে কাজটা।
আজকের পত্রিকা: মূল চ্যালেঞ্জটা কী?
মোবারক আহমেদ খান: চ্যালেঞ্জ যেটা হলো, এর যন্ত্রপাতিগুলো কাস্টমাইজড করতে হয়। মূলত যারা ব্যাপক হারে উৎপাদনে যেতে চায়। বিশেষ করে ১০ বা ২০ টন বা ৫০ টন উৎপাদন করবে যারা। এখন তো আমরা ছোটখাটো একটা মানুষকে দেখানোর জন্য করছি। আমরা দেখাচ্ছি যে এভাবে মেশিন বানাতে হবে। এভাবে করলে উৎপাদন বাড়ানো যাবে ইত্যাদি। মোটকথা, যারা উৎপাদনে যাবে, তাদের বিদেশ থেকে ইঞ্জিনিয়ার এনে বা দেশের ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে মেশিনকে কাস্টমাইজড করার চ্যালেঞ্জটা নিতে হবে।
আজকের পত্রিকা: এর কাঙ্ক্ষিত প্রসার ও প্রচার হচ্ছে না কেন?
মোবারক আহমেদ খান: এটা যে একটা সম্ভাবনাময় বিজনেস মডেল, এটা বেসরকারি খাত বা দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তাদের জানাবে গণমাধ্যম। এখনো আসছে না যে তা নয়। দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ দেখাচ্ছে। অনেকে যেটা হিসাব করে তা হলো আজকে আমরা ব্যাংকঋণ নেব, ব্রেক ইভেনে আসতে সময় লাগবে এক থেকে দেড় বছর। বিদেশিরা এসে এ দেশের আমলাতন্ত্র দেখে ভয় পায়।
আজকের পত্রিকা: অর্থায়নই এর বড় সমস্যা কি না?
মোবারক আহমেদ খান: তবে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগটা আরও শক্ত হতে হবে। এরই মধ্যে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক-এডিবি আমার সঙ্গে বৈঠক করেছে। তারা খুবই ইতিবাচক। তারা ৫০০ কোটি টাকার মতো এ খাতে অর্থায়ন করতে চায়। এটা তো এডিবির কাছে কোনো টাকাই নয়! এমনকি এটা বাংলাদেশ সরকারের কাছে কিংবা অনেক ব্যবসায়ীর কাছেও এটা কোনো বড় অঙ্কের টাকা নয়।
আজকের পত্রিকা: কেন বেসরকারি খাত এতে যুক্ত হবে?
মোবারক আহমেদ খান: আমার কথা হলো এটাকে একটি সিঙ্গেল ম্যানেজমেন্টের আওতায় আনতে হবে। এটা বিজেএমসির আওতায় থাকলে হবে না। কারণ, বিজেএমসি এর পেছনে টাকা খরচ করতে ভয় পায়। এটা হয় সরকার, না হয় বেসরকারি খাত আর না হলে পিপিপির আওতায় এগিয়ে নিতে হবে। বিজেএমসির মিল-কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। কারখানার প্রচুর জায়গা আছে। জায়গার সমস্যা নেই। এখন কোনো উদ্যোক্তাকে বা বিদেশি বিনিয়োগকারী সরকারের সঙ্গে দর-কষাকষি করে এটাকে এগিয়ে নিলেই এর প্রসার হবে।
আজকের পত্রিকা: আমলাতন্ত্রই এর জন্য বাধা কি না?
বিডার সঙ্গে সভা করে বিদেশি বেশ কিছু বিনিয়োগকারী আগ্রহ প্রকাশ করেছে। পাটমন্ত্রীর সঙ্গেও সভা করেছে। তারা মনে করে সরকারকে তারা বোঝাতে পারবে না। তারা কী বোঝাতে চায় আমি জানি না। তারা আমাকেও কিছু বলেনি। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী গেল, সচিবও আসে যায়। একেকজন আসে, একেক রকম চিন্তা-ভাবনা করে চলে যায়। তাদের নতুন করে বোঝাতে হয়। চেয়ারম্যান এলে তাকেও নতুন করে সব বলতে হয়। তারা যে এর জন্য একটা ঝুঁকি নেবে এটা হয় না।
ইউনিক গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাখাওয়াত হোসেন। পর্যটনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মনজুরুল ইসলাম।
০৩ অক্টোবর ২০২৪বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, সুফি এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কোনো বিভাজনমূলক এজেন্ডায় রাজনীতির দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহৃত না হওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা দৃঢ়ভাবে কোনো সাম্প্রদায়িক ফাঁদে আটকা পড়তে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করি। কোনোভাবেই তা হতে দেওয়া যাবে না।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪‘আমি এটাকে ঠিক রাজনৈতিক ভাবাদর্শ বলব না। আমি এটাকে বলব, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, সেটা আমার পারিবারিক শিক্ষা। আমাদের ঘরের ডাইনিং টেবিল থেকে শুরু করে যেকোনো ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পরিবারের বড়দের সাথে আমরা দ্বিমত পোষণ করতে পেরেছি। ছোট থেকে বড়, কারও কোনো কথা বা কাজ ভুল মনে হলে সেটাকে আমরা তার প্রতি স
৩১ আগস্ট ২০২৪একেক মানুষ বেছে নেন একেক পেশা। তাঁদের মধ্যে কারও কারও পেশা একটু ভিন্ন ধরনের। যেমন—মো. মুনসুর আলী ওরফে মন্টু খলিফা। বাপ-দাদার পেশাকে ভালোবেসে শিশুদের খতনা করানো বা হাজামের কাজ বেছে নিয়েছেন পেশা হিসেবে। জীবনে পার করেছেন প্রায় ৮৫ বছর। জানিয়েছেন গত ৬০ বছরে ২ লাখের বেশি শিশুর মুসলমানি বা সুন্নতে খতনা দিয়
৩০ মার্চ ২০২৪