ফারুক মেহেদী
বিশ্বের কাছে আগামীর বাংলাদেশ কতটা সম্ভাবনাময়? বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে? প্রবাসী বিনিয়োগ বাড়াতে করণীয় কী? এসব বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ কতটা সম্ভাবনাময়?
ড. এ কে আব্দুল মোমেন: আমরা কোভিডের অতিমারির সময়ে অর্থনীতিকে মোটামুটি সজীব রেখেছি। পৃথিবীতে অনিশ্চয়তা থাকলে এখানে প্রভাব পড়বে, এটাই স্বাভাবিক। আর পৃথিবীর অর্থনীতি চাঙা হলে এখানেও চাঙা হয়। প্রতিটি দেশ তাদের অর্থনীতি সচল রাখার জন্য নানান পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রণোদনা দিচ্ছে। এর ফলে অর্থনীতিতে যে মন্দাভাব, তা কেটে যাবে। আমরা এখনো খুব ভালোভাবেই অর্থনীতিটাকে সামলে চলছি। আর করোনা কমে এলে অর্থনীতি আরও এগিয়ে যাবে। তখন আমরা হব সাপ্লায়িং হাউস অব দ্য ওয়ার্ল্ড। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ প্রণোদনা দিচ্ছে, এতে তাদের অর্থনীতি ভালো হবে। চাকরির বাজার চাঙা হবে। নির্মাণযজ্ঞ চলবে। তখন আমাদের থেকে জনশক্তি নেবে তারা। আর দেশে আমরা খাদ্য নিশ্চিত করেছি। খাদ্য উৎপাদনে আমরা যেভাবে নজর দিয়েছি, ভবিষ্যতেও এ খাতে সংকট হবে না।
আজকের পত্রিকা: কোন খাতে সম্ভাবনা বেশি?
ড. এ কে আব্দুল মোমেন: আমাদের পণ্য বৈচিত্র্য বাড়াতে হবে। গার্মেন্টসের বাইরেও আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। আইটি ও ওষুধ খাত অনেক সম্ভাবনাময়। এসবে আরও জোর দিতে হবে। প্রণোদনার পরিধি অন্য খাতেও ছড়িয়ে দিতে হবে। এখন যেমন অনলাইনে কেনাকাটার বিস্তার ঘটেছে, এটাকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। আমাদের লাখো নারী-পুরুষ প্রশিক্ষণ নিয়ে যখন এ খাতে যুক্ত হয়ে যাবে, তখন বিক্রি বেড়ে যাবে। প্রণোদনার পর বিশ্বের সব দেশের মানুষের হাতেই টাকার প্রবাহ থাকবে, তারা কেনাকাটা বাড়িয়ে দেবে। আমরা সুযোগ নেব।
আজকের পত্রিকা: কিছু চ্যালেঞ্জও তো আছে?
ড. এ কে আব্দুল মোমেন: আমাদের চ্যালেঞ্জ হলো ২০১৬ সালের পর আমরা এলডিসি হিসেবে কিছু সুবিধা হারাব। আমরা চেষ্টা করছি যাতে এগুলো ধরে রাখা যায়। ওষুধে আমরা ২০৩৩ সাল পর্যন্ত সুবিধা ধরে রেখেছি। অন্য খাতের জন্যও কাজ করছি। জিএসপি প্লাস সুবিধাটা ধরতে কাজ করছি। সেখানে আমাদের কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। আরও কমপ্লায়েন্ট হতে হবে। আমাদের কারখানাগুলোতে কিছু নেতিবাচক লোক আছে। তারা দেশের ভেতরের বিষয়গুলো খুঁজে খুঁজে বিদেশিদের জানাবে। এতে বিরূপ মনোভাব তৈরি হয়। একটি মিথ্যাকে বারবার বললে, সেটিই সত্যে পরিণত হয়। এরা এটা করে। আমরা শুধু আমেরিকার সঙ্গে তুলনা করি। এটা তো যৌক্তিক নয়। কিছু এনজিও আছে। তারাও নেতিবাচক বিষয়গুলো বিদেশিদের কাছে প্রচার করে। দেশে এখন স্থিতিশীলতা রয়েছে। মানুষ কাজ করে আয় করে। এটা সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। আমার ধারণা, আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ খুব উজ্জ্বল।
আজকের পত্রিকা: বাণিজ্যযুদ্ধের সুযোগে চীনের কারখানা স্থানান্তরের সুবিধা নিতে কী করছেন?
ড. এ কে আব্দুল মোমেন: এ বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যে চীনের সঙ্গে আমরা আলাপও করেছি। চীনে জাপান, কানাডা, আমেরিকাসহ যেসব দেশের কারখানা আছে, তাদের তথ্য আমরা নিয়েছি, যোগাযোগ করেছি। এসব তথ্য আমাদের ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। আমরা পরোক্ষভাবে কাজ করছি। যত ধরনের সহায়তা লাগে আমরা দেব, তবে মূল কাজটা করতে হবে ব্যবসায়ীদের। চীনের কারখানা এখানে এলে অনেক লোকের চাকরি হবে। তা ছাড়া মিয়ানমারে অস্থিরতার কারণে অনেক ক্রেতাও এখন বাংলাদেশমুখী হচ্ছেন। আমরা মনে করি, ব্যবসায়ীরা দেশের বন্ধু। তাঁদের উৎসাহ দিতে হবে। কেউ অপরাধ করলে, কমপ্লায়েন্ট না হলে আমরা শাস্তি দেব, তবে তাঁকে হেয় করা ঠিক নয়। কাউকে এমনভাবে হেয় বা অপদস্থ করা উচিত নয়; যার ফলে বিদেশে ভুল বার্তা যায় এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীরা নিরুৎসাহিত হয়। স্থানীয় বিনিয়োগ না থাকলে, বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না।
আজকের পত্রিকা: প্রবাসীদের বিনিয়োগ বাড়াতে কী করছেন?
ড. এ কে আব্দুল মোমেন: প্রবাসীরা লাভ ও নিশ্চয়তা দেখলে বিনিয়োগ করে। আমরা দেশের উন্নয়নে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছি, তা প্রবাসীদের বলছি। আমরা বলেছি, এখানে বিনিয়োগে রিটার্ন অনেক বেশি। এমনকি যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি। এখানে পানি, বিদ্যুৎ, শ্রমিকসহ প্রায় সব ধরনের উপকরণের পেছনে খরচও কম। সস্তায় পণ্য উৎপাদন করে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা তৈরি করতে হলে বাংলাদেশ বিনিয়োগ করতে হবে। আমি আশা করি, প্রবাসী ও বিদেশিরা এখানে বিনিয়োগ করবে। আমি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দুটি বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছি। আমি মিশনগুলোকে অর্থনৈতিক কূটনীতিতে গুরুত্ব দিতে বলেছি। আর বলেছি পাবলিক ডিপ্লোমেসি বাড়াতে। এমনভাবে দেশের ভালো উদ্যোগগুলো প্রচার করা হবে যাতে বিনিয়োগকারীরা বিশ্বাস করে যে সত্যি সত্যি বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত স্থান।
বিশ্বের কাছে আগামীর বাংলাদেশ কতটা সম্ভাবনাময়? বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে? প্রবাসী বিনিয়োগ বাড়াতে করণীয় কী? এসব বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ কতটা সম্ভাবনাময়?
ড. এ কে আব্দুল মোমেন: আমরা কোভিডের অতিমারির সময়ে অর্থনীতিকে মোটামুটি সজীব রেখেছি। পৃথিবীতে অনিশ্চয়তা থাকলে এখানে প্রভাব পড়বে, এটাই স্বাভাবিক। আর পৃথিবীর অর্থনীতি চাঙা হলে এখানেও চাঙা হয়। প্রতিটি দেশ তাদের অর্থনীতি সচল রাখার জন্য নানান পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রণোদনা দিচ্ছে। এর ফলে অর্থনীতিতে যে মন্দাভাব, তা কেটে যাবে। আমরা এখনো খুব ভালোভাবেই অর্থনীতিটাকে সামলে চলছি। আর করোনা কমে এলে অর্থনীতি আরও এগিয়ে যাবে। তখন আমরা হব সাপ্লায়িং হাউস অব দ্য ওয়ার্ল্ড। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ প্রণোদনা দিচ্ছে, এতে তাদের অর্থনীতি ভালো হবে। চাকরির বাজার চাঙা হবে। নির্মাণযজ্ঞ চলবে। তখন আমাদের থেকে জনশক্তি নেবে তারা। আর দেশে আমরা খাদ্য নিশ্চিত করেছি। খাদ্য উৎপাদনে আমরা যেভাবে নজর দিয়েছি, ভবিষ্যতেও এ খাতে সংকট হবে না।
আজকের পত্রিকা: কোন খাতে সম্ভাবনা বেশি?
ড. এ কে আব্দুল মোমেন: আমাদের পণ্য বৈচিত্র্য বাড়াতে হবে। গার্মেন্টসের বাইরেও আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। আইটি ও ওষুধ খাত অনেক সম্ভাবনাময়। এসবে আরও জোর দিতে হবে। প্রণোদনার পরিধি অন্য খাতেও ছড়িয়ে দিতে হবে। এখন যেমন অনলাইনে কেনাকাটার বিস্তার ঘটেছে, এটাকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। আমাদের লাখো নারী-পুরুষ প্রশিক্ষণ নিয়ে যখন এ খাতে যুক্ত হয়ে যাবে, তখন বিক্রি বেড়ে যাবে। প্রণোদনার পর বিশ্বের সব দেশের মানুষের হাতেই টাকার প্রবাহ থাকবে, তারা কেনাকাটা বাড়িয়ে দেবে। আমরা সুযোগ নেব।
আজকের পত্রিকা: কিছু চ্যালেঞ্জও তো আছে?
ড. এ কে আব্দুল মোমেন: আমাদের চ্যালেঞ্জ হলো ২০১৬ সালের পর আমরা এলডিসি হিসেবে কিছু সুবিধা হারাব। আমরা চেষ্টা করছি যাতে এগুলো ধরে রাখা যায়। ওষুধে আমরা ২০৩৩ সাল পর্যন্ত সুবিধা ধরে রেখেছি। অন্য খাতের জন্যও কাজ করছি। জিএসপি প্লাস সুবিধাটা ধরতে কাজ করছি। সেখানে আমাদের কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। আরও কমপ্লায়েন্ট হতে হবে। আমাদের কারখানাগুলোতে কিছু নেতিবাচক লোক আছে। তারা দেশের ভেতরের বিষয়গুলো খুঁজে খুঁজে বিদেশিদের জানাবে। এতে বিরূপ মনোভাব তৈরি হয়। একটি মিথ্যাকে বারবার বললে, সেটিই সত্যে পরিণত হয়। এরা এটা করে। আমরা শুধু আমেরিকার সঙ্গে তুলনা করি। এটা তো যৌক্তিক নয়। কিছু এনজিও আছে। তারাও নেতিবাচক বিষয়গুলো বিদেশিদের কাছে প্রচার করে। দেশে এখন স্থিতিশীলতা রয়েছে। মানুষ কাজ করে আয় করে। এটা সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। আমার ধারণা, আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ খুব উজ্জ্বল।
আজকের পত্রিকা: বাণিজ্যযুদ্ধের সুযোগে চীনের কারখানা স্থানান্তরের সুবিধা নিতে কী করছেন?
ড. এ কে আব্দুল মোমেন: এ বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যে চীনের সঙ্গে আমরা আলাপও করেছি। চীনে জাপান, কানাডা, আমেরিকাসহ যেসব দেশের কারখানা আছে, তাদের তথ্য আমরা নিয়েছি, যোগাযোগ করেছি। এসব তথ্য আমাদের ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। আমরা পরোক্ষভাবে কাজ করছি। যত ধরনের সহায়তা লাগে আমরা দেব, তবে মূল কাজটা করতে হবে ব্যবসায়ীদের। চীনের কারখানা এখানে এলে অনেক লোকের চাকরি হবে। তা ছাড়া মিয়ানমারে অস্থিরতার কারণে অনেক ক্রেতাও এখন বাংলাদেশমুখী হচ্ছেন। আমরা মনে করি, ব্যবসায়ীরা দেশের বন্ধু। তাঁদের উৎসাহ দিতে হবে। কেউ অপরাধ করলে, কমপ্লায়েন্ট না হলে আমরা শাস্তি দেব, তবে তাঁকে হেয় করা ঠিক নয়। কাউকে এমনভাবে হেয় বা অপদস্থ করা উচিত নয়; যার ফলে বিদেশে ভুল বার্তা যায় এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীরা নিরুৎসাহিত হয়। স্থানীয় বিনিয়োগ না থাকলে, বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না।
আজকের পত্রিকা: প্রবাসীদের বিনিয়োগ বাড়াতে কী করছেন?
ড. এ কে আব্দুল মোমেন: প্রবাসীরা লাভ ও নিশ্চয়তা দেখলে বিনিয়োগ করে। আমরা দেশের উন্নয়নে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছি, তা প্রবাসীদের বলছি। আমরা বলেছি, এখানে বিনিয়োগে রিটার্ন অনেক বেশি। এমনকি যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি। এখানে পানি, বিদ্যুৎ, শ্রমিকসহ প্রায় সব ধরনের উপকরণের পেছনে খরচও কম। সস্তায় পণ্য উৎপাদন করে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা তৈরি করতে হলে বাংলাদেশ বিনিয়োগ করতে হবে। আমি আশা করি, প্রবাসী ও বিদেশিরা এখানে বিনিয়োগ করবে। আমি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দুটি বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছি। আমি মিশনগুলোকে অর্থনৈতিক কূটনীতিতে গুরুত্ব দিতে বলেছি। আর বলেছি পাবলিক ডিপ্লোমেসি বাড়াতে। এমনভাবে দেশের ভালো উদ্যোগগুলো প্রচার করা হবে যাতে বিনিয়োগকারীরা বিশ্বাস করে যে সত্যি সত্যি বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত স্থান।
ইউনিক গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাখাওয়াত হোসেন। পর্যটনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মনজুরুল ইসলাম।
০৩ অক্টোবর ২০২৪বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, সুফি এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কোনো বিভাজনমূলক এজেন্ডায় রাজনীতির দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহৃত না হওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা দৃঢ়ভাবে কোনো সাম্প্রদায়িক ফাঁদে আটকা পড়তে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করি। কোনোভাবেই তা হতে দেওয়া যাবে না।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪‘আমি এটাকে ঠিক রাজনৈতিক ভাবাদর্শ বলব না। আমি এটাকে বলব, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, সেটা আমার পারিবারিক শিক্ষা। আমাদের ঘরের ডাইনিং টেবিল থেকে শুরু করে যেকোনো ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পরিবারের বড়দের সাথে আমরা দ্বিমত পোষণ করতে পেরেছি। ছোট থেকে বড়, কারও কোনো কথা বা কাজ ভুল মনে হলে সেটাকে আমরা তার প্রতি স
৩১ আগস্ট ২০২৪একেক মানুষ বেছে নেন একেক পেশা। তাঁদের মধ্যে কারও কারও পেশা একটু ভিন্ন ধরনের। যেমন—মো. মুনসুর আলী ওরফে মন্টু খলিফা। বাপ-দাদার পেশাকে ভালোবেসে শিশুদের খতনা করানো বা হাজামের কাজ বেছে নিয়েছেন পেশা হিসেবে। জীবনে পার করেছেন প্রায় ৮৫ বছর। জানিয়েছেন গত ৬০ বছরে ২ লাখের বেশি শিশুর মুসলমানি বা সুন্নতে খতনা দিয়
৩০ মার্চ ২০২৪