ফারুক মেহেদী
খাদ্যপণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও রপ্তানির কী অবস্থা? এ খাতের বর্তমান সমস্যাগুলো কী? এসব বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন বনফুল গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ মোতালেব। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: আপনারা তো খাদ্যপণ্য উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত। এখন এ ব্যবসাটার কী অবস্থা?
এম এ মোতালেব: করোনায় আমাদের ব্যবসার বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে গেছে। হাজার হাজার কর্মচারীর বেতন দিতে হয়েছে। ক্ষতির কোনো শেষ নেই। আমরা নিজেরা এখন আস্তে আস্তে ক্ষতি পোষানোর চেষ্টা করছি। সরকার কিছু প্রণোদনা দিয়েছে। এটা কাজে লাগিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। তবে প্রণোদনার যে ঋণ, এর কিস্তি পরিশোধের সময়টা আরেকটু বাড়ালে আমাদের জন্য ভালো হয়। এ সময়ের মধ্যে আমরা কিছুটা শক্ত হতে পারব।
আজকের পত্রিকা: নতুন বিনিয়োগের সুযোগ কতটুকু? ভ্যাট দেওয়ায় কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না?
এম এ মোতালেব: এ মুহূর্তে নতুন বিনিয়োগ বা ব্যবসা সম্প্রসারণ কোনোভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। এখন আমাদের যা আছে, তা নিয়েই সামনে এগিয়ে যেতে চাই। এই মুহূর্তে আমাদের ট্যাক্স-ভ্যাটের ক্ষেত্রে কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া দরকার। বিশেষ করে ভ্যাট ও ট্যাক্সের হার যদি আপৎকালীন কিছু কমিয়ে দেওয়া যায়, তাহলে আমাদের ব্যবসার জন্য উপকার হয়। আগে যেভাবে আমাদের কাছ থেকে ভ্যাট-ট্যাক্স নেওয়া হতো, এখনো এভাবেই নেওয়া হচ্ছে। অথচ টানা দেড় মাস আমাদের আউটলেট বন্ধ ছিল। করোনার মধ্যে এতগুলো কর্মী নিয়ে এমনিতেই লোকসানে আছি, তার মধ্যে ভ্যাট-ট্যাক্স চাপাচাপিতে বিপদে আছি। আমাদের সমিতির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে স্থানীয় ভ্যাট কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। আমরা কিছুটা সুবিধা চাই এটা বলেছি।
আজকের পত্রিকা: আপনারা বহু দেশে পণ্য রপ্তানি করেন। রপ্তানিতে কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না?
এম এ মোতালেব: আমরা বিশ্বের প্রায় ৩২টি দেশে আমাদের পণ্য রপ্তানি করছি। বিশেষ করে আমাদের বিস্কুট, টোস্ট বিস্কুট, ড্রাই কেক, সরিষা তেল, বিভিন্ন জাতের মসলাসহ অনেক ধরনের পণ্য আমরা রপ্তানি করি। মূলত এখন কনটেইনারের অভাব চরমে পৌঁছেছে। যে কনটেইনার আমরা ৮০০ ডলারে পেতাম, সেটা এখন দুই হাজার ডলারে পাওয়া যাচ্ছে না। এটা মারাত্মকভাবে আমাদের ভোগাচ্ছে। আমাদের রপ্তানি পণ্য পাঠানো অনেক ব্যয়বহুল হয়ে যাচ্ছে। এতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। হিসাব করে দেখেন, প্রতি কনটেইনারে আমাদের কত টাকা বাড়তি দিতে হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে আছি।
আজকের পত্রিকা: খাদ্যপণ্য খাতে আর কী কী সমস্যা আছে?
এম এ মোতালেব: কনটেইনার-সংকট রপ্তানিতে একটি বাধা। এটা আমাদের দিক থেকে সমাধান হবে না। এ ব্যাপারে সরকারকেই পদক্ষেপ নিতে হবে। এ সমস্যাটা শুধু আমাদের দেশেই নয়, এ সমস্যা এখন সর্বত্র। তা ছাড়া আমাদের পণ্যের অন্যতম প্রধান কাঁচামালের মধ্যে রয়েছে দুধ, ময়দা, ডালডা, পাম অয়েল, চিনি। বর্তমানে এসব পণ্যের দাম প্রায় তিনগুণ বেড়েছে। যদিও দাম বিশ্ববাজারেও বেড়েছে। তবে বিশ্ববাজারে যতটা বেড়েছে, স্থানীয় বাজারে বেড়েছে তার চেয়ে বেশি হারে। এটা আমাদের জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দামটা আরও সহনীয় রাখা দরকার।
খাদ্যপণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও রপ্তানির কী অবস্থা? এ খাতের বর্তমান সমস্যাগুলো কী? এসব বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন বনফুল গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ মোতালেব। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: আপনারা তো খাদ্যপণ্য উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত। এখন এ ব্যবসাটার কী অবস্থা?
এম এ মোতালেব: করোনায় আমাদের ব্যবসার বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে গেছে। হাজার হাজার কর্মচারীর বেতন দিতে হয়েছে। ক্ষতির কোনো শেষ নেই। আমরা নিজেরা এখন আস্তে আস্তে ক্ষতি পোষানোর চেষ্টা করছি। সরকার কিছু প্রণোদনা দিয়েছে। এটা কাজে লাগিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। তবে প্রণোদনার যে ঋণ, এর কিস্তি পরিশোধের সময়টা আরেকটু বাড়ালে আমাদের জন্য ভালো হয়। এ সময়ের মধ্যে আমরা কিছুটা শক্ত হতে পারব।
আজকের পত্রিকা: নতুন বিনিয়োগের সুযোগ কতটুকু? ভ্যাট দেওয়ায় কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না?
এম এ মোতালেব: এ মুহূর্তে নতুন বিনিয়োগ বা ব্যবসা সম্প্রসারণ কোনোভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। এখন আমাদের যা আছে, তা নিয়েই সামনে এগিয়ে যেতে চাই। এই মুহূর্তে আমাদের ট্যাক্স-ভ্যাটের ক্ষেত্রে কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া দরকার। বিশেষ করে ভ্যাট ও ট্যাক্সের হার যদি আপৎকালীন কিছু কমিয়ে দেওয়া যায়, তাহলে আমাদের ব্যবসার জন্য উপকার হয়। আগে যেভাবে আমাদের কাছ থেকে ভ্যাট-ট্যাক্স নেওয়া হতো, এখনো এভাবেই নেওয়া হচ্ছে। অথচ টানা দেড় মাস আমাদের আউটলেট বন্ধ ছিল। করোনার মধ্যে এতগুলো কর্মী নিয়ে এমনিতেই লোকসানে আছি, তার মধ্যে ভ্যাট-ট্যাক্স চাপাচাপিতে বিপদে আছি। আমাদের সমিতির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে স্থানীয় ভ্যাট কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। আমরা কিছুটা সুবিধা চাই এটা বলেছি।
আজকের পত্রিকা: আপনারা বহু দেশে পণ্য রপ্তানি করেন। রপ্তানিতে কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না?
এম এ মোতালেব: আমরা বিশ্বের প্রায় ৩২টি দেশে আমাদের পণ্য রপ্তানি করছি। বিশেষ করে আমাদের বিস্কুট, টোস্ট বিস্কুট, ড্রাই কেক, সরিষা তেল, বিভিন্ন জাতের মসলাসহ অনেক ধরনের পণ্য আমরা রপ্তানি করি। মূলত এখন কনটেইনারের অভাব চরমে পৌঁছেছে। যে কনটেইনার আমরা ৮০০ ডলারে পেতাম, সেটা এখন দুই হাজার ডলারে পাওয়া যাচ্ছে না। এটা মারাত্মকভাবে আমাদের ভোগাচ্ছে। আমাদের রপ্তানি পণ্য পাঠানো অনেক ব্যয়বহুল হয়ে যাচ্ছে। এতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। হিসাব করে দেখেন, প্রতি কনটেইনারে আমাদের কত টাকা বাড়তি দিতে হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে আছি।
আজকের পত্রিকা: খাদ্যপণ্য খাতে আর কী কী সমস্যা আছে?
এম এ মোতালেব: কনটেইনার-সংকট রপ্তানিতে একটি বাধা। এটা আমাদের দিক থেকে সমাধান হবে না। এ ব্যাপারে সরকারকেই পদক্ষেপ নিতে হবে। এ সমস্যাটা শুধু আমাদের দেশেই নয়, এ সমস্যা এখন সর্বত্র। তা ছাড়া আমাদের পণ্যের অন্যতম প্রধান কাঁচামালের মধ্যে রয়েছে দুধ, ময়দা, ডালডা, পাম অয়েল, চিনি। বর্তমানে এসব পণ্যের দাম প্রায় তিনগুণ বেড়েছে। যদিও দাম বিশ্ববাজারেও বেড়েছে। তবে বিশ্ববাজারে যতটা বেড়েছে, স্থানীয় বাজারে বেড়েছে তার চেয়ে বেশি হারে। এটা আমাদের জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দামটা আরও সহনীয় রাখা দরকার।
ইউনিক গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাখাওয়াত হোসেন। পর্যটনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মনজুরুল ইসলাম।
০৩ অক্টোবর ২০২৪বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, সুফি এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কোনো বিভাজনমূলক এজেন্ডায় রাজনীতির দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহৃত না হওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা দৃঢ়ভাবে কোনো সাম্প্রদায়িক ফাঁদে আটকা পড়তে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করি। কোনোভাবেই তা হতে দেওয়া যাবে না।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪‘আমি এটাকে ঠিক রাজনৈতিক ভাবাদর্শ বলব না। আমি এটাকে বলব, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, সেটা আমার পারিবারিক শিক্ষা। আমাদের ঘরের ডাইনিং টেবিল থেকে শুরু করে যেকোনো ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পরিবারের বড়দের সাথে আমরা দ্বিমত পোষণ করতে পেরেছি। ছোট থেকে বড়, কারও কোনো কথা বা কাজ ভুল মনে হলে সেটাকে আমরা তার প্রতি স
৩১ আগস্ট ২০২৪একেক মানুষ বেছে নেন একেক পেশা। তাঁদের মধ্যে কারও কারও পেশা একটু ভিন্ন ধরনের। যেমন—মো. মুনসুর আলী ওরফে মন্টু খলিফা। বাপ-দাদার পেশাকে ভালোবেসে শিশুদের খতনা করানো বা হাজামের কাজ বেছে নিয়েছেন পেশা হিসেবে। জীবনে পার করেছেন প্রায় ৮৫ বছর। জানিয়েছেন গত ৬০ বছরে ২ লাখের বেশি শিশুর মুসলমানি বা সুন্নতে খতনা দিয়
৩০ মার্চ ২০২৪