ফারুক মেহেদী
ঢাকা শহরের যানজট কমাতে নেওয়া প্রকল্পের বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন ডিটিসিএর সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও বর্তমানে ঢাকার বাস রুট রেসনালাইজেশন প্রকল্পের কনসালট্যান্ট ও পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এস এম সালেহউদ্দিন আহমেদ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: আপনি দীর্ঘদিন সরকারের পরিবহন খাত নিয়ে কাজ করেছেন। রাজধানী ঢাকায় কেন এত যানজট?
ড. এস এম সালেহউদ্দিন আহমেদ: মূলত স্বাধীনতার ৪০ বছর পর সরকার পরিবহন খাত নিয়ে সত্যিকার চিন্তাভাবনা শুরু করে। ঢাকায় মানুষের ঘনত্ব অনেক। এখানে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৪৫ হাজার মানুষ বাস করে। সুতরাং চাহিদা অনুযায়ী যানবাহন চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত সড়ক নেই। ফলে জড়িত স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সমন্বয় না থাকায় এ খাতের উন্নয়নে কিছু করার উদ্যোগ নিলেই যানজটসহ শহরে বিরাট বিশৃঙ্খলা শুরু হয়ে যায়। গাড়ি চলতে পারে না। অর্থাৎ অপরিকল্পিতভাবে ঢাকা শহরের রাস্তাঘাটগুলো করা হয়েছে।
আজকের পত্রিকা: এ জন্য আপনারা কী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন? এতেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি কেন?
ড. এস এম সালেহউদ্দিন আহমেদ: দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ দিয়ে বেশ কয়েকটি জরিপ করে যেসব পরামর্শ দিয়েছিলাম, সেগুলো ঠিকমতো বাস্তবায়ন হয়নি। উল্টো নিজেদের মতো কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। সার্ভেতে মানুষের হাঁটার পথ বা ফুটপাতের কথা বলেছিলাম। সেটা ঠিকমতো হয়নি। হিসাবমতে, ঢাকায় সাত হাজার বাস চলার কথা। চলছে পাঁচ হাজার। কারণ, মানুষের হাঁটার কোনো রাস্তা নেই। যারা বাস চালায় তারা প্রয়োজনীয়সংখ্যক ট্রিপ দিতে পারছে না। এ জায়গাটা দখল করেছে লেগুনাসহ ছোট ছোট গাড়ি। এর ফলে যানজটের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। বাস চলাচল শৃঙ্খলার মধ্যে নেই।
আজকের পত্রিকা: পরিবহনব্যবস্থার আধুনিকায়নে নতুন প্রকল্প নিয়ে কাজ হচ্ছে। এর অগ্রগতি কেমন?
ড. এস এম সালেহউদ্দিন আহমেদ: প্রকল্পটা অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছি। এখন বাস্তবায়নের দিকে যাচ্ছি। রাজধানীতে তিন শর ওপরে কোম্পানি আছে। রুট আছে ২৬০টির মতো। এগুলো বিন্যস্ত করে শ্রমিক ও মালিকদের সঙ্গে বসে, তাদের দাবি-দাওয়া সমন্বয় করে ২২টি কোম্পানি এবং ৪০-৪৫টির মতো রুট নির্দিষ্ট করেছি। রুট এবং কোম্পানিকে বিশেষ ক্ষেত্রে মার্জ করেছি। গাড়ি ও টিকিটের ক্ষেত্রেও সহজীকরণ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে আমরা ৯টি ক্লাস্টার করেছি। ঢাকার বাইরে থেকে যারা আসবে, তাদের জন্য ঢাকার প্রবেশমুখে ৮টি টার্মিনাল করা হবে। সম্ভাব্যতা যাচাই শেষ হয়েছে। এটা বাস্তবায়ন হয়ে গেলে বাস যাতায়াত একটা শৃঙ্খলার মধ্যে চলে আসবে।
আজকের পত্রিকা: কবে নাগাদ এটি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে?
ড. এস এম সালেহউদ্দিন আহমেদ: বিদ্যমান সিস্টেমটাকে একটা শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে সবকিছুতে একটা সমন্বয় করতে হচ্ছে। স্টপেজ, বে নির্মাণ করতে হচ্ছে। এগুলো না করে তো চালু করা যাবে না। তাই আমরা প্রকৃত প্রস্তুতি নিয়েই তা চালুর জন্য কাজ করছি। আমরা পুরোনো মিনিবাস তুলে দেব। এখানে মানসম্পন্ন বাস দেওয়া হবে। রং থেকে শুরু করে ভেতরে সিটিংব্যবস্থাও অনেক আধুনিক ও রুচিশীল হবে।
আজকের পত্রিকা: বাসের আধুনিকায়ন, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের অর্থায়নটা কীভাবে হবে?
ড. এস এম সালেহউদ্দিন আহমেদ: বাসমালিকেরা তো টাকা ছাড়া কিছু করবে না। তাই আমরা এক শ কোটি টাকার তহবিল করছি। এখান থেকে বাসমালিকদের টাকা দেওয়া হবে, যাতে তারা তাদের বাসগুলো মানসম্পন্ন করে তুলতে পারে। টার্মিনাল লাগবে। এ জন্য জায়গা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। কাজ এগিয়ে চলছে। জরিপ করে জায়গাগুলো ঠিক করা হবে।
আজকের পত্রিকা: টিকিটিং সিস্টেমটা কেমন হবে?
ড. এস এম সালেহউদ্দিন আহমেদ: টিকিট বুথ হবে আধুনিক। টিকিটিংয়ের টাকা বাসমালিকরা পাবে না। এটা সরাসরি চলে যাবে সরকারের হাতে। আর সরকার তাদের টাকা দেবে কিলোমিটার হিসাব করে। গাড়ি কত কিলোমিটার চলল, তার ওপর তারা টাকা পাবে। গাড়ি তাকে চালাতেই হবে। কারণ, এটা দেখভালের জন্য একটি কোম্পানি গঠিত হবে। এ কোম্পানিই তাদের সবকিছু দেখাশোনা করবে।
আজকের পত্রিকা: এতে কি যানজট কমবে?
ড. এস এম সালেহউদ্দিন আহমেদ: এতে যানজট অনেকাংশে কমে যাবে। মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে এসব নিয়ে আমরা বহু মিটিং করেছি। তিন হাজারের বেশি বাসমালিক আছে ঢাকা শহরে। তারা বিদেশ থেকে ২৭-২৮ শতাংশ শুল্ক দিয়ে বাস আমদানি করে। আমরা তাদের শুল্ক কমিয়ে বাস আনার উদ্যোগ নিয়েছি। মোটাদাগে বলা যায়, একটি সুন্দর পরিবহনব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজ এগিয়ে চলছে।
ঢাকা শহরের যানজট কমাতে নেওয়া প্রকল্পের বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন ডিটিসিএর সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও বর্তমানে ঢাকার বাস রুট রেসনালাইজেশন প্রকল্পের কনসালট্যান্ট ও পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এস এম সালেহউদ্দিন আহমেদ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: আপনি দীর্ঘদিন সরকারের পরিবহন খাত নিয়ে কাজ করেছেন। রাজধানী ঢাকায় কেন এত যানজট?
ড. এস এম সালেহউদ্দিন আহমেদ: মূলত স্বাধীনতার ৪০ বছর পর সরকার পরিবহন খাত নিয়ে সত্যিকার চিন্তাভাবনা শুরু করে। ঢাকায় মানুষের ঘনত্ব অনেক। এখানে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৪৫ হাজার মানুষ বাস করে। সুতরাং চাহিদা অনুযায়ী যানবাহন চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত সড়ক নেই। ফলে জড়িত স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সমন্বয় না থাকায় এ খাতের উন্নয়নে কিছু করার উদ্যোগ নিলেই যানজটসহ শহরে বিরাট বিশৃঙ্খলা শুরু হয়ে যায়। গাড়ি চলতে পারে না। অর্থাৎ অপরিকল্পিতভাবে ঢাকা শহরের রাস্তাঘাটগুলো করা হয়েছে।
আজকের পত্রিকা: এ জন্য আপনারা কী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন? এতেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি কেন?
ড. এস এম সালেহউদ্দিন আহমেদ: দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ দিয়ে বেশ কয়েকটি জরিপ করে যেসব পরামর্শ দিয়েছিলাম, সেগুলো ঠিকমতো বাস্তবায়ন হয়নি। উল্টো নিজেদের মতো কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। সার্ভেতে মানুষের হাঁটার পথ বা ফুটপাতের কথা বলেছিলাম। সেটা ঠিকমতো হয়নি। হিসাবমতে, ঢাকায় সাত হাজার বাস চলার কথা। চলছে পাঁচ হাজার। কারণ, মানুষের হাঁটার কোনো রাস্তা নেই। যারা বাস চালায় তারা প্রয়োজনীয়সংখ্যক ট্রিপ দিতে পারছে না। এ জায়গাটা দখল করেছে লেগুনাসহ ছোট ছোট গাড়ি। এর ফলে যানজটের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। বাস চলাচল শৃঙ্খলার মধ্যে নেই।
আজকের পত্রিকা: পরিবহনব্যবস্থার আধুনিকায়নে নতুন প্রকল্প নিয়ে কাজ হচ্ছে। এর অগ্রগতি কেমন?
ড. এস এম সালেহউদ্দিন আহমেদ: প্রকল্পটা অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছি। এখন বাস্তবায়নের দিকে যাচ্ছি। রাজধানীতে তিন শর ওপরে কোম্পানি আছে। রুট আছে ২৬০টির মতো। এগুলো বিন্যস্ত করে শ্রমিক ও মালিকদের সঙ্গে বসে, তাদের দাবি-দাওয়া সমন্বয় করে ২২টি কোম্পানি এবং ৪০-৪৫টির মতো রুট নির্দিষ্ট করেছি। রুট এবং কোম্পানিকে বিশেষ ক্ষেত্রে মার্জ করেছি। গাড়ি ও টিকিটের ক্ষেত্রেও সহজীকরণ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে আমরা ৯টি ক্লাস্টার করেছি। ঢাকার বাইরে থেকে যারা আসবে, তাদের জন্য ঢাকার প্রবেশমুখে ৮টি টার্মিনাল করা হবে। সম্ভাব্যতা যাচাই শেষ হয়েছে। এটা বাস্তবায়ন হয়ে গেলে বাস যাতায়াত একটা শৃঙ্খলার মধ্যে চলে আসবে।
আজকের পত্রিকা: কবে নাগাদ এটি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে?
ড. এস এম সালেহউদ্দিন আহমেদ: বিদ্যমান সিস্টেমটাকে একটা শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে সবকিছুতে একটা সমন্বয় করতে হচ্ছে। স্টপেজ, বে নির্মাণ করতে হচ্ছে। এগুলো না করে তো চালু করা যাবে না। তাই আমরা প্রকৃত প্রস্তুতি নিয়েই তা চালুর জন্য কাজ করছি। আমরা পুরোনো মিনিবাস তুলে দেব। এখানে মানসম্পন্ন বাস দেওয়া হবে। রং থেকে শুরু করে ভেতরে সিটিংব্যবস্থাও অনেক আধুনিক ও রুচিশীল হবে।
আজকের পত্রিকা: বাসের আধুনিকায়ন, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের অর্থায়নটা কীভাবে হবে?
ড. এস এম সালেহউদ্দিন আহমেদ: বাসমালিকেরা তো টাকা ছাড়া কিছু করবে না। তাই আমরা এক শ কোটি টাকার তহবিল করছি। এখান থেকে বাসমালিকদের টাকা দেওয়া হবে, যাতে তারা তাদের বাসগুলো মানসম্পন্ন করে তুলতে পারে। টার্মিনাল লাগবে। এ জন্য জায়গা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। কাজ এগিয়ে চলছে। জরিপ করে জায়গাগুলো ঠিক করা হবে।
আজকের পত্রিকা: টিকিটিং সিস্টেমটা কেমন হবে?
ড. এস এম সালেহউদ্দিন আহমেদ: টিকিট বুথ হবে আধুনিক। টিকিটিংয়ের টাকা বাসমালিকরা পাবে না। এটা সরাসরি চলে যাবে সরকারের হাতে। আর সরকার তাদের টাকা দেবে কিলোমিটার হিসাব করে। গাড়ি কত কিলোমিটার চলল, তার ওপর তারা টাকা পাবে। গাড়ি তাকে চালাতেই হবে। কারণ, এটা দেখভালের জন্য একটি কোম্পানি গঠিত হবে। এ কোম্পানিই তাদের সবকিছু দেখাশোনা করবে।
আজকের পত্রিকা: এতে কি যানজট কমবে?
ড. এস এম সালেহউদ্দিন আহমেদ: এতে যানজট অনেকাংশে কমে যাবে। মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে এসব নিয়ে আমরা বহু মিটিং করেছি। তিন হাজারের বেশি বাসমালিক আছে ঢাকা শহরে। তারা বিদেশ থেকে ২৭-২৮ শতাংশ শুল্ক দিয়ে বাস আমদানি করে। আমরা তাদের শুল্ক কমিয়ে বাস আনার উদ্যোগ নিয়েছি। মোটাদাগে বলা যায়, একটি সুন্দর পরিবহনব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজ এগিয়ে চলছে।
ইউনিক গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাখাওয়াত হোসেন। পর্যটনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মনজুরুল ইসলাম।
০৩ অক্টোবর ২০২৪বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, সুফি এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কোনো বিভাজনমূলক এজেন্ডায় রাজনীতির দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহৃত না হওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা দৃঢ়ভাবে কোনো সাম্প্রদায়িক ফাঁদে আটকা পড়তে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করি। কোনোভাবেই তা হতে দেওয়া যাবে না।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪‘আমি এটাকে ঠিক রাজনৈতিক ভাবাদর্শ বলব না। আমি এটাকে বলব, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, সেটা আমার পারিবারিক শিক্ষা। আমাদের ঘরের ডাইনিং টেবিল থেকে শুরু করে যেকোনো ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পরিবারের বড়দের সাথে আমরা দ্বিমত পোষণ করতে পেরেছি। ছোট থেকে বড়, কারও কোনো কথা বা কাজ ভুল মনে হলে সেটাকে আমরা তার প্রতি স
৩১ আগস্ট ২০২৪একেক মানুষ বেছে নেন একেক পেশা। তাঁদের মধ্যে কারও কারও পেশা একটু ভিন্ন ধরনের। যেমন—মো. মুনসুর আলী ওরফে মন্টু খলিফা। বাপ-দাদার পেশাকে ভালোবেসে শিশুদের খতনা করানো বা হাজামের কাজ বেছে নিয়েছেন পেশা হিসেবে। জীবনে পার করেছেন প্রায় ৮৫ বছর। জানিয়েছেন গত ৬০ বছরে ২ লাখের বেশি শিশুর মুসলমানি বা সুন্নতে খতনা দিয়
৩০ মার্চ ২০২৪