ফারুক মেহেদী
করোনাকালে ই-কমার্স খাত কেমন ব্যবসা করল? সবাই কেন ডিজিটাল সেবার সুবিধা নিতে পারছে না? ই-কমার্স খাতে শৃঙ্খলা আসবে কি না? এ খাতে কী কী চ্যালেঞ্জ আছে? এসব নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন বেসিসের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আলমাস কবির। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: লকডাউনে ইকমার্স ও ডিজিটাল খাতে ভালো ব্যবসা হয়েছে। বাস্তবচিত্রটা কেমন?
সৈয়দ আলমাস কবির: তুলনামূলকভাবে আইসিটি ও ইকমার্স খাত হয়তো একটু ভালো আছে। তবে সব ধরনের ইকমার্স প্ল্যাটফর্ম ঠিকমতো উঠে আসতে পারেনি। আস্তে আস্তে করছে। যাঁরা খাবার-দাবার, শাকসবজি নিয়ে কাজ করেন, তাঁদের চাহিদা বেশ ভালো ছিল। যাঁরা ডিজিটাল কমার্সের অন্য ব্যবসা করেছেন, তাঁরাও ভালো করেছেন। তাঁদের অনেকে গ্রোসারি আইটেম শুরু করেছেন। আর যাঁরা ওষুধের ব্যবসা করছেন, তাঁরাও ভালো আছেন। সব মিলিয়ে বলা যায়, গেল এক-দেড় বছরে এ ব্যবসাটা বেশ ভালো চলেছে।
আজকের পত্রিকা: এ সময়ে সবাই কি সমানভাবে ডিজিটাল সুবিধা নিতে পেরেছেন?
সৈয়দ আলমাস কবির: আমাদের মৌলিক একটা অবকাঠামো ছিল বলেই আমরা এই লকডাউনের মধ্যেও আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও জীবনযাত্রা চালিয়ে গেছি। মিটিং করা থেকে শুরু করে ক্লাসরুম, আদালত, অনলাইনে কেনাকাটা সবকিছুই করেছি। সুতরাং ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফলই এটা–এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। তবে এখানে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে–সেটা হলো ডিজিটাল ডিভাইড। গ্রামের সঙ্গে শহরের ডিজিটাল ডিভাইডটা বেশি বোঝা গেছে যখন অনলাইন ক্লাসরুম শুরু হলো। গ্রামের তারা পুরো সুবিধাটি নিতে পারেনি। স্পিডসহ নানা রকম সমস্যা ছিল। এ সমস্যার দ্রুতই সমাধান করতে হবে–এটাই এখন আমাদের ভাবনার বিষয়।
আজকের পত্রিকা: এখনো এ খাতের দুর্বলতাগুলো কী কী?
সৈয়দ আলমাস কবির: অবকাঠামো তো সরকারকেই তৈরি করতে হবে বা সরকারের নীতির ওপর নির্ভর করবে। যদিও ইনফো সরকার-৩-এর মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যায়ে ফাইবার অপটিক নিয়ে গেছে।
তবে শুধু নিয়ে গেলেই তো হবে না। এটা আরও বিস্তৃত পরিসরে ছড়িয়ে দিতে হবে। সেটা কেবল বা ওয়াইফাই দিয়ে হোক–সবার কাছে পৌঁছাতে হবে। সেটা এখন পর্যন্ত হয়নি। আর সম্প্রতি সরকার যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ‘এক দেশ এক রেট’ বেঁধে দিয়েছে–এটা খুব ভালো হয়েছে। এটার যথাযথ নজরদারি ও বাস্তবায়নটা জরুরি। আর আমরা শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বাড়ানোর কাজটা করে যাচ্ছি।
আজকের পত্রিকা: ইকমার্স খাতে কিছু অনিয়ম-বিশৃঙ্খলা আমরা দেখলাম। এর প্রতিকার কী?
সৈয়দ আলমাস কবির: ইকমার্স খাতে সম্প্রতি কিছু বিশৃঙ্খলা ছিল। সেটাকে ঠিক করার জন্য সরকার এর মধ্যেই একটি ডিজিটাল ইকমার্স নির্দেশনা জারি করেছে। এটা আমাদের সঙ্গে আলাপ করে করা হয়েছে। এখানে বেশ ভালো এবং গ্রহণযোগ্য কিছু পরিচালন নীতিমালা সংযোজন করা হয়েছে। কত দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি করতে হবে, কী কী সে করতে পারবে, কী পারবে না ইত্যাদি। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, এটা ঠিকমতো বাস্তবায়ন করা, জড়িত স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে এর সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করা যায়। এতে গ্রাহকের মনে আস্থা তৈরি হবে। ডিজিটাল ইকমার্সের সবচেয়ে বড় শর্ত হলো আস্থা।
আজকের পত্রিকা: বিদ্যমান আইসিটি শিক্ষাব্যবস্থা কতটা বাস্তবধর্মী?
সৈয়দ আলমাস কবির: আইসিটি খাতে দক্ষ জনসম্পদের অভাব রয়েছে। এখানে বছরে ২২ হাজার ছেলেমেয়ে কম্পিউটার পড়ে বের হয়। এদের মধ্যে প্রায় সবারই জ্ঞান আছে; কিন্তু দক্ষতা নেই। তাদের প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এতে সময় নষ্ট হচ্ছে। এ জন্য আমরা বলছি, তাদের অ্যাকাডেমিক বিষয়ের সঙ্গে যদি প্রশিক্ষণটা যুক্ত করে দেওয়া যায়, তাহলে তার আর প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয় না। সরাসরি চাকরিতে ঢুকে যেতে পারে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এগিয়ে এসেছে। কিন্তু বড় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নানান কারণে করতে পারছে না বা করছে না। এটা দরকার।
আজকের পত্রিকা: এ খাতে দক্ষ জনবল তৈরি ও আইসিটি অবকাঠামোর চিত্রটা কেমন?
সৈয়দ আলমাস কবির: দেশে প্রায় ১০ লাখ আইটি প্রফেশনাল রয়েছে। আগামী তিন বছরের মধ্যে এটা ২০ লাখে উন্নীত করতে হবে। আমরা যে গতিতে ছুটতে চাই, তার জন্য এটাকে দ্বিগুণ করতে হবে। আর দরকার ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট অবকাঠামো। আমরা বলি যে, আমাদের সাড়ে ১০ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী আছে। এদের ৯০ বা ৯৫ শতাংশই হলো মোবাইল ফোনভিত্তিক ব্যবহারকারী। এটা দিয়ে আইসিটি খাত এগিয়ে নেওয়া যাবে না। আমাদের হাই-টেক পার্ক ও সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের কাজ তাড়াতাড়ি শেষ করা দরকার। তাহলে স্থানীয়ভাবে অনেক কার্যক্রম শুরু হবে।
করোনাকালে ই-কমার্স খাত কেমন ব্যবসা করল? সবাই কেন ডিজিটাল সেবার সুবিধা নিতে পারছে না? ই-কমার্স খাতে শৃঙ্খলা আসবে কি না? এ খাতে কী কী চ্যালেঞ্জ আছে? এসব নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন বেসিসের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আলমাস কবির। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: লকডাউনে ইকমার্স ও ডিজিটাল খাতে ভালো ব্যবসা হয়েছে। বাস্তবচিত্রটা কেমন?
সৈয়দ আলমাস কবির: তুলনামূলকভাবে আইসিটি ও ইকমার্স খাত হয়তো একটু ভালো আছে। তবে সব ধরনের ইকমার্স প্ল্যাটফর্ম ঠিকমতো উঠে আসতে পারেনি। আস্তে আস্তে করছে। যাঁরা খাবার-দাবার, শাকসবজি নিয়ে কাজ করেন, তাঁদের চাহিদা বেশ ভালো ছিল। যাঁরা ডিজিটাল কমার্সের অন্য ব্যবসা করেছেন, তাঁরাও ভালো করেছেন। তাঁদের অনেকে গ্রোসারি আইটেম শুরু করেছেন। আর যাঁরা ওষুধের ব্যবসা করছেন, তাঁরাও ভালো আছেন। সব মিলিয়ে বলা যায়, গেল এক-দেড় বছরে এ ব্যবসাটা বেশ ভালো চলেছে।
আজকের পত্রিকা: এ সময়ে সবাই কি সমানভাবে ডিজিটাল সুবিধা নিতে পেরেছেন?
সৈয়দ আলমাস কবির: আমাদের মৌলিক একটা অবকাঠামো ছিল বলেই আমরা এই লকডাউনের মধ্যেও আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও জীবনযাত্রা চালিয়ে গেছি। মিটিং করা থেকে শুরু করে ক্লাসরুম, আদালত, অনলাইনে কেনাকাটা সবকিছুই করেছি। সুতরাং ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফলই এটা–এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। তবে এখানে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে–সেটা হলো ডিজিটাল ডিভাইড। গ্রামের সঙ্গে শহরের ডিজিটাল ডিভাইডটা বেশি বোঝা গেছে যখন অনলাইন ক্লাসরুম শুরু হলো। গ্রামের তারা পুরো সুবিধাটি নিতে পারেনি। স্পিডসহ নানা রকম সমস্যা ছিল। এ সমস্যার দ্রুতই সমাধান করতে হবে–এটাই এখন আমাদের ভাবনার বিষয়।
আজকের পত্রিকা: এখনো এ খাতের দুর্বলতাগুলো কী কী?
সৈয়দ আলমাস কবির: অবকাঠামো তো সরকারকেই তৈরি করতে হবে বা সরকারের নীতির ওপর নির্ভর করবে। যদিও ইনফো সরকার-৩-এর মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যায়ে ফাইবার অপটিক নিয়ে গেছে।
তবে শুধু নিয়ে গেলেই তো হবে না। এটা আরও বিস্তৃত পরিসরে ছড়িয়ে দিতে হবে। সেটা কেবল বা ওয়াইফাই দিয়ে হোক–সবার কাছে পৌঁছাতে হবে। সেটা এখন পর্যন্ত হয়নি। আর সম্প্রতি সরকার যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ‘এক দেশ এক রেট’ বেঁধে দিয়েছে–এটা খুব ভালো হয়েছে। এটার যথাযথ নজরদারি ও বাস্তবায়নটা জরুরি। আর আমরা শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বাড়ানোর কাজটা করে যাচ্ছি।
আজকের পত্রিকা: ইকমার্স খাতে কিছু অনিয়ম-বিশৃঙ্খলা আমরা দেখলাম। এর প্রতিকার কী?
সৈয়দ আলমাস কবির: ইকমার্স খাতে সম্প্রতি কিছু বিশৃঙ্খলা ছিল। সেটাকে ঠিক করার জন্য সরকার এর মধ্যেই একটি ডিজিটাল ইকমার্স নির্দেশনা জারি করেছে। এটা আমাদের সঙ্গে আলাপ করে করা হয়েছে। এখানে বেশ ভালো এবং গ্রহণযোগ্য কিছু পরিচালন নীতিমালা সংযোজন করা হয়েছে। কত দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি করতে হবে, কী কী সে করতে পারবে, কী পারবে না ইত্যাদি। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, এটা ঠিকমতো বাস্তবায়ন করা, জড়িত স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে এর সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করা যায়। এতে গ্রাহকের মনে আস্থা তৈরি হবে। ডিজিটাল ইকমার্সের সবচেয়ে বড় শর্ত হলো আস্থা।
আজকের পত্রিকা: বিদ্যমান আইসিটি শিক্ষাব্যবস্থা কতটা বাস্তবধর্মী?
সৈয়দ আলমাস কবির: আইসিটি খাতে দক্ষ জনসম্পদের অভাব রয়েছে। এখানে বছরে ২২ হাজার ছেলেমেয়ে কম্পিউটার পড়ে বের হয়। এদের মধ্যে প্রায় সবারই জ্ঞান আছে; কিন্তু দক্ষতা নেই। তাদের প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এতে সময় নষ্ট হচ্ছে। এ জন্য আমরা বলছি, তাদের অ্যাকাডেমিক বিষয়ের সঙ্গে যদি প্রশিক্ষণটা যুক্ত করে দেওয়া যায়, তাহলে তার আর প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয় না। সরাসরি চাকরিতে ঢুকে যেতে পারে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এগিয়ে এসেছে। কিন্তু বড় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নানান কারণে করতে পারছে না বা করছে না। এটা দরকার।
আজকের পত্রিকা: এ খাতে দক্ষ জনবল তৈরি ও আইসিটি অবকাঠামোর চিত্রটা কেমন?
সৈয়দ আলমাস কবির: দেশে প্রায় ১০ লাখ আইটি প্রফেশনাল রয়েছে। আগামী তিন বছরের মধ্যে এটা ২০ লাখে উন্নীত করতে হবে। আমরা যে গতিতে ছুটতে চাই, তার জন্য এটাকে দ্বিগুণ করতে হবে। আর দরকার ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট অবকাঠামো। আমরা বলি যে, আমাদের সাড়ে ১০ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী আছে। এদের ৯০ বা ৯৫ শতাংশই হলো মোবাইল ফোনভিত্তিক ব্যবহারকারী। এটা দিয়ে আইসিটি খাত এগিয়ে নেওয়া যাবে না। আমাদের হাই-টেক পার্ক ও সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের কাজ তাড়াতাড়ি শেষ করা দরকার। তাহলে স্থানীয়ভাবে অনেক কার্যক্রম শুরু হবে।
ইউনিক গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাখাওয়াত হোসেন। পর্যটনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মনজুরুল ইসলাম।
০৩ অক্টোবর ২০২৪বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, সুফি এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কোনো বিভাজনমূলক এজেন্ডায় রাজনীতির দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহৃত না হওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা দৃঢ়ভাবে কোনো সাম্প্রদায়িক ফাঁদে আটকা পড়তে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করি। কোনোভাবেই তা হতে দেওয়া যাবে না।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪‘আমি এটাকে ঠিক রাজনৈতিক ভাবাদর্শ বলব না। আমি এটাকে বলব, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, সেটা আমার পারিবারিক শিক্ষা। আমাদের ঘরের ডাইনিং টেবিল থেকে শুরু করে যেকোনো ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পরিবারের বড়দের সাথে আমরা দ্বিমত পোষণ করতে পেরেছি। ছোট থেকে বড়, কারও কোনো কথা বা কাজ ভুল মনে হলে সেটাকে আমরা তার প্রতি স
৩১ আগস্ট ২০২৪একেক মানুষ বেছে নেন একেক পেশা। তাঁদের মধ্যে কারও কারও পেশা একটু ভিন্ন ধরনের। যেমন—মো. মুনসুর আলী ওরফে মন্টু খলিফা। বাপ-দাদার পেশাকে ভালোবেসে শিশুদের খতনা করানো বা হাজামের কাজ বেছে নিয়েছেন পেশা হিসেবে। জীবনে পার করেছেন প্রায় ৮৫ বছর। জানিয়েছেন গত ৬০ বছরে ২ লাখের বেশি শিশুর মুসলমানি বা সুন্নতে খতনা দিয়
৩০ মার্চ ২০২৪