ফারুক মেহেদী
আজকের পত্রিকা: খাদ্যনিরাপত্তার বিষয়টি আসলে কেমন?
ড. মিজানুল হক কাজল: খাদ্যনিরাপত্তা বলতে পুষ্টি সংবেদনশীল কৃষিকে বলছি। খাদ্যনিরাপত্তা মানে কেবল ভাতে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়; তার সঙ্গে সামগ্রিক খাদ্যের বৈচিত্র্যকরণের বিষয়টিও জড়িত। এই থিম সামনে রেখে সরকার জাতীয় খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নীতি করেছে। এ নীতির ক্ষেত্রে অনেকগুলো বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এখন খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে যে বিতর্ক, সেটি ঘটছে তথ্যের গরমিলের জন্য। আমরা অর্থনীতির দিক থেকে যদি বলি তা হলো সবকিছু নির্ভর করে চাহিদা ও সরবরাহের ওপরে। চাহিদা ও সরবরাহ যদি মিলে যায় তাহলে ভারসাম্য তৈরি হয়। সুতরাং ভারসাম্য থাকলে রাষ্ট্র থেকে ব্যক্তি পর্যায় পর্যন্ত কোনো সমস্যা থাকে না।
আজকের পত্রিকা: আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা কতটুকু?
ড. মিজানুল হক কাজল: এখন ভারসাম্য নেই বলেই ভারসাম্যহীনতা আছে। এ জন্যই সরকার ভারসাম্য অবস্থা গড়ে তুলতে বিভিন্ন নীতিমালা তৈরি করে থাকে। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে সিরিয়াল ফসলে অবশ্যই আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। আমরা ৩৯ লাখ মেট্রিক টন এ পণ্য উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছি। তথ্যটা যেহেতু বিবিএসের, তাই সেটাকেই আমরা গ্রহণ করছি। তথ্যের বিভ্রান্তির কারণে বাজারে কিছুটা বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। তবে এই মুহূর্তে বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি বলে কিছু নেই। সরকারি গুদামে যদি সাড়ে ১০ লাখ টন খাদ্য মজুত থাকে, তাহলে কখনো সমস্যা হয় না।
আজকের পত্রিকা: ভবিষ্যৎ খাদ্যনিরাপত্তার জন্য কী করা উচিত?
ড. মিজানুল হক কাজল: বছরের প্রথমেই যদি আমরা সাড়ে ১০ লাখ টন মজুত করে ফেলতে পারি, তাহলে খাদ্যনিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হয় না। সেদিক থেকেই খাদ্য মন্ত্রণালয় বাফার স্টক বা খাদ্য মজুত বাড়ানোর জন্য আমদানি করে থাকে। করোনার কারণে এবার দ্বিগুণ খাদ্য সহায়তা দিতে হয়েছে, এটা খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মজুত থেকেই এসেছে। এখন যদি এই খাদ্য মজুতটা না বাড়াতে পারি, তাহলে ভবিষ্যতে খাদ্যনিরাপত্তা সংকটে পড়তে পারে। সে কারণে আমাদের সাড়ে ১০ লাখ টন খাদ্য সব সময় মজুত রাখতে হবে। ভবিষ্যতে যাতে আপৎকালীন সংকট মোকাবিলা করা যায়, সে জন্যই বাফার স্টক করা দরকার।
আজকের পত্রিকা: বিভিন্ন সময়ে বলা হয় আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আসল চিত্রটা কী?
ড. মিজানুল হক কাজল: আমাদের খাদ্যের উৎপাদনশীলতা বেড়েছে। প্রতিবছর ১ শতাংশ করে জমি কমার পরও উৎপাদনশীলতা বেড়েছে। প্রযুক্তি ও কৃষি যান্ত্রিকীকরণ বেড়েছে। এখন আমরা বাণিজ্যিক কৃষির দিকে যাচ্ছি। রপ্তানি করছি। আমরা এখন ফুড এগ্রিকালচার চর্চা শুরু করেছি। আমরা খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি পুষ্টিনিরাপত্তার কথা ভাবছি। খাদ্য সচেতন হচ্ছি। শুধু ভাতই যে খাদ্য নয়, এ ব্যাপারে বিকল্পও ভাবছি। এটা স্বয়ংসম্পূর্ণতারই অংশ।
আজকের পত্রিকা: দুর্বল ব্যবস্থাপনাই কি খাদ্যনিরাপত্তার বড় বাধা?
ড. মিজানুল হক কাজল: আমাদের সবজি উৎপাদন বেড়েছে, ফলের দৈনিক ভোগ বেড়েছে, মাছের উৎপাদন বেড়েছে, এখন বাণিজ্যিক মাছ চাষ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে, পোলট্রির চাহিদাও আমরা দেশীয়ভাবে পূরণ করতে পারছি। তবে শূন্য শুল্কে পোলট্রি ও ফিশ ফিডে কাঁচামাল আমদানি করে তা নিজেদের চাহিদা পূরণ না করে রপ্তানি করলে শিল্প ব্যাহত হয়। এতে উৎপাদন খরচ বাড়বে, উৎপাদন খরচ বাড়লে খামারিদের খরচ বাড়বে। সে ক্ষেত্রে, ভোক্তার ওপরে এর চাপ পড়বে। এসব দিক বিবেচনায় দেখা যায়, অনেক ক্ষেত্রে খাদ্যনিরাপত্তায় এর যথাযথ ব্যবস্থাপনা তৈরি হয়নি।
আজকের পত্রিকা: এ অবস্থাকে কীভাবে টেকসই করা যায়?
ড. মিজানুল হক কাজল: খাদ্যনিরাপত্তার দিকটি টেকসই করার জন্য প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র চাষিদের কাছে বিভিন্ন ভর্তুকি নিশ্চিতভাবে পৌঁছাতে হবে। যেহেতু আমরা বাণিজ্যিক কৃষি নিয়ে চিন্তা করছি, তারা তো এন্টারপ্রেনার হিসেবে গড়ে উঠতে পারবে না। তারা বাজার প্রতিযোগিতায়ও টিকতে পারবে না। বাজার প্রতিযোগিতায় টিকতে পারলে আমরা যদি এন্টারপ্রেনারশিপ ডেভেলপ করতে চাই, সে ক্ষেত্রে সমবায়ভিত্তিক বাজারব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। তাহলে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা তাদের পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাবে এবং ভোক্তারাও ন্যায্য মূল্যে পণ্য কিনতে পারবে। এ ছাড়া ভর্তুকি সুবিধা প্রান্তিক কৃষকেরাও যাতে পায়, তা দেখতে হবে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণের যে বিষয়টি সেখানে তাকে প্রযুক্তি সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি তার যেন মেরামত করার সক্ষমতা তৈরি হয়, সে ব্যবস্থাও নিতে হবে।
আজকের পত্রিকা: খাদ্যনিরাপত্তার বিষয়টি আসলে কেমন?
ড. মিজানুল হক কাজল: খাদ্যনিরাপত্তা বলতে পুষ্টি সংবেদনশীল কৃষিকে বলছি। খাদ্যনিরাপত্তা মানে কেবল ভাতে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়; তার সঙ্গে সামগ্রিক খাদ্যের বৈচিত্র্যকরণের বিষয়টিও জড়িত। এই থিম সামনে রেখে সরকার জাতীয় খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নীতি করেছে। এ নীতির ক্ষেত্রে অনেকগুলো বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এখন খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে যে বিতর্ক, সেটি ঘটছে তথ্যের গরমিলের জন্য। আমরা অর্থনীতির দিক থেকে যদি বলি তা হলো সবকিছু নির্ভর করে চাহিদা ও সরবরাহের ওপরে। চাহিদা ও সরবরাহ যদি মিলে যায় তাহলে ভারসাম্য তৈরি হয়। সুতরাং ভারসাম্য থাকলে রাষ্ট্র থেকে ব্যক্তি পর্যায় পর্যন্ত কোনো সমস্যা থাকে না।
আজকের পত্রিকা: আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা কতটুকু?
ড. মিজানুল হক কাজল: এখন ভারসাম্য নেই বলেই ভারসাম্যহীনতা আছে। এ জন্যই সরকার ভারসাম্য অবস্থা গড়ে তুলতে বিভিন্ন নীতিমালা তৈরি করে থাকে। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে সিরিয়াল ফসলে অবশ্যই আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। আমরা ৩৯ লাখ মেট্রিক টন এ পণ্য উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছি। তথ্যটা যেহেতু বিবিএসের, তাই সেটাকেই আমরা গ্রহণ করছি। তথ্যের বিভ্রান্তির কারণে বাজারে কিছুটা বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। তবে এই মুহূর্তে বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি বলে কিছু নেই। সরকারি গুদামে যদি সাড়ে ১০ লাখ টন খাদ্য মজুত থাকে, তাহলে কখনো সমস্যা হয় না।
আজকের পত্রিকা: ভবিষ্যৎ খাদ্যনিরাপত্তার জন্য কী করা উচিত?
ড. মিজানুল হক কাজল: বছরের প্রথমেই যদি আমরা সাড়ে ১০ লাখ টন মজুত করে ফেলতে পারি, তাহলে খাদ্যনিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হয় না। সেদিক থেকেই খাদ্য মন্ত্রণালয় বাফার স্টক বা খাদ্য মজুত বাড়ানোর জন্য আমদানি করে থাকে। করোনার কারণে এবার দ্বিগুণ খাদ্য সহায়তা দিতে হয়েছে, এটা খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মজুত থেকেই এসেছে। এখন যদি এই খাদ্য মজুতটা না বাড়াতে পারি, তাহলে ভবিষ্যতে খাদ্যনিরাপত্তা সংকটে পড়তে পারে। সে কারণে আমাদের সাড়ে ১০ লাখ টন খাদ্য সব সময় মজুত রাখতে হবে। ভবিষ্যতে যাতে আপৎকালীন সংকট মোকাবিলা করা যায়, সে জন্যই বাফার স্টক করা দরকার।
আজকের পত্রিকা: বিভিন্ন সময়ে বলা হয় আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আসল চিত্রটা কী?
ড. মিজানুল হক কাজল: আমাদের খাদ্যের উৎপাদনশীলতা বেড়েছে। প্রতিবছর ১ শতাংশ করে জমি কমার পরও উৎপাদনশীলতা বেড়েছে। প্রযুক্তি ও কৃষি যান্ত্রিকীকরণ বেড়েছে। এখন আমরা বাণিজ্যিক কৃষির দিকে যাচ্ছি। রপ্তানি করছি। আমরা এখন ফুড এগ্রিকালচার চর্চা শুরু করেছি। আমরা খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি পুষ্টিনিরাপত্তার কথা ভাবছি। খাদ্য সচেতন হচ্ছি। শুধু ভাতই যে খাদ্য নয়, এ ব্যাপারে বিকল্পও ভাবছি। এটা স্বয়ংসম্পূর্ণতারই অংশ।
আজকের পত্রিকা: দুর্বল ব্যবস্থাপনাই কি খাদ্যনিরাপত্তার বড় বাধা?
ড. মিজানুল হক কাজল: আমাদের সবজি উৎপাদন বেড়েছে, ফলের দৈনিক ভোগ বেড়েছে, মাছের উৎপাদন বেড়েছে, এখন বাণিজ্যিক মাছ চাষ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে, পোলট্রির চাহিদাও আমরা দেশীয়ভাবে পূরণ করতে পারছি। তবে শূন্য শুল্কে পোলট্রি ও ফিশ ফিডে কাঁচামাল আমদানি করে তা নিজেদের চাহিদা পূরণ না করে রপ্তানি করলে শিল্প ব্যাহত হয়। এতে উৎপাদন খরচ বাড়বে, উৎপাদন খরচ বাড়লে খামারিদের খরচ বাড়বে। সে ক্ষেত্রে, ভোক্তার ওপরে এর চাপ পড়বে। এসব দিক বিবেচনায় দেখা যায়, অনেক ক্ষেত্রে খাদ্যনিরাপত্তায় এর যথাযথ ব্যবস্থাপনা তৈরি হয়নি।
আজকের পত্রিকা: এ অবস্থাকে কীভাবে টেকসই করা যায়?
ড. মিজানুল হক কাজল: খাদ্যনিরাপত্তার দিকটি টেকসই করার জন্য প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র চাষিদের কাছে বিভিন্ন ভর্তুকি নিশ্চিতভাবে পৌঁছাতে হবে। যেহেতু আমরা বাণিজ্যিক কৃষি নিয়ে চিন্তা করছি, তারা তো এন্টারপ্রেনার হিসেবে গড়ে উঠতে পারবে না। তারা বাজার প্রতিযোগিতায়ও টিকতে পারবে না। বাজার প্রতিযোগিতায় টিকতে পারলে আমরা যদি এন্টারপ্রেনারশিপ ডেভেলপ করতে চাই, সে ক্ষেত্রে সমবায়ভিত্তিক বাজারব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। তাহলে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা তাদের পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাবে এবং ভোক্তারাও ন্যায্য মূল্যে পণ্য কিনতে পারবে। এ ছাড়া ভর্তুকি সুবিধা প্রান্তিক কৃষকেরাও যাতে পায়, তা দেখতে হবে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণের যে বিষয়টি সেখানে তাকে প্রযুক্তি সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি তার যেন মেরামত করার সক্ষমতা তৈরি হয়, সে ব্যবস্থাও নিতে হবে।
ইউনিক গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাখাওয়াত হোসেন। পর্যটনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মনজুরুল ইসলাম।
০৩ অক্টোবর ২০২৪বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, সুফি এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কোনো বিভাজনমূলক এজেন্ডায় রাজনীতির দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহৃত না হওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা দৃঢ়ভাবে কোনো সাম্প্রদায়িক ফাঁদে আটকা পড়তে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করি। কোনোভাবেই তা হতে দেওয়া যাবে না।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪‘আমি এটাকে ঠিক রাজনৈতিক ভাবাদর্শ বলব না। আমি এটাকে বলব, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, সেটা আমার পারিবারিক শিক্ষা। আমাদের ঘরের ডাইনিং টেবিল থেকে শুরু করে যেকোনো ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পরিবারের বড়দের সাথে আমরা দ্বিমত পোষণ করতে পেরেছি। ছোট থেকে বড়, কারও কোনো কথা বা কাজ ভুল মনে হলে সেটাকে আমরা তার প্রতি স
৩১ আগস্ট ২০২৪একেক মানুষ বেছে নেন একেক পেশা। তাঁদের মধ্যে কারও কারও পেশা একটু ভিন্ন ধরনের। যেমন—মো. মুনসুর আলী ওরফে মন্টু খলিফা। বাপ-দাদার পেশাকে ভালোবেসে শিশুদের খতনা করানো বা হাজামের কাজ বেছে নিয়েছেন পেশা হিসেবে। জীবনে পার করেছেন প্রায় ৮৫ বছর। জানিয়েছেন গত ৬০ বছরে ২ লাখের বেশি শিশুর মুসলমানি বা সুন্নতে খতনা দিয়
৩০ মার্চ ২০২৪