রাশেদ নিজাম
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার ২১ বছর পর মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির তৎকালীন এএসপি আবদুল কাহার আকন্দ। এই মামলার তদন্ত নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন রাশেদ নিজাম।
আজকের পত্রিকা: আপনি যখন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেলেন। তখন প্রথমে কী মনে হয়েছিল?
আবদুল কাহার আকন্দ: বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা রুজু হয়েছিল ১৯৯৬ সালে। তখন জেলহত্যা মামলাও আমার তদন্তাধীন ছিল। দুটোই দেশের জন্য অনেক বড় ঘটনা। স্বাভাবিকভাবে আমার কাছে খুবই চিন্তার বিষয় ছিল। কীভাবে এটা আমি সমাধান করব। পুরো ঘটনাটা উদ্ঘাটন করে, চূড়ান্ত পর্যায়ে নিতে পারব, এটা নিয়ে মোটামুটি বলা যায় টেনশনে ছিলাম।
আজকের পত্রিকা: ঘটনার ২১ বছর পর তদন্ত শুরু হয়। কোন কোন বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন?
আবদুল কাহার আকন্দ: তদন্ত একটি নিয়মে চলে। অনেক ধারাবাহিকতা রক্ষা করেই কাজ করতে হয়। যেকোনো তদন্তে লক্ষ্য যেটা থাকে, সাক্ষ্য প্রমাণ পেতে হবে। সেগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে এবং আদালত উপস্থাপন করতে হবে। সেটাই আগে ভেবেছি। তদন্ত যখন শুরু হয়, তার ২১ বছর আগে ঘটনা ঘটেছে। আলামত, সাক্ষী, প্রমাণ সবই নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক সাক্ষী মারা গেছেন, কারও স্মৃতিভ্রম হয়েছে। এত সীমাবদ্ধতার মধ্যে সবকিছু কীভাবে উদ্ঘাটন করা যাবে, পুরোনো প্রমাণগুলো কীভাবে মিলবে, সেই চ্যালেঞ্জটাই বড় ছিল। অগ্রাধিকার ছিল সবকিছু সুষ্ঠুভাবে তদন্তে আনার।
আজকের পত্রিকা: তদন্তের শুরুতেই কী তথ্য পেয়েছিলেন?
আবদুল কাহার আকন্দ: বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার এজাহারটি তদন্তে খুব সহায়ক হয়েছিল। ঘটনা তো চুপিসারে হয়নি। প্রকাশ্যে হয়েছে। সেই জায়গাগুলো চিহ্নিত করে, ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে সাক্ষ্য–প্রমাণ সংগ্রহ করতে হয়েছে।
আজকের পত্রিকা: তদন্তের শুরুতে কোনো বাধা পেয়েছিলেন কি? নিজের ওপর চাপ ছিল কি না?
আবদুল কাহার আকন্দ: চাপ তো ছিলই। এত বড় ঘটনা, এত দিন পরে তদন্ত শুরু করেছি। সাক্ষ্য জোগাড় করতে হবে, যথাযথ তদন্ত করতে হবে। আরেকটা চাপ ছিল, দ্রুত তদন্ত শেষ করার। যত তাড়াতাড়ি বিচারে নেওয়া যায়। আমরা মাত্র এক শ দিনের মধ্যে এ মামলার তদন্ত শেষ করেছি। অন্য ধরনের চাপ—সেটাও ছিল। বিভিন্ন জায়গা থেকে চাপ আসছিল। হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। সেটার নানা তথ্য, প্রমাণ আমার কাছে এখনো আছে। আমেরিকা থেকেও আমার নামে চিঠি এসেছে। তখন বিভিন্ন সংস্থাকে তদন্ত করার জন্য দিয়েছিলাম। হুমকির মধ্যে এমন শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, আগে যা কখনো কোথাও বলিনি। আমাকে বলা হয়েছিল ভারতের জারজ সন্তান।
আজকের পত্রিকা: পরিবারকে হুমকি দেওয়ার বিষয় কিছু হয়েছিল?
আবদুল কাহার আকন্দ: আমি যে বাসায় থাকতাম, সেখানে সবার মধ্যে নানা ভীতি ছিল।
আজকের পত্রিকা: একটা ঘটনা যদি বলতেন।
আবদুল কাহার আকন্দ: খিলগাঁও রিয়াজবাগের যে বাসায় আমি থাকতাম, হঠাৎ একদিন জানালায় দেখলাম দুটি ছিদ্র (গুলির মতো) আমার তো হিসাবই মেলে না। আমার ধারণা হলো, বাসার বাইরে থেকে কোনো চেষ্টা ছিল। আমি বিষয়টি নিয়ে এগোইনি। বাসার লোকজন ভয় পাবে।
আজকের পত্রিকা: পরে সরকার পরিবর্তনের পর কোনো সমস্যা হয়েছিল?
আবদুল কাহার আকন্দ: বিএনপি ক্ষমতায় আসার পরপরই আমাকে সিআইডি থেকে বদলি করে বরিশাল ব্যাটালিয়নে দেওয়া হয়। সেখানে গিয়েও ভাবলাম, ঢাকা থেকে দূরে এসেছি কিছুটা শান্তি মিলবে। পরে আমার বিরুদ্ধে নানা বিভাগীয় তদন্ত শুরু হলো। শেষ পর্যন্ত চাকরি চলে গেল। দীর্ঘ ৬ বছর ৩ মাস চাকরি ছিল না। আমার গ্রামের বাড়িতে হামলা করা হয়। পারিবারিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভেঙে দেওয়া হয়। আমার ছোট ভাই তখন চেয়ারম্যান ছিল, তার ওপর হামলা হয়েছিল, সেনাবাহিনী এসে তাঁকে রক্ষা করে। দল বেঁধে আমার বাড়ি ঘেরাও করে রাখা হয়েছিল।
আজকের পত্রিকা: বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা তদন্তে এমন কোনো তথ্য পেয়েছিলেন, যা প্রকাশ হয়নি বা করতে পারেননি?
আবদুল কাহার আকন্দ: গণমাধ্যমে বারবারই এসেছে, বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের পেছনে আরও কেউ ছিল কিনা। অনেক ঘটনা আছে, যেটা আমরা সুনির্দিষ্ট সাক্ষ্য–প্রমাণ না থাকার কারণে আমরা আদালতে উপস্থাপন করতে পারিনি। আবার এটাও বলতে হবে, পেছনে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তির একটা বিরাট ভূমিকা ছিল, সেটা বিস্তারিত তদন্ত করার সুযোগ আছে।
আজকের পত্রিকা: তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে অনেকবার আদালতে গিয়েছিলেন। অভিজ্ঞতা কেমন?
আবদুল কাহার আকন্দ: বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় তো অনেক দিন আদালতে যেতে হয়েছে। বিবাদীদের পক্ষে খুবই ঝানু আইনজীবীরা ছিলেন। তাঁরা এমন কোনো কিছু বাদ রাখেননি আমাকে জিজ্ঞেস করতে। মামলা তো আছেই, ব্যক্তিগত, পারিবারিক বিষয় সব নিয়েই জেরা করেছেন।
আজকের পত্রিকা: ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে কোনো পরামর্শ কি আপনার তদন্ত প্রতিবেদনে ছিল?
আবদুল কাহার আকন্দ: তদন্তে তো নানা বিষয় উঠে আসে। সেটা বিভাগীয় সুপারভিশনে উল্লেখ করা হয়। অভিযোগপত্রে সাধারণত দেওয়া হয় না। ফৌজদারি মামলার তদন্তের ক্ষেত্রে ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, সেই পর্যবেক্ষণ তো থাকেই। তবে আদালতে তো শুধু সাক্ষ্য–প্রমাণ দিতে হয়।
আজকের পত্রিকা: এতসবের পরেও বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে।
আবদুল কাহার আকন্দ: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলাও আমি তদন্ত করেছি। এর আগে কোটালীপাড়ায় ৭৬ কেজি বোমা রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টাও দেখেছি। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ ছিল নবীন দেশ, অর্থনৈতিক অবস্থা উন্নতির চেষ্টা চলছিল, রাজনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল ছিল না। তাই পুঁজি করে বঙ্গবন্ধুর বিপক্ষে নানা অপপ্রচার চালিয়েছিল খুনিরা।
এখনো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিপক্ষে সেই পরাজিত শক্তি অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। সে সময়ের চেয়ে বেশি আগ্রাসী তারা। দেশে বিদেশ থেকে উসকানি দেওয়া হচ্ছে। সেনাবাহিনীকে বারবার উসকানি দেওয়া হচ্ছে। সামরিক কিছু করা যায় কিনা—এসব নিয়ে বিদেশ থেকে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সব সামাজিক মাধ্যমেও পরিষ্কার বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর সময়ের চেয়ে এখন বেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার ২১ বছর পর মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির তৎকালীন এএসপি আবদুল কাহার আকন্দ। এই মামলার তদন্ত নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন রাশেদ নিজাম।
আজকের পত্রিকা: আপনি যখন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেলেন। তখন প্রথমে কী মনে হয়েছিল?
আবদুল কাহার আকন্দ: বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা রুজু হয়েছিল ১৯৯৬ সালে। তখন জেলহত্যা মামলাও আমার তদন্তাধীন ছিল। দুটোই দেশের জন্য অনেক বড় ঘটনা। স্বাভাবিকভাবে আমার কাছে খুবই চিন্তার বিষয় ছিল। কীভাবে এটা আমি সমাধান করব। পুরো ঘটনাটা উদ্ঘাটন করে, চূড়ান্ত পর্যায়ে নিতে পারব, এটা নিয়ে মোটামুটি বলা যায় টেনশনে ছিলাম।
আজকের পত্রিকা: ঘটনার ২১ বছর পর তদন্ত শুরু হয়। কোন কোন বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন?
আবদুল কাহার আকন্দ: তদন্ত একটি নিয়মে চলে। অনেক ধারাবাহিকতা রক্ষা করেই কাজ করতে হয়। যেকোনো তদন্তে লক্ষ্য যেটা থাকে, সাক্ষ্য প্রমাণ পেতে হবে। সেগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে এবং আদালত উপস্থাপন করতে হবে। সেটাই আগে ভেবেছি। তদন্ত যখন শুরু হয়, তার ২১ বছর আগে ঘটনা ঘটেছে। আলামত, সাক্ষী, প্রমাণ সবই নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক সাক্ষী মারা গেছেন, কারও স্মৃতিভ্রম হয়েছে। এত সীমাবদ্ধতার মধ্যে সবকিছু কীভাবে উদ্ঘাটন করা যাবে, পুরোনো প্রমাণগুলো কীভাবে মিলবে, সেই চ্যালেঞ্জটাই বড় ছিল। অগ্রাধিকার ছিল সবকিছু সুষ্ঠুভাবে তদন্তে আনার।
আজকের পত্রিকা: তদন্তের শুরুতেই কী তথ্য পেয়েছিলেন?
আবদুল কাহার আকন্দ: বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার এজাহারটি তদন্তে খুব সহায়ক হয়েছিল। ঘটনা তো চুপিসারে হয়নি। প্রকাশ্যে হয়েছে। সেই জায়গাগুলো চিহ্নিত করে, ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে সাক্ষ্য–প্রমাণ সংগ্রহ করতে হয়েছে।
আজকের পত্রিকা: তদন্তের শুরুতে কোনো বাধা পেয়েছিলেন কি? নিজের ওপর চাপ ছিল কি না?
আবদুল কাহার আকন্দ: চাপ তো ছিলই। এত বড় ঘটনা, এত দিন পরে তদন্ত শুরু করেছি। সাক্ষ্য জোগাড় করতে হবে, যথাযথ তদন্ত করতে হবে। আরেকটা চাপ ছিল, দ্রুত তদন্ত শেষ করার। যত তাড়াতাড়ি বিচারে নেওয়া যায়। আমরা মাত্র এক শ দিনের মধ্যে এ মামলার তদন্ত শেষ করেছি। অন্য ধরনের চাপ—সেটাও ছিল। বিভিন্ন জায়গা থেকে চাপ আসছিল। হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। সেটার নানা তথ্য, প্রমাণ আমার কাছে এখনো আছে। আমেরিকা থেকেও আমার নামে চিঠি এসেছে। তখন বিভিন্ন সংস্থাকে তদন্ত করার জন্য দিয়েছিলাম। হুমকির মধ্যে এমন শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, আগে যা কখনো কোথাও বলিনি। আমাকে বলা হয়েছিল ভারতের জারজ সন্তান।
আজকের পত্রিকা: পরিবারকে হুমকি দেওয়ার বিষয় কিছু হয়েছিল?
আবদুল কাহার আকন্দ: আমি যে বাসায় থাকতাম, সেখানে সবার মধ্যে নানা ভীতি ছিল।
আজকের পত্রিকা: একটা ঘটনা যদি বলতেন।
আবদুল কাহার আকন্দ: খিলগাঁও রিয়াজবাগের যে বাসায় আমি থাকতাম, হঠাৎ একদিন জানালায় দেখলাম দুটি ছিদ্র (গুলির মতো) আমার তো হিসাবই মেলে না। আমার ধারণা হলো, বাসার বাইরে থেকে কোনো চেষ্টা ছিল। আমি বিষয়টি নিয়ে এগোইনি। বাসার লোকজন ভয় পাবে।
আজকের পত্রিকা: পরে সরকার পরিবর্তনের পর কোনো সমস্যা হয়েছিল?
আবদুল কাহার আকন্দ: বিএনপি ক্ষমতায় আসার পরপরই আমাকে সিআইডি থেকে বদলি করে বরিশাল ব্যাটালিয়নে দেওয়া হয়। সেখানে গিয়েও ভাবলাম, ঢাকা থেকে দূরে এসেছি কিছুটা শান্তি মিলবে। পরে আমার বিরুদ্ধে নানা বিভাগীয় তদন্ত শুরু হলো। শেষ পর্যন্ত চাকরি চলে গেল। দীর্ঘ ৬ বছর ৩ মাস চাকরি ছিল না। আমার গ্রামের বাড়িতে হামলা করা হয়। পারিবারিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভেঙে দেওয়া হয়। আমার ছোট ভাই তখন চেয়ারম্যান ছিল, তার ওপর হামলা হয়েছিল, সেনাবাহিনী এসে তাঁকে রক্ষা করে। দল বেঁধে আমার বাড়ি ঘেরাও করে রাখা হয়েছিল।
আজকের পত্রিকা: বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা তদন্তে এমন কোনো তথ্য পেয়েছিলেন, যা প্রকাশ হয়নি বা করতে পারেননি?
আবদুল কাহার আকন্দ: গণমাধ্যমে বারবারই এসেছে, বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের পেছনে আরও কেউ ছিল কিনা। অনেক ঘটনা আছে, যেটা আমরা সুনির্দিষ্ট সাক্ষ্য–প্রমাণ না থাকার কারণে আমরা আদালতে উপস্থাপন করতে পারিনি। আবার এটাও বলতে হবে, পেছনে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তির একটা বিরাট ভূমিকা ছিল, সেটা বিস্তারিত তদন্ত করার সুযোগ আছে।
আজকের পত্রিকা: তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে অনেকবার আদালতে গিয়েছিলেন। অভিজ্ঞতা কেমন?
আবদুল কাহার আকন্দ: বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় তো অনেক দিন আদালতে যেতে হয়েছে। বিবাদীদের পক্ষে খুবই ঝানু আইনজীবীরা ছিলেন। তাঁরা এমন কোনো কিছু বাদ রাখেননি আমাকে জিজ্ঞেস করতে। মামলা তো আছেই, ব্যক্তিগত, পারিবারিক বিষয় সব নিয়েই জেরা করেছেন।
আজকের পত্রিকা: ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে কোনো পরামর্শ কি আপনার তদন্ত প্রতিবেদনে ছিল?
আবদুল কাহার আকন্দ: তদন্তে তো নানা বিষয় উঠে আসে। সেটা বিভাগীয় সুপারভিশনে উল্লেখ করা হয়। অভিযোগপত্রে সাধারণত দেওয়া হয় না। ফৌজদারি মামলার তদন্তের ক্ষেত্রে ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, সেই পর্যবেক্ষণ তো থাকেই। তবে আদালতে তো শুধু সাক্ষ্য–প্রমাণ দিতে হয়।
আজকের পত্রিকা: এতসবের পরেও বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে।
আবদুল কাহার আকন্দ: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলাও আমি তদন্ত করেছি। এর আগে কোটালীপাড়ায় ৭৬ কেজি বোমা রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টাও দেখেছি। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ ছিল নবীন দেশ, অর্থনৈতিক অবস্থা উন্নতির চেষ্টা চলছিল, রাজনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল ছিল না। তাই পুঁজি করে বঙ্গবন্ধুর বিপক্ষে নানা অপপ্রচার চালিয়েছিল খুনিরা।
এখনো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিপক্ষে সেই পরাজিত শক্তি অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। সে সময়ের চেয়ে বেশি আগ্রাসী তারা। দেশে বিদেশ থেকে উসকানি দেওয়া হচ্ছে। সেনাবাহিনীকে বারবার উসকানি দেওয়া হচ্ছে। সামরিক কিছু করা যায় কিনা—এসব নিয়ে বিদেশ থেকে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সব সামাজিক মাধ্যমেও পরিষ্কার বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর সময়ের চেয়ে এখন বেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
ইউনিক গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাখাওয়াত হোসেন। পর্যটনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মনজুরুল ইসলাম।
০৩ অক্টোবর ২০২৪বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, সুফি এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কোনো বিভাজনমূলক এজেন্ডায় রাজনীতির দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহৃত না হওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা দৃঢ়ভাবে কোনো সাম্প্রদায়িক ফাঁদে আটকা পড়তে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করি। কোনোভাবেই তা হতে দেওয়া যাবে না।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪‘আমি এটাকে ঠিক রাজনৈতিক ভাবাদর্শ বলব না। আমি এটাকে বলব, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, সেটা আমার পারিবারিক শিক্ষা। আমাদের ঘরের ডাইনিং টেবিল থেকে শুরু করে যেকোনো ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পরিবারের বড়দের সাথে আমরা দ্বিমত পোষণ করতে পেরেছি। ছোট থেকে বড়, কারও কোনো কথা বা কাজ ভুল মনে হলে সেটাকে আমরা তার প্রতি স
৩১ আগস্ট ২০২৪একেক মানুষ বেছে নেন একেক পেশা। তাঁদের মধ্যে কারও কারও পেশা একটু ভিন্ন ধরনের। যেমন—মো. মুনসুর আলী ওরফে মন্টু খলিফা। বাপ-দাদার পেশাকে ভালোবেসে শিশুদের খতনা করানো বা হাজামের কাজ বেছে নিয়েছেন পেশা হিসেবে। জীবনে পার করেছেন প্রায় ৮৫ বছর। জানিয়েছেন গত ৬০ বছরে ২ লাখের বেশি শিশুর মুসলমানি বা সুন্নতে খতনা দিয়
৩০ মার্চ ২০২৪