ফারুক মেহেদী
মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য কেমন চলছে? রপ্তানি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানো যায় কীভাবে? সামনে কী কী চ্যালেঞ্জ আছে? এসব বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ মালয়েশিয়া চেম্বারের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও ডিজাইন ভিশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলমগীর জলিল। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: আপনাদের ব্যবসাটা কেমন চলছে?
আলমগীর জলিল: সবার মতো কমবেশি আমরাও আক্রান্ত। আমাদের চলমান প্রকল্প যেগুলো ছিল, সেগুলো মাঝখানে বন্ধ ছিল। প্রথম দিকে আমরা সেভাবে বুঝতে পারিনি। গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করোনার ধাক্কাটা আমাদের গায়ে লাগেনি। প্রকল্পগুলো মোটামুটি চলছিল, কিছু আয়ও হচ্ছিল। সেপ্টেম্বরের পর থেকে বড় বড় প্রকল্প বন্ধ হতে থাকল। এটা এ বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির দিকে এসে আবার একটু একটু করে খুলছে। এখন নতুন কিছু কাজ পাচ্ছি। তবে সবার মতো আমরাও আক্রান্ত।
আজকের পত্রিকা: ব্যবসায় ঘুরে দাঁড়াতে হলে কী করতে হবে?
আলমগীর জলিল: আমরা শুনছি যে আমাদের আরএমজি খাতে অর্ডার ভালো। কিন্তু আমরা যদি গভীরে যাই, যারা আরএমজি খাতে বেশি অর্ডার পাচ্ছে, তারাও বলছে যে, গত এক-দেড় বছরে তাদের যে ক্ষতিটা হয়েছে, কারখানা বন্ধ ছিল, উৎপাদন ছিল না, কর্মীদের বেতন দিতে হয়েছে, ব্যাংকঋণ পরিশোধ করা যায়নি সময়মতো–এসব ধকলও সইতে হয়েছে। আমি বলব, আমাদের সবগুলো খাতই গড়ে কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ জন্য আমাদের সাবধান হওয়া উচিত। যদি মনে করি তেমন কিছুই হয়নি, ঘুরে দাঁড়াব–আমার মনে হয় এত আত্মতৃপ্তিতে থাকার সুযোগ নেই।
আজকের পত্রিকা: মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য কেমন চলছে?
আলমগীর জলিল: ২০১৯ সালে মালয়েশিয়ার সঙ্গে আমাদের রপ্তানি পরিস্থিতি বেশ ভালো ছিল। ওই সময় দেশটিতে ২৭৭ মিলিয়ন ডলারের মতো রপ্তানি করেছি আমরা। আগের বছরে ছিল ২১০ বা ২২০ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু ২০১৯ সালে রপ্তানিটা বেশ এগোতে থাকল। ২০২০ এসে আবার এটা কমতে শুরু করেছে। স্বাভাবিকভাবেই কোভিড একটা বড় বিষয়। মালয়েশিয়া থেকে আমাদের আমদানিও ভালো ছিল। তবে কোভিডের কারণে আমদানিতেও প্রভাব পড়েছে। আমি বলব, এটাও স্বাভাবিক ঘটনা। ১৫ বছর ধরে আমি মালয়েশিয়া চেম্বারের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণেই নয়; আমার নিজেরও দেশটির সঙ্গে ব্যবসা আছে। আমরা মালয়েশিয়া থেকে আমদানি করি।
আজকের পত্রিকা: রপ্তানি বাড়ানোর সুযোগ কতটুকু?
আলমগীর জলিল: বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়াতে রপ্তানি বাড়বে। তবে খুব একটা বাড়বে না। সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে, মালয়েশিয়া যে টপ ৫টি বা ১৫টি পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করে, এর কোনোটিই বাংলাদেশ তৈরি করে না। তারা মূলত আমদানি করে ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র। মালয়েশিয়ার আমদানিতে যে পণ্য এক নম্বর, আবার রপ্তানিতেও তা এক নম্বর। তারা অ্যাসেম্বল করে তা আবার রিএক্সপোর্ট করে। অনেকে বলে যে মালয়েশিয়ায় রপ্তানি অনেক বাড়বে–এ ধরনের কথার সঙ্গে আমি একেবারেই দ্বিমত পোষণ করছি। যদি আমরা পণ্য বৈচিত্র্যকরণ না করি তাহলে লাভ হবে না। বাংলাদেশ থেকে এখন পর্যন্ত যে ভলিউমের পণ্য রপ্তানি হয়, এর সিংহভাগই তৈরি পোশাক। তারপরও মালয়েশিয়া একটা ছোট বাজার। কিছু প্রক্রিয়াজাত খাবার, শাকসবজি যায়। এগুলোও সীমিত পরিসরে। কারণ, মালয়েশিয়ায় জনসংখ্যাও কম, মাত্র ৩ কোটি। তারা প্রতিবেশী দেশ থেকেই আমাদের চেয়ে বেশি আমদানি করে। আমাদের রপ্তানি ও বাণিজ্য বাড়াতে হলে অবশ্যই পণ্য বৈচিত্র্যকরণে যেতে হবে।
আজকের পত্রিকা: দেশে মালয়েশিয়ার বিনিয়োগ আসছে না কেন?
আলমগীর জলিল: বিনিয়োগে এই মুহূর্তে বড় কোনো সম্ভাবনা দেখছি না। বাংলাদেশে তাদের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ রবি। শুরু থেকে এ পর্যন্ত তারা এ খাতে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে। এর বাইরে খুব বেশি বড় বিনিয়োগ নেই। আর এখন তো কোভিডের কারণে বিনিয়োগ একদমই বন্ধ। মালয়েশিয়াকে আমরা বহুবার আমন্ত্রণ করেছি। প্রতিটি দেশের বিনিয়োগের নিজস্ব একটা ধরন আছে। চীন যেভাবে আগ্রহ দেখায় মালয়েশিয়া তার উল্টো। অনেকগুলো বড় বড় প্রকল্পে তাদের নিয়ে এসেছিলাম। চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় তারা কোনোভাবেই পারছে না।
আজকের পত্রিকা: দেশের অর্থনীতির জন্য কী কী চ্যালেঞ্জ আছে?
আলমগীর জলিল: দুটি চ্যালেঞ্জ। প্রথমত, মানবসম্পদের উন্নয়ন। কেন যেন এদিকে কোনো মনোযোগই নেই। আমাদের শিক্ষাসহ সার্বিক উন্নয়নের জন্যই প্রয়োজন। আমরা যদি তরুণদের না শেখাই তাহলে কীভাবে হবে? খুব লাগসই একটা শিক্ষাব্যবস্থা ও প্রশিক্ষণ দরকার। আমাদের যে জনশক্তি বিদেশে যাচ্ছেন, তাঁরাও দক্ষ হয়ে যাচ্ছেন না। সরকারের এটাতে মনোযোগ দরকার। আর দরকার সুশাসন। কর রাজস্বেও নানান অসংগতি রয়েছে। করের হার অনেক বেশি। তাই এখানে ব্যবসা করা কঠিন। বেসরকারি খাতকে সুবিধা দিতে হবে।
মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য কেমন চলছে? রপ্তানি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানো যায় কীভাবে? সামনে কী কী চ্যালেঞ্জ আছে? এসব বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ মালয়েশিয়া চেম্বারের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও ডিজাইন ভিশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলমগীর জলিল। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: আপনাদের ব্যবসাটা কেমন চলছে?
আলমগীর জলিল: সবার মতো কমবেশি আমরাও আক্রান্ত। আমাদের চলমান প্রকল্প যেগুলো ছিল, সেগুলো মাঝখানে বন্ধ ছিল। প্রথম দিকে আমরা সেভাবে বুঝতে পারিনি। গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করোনার ধাক্কাটা আমাদের গায়ে লাগেনি। প্রকল্পগুলো মোটামুটি চলছিল, কিছু আয়ও হচ্ছিল। সেপ্টেম্বরের পর থেকে বড় বড় প্রকল্প বন্ধ হতে থাকল। এটা এ বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির দিকে এসে আবার একটু একটু করে খুলছে। এখন নতুন কিছু কাজ পাচ্ছি। তবে সবার মতো আমরাও আক্রান্ত।
আজকের পত্রিকা: ব্যবসায় ঘুরে দাঁড়াতে হলে কী করতে হবে?
আলমগীর জলিল: আমরা শুনছি যে আমাদের আরএমজি খাতে অর্ডার ভালো। কিন্তু আমরা যদি গভীরে যাই, যারা আরএমজি খাতে বেশি অর্ডার পাচ্ছে, তারাও বলছে যে, গত এক-দেড় বছরে তাদের যে ক্ষতিটা হয়েছে, কারখানা বন্ধ ছিল, উৎপাদন ছিল না, কর্মীদের বেতন দিতে হয়েছে, ব্যাংকঋণ পরিশোধ করা যায়নি সময়মতো–এসব ধকলও সইতে হয়েছে। আমি বলব, আমাদের সবগুলো খাতই গড়ে কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ জন্য আমাদের সাবধান হওয়া উচিত। যদি মনে করি তেমন কিছুই হয়নি, ঘুরে দাঁড়াব–আমার মনে হয় এত আত্মতৃপ্তিতে থাকার সুযোগ নেই।
আজকের পত্রিকা: মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য কেমন চলছে?
আলমগীর জলিল: ২০১৯ সালে মালয়েশিয়ার সঙ্গে আমাদের রপ্তানি পরিস্থিতি বেশ ভালো ছিল। ওই সময় দেশটিতে ২৭৭ মিলিয়ন ডলারের মতো রপ্তানি করেছি আমরা। আগের বছরে ছিল ২১০ বা ২২০ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু ২০১৯ সালে রপ্তানিটা বেশ এগোতে থাকল। ২০২০ এসে আবার এটা কমতে শুরু করেছে। স্বাভাবিকভাবেই কোভিড একটা বড় বিষয়। মালয়েশিয়া থেকে আমাদের আমদানিও ভালো ছিল। তবে কোভিডের কারণে আমদানিতেও প্রভাব পড়েছে। আমি বলব, এটাও স্বাভাবিক ঘটনা। ১৫ বছর ধরে আমি মালয়েশিয়া চেম্বারের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণেই নয়; আমার নিজেরও দেশটির সঙ্গে ব্যবসা আছে। আমরা মালয়েশিয়া থেকে আমদানি করি।
আজকের পত্রিকা: রপ্তানি বাড়ানোর সুযোগ কতটুকু?
আলমগীর জলিল: বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়াতে রপ্তানি বাড়বে। তবে খুব একটা বাড়বে না। সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে, মালয়েশিয়া যে টপ ৫টি বা ১৫টি পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করে, এর কোনোটিই বাংলাদেশ তৈরি করে না। তারা মূলত আমদানি করে ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র। মালয়েশিয়ার আমদানিতে যে পণ্য এক নম্বর, আবার রপ্তানিতেও তা এক নম্বর। তারা অ্যাসেম্বল করে তা আবার রিএক্সপোর্ট করে। অনেকে বলে যে মালয়েশিয়ায় রপ্তানি অনেক বাড়বে–এ ধরনের কথার সঙ্গে আমি একেবারেই দ্বিমত পোষণ করছি। যদি আমরা পণ্য বৈচিত্র্যকরণ না করি তাহলে লাভ হবে না। বাংলাদেশ থেকে এখন পর্যন্ত যে ভলিউমের পণ্য রপ্তানি হয়, এর সিংহভাগই তৈরি পোশাক। তারপরও মালয়েশিয়া একটা ছোট বাজার। কিছু প্রক্রিয়াজাত খাবার, শাকসবজি যায়। এগুলোও সীমিত পরিসরে। কারণ, মালয়েশিয়ায় জনসংখ্যাও কম, মাত্র ৩ কোটি। তারা প্রতিবেশী দেশ থেকেই আমাদের চেয়ে বেশি আমদানি করে। আমাদের রপ্তানি ও বাণিজ্য বাড়াতে হলে অবশ্যই পণ্য বৈচিত্র্যকরণে যেতে হবে।
আজকের পত্রিকা: দেশে মালয়েশিয়ার বিনিয়োগ আসছে না কেন?
আলমগীর জলিল: বিনিয়োগে এই মুহূর্তে বড় কোনো সম্ভাবনা দেখছি না। বাংলাদেশে তাদের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ রবি। শুরু থেকে এ পর্যন্ত তারা এ খাতে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে। এর বাইরে খুব বেশি বড় বিনিয়োগ নেই। আর এখন তো কোভিডের কারণে বিনিয়োগ একদমই বন্ধ। মালয়েশিয়াকে আমরা বহুবার আমন্ত্রণ করেছি। প্রতিটি দেশের বিনিয়োগের নিজস্ব একটা ধরন আছে। চীন যেভাবে আগ্রহ দেখায় মালয়েশিয়া তার উল্টো। অনেকগুলো বড় বড় প্রকল্পে তাদের নিয়ে এসেছিলাম। চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় তারা কোনোভাবেই পারছে না।
আজকের পত্রিকা: দেশের অর্থনীতির জন্য কী কী চ্যালেঞ্জ আছে?
আলমগীর জলিল: দুটি চ্যালেঞ্জ। প্রথমত, মানবসম্পদের উন্নয়ন। কেন যেন এদিকে কোনো মনোযোগই নেই। আমাদের শিক্ষাসহ সার্বিক উন্নয়নের জন্যই প্রয়োজন। আমরা যদি তরুণদের না শেখাই তাহলে কীভাবে হবে? খুব লাগসই একটা শিক্ষাব্যবস্থা ও প্রশিক্ষণ দরকার। আমাদের যে জনশক্তি বিদেশে যাচ্ছেন, তাঁরাও দক্ষ হয়ে যাচ্ছেন না। সরকারের এটাতে মনোযোগ দরকার। আর দরকার সুশাসন। কর রাজস্বেও নানান অসংগতি রয়েছে। করের হার অনেক বেশি। তাই এখানে ব্যবসা করা কঠিন। বেসরকারি খাতকে সুবিধা দিতে হবে।
ইউনিক গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাখাওয়াত হোসেন। পর্যটনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মনজুরুল ইসলাম।
০৩ অক্টোবর ২০২৪বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, সুফি এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কোনো বিভাজনমূলক এজেন্ডায় রাজনীতির দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহৃত না হওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা দৃঢ়ভাবে কোনো সাম্প্রদায়িক ফাঁদে আটকা পড়তে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করি। কোনোভাবেই তা হতে দেওয়া যাবে না।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪‘আমি এটাকে ঠিক রাজনৈতিক ভাবাদর্শ বলব না। আমি এটাকে বলব, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, সেটা আমার পারিবারিক শিক্ষা। আমাদের ঘরের ডাইনিং টেবিল থেকে শুরু করে যেকোনো ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পরিবারের বড়দের সাথে আমরা দ্বিমত পোষণ করতে পেরেছি। ছোট থেকে বড়, কারও কোনো কথা বা কাজ ভুল মনে হলে সেটাকে আমরা তার প্রতি স
৩১ আগস্ট ২০২৪একেক মানুষ বেছে নেন একেক পেশা। তাঁদের মধ্যে কারও কারও পেশা একটু ভিন্ন ধরনের। যেমন—মো. মুনসুর আলী ওরফে মন্টু খলিফা। বাপ-দাদার পেশাকে ভালোবেসে শিশুদের খতনা করানো বা হাজামের কাজ বেছে নিয়েছেন পেশা হিসেবে। জীবনে পার করেছেন প্রায় ৮৫ বছর। জানিয়েছেন গত ৬০ বছরে ২ লাখের বেশি শিশুর মুসলমানি বা সুন্নতে খতনা দিয়
৩০ মার্চ ২০২৪