ফারুক মেহেদী
পাটজাত পণ্যের ব্যবসা এখন কেমন? ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষতির হিসাব কীভাবে করা যায়? সামনে কী কী চ্যালেঞ্জ আছে? এসব বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন বিসিআইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ও রপ্তানিমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্যোক্তা শাহেদুল ইসলাম হেলাল। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: সার্বিক ব্যবসা-বাণিজ্য কেমন চলছে?
শাহেদুল ইসলাম হেলাল: আমার পর্যবেক্ষণ হলো স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত নিত্যপণ্যের যেসব ব্যবসা আছে, সেগুলো হয়তো খুব একটা সমস্যায় নেই। খাদ্যপণ্য, ওষুধ, টেলিকম–এগুলো ভালো আছে। কিছু খাত আছে, যেগুলো সত্যি সত্যি খুব সমস্যা মোকাবিলা করছে। অন্যদিকে, রপ্তানিমুখী শিল্প কিছুটা ভালো আছে। পোশাকসহ রপ্তানি খাতের অন্য শিল্পগুলোর ভালো ক্রয়াদেশ আছে। আমি পাটজাত পণ্য রপ্তানি করি। আমার বেশ ভালোই ক্রয়াদেশ আছে। তবে সমস্যা যেটা হয়েছে, আন্তর্জাতিকভাবে পণ্য পাঠাতে খরচ বেড়ে গেছে। আগে যেখানে এক হাজার ডলারে কনটেইনার পাঠানো যেত, এখন তা ৪-৫ হাজার ডলার হয়ে গেছে। জাহাজ পাওয়া যাচ্ছে না। এ ছাড়া আমরা খুব বড় সমস্যা দেখছি না। শুরুতে যতটা খারাপ ছিল, আর খারাপ হবে মনে হয়েছিল, সে রকম কিছু এখন মনে হচ্ছে না। সবাই পুরোদমে কাজ করছে। লকডাউনের কারণে কিছুটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। যেমন, কর্মীরা যারা চলে গেছে, তারা এখনো ফেরেনি, তাদের আর পাওয়া যাবে না। এটা একটা সমস্যা।
আজকের পত্রিকা: রপ্তানিমুখী পাটজাত পণ্যের বাজার কেমন?
শাহেদুল ইসলাম হেলাল: আমার পাটজাত পণ্যের কাঙ্ক্ষিত ক্রয়াদেশ আছে। আমাদের হস্তশিল্পের তৈরি পণ্য সাধারণত গৃহসজ্জায় বেশি ব্যবহৃত হয়। আমাদের বাজারটি অবকাশকেন্দ্রিক। এখন ইউরোপ-আমেরিকায় অভ্যন্তরীণ ভ্রমণ বেশ চাঙা। সবাই দেশের মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সুতরাং আমার ক্রেতারা জানিয়েছেন, পণ্যের ভালো চাহিদা তৈরি হয়েছে এবং তাঁরা পণ্যের জন্য চাপ দিচ্ছেন। আরেকটি কারণ হলো, তাঁরা মার্চ, এপ্রিল, মে সময়ে পণ্য মজুত করেননি, ওটার চাপ এখন তৈরি হয়েছে। পাটজাত কিছু পণ্যের আমার মনে হয় ভালো অবস্থা আছে। একটা সমস্যা কিছুদিন আগে ছিল, পাটের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গিয়েছিল। ওটা ধীরে ধীরে কমছে এবং স্বাভাবিক হবে বলে মনে হয়। নতুন পাট আসছে।
আজকের পত্রিকা: অর্থনীতিতে ক্ষতির হিসাবটা কীভাবে করা যায়?
শাহেদুল ইসলাম হেলাল: কার কী সমস্যা আছে–খাতওয়ারি ক্ষয়ক্ষতির একটা পর্যালোচনা দরকার। সরকার এ ব্যাপারে মনোযোগ দিতে পারে। আমি যেমন আমার খাতের কথা বলতে পারি। এ রকম নিশ্চয়ই অন্য খাতের সমস্যাগুলো অন্যরা বলতে পারবে। এ ক্ষেত্রে এফবিসিসিআই একটি পদক্ষেপ নিতে পারে। তারা সদস্য সংগঠনের কাছে প্রস্তাব চাইতে পারে যে, খাতগুলোর কী পরিস্থিতি, তাদের কেমন সহায়তা প্রয়োজন ইত্যাদি। সবার অবস্থা এক রকম নয়, তাদের জন্য সহায়তার ধরনও এক রকম হবে না। আবার শিক্ষা খাতে ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ভালো ব্যবসা করেছে। অথচ তারা শিক্ষার্থীদের ছাড় দিতে পারত, তা করেনি। এটিও দেখার ব্যাপার রয়েছে।
আজকের পত্রিকা: এসএমই খাতে ই-কমার্স ব্যবসায় কী সম্ভাবনা আছে?
শাহেদুল ইসলাম হেলাল: এসএমই খাতে নতুন কিছু সুযোগ তৈরি হয়েছে। ছোট ছোট ব্যবসা ঘরে বসেই করতে পারছে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে হস্তশিল্পের ব্যবসাও হচ্ছে। সরকার চাইলে এটাকে একটা কাঠামোর মধ্যে আনতে পারে। এসএমই ফাউন্ডেশন এটা করার চেষ্টা করছে। উদ্যোক্তাদের কীভাবে ইন্টারনেটভিত্তিক ব্যবসায় এগিয়ে দেওয়া যায়–ওয়েবসাইট করা, গ্রামেগঞ্জে ইন্টারনেটভিত্তিক কানেকটিভিটি বাড়ানো ইত্যাদি। শোরুম দিয়ে পণ্য বিক্রির দরকার নেই। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অনেক পণ্য অনলাইনে বিক্রির ব্যবস্থা করা যায়। এখন যেভাবে হচ্ছে, সেটা আরও সাংগঠনিক কাঠামোর মাধ্যমে করতে হবে। এখানে সরকার, এসএমই ফাউন্ডেশন এবং মিডিয়া ই-কমার্স খাতটাকে আরও সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য কাজ করতে পারে। অনেকেই রেগুলেশনের মধ্যে নেই। সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
আজকের পত্রিকা: সামনে কী কী চ্যালেঞ্জ দেখছেন?
শাহেদুল ইসলাম হেলাল: আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো অনিশ্চয়তা। সরকার যে শ্রমিক পর্যায়ে টিকার ব্যবস্থা করেছে, এটা আরও দ্রুত করা দরকার। আরেকটি হলো সর্বস্তরে সচেতনতা কর্মসূচি পরিচালনা করা। এটা ঠিকমতো হয়নি এখনো। আরেকটা বড় চ্যালেঞ্জ, যেটা নিয়ে বেশি কথা হয় না; সেটা হলো আইসোলেশন সেন্টার। শ্রমিক পর্যায়ে একজনেরও যদি করোনা হয়, সে যেখানে যাবে সেখানে আরও ছড়াবে। ওকে আইসোলেশনে রাখার জন্য একটা প্রক্রিয়া তৈরি করা দরকার। এটা হতে পারে স্কুল-কলেজ যেখানে আছে সেখানে। একতলা ভবনকে আইসোলেশন সেন্টার বানানো যেতে পারে।
পাটজাত পণ্যের ব্যবসা এখন কেমন? ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষতির হিসাব কীভাবে করা যায়? সামনে কী কী চ্যালেঞ্জ আছে? এসব বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন বিসিআইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ও রপ্তানিমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্যোক্তা শাহেদুল ইসলাম হেলাল। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: সার্বিক ব্যবসা-বাণিজ্য কেমন চলছে?
শাহেদুল ইসলাম হেলাল: আমার পর্যবেক্ষণ হলো স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত নিত্যপণ্যের যেসব ব্যবসা আছে, সেগুলো হয়তো খুব একটা সমস্যায় নেই। খাদ্যপণ্য, ওষুধ, টেলিকম–এগুলো ভালো আছে। কিছু খাত আছে, যেগুলো সত্যি সত্যি খুব সমস্যা মোকাবিলা করছে। অন্যদিকে, রপ্তানিমুখী শিল্প কিছুটা ভালো আছে। পোশাকসহ রপ্তানি খাতের অন্য শিল্পগুলোর ভালো ক্রয়াদেশ আছে। আমি পাটজাত পণ্য রপ্তানি করি। আমার বেশ ভালোই ক্রয়াদেশ আছে। তবে সমস্যা যেটা হয়েছে, আন্তর্জাতিকভাবে পণ্য পাঠাতে খরচ বেড়ে গেছে। আগে যেখানে এক হাজার ডলারে কনটেইনার পাঠানো যেত, এখন তা ৪-৫ হাজার ডলার হয়ে গেছে। জাহাজ পাওয়া যাচ্ছে না। এ ছাড়া আমরা খুব বড় সমস্যা দেখছি না। শুরুতে যতটা খারাপ ছিল, আর খারাপ হবে মনে হয়েছিল, সে রকম কিছু এখন মনে হচ্ছে না। সবাই পুরোদমে কাজ করছে। লকডাউনের কারণে কিছুটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। যেমন, কর্মীরা যারা চলে গেছে, তারা এখনো ফেরেনি, তাদের আর পাওয়া যাবে না। এটা একটা সমস্যা।
আজকের পত্রিকা: রপ্তানিমুখী পাটজাত পণ্যের বাজার কেমন?
শাহেদুল ইসলাম হেলাল: আমার পাটজাত পণ্যের কাঙ্ক্ষিত ক্রয়াদেশ আছে। আমাদের হস্তশিল্পের তৈরি পণ্য সাধারণত গৃহসজ্জায় বেশি ব্যবহৃত হয়। আমাদের বাজারটি অবকাশকেন্দ্রিক। এখন ইউরোপ-আমেরিকায় অভ্যন্তরীণ ভ্রমণ বেশ চাঙা। সবাই দেশের মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সুতরাং আমার ক্রেতারা জানিয়েছেন, পণ্যের ভালো চাহিদা তৈরি হয়েছে এবং তাঁরা পণ্যের জন্য চাপ দিচ্ছেন। আরেকটি কারণ হলো, তাঁরা মার্চ, এপ্রিল, মে সময়ে পণ্য মজুত করেননি, ওটার চাপ এখন তৈরি হয়েছে। পাটজাত কিছু পণ্যের আমার মনে হয় ভালো অবস্থা আছে। একটা সমস্যা কিছুদিন আগে ছিল, পাটের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গিয়েছিল। ওটা ধীরে ধীরে কমছে এবং স্বাভাবিক হবে বলে মনে হয়। নতুন পাট আসছে।
আজকের পত্রিকা: অর্থনীতিতে ক্ষতির হিসাবটা কীভাবে করা যায়?
শাহেদুল ইসলাম হেলাল: কার কী সমস্যা আছে–খাতওয়ারি ক্ষয়ক্ষতির একটা পর্যালোচনা দরকার। সরকার এ ব্যাপারে মনোযোগ দিতে পারে। আমি যেমন আমার খাতের কথা বলতে পারি। এ রকম নিশ্চয়ই অন্য খাতের সমস্যাগুলো অন্যরা বলতে পারবে। এ ক্ষেত্রে এফবিসিসিআই একটি পদক্ষেপ নিতে পারে। তারা সদস্য সংগঠনের কাছে প্রস্তাব চাইতে পারে যে, খাতগুলোর কী পরিস্থিতি, তাদের কেমন সহায়তা প্রয়োজন ইত্যাদি। সবার অবস্থা এক রকম নয়, তাদের জন্য সহায়তার ধরনও এক রকম হবে না। আবার শিক্ষা খাতে ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ভালো ব্যবসা করেছে। অথচ তারা শিক্ষার্থীদের ছাড় দিতে পারত, তা করেনি। এটিও দেখার ব্যাপার রয়েছে।
আজকের পত্রিকা: এসএমই খাতে ই-কমার্স ব্যবসায় কী সম্ভাবনা আছে?
শাহেদুল ইসলাম হেলাল: এসএমই খাতে নতুন কিছু সুযোগ তৈরি হয়েছে। ছোট ছোট ব্যবসা ঘরে বসেই করতে পারছে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে হস্তশিল্পের ব্যবসাও হচ্ছে। সরকার চাইলে এটাকে একটা কাঠামোর মধ্যে আনতে পারে। এসএমই ফাউন্ডেশন এটা করার চেষ্টা করছে। উদ্যোক্তাদের কীভাবে ইন্টারনেটভিত্তিক ব্যবসায় এগিয়ে দেওয়া যায়–ওয়েবসাইট করা, গ্রামেগঞ্জে ইন্টারনেটভিত্তিক কানেকটিভিটি বাড়ানো ইত্যাদি। শোরুম দিয়ে পণ্য বিক্রির দরকার নেই। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অনেক পণ্য অনলাইনে বিক্রির ব্যবস্থা করা যায়। এখন যেভাবে হচ্ছে, সেটা আরও সাংগঠনিক কাঠামোর মাধ্যমে করতে হবে। এখানে সরকার, এসএমই ফাউন্ডেশন এবং মিডিয়া ই-কমার্স খাতটাকে আরও সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য কাজ করতে পারে। অনেকেই রেগুলেশনের মধ্যে নেই। সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
আজকের পত্রিকা: সামনে কী কী চ্যালেঞ্জ দেখছেন?
শাহেদুল ইসলাম হেলাল: আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো অনিশ্চয়তা। সরকার যে শ্রমিক পর্যায়ে টিকার ব্যবস্থা করেছে, এটা আরও দ্রুত করা দরকার। আরেকটি হলো সর্বস্তরে সচেতনতা কর্মসূচি পরিচালনা করা। এটা ঠিকমতো হয়নি এখনো। আরেকটা বড় চ্যালেঞ্জ, যেটা নিয়ে বেশি কথা হয় না; সেটা হলো আইসোলেশন সেন্টার। শ্রমিক পর্যায়ে একজনেরও যদি করোনা হয়, সে যেখানে যাবে সেখানে আরও ছড়াবে। ওকে আইসোলেশনে রাখার জন্য একটা প্রক্রিয়া তৈরি করা দরকার। এটা হতে পারে স্কুল-কলেজ যেখানে আছে সেখানে। একতলা ভবনকে আইসোলেশন সেন্টার বানানো যেতে পারে।
ইউনিক গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাখাওয়াত হোসেন। পর্যটনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মনজুরুল ইসলাম।
০৩ অক্টোবর ২০২৪বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, সুফি এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কোনো বিভাজনমূলক এজেন্ডায় রাজনীতির দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহৃত না হওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা দৃঢ়ভাবে কোনো সাম্প্রদায়িক ফাঁদে আটকা পড়তে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করি। কোনোভাবেই তা হতে দেওয়া যাবে না।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪‘আমি এটাকে ঠিক রাজনৈতিক ভাবাদর্শ বলব না। আমি এটাকে বলব, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, সেটা আমার পারিবারিক শিক্ষা। আমাদের ঘরের ডাইনিং টেবিল থেকে শুরু করে যেকোনো ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পরিবারের বড়দের সাথে আমরা দ্বিমত পোষণ করতে পেরেছি। ছোট থেকে বড়, কারও কোনো কথা বা কাজ ভুল মনে হলে সেটাকে আমরা তার প্রতি স
৩১ আগস্ট ২০২৪একেক মানুষ বেছে নেন একেক পেশা। তাঁদের মধ্যে কারও কারও পেশা একটু ভিন্ন ধরনের। যেমন—মো. মুনসুর আলী ওরফে মন্টু খলিফা। বাপ-দাদার পেশাকে ভালোবেসে শিশুদের খতনা করানো বা হাজামের কাজ বেছে নিয়েছেন পেশা হিসেবে। জীবনে পার করেছেন প্রায় ৮৫ বছর। জানিয়েছেন গত ৬০ বছরে ২ লাখের বেশি শিশুর মুসলমানি বা সুন্নতে খতনা দিয়
৩০ মার্চ ২০২৪