ফারুক মেহেদী
ধানের উৎপাদন বাড়াতে নেওয়া কৌশলপত্রটি কেমন? খাদ্যনিরাপত্তা গড়ে তুলতে হলে কী করতে হবে? বাজারে চালের সংকট হয় কেন? এসব বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মহাপরিচালক ড. শাহজাহান কবীর। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: ধানের উৎপাদন দ্বিগুণ করতে কৌশলপত্রটি কেমন?
ড. শাহজাহান কবীর: সরকারের এসডিজি বাস্তবায়নের লক্ষ্য উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণ করা। এখন আমরা যদি ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি বাস্তবায়ন করতে চাই, তাহলে উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণ করতে হবে। সেটাকে সামনে রেখেই কৌশলপত্র তৈরি করেছি। ২০১৬ সাল থেকেই আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। আশা করছি, ২০২৯ সালের মধ্যেই আমাদের উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণ করতে পারব। এ জন্য আমরা কিছু উপায় ঠিক করেছি, যেসবের মাধ্যমে আমরা লক্ষ্যমাত্রাটা অর্জন করতে পারব।
আজকের পত্রিকা: এটা কীভাবে অর্জন সম্ভব?
ড. শাহজাহান কবীর: মনে করেন, কৃষক ২০১৬ সালে ধান থেকে যে আয় করত ২০৩০ সালে গিয়ে তার আয়টা দ্বিগুণ হবে। কীভাবে হবে? প্রথমত, এমন জাত আমরা উদ্ভাবন করব, তাতে কৃষকের ফলন বাড়বে। আগে যেমন ২০ মণ ফলন হতো, এখন ২৫ মণ হবে। এখন জাত উদ্ভাবন করলাম। এই মুহূর্তে আমাদের হেক্টরপ্রতি ১০ টন ফলন হবে এমন জাত আছে। কিন্তু কৃষকের মাঠে বাস্তবে তা হয় ৬ টন বা সাড়ে ৫ টন। আমরা বলছি, এখন সর্বোচ্চ ব্যবস্থাপনা দিতে হবে। ধানের ১৭টি ধাপ রয়েছে। প্রতিটি ধাপেই আলাদা আলাদা ব্যবস্থাপনা রয়েছে। এগুলো ধীরে ধীরে কৃষকের মাঝে ছড়িয়ে দেব, যাতে তারা এটা বাস্তবে প্রয়োগ করে। বাংলাদেশের অনেক জায়গা আছে, যেখানে বিপুল পরিমাণ জমি অনাবাদি। এ রকম আমরা পাঁচটি এলাকা চিহ্নিত করেছি, এগুলো আস্তে আস্তে আবাদের আওতায় আনা হবে।
আজকের পত্রিকা: আর কীভাবে ফলন ও কৃষকের আয় বাড়ানো যাবে?
ড. শাহজাহান কবীর: কৃষক যে উৎপাদন করে তার খরচ অনেক বেশি। আমরা বলছি, এখানে যদি যান্ত্রিকীকরণ করা যায়, তাহলে খরচ সময় কমে যাবে, আবার উৎপাদন বেড়ে যাবে। আরেকটা বলেছি আমরা যে কৃষক তার উৎপাদিত ধানের ন্যায্য দাম পায় না, এর ন্যায্য দাম পেতে হবে। এর জন্য আমরা কিছু উপায় ঠিক করেছি। সব উপায়ই অর্জন করা সম্ভব। এর ৭৫ শতাংশও যদি অর্জন করা যায়, তাতেও আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব। শুধু ২০৩০ সাল নয়; আমরা ২০৪০ এবং ২০৫০ সালেও ধানের উৎপাদনশীলতা কত হবে সেটারও হিসাব করেছি। আমরা ২০৫০ সাল পর্যন্ত আমাদের খাদ্যনিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত করা যাবে তার একটা পরিকল্পনা প্রস্তাব করেছি।
আজকের পত্রিকা: এ সময়ে তো চাহিদাও বাড়বে?
ড. শাহজাহান কবীর: আমাদের উৎপাদনশীলতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাহিদাও বাড়বে। আমরা বলেছি, ২০৩০ সালে আমাদের চালের উদ্বৃত্ত হবে প্রায় ৮২ লাখ টন। ২০৪০ সালে আমাদের উদ্বৃত্ত হবে ৫৪ লাখ টন। ওই সময়ে আমাদের চাহিদা বাড়বে, জলবায়ু ঝুঁকি বাড়বে—এ রকম অনেক বিষয় সামনে আসবে। তার সবই আমাদের প্রস্তাবে তুলে ধরেছি।
আজকের পত্রিকা: বেশি উৎপাদনেও কেন বাজারে চালের সংকট?
ড. শাহজাহান কবীর: বাজারে চালের কোনো সংকট নেই। আপনি বাজারে যান, দেখেন কোনো সংকট আপনার চোখে পড়েছে কি না? বা বাজারে গিয়ে কেউ চাল কিনতে পারেনি এমন কি হয়েছে? এ জন্য আমরা বলেছি বাজারটাকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে হবে। সারা বছর শেষ করে ২৮ লাখ টন চাল উদ্বৃত্ত থাকবে। তবে আপনি এটা দেখতে পাবেন না। এক মাসে আমরা ২১ লাখ টন চাল খাই। আর ২৮ লাখ টন মানে ৪০ দিনের খাবার। প্রত্যেকের ঘরেই এক বা দুই মাসের চাল মজুত থাকে। মিলাররা কি শূন্য? তাদের কাছেও প্রচুর চাল মজুত আছে। আড়তদার, খুচরা বিক্রেতা সবার কাছে আছে। এভাবেই মজুতটা আছে। আপনি ২০ বস্তা চাল কিনতে চাইলে কিনতে পারবেন। আমাদের দুর্ভাগ্য যে বিষয়টি ব্যবস্থাপনা করতে পারিনি।
আজকের পত্রিকা: এত চালের পরও কেন আমদানি করতে হয়?
ড. শাহজাহান কবীর: সরকার চেষ্টা করছে যাতে বাজারটা সহনীয় থাকে। ভোক্তারা বেশি দামে চাল কিনছে, গরিবকেও বেশি দামে চাল কিনতে হচ্ছে। সরকারকে গরিব মানুষের দিকটি দেখতে হয়। সরকার অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে কাঙ্ক্ষিত চাল কিনতে পারেনি। মিলাররাও সেভাবে চাল দেয়নি। সে জন্য সরকার বাজারে চাল থাকা সত্ত্বেও বাইরে থেকে চাল আনতে হচ্ছে। প্রথমত, সরকার মজুত বাড়াতে চাচ্ছে, আবার সরকারের অনেক কর্মসূচি চলমান রয়েছে—ভিজিএফ, রেশন, ওএমএস। এসবের জন্য প্রচুর চাল প্রয়োজন। এ জন্য আমাদের পরামর্শ যে সরকারের কাছে অন্তত ১৫-২০ লাখ টন চাল মজুত থাকতে হবে। এটা করলে এসব কর্মসূচি দিয়ে বাজারটা ঠিক রাখা যায়।
ধানের উৎপাদন বাড়াতে নেওয়া কৌশলপত্রটি কেমন? খাদ্যনিরাপত্তা গড়ে তুলতে হলে কী করতে হবে? বাজারে চালের সংকট হয় কেন? এসব বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মহাপরিচালক ড. শাহজাহান কবীর। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: ধানের উৎপাদন দ্বিগুণ করতে কৌশলপত্রটি কেমন?
ড. শাহজাহান কবীর: সরকারের এসডিজি বাস্তবায়নের লক্ষ্য উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণ করা। এখন আমরা যদি ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি বাস্তবায়ন করতে চাই, তাহলে উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণ করতে হবে। সেটাকে সামনে রেখেই কৌশলপত্র তৈরি করেছি। ২০১৬ সাল থেকেই আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। আশা করছি, ২০২৯ সালের মধ্যেই আমাদের উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণ করতে পারব। এ জন্য আমরা কিছু উপায় ঠিক করেছি, যেসবের মাধ্যমে আমরা লক্ষ্যমাত্রাটা অর্জন করতে পারব।
আজকের পত্রিকা: এটা কীভাবে অর্জন সম্ভব?
ড. শাহজাহান কবীর: মনে করেন, কৃষক ২০১৬ সালে ধান থেকে যে আয় করত ২০৩০ সালে গিয়ে তার আয়টা দ্বিগুণ হবে। কীভাবে হবে? প্রথমত, এমন জাত আমরা উদ্ভাবন করব, তাতে কৃষকের ফলন বাড়বে। আগে যেমন ২০ মণ ফলন হতো, এখন ২৫ মণ হবে। এখন জাত উদ্ভাবন করলাম। এই মুহূর্তে আমাদের হেক্টরপ্রতি ১০ টন ফলন হবে এমন জাত আছে। কিন্তু কৃষকের মাঠে বাস্তবে তা হয় ৬ টন বা সাড়ে ৫ টন। আমরা বলছি, এখন সর্বোচ্চ ব্যবস্থাপনা দিতে হবে। ধানের ১৭টি ধাপ রয়েছে। প্রতিটি ধাপেই আলাদা আলাদা ব্যবস্থাপনা রয়েছে। এগুলো ধীরে ধীরে কৃষকের মাঝে ছড়িয়ে দেব, যাতে তারা এটা বাস্তবে প্রয়োগ করে। বাংলাদেশের অনেক জায়গা আছে, যেখানে বিপুল পরিমাণ জমি অনাবাদি। এ রকম আমরা পাঁচটি এলাকা চিহ্নিত করেছি, এগুলো আস্তে আস্তে আবাদের আওতায় আনা হবে।
আজকের পত্রিকা: আর কীভাবে ফলন ও কৃষকের আয় বাড়ানো যাবে?
ড. শাহজাহান কবীর: কৃষক যে উৎপাদন করে তার খরচ অনেক বেশি। আমরা বলছি, এখানে যদি যান্ত্রিকীকরণ করা যায়, তাহলে খরচ সময় কমে যাবে, আবার উৎপাদন বেড়ে যাবে। আরেকটা বলেছি আমরা যে কৃষক তার উৎপাদিত ধানের ন্যায্য দাম পায় না, এর ন্যায্য দাম পেতে হবে। এর জন্য আমরা কিছু উপায় ঠিক করেছি। সব উপায়ই অর্জন করা সম্ভব। এর ৭৫ শতাংশও যদি অর্জন করা যায়, তাতেও আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব। শুধু ২০৩০ সাল নয়; আমরা ২০৪০ এবং ২০৫০ সালেও ধানের উৎপাদনশীলতা কত হবে সেটারও হিসাব করেছি। আমরা ২০৫০ সাল পর্যন্ত আমাদের খাদ্যনিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত করা যাবে তার একটা পরিকল্পনা প্রস্তাব করেছি।
আজকের পত্রিকা: এ সময়ে তো চাহিদাও বাড়বে?
ড. শাহজাহান কবীর: আমাদের উৎপাদনশীলতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাহিদাও বাড়বে। আমরা বলেছি, ২০৩০ সালে আমাদের চালের উদ্বৃত্ত হবে প্রায় ৮২ লাখ টন। ২০৪০ সালে আমাদের উদ্বৃত্ত হবে ৫৪ লাখ টন। ওই সময়ে আমাদের চাহিদা বাড়বে, জলবায়ু ঝুঁকি বাড়বে—এ রকম অনেক বিষয় সামনে আসবে। তার সবই আমাদের প্রস্তাবে তুলে ধরেছি।
আজকের পত্রিকা: বেশি উৎপাদনেও কেন বাজারে চালের সংকট?
ড. শাহজাহান কবীর: বাজারে চালের কোনো সংকট নেই। আপনি বাজারে যান, দেখেন কোনো সংকট আপনার চোখে পড়েছে কি না? বা বাজারে গিয়ে কেউ চাল কিনতে পারেনি এমন কি হয়েছে? এ জন্য আমরা বলেছি বাজারটাকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে হবে। সারা বছর শেষ করে ২৮ লাখ টন চাল উদ্বৃত্ত থাকবে। তবে আপনি এটা দেখতে পাবেন না। এক মাসে আমরা ২১ লাখ টন চাল খাই। আর ২৮ লাখ টন মানে ৪০ দিনের খাবার। প্রত্যেকের ঘরেই এক বা দুই মাসের চাল মজুত থাকে। মিলাররা কি শূন্য? তাদের কাছেও প্রচুর চাল মজুত আছে। আড়তদার, খুচরা বিক্রেতা সবার কাছে আছে। এভাবেই মজুতটা আছে। আপনি ২০ বস্তা চাল কিনতে চাইলে কিনতে পারবেন। আমাদের দুর্ভাগ্য যে বিষয়টি ব্যবস্থাপনা করতে পারিনি।
আজকের পত্রিকা: এত চালের পরও কেন আমদানি করতে হয়?
ড. শাহজাহান কবীর: সরকার চেষ্টা করছে যাতে বাজারটা সহনীয় থাকে। ভোক্তারা বেশি দামে চাল কিনছে, গরিবকেও বেশি দামে চাল কিনতে হচ্ছে। সরকারকে গরিব মানুষের দিকটি দেখতে হয়। সরকার অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে কাঙ্ক্ষিত চাল কিনতে পারেনি। মিলাররাও সেভাবে চাল দেয়নি। সে জন্য সরকার বাজারে চাল থাকা সত্ত্বেও বাইরে থেকে চাল আনতে হচ্ছে। প্রথমত, সরকার মজুত বাড়াতে চাচ্ছে, আবার সরকারের অনেক কর্মসূচি চলমান রয়েছে—ভিজিএফ, রেশন, ওএমএস। এসবের জন্য প্রচুর চাল প্রয়োজন। এ জন্য আমাদের পরামর্শ যে সরকারের কাছে অন্তত ১৫-২০ লাখ টন চাল মজুত থাকতে হবে। এটা করলে এসব কর্মসূচি দিয়ে বাজারটা ঠিক রাখা যায়।
ইউনিক গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাখাওয়াত হোসেন। পর্যটনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মনজুরুল ইসলাম।
০৩ অক্টোবর ২০২৪বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, সুফি এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কোনো বিভাজনমূলক এজেন্ডায় রাজনীতির দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহৃত না হওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা দৃঢ়ভাবে কোনো সাম্প্রদায়িক ফাঁদে আটকা পড়তে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করি। কোনোভাবেই তা হতে দেওয়া যাবে না।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪‘আমি এটাকে ঠিক রাজনৈতিক ভাবাদর্শ বলব না। আমি এটাকে বলব, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, সেটা আমার পারিবারিক শিক্ষা। আমাদের ঘরের ডাইনিং টেবিল থেকে শুরু করে যেকোনো ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পরিবারের বড়দের সাথে আমরা দ্বিমত পোষণ করতে পেরেছি। ছোট থেকে বড়, কারও কোনো কথা বা কাজ ভুল মনে হলে সেটাকে আমরা তার প্রতি স
৩১ আগস্ট ২০২৪একেক মানুষ বেছে নেন একেক পেশা। তাঁদের মধ্যে কারও কারও পেশা একটু ভিন্ন ধরনের। যেমন—মো. মুনসুর আলী ওরফে মন্টু খলিফা। বাপ-দাদার পেশাকে ভালোবেসে শিশুদের খতনা করানো বা হাজামের কাজ বেছে নিয়েছেন পেশা হিসেবে। জীবনে পার করেছেন প্রায় ৮৫ বছর। জানিয়েছেন গত ৬০ বছরে ২ লাখের বেশি শিশুর মুসলমানি বা সুন্নতে খতনা দিয়
৩০ মার্চ ২০২৪