ফারুক মেহেদী
ব্যবসায়ীদের ১৫ বছর মেয়াদি ঋণ দেওয়া কতটা যৌক্তিক? এসএমই খাতের ঋণের মেয়াদ বাড়ানো যায় কি না? ঋণের কিস্তি পরিশোধের নমনীয়তা ব্যাংকে ঝুঁকি তৈরি করছে কি না? এসব বিষয়ে কথা বলেছেন ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এমরানুল হক। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: ঋণপ্রবাহ এখন কেমন? প্রণোদনার ঋণ বিতরণে অগ্রগতি কতটুকু?
এমরানুল হক : এখন ঋণপ্রবাহ কম। চাহিদাও কম। চাহিদা কম হওয়ার কারণ হলো, অনেকের ব্যবসা বা শিল্প সম্প্রসারণের পরিকল্পনা থেমে আছে। অনেক ব্যবসার অবস্থা খারাপ। মানুষের ভোগ কমে গেছে। আর ভোগের চাহিদা কমলে, ঋণের চাহিদাও কমবে–এটাই স্বাভাবিক। ফলে কাঙ্ক্ষিত ঋণ প্রবৃদ্ধি হচ্ছে না। তবে যাদের প্রকৃত চাহিদা আছে এবং ঝুঁকি পর্যালোচনা করে মনে হয় যারা ঋণটা চালিয়ে নিতে পারবে, তাদের আমরা ঋণ দিচ্ছি। বড় করপোরেট গ্রাহকদের প্রণোদনার ঋণের সবটুকুই দেওয়া হয়েছে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতে দেওয়া হয়েছে ৭০-৮০ শতাংশ। এসব ঋণের ঝুঁকি যেহেতু ব্যাংকের ওপর, তাই এখন এসব ঋণ সময়মতো আদায়ের ব্যাপারে নজরদারি করছি।
আজকের পত্রিকা: প্রণোদনার ঋণ আদায়ে কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন? কিস্তি সময়মতো পাওয়া যাবে কি না?
এমরানুল হক : ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদি ঋণের কিস্তির ২৫ শতাংশ দিলেই হবে। আমরা গ্রাহককে খেলাপি করব না। বাকিটা মেয়াদি ঋণের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আরও এক বছর পাবে। এখন কিস্তিতে নমনীয়তার কারণে তারা খেলাপি হচ্ছে না। এটা বাস্তবে বাবল বা ফানুশ। তবে ব্যাংক যাতে গ্রাহকদের ঠিকমতো নজরে রাখে, সে ব্যাপারে ব্যাংককে আরও বেশি মনোযোগী হতে হবে। না হলে দেখা যাবে যে, গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে ক্যাশ ফ্লো বা নগদ টাকা আসার পরও তা জমা হবে না। আর কিছু গ্রাহক যদি প্রকৃতই ক্ষতিগ্রস্ত হয়; তবে তাদের সাহায্য করতে হবে। এটা হবে ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে।
আজকের পত্রিকা: ব্যবসায়ীদের সহজে ঋণ দেওয়ার প্রস্তাবকে কীভাবে দেখছেন?
এমরানুল হক : ব্যবসায়ীরা ১৫ বছর মেয়াদি ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন। এটা আমার কাছে যৌক্তিক মনে হয় না। কারণ, ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ঋণ তো কখনোই ১৫ বছরের হয় না। এটা নির্ভর করবে কেস টু কেস ভিত্তিতে। যাদের ক্যাশ ফ্লো চলে আসবে, তাদের কেন আমরা ১৫ বছর করব? আর আমরা তো ১৫ বছর মেয়াদি আমানত পাই না। এমনকি ১০ বছর মেয়াদিও নয়। এটা করতে গেলে ঋণ-আমানতে অসামঞ্জস্য দেখা দেবে। তখন বিশাল রকমের একটা অস্থিরতা তৈরি হবে। আর আমাদের ব্যাংক তো মাল্টিলেটারাল এজেন্সির সঙ্গে কাজ করে। যেমন: এডিবি, আইএফসি থেকে ফান্ড নিচ্ছি। তারা চুক্তিতে যাওয়ার আগে আমাদের ফান্ডে কোনো গরমিল আছে কি না দেখে। এগুলো করা হলে তারা আমাদের সঙ্গে কাজ করতে নিরুৎসাহিত হবে। তবে সরকার কম সুদে দীর্ঘমেয়াদি তহবিল দিলে আমরা মেয়াদ বাড়াতে পারব।
আজকের পত্রিকা: এসএমই খাতের ঋণের মেয়াদ বাড়ানো যায় কি না?
এমরানুল হক : এসএমই ক্যাশ ফ্লো খুব তাড়াতাড়ি আসে। এসএমইর যেসব শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের ঋণের মেয়াদ দুই বছর বা সর্বোচ্চ আড়াই বছর করা যেতে পারে। যেটা পাঁচ বছর ছিল সেটা হয়তো ছয় বছর করা যেতে পারে। কিন্তু ঢালাওভাবে ৮/১০ বছর করা হলে দেখা যাবে ব্যাংকে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। অনেক গ্রাহকের টাকা ফেরতের ব্যাপারে অনীহা আছে, তারা সুযোগ পেয়ে যাবে। সেই সুযোগটা যাতে তৈরি না হয়, তা দেখতে হবে।
আজকের পত্রিকা: কাদের জন্য ঋণের মেয়াদ বাড়ানো উচিত?
এমরানুল হক : এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক যেসব কৌশল নিয়েছে, সেটাকে সাধুবাদ জানাই। আমি মনে করি, এসব পদক্ষেপ ইতিবাচক। যেমন: ঋণের মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে দেওয়া, কিস্তির ২৫ শতাংশ পরিশোধ করা, খেলাপি যাতে না হয় সে জন্য সাহায্য করা ইত্যাদি। আমাদের হসপিটালিটি খাত, হোটেল-মোটেল খাত বিপর্যস্ত হয়েছে। এয়ারলাইনস, ট্রান্সপোর্টেশন এরাও ক্ষতিগ্রস্ত। এ খাতে যারা অর্থায়ন করেছে, তারাও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদের জন্য কিছুটা দীর্ঘমেয়াদি ঋণের সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। ঢালাওভাবে নয়।
আজকের পত্রিকা: কোভিডকালীন ব্যাংকিং কীভাবে করছেন?
এমরানুল হক : করোনাকালে আমরা ৫০-৬০ শতাংশ হোম অফিস করিয়েছি। এখনো ১৫-২০ শতাংশ হোম অফিস করছে। এরই মধ্যে আমাদের অধিকাংশ টিকা নিয়েছে। আর গ্রাহকদের বিকল্প ব্যাংকিংয়ে উৎসাহিত করেছি, যাতে ব্যাংকে না এসেও সেবা নিতে পারেন। ফরেন ট্রেড ট্রানজেকশনসহ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম বা অ্যাপের মাধ্যমে সেবা ছড়িয়ে দিয়েছি। সব মিলিয়ে কোভিডকালীন ব্যাংকিং যতটা পারা যায় নিরবচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের ১৫ বছর মেয়াদি ঋণ দেওয়া কতটা যৌক্তিক? এসএমই খাতের ঋণের মেয়াদ বাড়ানো যায় কি না? ঋণের কিস্তি পরিশোধের নমনীয়তা ব্যাংকে ঝুঁকি তৈরি করছে কি না? এসব বিষয়ে কথা বলেছেন ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এমরানুল হক। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: ঋণপ্রবাহ এখন কেমন? প্রণোদনার ঋণ বিতরণে অগ্রগতি কতটুকু?
এমরানুল হক : এখন ঋণপ্রবাহ কম। চাহিদাও কম। চাহিদা কম হওয়ার কারণ হলো, অনেকের ব্যবসা বা শিল্প সম্প্রসারণের পরিকল্পনা থেমে আছে। অনেক ব্যবসার অবস্থা খারাপ। মানুষের ভোগ কমে গেছে। আর ভোগের চাহিদা কমলে, ঋণের চাহিদাও কমবে–এটাই স্বাভাবিক। ফলে কাঙ্ক্ষিত ঋণ প্রবৃদ্ধি হচ্ছে না। তবে যাদের প্রকৃত চাহিদা আছে এবং ঝুঁকি পর্যালোচনা করে মনে হয় যারা ঋণটা চালিয়ে নিতে পারবে, তাদের আমরা ঋণ দিচ্ছি। বড় করপোরেট গ্রাহকদের প্রণোদনার ঋণের সবটুকুই দেওয়া হয়েছে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতে দেওয়া হয়েছে ৭০-৮০ শতাংশ। এসব ঋণের ঝুঁকি যেহেতু ব্যাংকের ওপর, তাই এখন এসব ঋণ সময়মতো আদায়ের ব্যাপারে নজরদারি করছি।
আজকের পত্রিকা: প্রণোদনার ঋণ আদায়ে কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন? কিস্তি সময়মতো পাওয়া যাবে কি না?
এমরানুল হক : ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদি ঋণের কিস্তির ২৫ শতাংশ দিলেই হবে। আমরা গ্রাহককে খেলাপি করব না। বাকিটা মেয়াদি ঋণের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আরও এক বছর পাবে। এখন কিস্তিতে নমনীয়তার কারণে তারা খেলাপি হচ্ছে না। এটা বাস্তবে বাবল বা ফানুশ। তবে ব্যাংক যাতে গ্রাহকদের ঠিকমতো নজরে রাখে, সে ব্যাপারে ব্যাংককে আরও বেশি মনোযোগী হতে হবে। না হলে দেখা যাবে যে, গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে ক্যাশ ফ্লো বা নগদ টাকা আসার পরও তা জমা হবে না। আর কিছু গ্রাহক যদি প্রকৃতই ক্ষতিগ্রস্ত হয়; তবে তাদের সাহায্য করতে হবে। এটা হবে ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে।
আজকের পত্রিকা: ব্যবসায়ীদের সহজে ঋণ দেওয়ার প্রস্তাবকে কীভাবে দেখছেন?
এমরানুল হক : ব্যবসায়ীরা ১৫ বছর মেয়াদি ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন। এটা আমার কাছে যৌক্তিক মনে হয় না। কারণ, ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ঋণ তো কখনোই ১৫ বছরের হয় না। এটা নির্ভর করবে কেস টু কেস ভিত্তিতে। যাদের ক্যাশ ফ্লো চলে আসবে, তাদের কেন আমরা ১৫ বছর করব? আর আমরা তো ১৫ বছর মেয়াদি আমানত পাই না। এমনকি ১০ বছর মেয়াদিও নয়। এটা করতে গেলে ঋণ-আমানতে অসামঞ্জস্য দেখা দেবে। তখন বিশাল রকমের একটা অস্থিরতা তৈরি হবে। আর আমাদের ব্যাংক তো মাল্টিলেটারাল এজেন্সির সঙ্গে কাজ করে। যেমন: এডিবি, আইএফসি থেকে ফান্ড নিচ্ছি। তারা চুক্তিতে যাওয়ার আগে আমাদের ফান্ডে কোনো গরমিল আছে কি না দেখে। এগুলো করা হলে তারা আমাদের সঙ্গে কাজ করতে নিরুৎসাহিত হবে। তবে সরকার কম সুদে দীর্ঘমেয়াদি তহবিল দিলে আমরা মেয়াদ বাড়াতে পারব।
আজকের পত্রিকা: এসএমই খাতের ঋণের মেয়াদ বাড়ানো যায় কি না?
এমরানুল হক : এসএমই ক্যাশ ফ্লো খুব তাড়াতাড়ি আসে। এসএমইর যেসব শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের ঋণের মেয়াদ দুই বছর বা সর্বোচ্চ আড়াই বছর করা যেতে পারে। যেটা পাঁচ বছর ছিল সেটা হয়তো ছয় বছর করা যেতে পারে। কিন্তু ঢালাওভাবে ৮/১০ বছর করা হলে দেখা যাবে ব্যাংকে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। অনেক গ্রাহকের টাকা ফেরতের ব্যাপারে অনীহা আছে, তারা সুযোগ পেয়ে যাবে। সেই সুযোগটা যাতে তৈরি না হয়, তা দেখতে হবে।
আজকের পত্রিকা: কাদের জন্য ঋণের মেয়াদ বাড়ানো উচিত?
এমরানুল হক : এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক যেসব কৌশল নিয়েছে, সেটাকে সাধুবাদ জানাই। আমি মনে করি, এসব পদক্ষেপ ইতিবাচক। যেমন: ঋণের মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে দেওয়া, কিস্তির ২৫ শতাংশ পরিশোধ করা, খেলাপি যাতে না হয় সে জন্য সাহায্য করা ইত্যাদি। আমাদের হসপিটালিটি খাত, হোটেল-মোটেল খাত বিপর্যস্ত হয়েছে। এয়ারলাইনস, ট্রান্সপোর্টেশন এরাও ক্ষতিগ্রস্ত। এ খাতে যারা অর্থায়ন করেছে, তারাও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদের জন্য কিছুটা দীর্ঘমেয়াদি ঋণের সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। ঢালাওভাবে নয়।
আজকের পত্রিকা: কোভিডকালীন ব্যাংকিং কীভাবে করছেন?
এমরানুল হক : করোনাকালে আমরা ৫০-৬০ শতাংশ হোম অফিস করিয়েছি। এখনো ১৫-২০ শতাংশ হোম অফিস করছে। এরই মধ্যে আমাদের অধিকাংশ টিকা নিয়েছে। আর গ্রাহকদের বিকল্প ব্যাংকিংয়ে উৎসাহিত করেছি, যাতে ব্যাংকে না এসেও সেবা নিতে পারেন। ফরেন ট্রেড ট্রানজেকশনসহ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম বা অ্যাপের মাধ্যমে সেবা ছড়িয়ে দিয়েছি। সব মিলিয়ে কোভিডকালীন ব্যাংকিং যতটা পারা যায় নিরবচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে।
ইউনিক গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাখাওয়াত হোসেন। পর্যটনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মনজুরুল ইসলাম।
০৩ অক্টোবর ২০২৪বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, সুফি এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কোনো বিভাজনমূলক এজেন্ডায় রাজনীতির দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহৃত না হওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা দৃঢ়ভাবে কোনো সাম্প্রদায়িক ফাঁদে আটকা পড়তে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করি। কোনোভাবেই তা হতে দেওয়া যাবে না।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪‘আমি এটাকে ঠিক রাজনৈতিক ভাবাদর্শ বলব না। আমি এটাকে বলব, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, সেটা আমার পারিবারিক শিক্ষা। আমাদের ঘরের ডাইনিং টেবিল থেকে শুরু করে যেকোনো ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পরিবারের বড়দের সাথে আমরা দ্বিমত পোষণ করতে পেরেছি। ছোট থেকে বড়, কারও কোনো কথা বা কাজ ভুল মনে হলে সেটাকে আমরা তার প্রতি স
৩১ আগস্ট ২০২৪একেক মানুষ বেছে নেন একেক পেশা। তাঁদের মধ্যে কারও কারও পেশা একটু ভিন্ন ধরনের। যেমন—মো. মুনসুর আলী ওরফে মন্টু খলিফা। বাপ-দাদার পেশাকে ভালোবেসে শিশুদের খতনা করানো বা হাজামের কাজ বেছে নিয়েছেন পেশা হিসেবে। জীবনে পার করেছেন প্রায় ৮৫ বছর। জানিয়েছেন গত ৬০ বছরে ২ লাখের বেশি শিশুর মুসলমানি বা সুন্নতে খতনা দিয়
৩০ মার্চ ২০২৪