ফারুক মেহেদী
কৃষির ক্ষতির হিসাব কীভাবে করা হবে? কৃষকের ভর্তুকি বা প্রণোদনা দরকার কি না? সব পণ্যের দাম নির্ধারণের সুযোগ কতটুকু? এসব বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত কৃষি অর্থনীতিবিদ ও গ্লোবাল ভিলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. জাহাঙ্গীর আলম। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: কৃষি খাতে করোনার প্রভাব কেমন?
ড. জাহাঙ্গীর আলম: কৃষি উৎপাদনে তেমন ক্ষতি হয়নি। তবে মার্কেটিংয়ে ক্ষতি হয়েছে। যেমন আলুর বাজার ভালো নয়। কোল্ড স্টোরেজ থেকে আলু বের করার সুযোগ পাচ্ছে না। ধানের দাম প্রথম দিকে ৬০০-৭০০ টাকা মণ ছিল। এখন কৃষকের কাছে ধান–চাল নাই। সব চলে গেছে চাতালের মালিকের কাছে। এখন দাম বাড়ছে। ব্যবসায়ীরা এখন বলছে ধানের দাম বাড়তি তাই চালের দাম বাড়ছে। অথচ কৃষক থেকে তারা আগেই কম দামে ধান কিনে রেখেছে।
আজকের পত্রিকা: শাকসবজিসহ পচনশীল পণ্যের বাজার কেমন ছিল?
ড. জাহাঙ্গীর: বিপণনের সমস্যা ধান–চালসহ পচনশীল সব পণ্যের ক্ষেত্রেই রয়েছে। শাকসবজির দাম কৃষক পায়নি। কারণ, বাজারে চাহিদা ছিল না। মানুষ সীমিতভাবে বাজারে গিয়েছে। খামার পর্যায়ে শাকসবজির দাম অনেক পড়ে গেছে। আমের দাম তো একেবারেই কম ছিল। কাঁঠালের দামও পায়নি কৃষক। মহামারির কারণে কৃষক যে মাঠে যায়নি বা উৎপাদন করেনি, এমনটি হয়নি। উৎপাদন ভালো হয়েছে, কৃষক মাঠে গিয়েছে। কিন্তু বিপণন সমস্যার কারণে ভালো দাম পায়নি।
আজকের পত্রিকা: লোকসান হলে কৃষকের ওপর কী প্রভাব পড়ে?
ড. জাহাঙ্গীর: কৃষকের উৎপাদনে লোকসান না হলেও বিপণনে লোকসান হয়েছে। সাধারণত বিপণন লোকসান মানেও কৃষকের লোকসান। লাভ কম হলে ওই খাতে কৃষকের মনোযোগ কমে যায়। পরে সে উৎপাদনে নিরুৎসাহিত হয়। এই সমস্যাগুলো প্রকট হয়েছে। যে কারণে কৃষকের সার্বিক মুনাফা কমে গেছে।
আজকের পত্রিকা: কৃষির ক্ষতির হিসাবটা কীভাবে করা যায়?
ড. জাহাঙ্গীর: কৃষির ক্ষতির একটা হিসাব করা দরকার। কয়েকটি বেসরকারি সংগঠন করেছে, তবে পরিপূর্ণভাবে গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে যে জরিপ করা দরকার ছিল, সেটা হয়নি। আর জরিপ না হলেও আমরা জানি যে এ খাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখন সরকারের কাজ হলো এ ক্ষতির কারণে কৃষককে একটি উপযুক্ত ভর্তুকি দেওয়া বা নগদ সহায়তা দেওয়া। পোলট্রিসহ আরও যেসব খামার বসে গেছে, তাদের স্বল্পসুদে বা বিনা সুদে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা।
আজকের পত্রিকা: ধান-চালের মতো অন্য পণ্যের দাম নির্ধারণ করা যায় কি না?
ড. জাহাঙ্গীর: সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, বিপণনটা আরও কার্যকরভাবে করা। সরকারি পর্যায়ে শুধু ধান আর চাল গম কেনা হচ্ছে। এ তিনটি পণ্যের দাম নির্ধারণ করা হয়। অন্যগুলোর করা হয় না। সব ফসলের জন্যই দাম নির্ধারণ করা দরকার। ভারতে ২৩টি ফসলের দাম নির্ধারণ করা হয়। এ রকম করা হলে দাম কমে গেলে সরকার ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কিনবে। আবার যখন দাম বাড়বে তখন বিক্রি করবে। এতে দরপতন হয় না।
কৃষির ক্ষতির হিসাব কীভাবে করা হবে? কৃষকের ভর্তুকি বা প্রণোদনা দরকার কি না? সব পণ্যের দাম নির্ধারণের সুযোগ কতটুকু? এসব বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত কৃষি অর্থনীতিবিদ ও গ্লোবাল ভিলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. জাহাঙ্গীর আলম। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: কৃষি খাতে করোনার প্রভাব কেমন?
ড. জাহাঙ্গীর আলম: কৃষি উৎপাদনে তেমন ক্ষতি হয়নি। তবে মার্কেটিংয়ে ক্ষতি হয়েছে। যেমন আলুর বাজার ভালো নয়। কোল্ড স্টোরেজ থেকে আলু বের করার সুযোগ পাচ্ছে না। ধানের দাম প্রথম দিকে ৬০০-৭০০ টাকা মণ ছিল। এখন কৃষকের কাছে ধান–চাল নাই। সব চলে গেছে চাতালের মালিকের কাছে। এখন দাম বাড়ছে। ব্যবসায়ীরা এখন বলছে ধানের দাম বাড়তি তাই চালের দাম বাড়ছে। অথচ কৃষক থেকে তারা আগেই কম দামে ধান কিনে রেখেছে।
আজকের পত্রিকা: শাকসবজিসহ পচনশীল পণ্যের বাজার কেমন ছিল?
ড. জাহাঙ্গীর: বিপণনের সমস্যা ধান–চালসহ পচনশীল সব পণ্যের ক্ষেত্রেই রয়েছে। শাকসবজির দাম কৃষক পায়নি। কারণ, বাজারে চাহিদা ছিল না। মানুষ সীমিতভাবে বাজারে গিয়েছে। খামার পর্যায়ে শাকসবজির দাম অনেক পড়ে গেছে। আমের দাম তো একেবারেই কম ছিল। কাঁঠালের দামও পায়নি কৃষক। মহামারির কারণে কৃষক যে মাঠে যায়নি বা উৎপাদন করেনি, এমনটি হয়নি। উৎপাদন ভালো হয়েছে, কৃষক মাঠে গিয়েছে। কিন্তু বিপণন সমস্যার কারণে ভালো দাম পায়নি।
আজকের পত্রিকা: লোকসান হলে কৃষকের ওপর কী প্রভাব পড়ে?
ড. জাহাঙ্গীর: কৃষকের উৎপাদনে লোকসান না হলেও বিপণনে লোকসান হয়েছে। সাধারণত বিপণন লোকসান মানেও কৃষকের লোকসান। লাভ কম হলে ওই খাতে কৃষকের মনোযোগ কমে যায়। পরে সে উৎপাদনে নিরুৎসাহিত হয়। এই সমস্যাগুলো প্রকট হয়েছে। যে কারণে কৃষকের সার্বিক মুনাফা কমে গেছে।
আজকের পত্রিকা: কৃষির ক্ষতির হিসাবটা কীভাবে করা যায়?
ড. জাহাঙ্গীর: কৃষির ক্ষতির একটা হিসাব করা দরকার। কয়েকটি বেসরকারি সংগঠন করেছে, তবে পরিপূর্ণভাবে গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে যে জরিপ করা দরকার ছিল, সেটা হয়নি। আর জরিপ না হলেও আমরা জানি যে এ খাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখন সরকারের কাজ হলো এ ক্ষতির কারণে কৃষককে একটি উপযুক্ত ভর্তুকি দেওয়া বা নগদ সহায়তা দেওয়া। পোলট্রিসহ আরও যেসব খামার বসে গেছে, তাদের স্বল্পসুদে বা বিনা সুদে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা।
আজকের পত্রিকা: ধান-চালের মতো অন্য পণ্যের দাম নির্ধারণ করা যায় কি না?
ড. জাহাঙ্গীর: সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, বিপণনটা আরও কার্যকরভাবে করা। সরকারি পর্যায়ে শুধু ধান আর চাল গম কেনা হচ্ছে। এ তিনটি পণ্যের দাম নির্ধারণ করা হয়। অন্যগুলোর করা হয় না। সব ফসলের জন্যই দাম নির্ধারণ করা দরকার। ভারতে ২৩টি ফসলের দাম নির্ধারণ করা হয়। এ রকম করা হলে দাম কমে গেলে সরকার ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কিনবে। আবার যখন দাম বাড়বে তখন বিক্রি করবে। এতে দরপতন হয় না।
ইউনিক গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাখাওয়াত হোসেন। পর্যটনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মনজুরুল ইসলাম।
০৩ অক্টোবর ২০২৪বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, সুফি এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কোনো বিভাজনমূলক এজেন্ডায় রাজনীতির দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহৃত না হওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা দৃঢ়ভাবে কোনো সাম্প্রদায়িক ফাঁদে আটকা পড়তে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করি। কোনোভাবেই তা হতে দেওয়া যাবে না।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪‘আমি এটাকে ঠিক রাজনৈতিক ভাবাদর্শ বলব না। আমি এটাকে বলব, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, সেটা আমার পারিবারিক শিক্ষা। আমাদের ঘরের ডাইনিং টেবিল থেকে শুরু করে যেকোনো ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পরিবারের বড়দের সাথে আমরা দ্বিমত পোষণ করতে পেরেছি। ছোট থেকে বড়, কারও কোনো কথা বা কাজ ভুল মনে হলে সেটাকে আমরা তার প্রতি স
৩১ আগস্ট ২০২৪একেক মানুষ বেছে নেন একেক পেশা। তাঁদের মধ্যে কারও কারও পেশা একটু ভিন্ন ধরনের। যেমন—মো. মুনসুর আলী ওরফে মন্টু খলিফা। বাপ-দাদার পেশাকে ভালোবেসে শিশুদের খতনা করানো বা হাজামের কাজ বেছে নিয়েছেন পেশা হিসেবে। জীবনে পার করেছেন প্রায় ৮৫ বছর। জানিয়েছেন গত ৬০ বছরে ২ লাখের বেশি শিশুর মুসলমানি বা সুন্নতে খতনা দিয়
৩০ মার্চ ২০২৪