নাজিম আল শমষের
আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিকসে বাংলাদেশকে প্রথম সোনা এনে দিয়েছিলেন কাজী শাইক সিজার। অলিম্পিকে বাংলাদেশ প্রথম পদকের স্বপ্ন দেখেছিল তাঁকে ঘিরেই। যদিও সে স্বপ্ন আর পূরণ হয়নি। এখনো বড় মঞ্চে পদকের হাহাকার আছে বাংলাদেশের। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে শাইক সিজার এখন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পুরুষ জিমন্যাস্টিক দলের কোচ। কমনওয়েলথ ও সলিডারিটি গেমসের এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আজকের পত্রিকাকে তিনি শোনালেন পদকের আশা-হতাশা নিয়ে নানা গল্প—
প্রশ্ন: খেলা ছেড়ে কবে কোচিংয়ের সঙ্গে যুক্ত হলেন?
শাইক সিজার: সাত বছর ধরে কোচিং করাচ্ছি। ২০১৫ সালের ২ জুলাই থেকে। যুক্তরাষ্ট্র দলের সঙ্গে কোচিংয়ে আছি এই বছরের জানুয়ারি থেকে। আসলে তিন বছর ধরেই জাতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে মূল দলের দায়িত্ব পেয়েছি। এর আগে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় জিমন্যাস্টিক দলের কোচের দায়িত্বে ছিলাম। আমার কোচিংয়ে চার খেলোয়াড় এখন আমেরিকার জাতীয় দলে খেলছে।
প্রশ্ন: যুক্তরাষ্ট্রের মতো বিশ্বসেরা দলের কোচের দায়িত্বে আছেন। তাদের সাফল্যে নিজের ক্যারিয়ারে বড় আসরে পদক জিততে না পারার আফসোসটা বাড়বে না?
সিজার: ২০১২ সালে যখন বাংলাদেশের হয়ে লন্ডন অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, তখন আসলে পদকের কথা ভাবিনি। তখন লক্ষ্যই ছিল ডিসিপ্লিনের ফাইনালে খেলা। কিন্তু দুর্ভাগ্য, আমার ফাইনালে খেলা হয়নি। অলিম্পিকের ঠিক দুই সপ্তাহ আগে চোটে পড়েছিলাম। লন্ডন অলিম্পিকে আমার ছয়টি ইভেন্টে খেলার কথা ছিল কিন্তু চোট থাকায় খেলতে হয়েছে চারটি ইভেন্টে। তবু সেরা ১২ জনের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছিলাম। ফাইনালে খেলতে পারলে হয়তো পদক জেতার একটা সুযোগ থাকত।
প্রশ্ন: বাংলাদেশে আপনি ‘গোল্ডেন সিজার’ উপাধি পেয়েছিলেন। নিজের এই অর্জন নিয়ে কতটা ভালো লাগা কাজ করে?
সিজার: ২০১১ সালে সেন্ট্রাল সাউথ এশিয়ান আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিকসে সোনা জিতেছিলাম। আন্তর্জাতিক কোনো টুর্নামেন্টে জিমন্যাস্টিকসে সেটাই বোধ হয় বাংলাদেশের প্রথম সোনা ছিল। অসাধারণ একটা অভিজ্ঞতা হয়েছিল।
প্রশ্ন: ২০১৪ কমনওয়েলথ গেমসেও আপনাকে নিয়ে খুব আশা ছিল বাংলাদেশের। কেন ব্যর্থ হলেন?
সিজার: গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমসটা আমার জীবনের সবচেয়ে বাজে টুর্নামেন্ট ছিল। ভালোভাবে প্রস্তুত ছিলাম, প্রচুর পরিশ্রম করেছি। কিন্তু টুর্নামেন্ট শেষ পর্যন্ত খারাপভাবে শেষ হলো। সেই ভুলগুলো থেকে আমি শিখেছি। এতটাই খারাপ ফল করেছিলাম যে খেলার আগ্রহই হারিয়ে ফেলেছিলাম। কিন্তু আমার কোচ আমাকে ছাড়তে দিলেন না। কমনওয়েলথে আমার একাধিক পদক জেতার সম্ভাবনা ছিল। ফাইনাল দেখার পর আফসোসে মরেছি। কমনওয়েলথের হতাশা কাটিয়ে উঠতে আমার অনেক সময় লেগেছে। এরপর তিন মাসের অনুশীলনে এশিয়ান গেমসে খেললাম। হাইবারে খুব ভালো করেছিলাম। সেই প্রতিযোগিতায় ভালোভাবেই এগোচ্ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করেই ফ্লোরে একটা ভুল করে বসলাম, ফাইনালে খেলা হলো না। প্যারালাল বার ও হাইবারে অবশ্য ফাইনালে খেলেছি। বাংলাদেশিদের মধ্যে আমিই সর্বপ্রথম যে এশিয়ান গেমসে জিমন্যাস্টিকসে ফাইনালে খেলেছি। এশিয়ান গেমসে আমার প্রথম লক্ষ্য ছিল ফাইনালে খেলা, দুটো ইভেন্টে ফাইনাল খেলেছি। আরেকটা লক্ষ্য ছিল শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করা। প্যারালাল বার ও হাইবারে সেই চেষ্টাটা করেছি। এরপরই অবসর নিয়ে নিলাম। হয়তো পদক জিততে পারিনি তবে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের সঙ্গে সমানতালে লড়েছি।
প্রশ্ন: এমনটা শোনা যায়, আপনি বাংলাদেশ থেকে সঠিক কোনো দিকনির্দেশনা পাননি। পেলে কমনওয়েলথ কিংবা এশিয়ান গেমসে ভালো করতে পারতেন। কথাটা কি সত্যি?
সিজার: কাউকে দোষ দিতে চাই না। আমি যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষণ নিয়েছি, সেখানে বড় হয়েছি। সঠিক সুযোগ-সুবিধা দিতে না পারায় বাংলাদেশের কাউকে দোষ দিতে চাই না। অনেক অপ্রতুলতার মধ্যেও বাংলাদেশ জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশন আমাকে ভীষণ সহায়তা করেছে। তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। কিছু পরিবর্তন এলে জিমন্যাস্টিকসে বাংলাদেশ খুবই ভালো করবে। বাংলাদেশি মানুষের যে গঠন, খানিকটা ছোটখাটো গড়নের। এই গড়নের মানুষ জিমন্যাস্টিকসে খুবই ভালো করে। বাংলাদেশের ভালো একজন কোচ প্রয়োজন আর ভালো অনুশীলন সরঞ্জামের দরকার।
প্রশ্ন: যদি বাংলাদেশ দলের কোচ হওয়ার প্রস্তাব পান, আসবেন?
সিজার: দীর্ঘ মেয়াদে কোচ হয়ে আসতে পারব কি না জানি না, তবে সুযোগ পেলে স্বল্প মেয়াদে এই দেশে কোচিং করানো সম্ভব। হতে পারে সেটা দুই থেকে তিন সপ্তাহের। কোচদের প্রশিক্ষণ, সেমিনার, জিমন্যাস্টদের বিভিন্ন কলাকৌশল শেখাতে বাংলাদেশে আসতে রাজি আছি। বাংলাদেশে অনেক দিন যাওয়া হয় না, সুযোগ পেলে ভালোই লাগবে। জিমন্যাস্টিক ফেডারেশনকে সব রকম সহায়তা করতে আমি প্রস্তুত।
আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিকসে বাংলাদেশকে প্রথম সোনা এনে দিয়েছিলেন কাজী শাইক সিজার। অলিম্পিকে বাংলাদেশ প্রথম পদকের স্বপ্ন দেখেছিল তাঁকে ঘিরেই। যদিও সে স্বপ্ন আর পূরণ হয়নি। এখনো বড় মঞ্চে পদকের হাহাকার আছে বাংলাদেশের। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে শাইক সিজার এখন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পুরুষ জিমন্যাস্টিক দলের কোচ। কমনওয়েলথ ও সলিডারিটি গেমসের এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আজকের পত্রিকাকে তিনি শোনালেন পদকের আশা-হতাশা নিয়ে নানা গল্প—
প্রশ্ন: খেলা ছেড়ে কবে কোচিংয়ের সঙ্গে যুক্ত হলেন?
শাইক সিজার: সাত বছর ধরে কোচিং করাচ্ছি। ২০১৫ সালের ২ জুলাই থেকে। যুক্তরাষ্ট্র দলের সঙ্গে কোচিংয়ে আছি এই বছরের জানুয়ারি থেকে। আসলে তিন বছর ধরেই জাতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে মূল দলের দায়িত্ব পেয়েছি। এর আগে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় জিমন্যাস্টিক দলের কোচের দায়িত্বে ছিলাম। আমার কোচিংয়ে চার খেলোয়াড় এখন আমেরিকার জাতীয় দলে খেলছে।
প্রশ্ন: যুক্তরাষ্ট্রের মতো বিশ্বসেরা দলের কোচের দায়িত্বে আছেন। তাদের সাফল্যে নিজের ক্যারিয়ারে বড় আসরে পদক জিততে না পারার আফসোসটা বাড়বে না?
সিজার: ২০১২ সালে যখন বাংলাদেশের হয়ে লন্ডন অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, তখন আসলে পদকের কথা ভাবিনি। তখন লক্ষ্যই ছিল ডিসিপ্লিনের ফাইনালে খেলা। কিন্তু দুর্ভাগ্য, আমার ফাইনালে খেলা হয়নি। অলিম্পিকের ঠিক দুই সপ্তাহ আগে চোটে পড়েছিলাম। লন্ডন অলিম্পিকে আমার ছয়টি ইভেন্টে খেলার কথা ছিল কিন্তু চোট থাকায় খেলতে হয়েছে চারটি ইভেন্টে। তবু সেরা ১২ জনের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছিলাম। ফাইনালে খেলতে পারলে হয়তো পদক জেতার একটা সুযোগ থাকত।
প্রশ্ন: বাংলাদেশে আপনি ‘গোল্ডেন সিজার’ উপাধি পেয়েছিলেন। নিজের এই অর্জন নিয়ে কতটা ভালো লাগা কাজ করে?
সিজার: ২০১১ সালে সেন্ট্রাল সাউথ এশিয়ান আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিকসে সোনা জিতেছিলাম। আন্তর্জাতিক কোনো টুর্নামেন্টে জিমন্যাস্টিকসে সেটাই বোধ হয় বাংলাদেশের প্রথম সোনা ছিল। অসাধারণ একটা অভিজ্ঞতা হয়েছিল।
প্রশ্ন: ২০১৪ কমনওয়েলথ গেমসেও আপনাকে নিয়ে খুব আশা ছিল বাংলাদেশের। কেন ব্যর্থ হলেন?
সিজার: গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমসটা আমার জীবনের সবচেয়ে বাজে টুর্নামেন্ট ছিল। ভালোভাবে প্রস্তুত ছিলাম, প্রচুর পরিশ্রম করেছি। কিন্তু টুর্নামেন্ট শেষ পর্যন্ত খারাপভাবে শেষ হলো। সেই ভুলগুলো থেকে আমি শিখেছি। এতটাই খারাপ ফল করেছিলাম যে খেলার আগ্রহই হারিয়ে ফেলেছিলাম। কিন্তু আমার কোচ আমাকে ছাড়তে দিলেন না। কমনওয়েলথে আমার একাধিক পদক জেতার সম্ভাবনা ছিল। ফাইনাল দেখার পর আফসোসে মরেছি। কমনওয়েলথের হতাশা কাটিয়ে উঠতে আমার অনেক সময় লেগেছে। এরপর তিন মাসের অনুশীলনে এশিয়ান গেমসে খেললাম। হাইবারে খুব ভালো করেছিলাম। সেই প্রতিযোগিতায় ভালোভাবেই এগোচ্ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করেই ফ্লোরে একটা ভুল করে বসলাম, ফাইনালে খেলা হলো না। প্যারালাল বার ও হাইবারে অবশ্য ফাইনালে খেলেছি। বাংলাদেশিদের মধ্যে আমিই সর্বপ্রথম যে এশিয়ান গেমসে জিমন্যাস্টিকসে ফাইনালে খেলেছি। এশিয়ান গেমসে আমার প্রথম লক্ষ্য ছিল ফাইনালে খেলা, দুটো ইভেন্টে ফাইনাল খেলেছি। আরেকটা লক্ষ্য ছিল শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করা। প্যারালাল বার ও হাইবারে সেই চেষ্টাটা করেছি। এরপরই অবসর নিয়ে নিলাম। হয়তো পদক জিততে পারিনি তবে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের সঙ্গে সমানতালে লড়েছি।
প্রশ্ন: এমনটা শোনা যায়, আপনি বাংলাদেশ থেকে সঠিক কোনো দিকনির্দেশনা পাননি। পেলে কমনওয়েলথ কিংবা এশিয়ান গেমসে ভালো করতে পারতেন। কথাটা কি সত্যি?
সিজার: কাউকে দোষ দিতে চাই না। আমি যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষণ নিয়েছি, সেখানে বড় হয়েছি। সঠিক সুযোগ-সুবিধা দিতে না পারায় বাংলাদেশের কাউকে দোষ দিতে চাই না। অনেক অপ্রতুলতার মধ্যেও বাংলাদেশ জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশন আমাকে ভীষণ সহায়তা করেছে। তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। কিছু পরিবর্তন এলে জিমন্যাস্টিকসে বাংলাদেশ খুবই ভালো করবে। বাংলাদেশি মানুষের যে গঠন, খানিকটা ছোটখাটো গড়নের। এই গড়নের মানুষ জিমন্যাস্টিকসে খুবই ভালো করে। বাংলাদেশের ভালো একজন কোচ প্রয়োজন আর ভালো অনুশীলন সরঞ্জামের দরকার।
প্রশ্ন: যদি বাংলাদেশ দলের কোচ হওয়ার প্রস্তাব পান, আসবেন?
সিজার: দীর্ঘ মেয়াদে কোচ হয়ে আসতে পারব কি না জানি না, তবে সুযোগ পেলে স্বল্প মেয়াদে এই দেশে কোচিং করানো সম্ভব। হতে পারে সেটা দুই থেকে তিন সপ্তাহের। কোচদের প্রশিক্ষণ, সেমিনার, জিমন্যাস্টদের বিভিন্ন কলাকৌশল শেখাতে বাংলাদেশে আসতে রাজি আছি। বাংলাদেশে অনেক দিন যাওয়া হয় না, সুযোগ পেলে ভালোই লাগবে। জিমন্যাস্টিক ফেডারেশনকে সব রকম সহায়তা করতে আমি প্রস্তুত।
ইউনিক গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাখাওয়াত হোসেন। পর্যটনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মনজুরুল ইসলাম।
০৩ অক্টোবর ২০২৪বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, সুফি এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কোনো বিভাজনমূলক এজেন্ডায় রাজনীতির দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহৃত না হওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা দৃঢ়ভাবে কোনো সাম্প্রদায়িক ফাঁদে আটকা পড়তে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করি। কোনোভাবেই তা হতে দেওয়া যাবে না।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪‘আমি এটাকে ঠিক রাজনৈতিক ভাবাদর্শ বলব না। আমি এটাকে বলব, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, সেটা আমার পারিবারিক শিক্ষা। আমাদের ঘরের ডাইনিং টেবিল থেকে শুরু করে যেকোনো ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পরিবারের বড়দের সাথে আমরা দ্বিমত পোষণ করতে পেরেছি। ছোট থেকে বড়, কারও কোনো কথা বা কাজ ভুল মনে হলে সেটাকে আমরা তার প্রতি স
৩১ আগস্ট ২০২৪একেক মানুষ বেছে নেন একেক পেশা। তাঁদের মধ্যে কারও কারও পেশা একটু ভিন্ন ধরনের। যেমন—মো. মুনসুর আলী ওরফে মন্টু খলিফা। বাপ-দাদার পেশাকে ভালোবেসে শিশুদের খতনা করানো বা হাজামের কাজ বেছে নিয়েছেন পেশা হিসেবে। জীবনে পার করেছেন প্রায় ৮৫ বছর। জানিয়েছেন গত ৬০ বছরে ২ লাখের বেশি শিশুর মুসলমানি বা সুন্নতে খতনা দিয়
৩০ মার্চ ২০২৪