ফারুক মেহেদী
বাংলাদেশের পোশাকের বৈশ্বিক চাহিদা বাড়ছে কেন? চাহিদা বাড়লেও কেন ভালো দাম পাচ্ছেন না উদ্যোক্তারা? পোশাক খাতের বাজারকে টেকসই করা যায় কীভাবে? এসব বিষয় নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট কাজী ইফতেখার হোসেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: পোশাকের বৈশ্বিক ক্রেতাদের বাংলাদেশমুখীতা বাড়ছে কেন?
কাজী ইফতেখার হোসেন: বাংলাদেশ যেহেতু কটনভেজড পোশাক উৎপাদক দেশ, তাই অর্ডারের বাড়তি চাপ আছে। আর ইউরোপীয় দেশগুলোতে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ এবং আমেরিকায় ৫২ থেকে ৬০ শতাংশের মত ভ্যাকসিনেশন হয়ে গেছে। ফলে সেখানের মানুষের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। স্টোরগুলো পুরোদমে খুলে যাচ্ছে। মানুষ বাইরে বের হচ্ছে, কেনাকাটায় ফিরছে। ট্রাডিশনাল পোশাকের চাহিদা বাড়ছে। আগে মানুষ বাসায় বসে অনলাইনে অর্ডার করে পোশাক কিনত। এখন বাইরে বের হওয়ার কারণে ফ্যাশনেবল পোশাক কম চললেও, প্রচলিত কেনাকাটা বাড়তে শুরু করেছে। আগামীতে ইংরেজি নতুন বছর আসছে সেটা ঘিরে বড় কেনাকাটার আয়োজন চলছে। কারণ করোনার কারণে গেল দুটি ক্রিসমাস ও সামার উৎসব তারা উদ্যাপন করতে পারেনি। সুতরাং এসব কারণে বাজার একটা নতুন মাত্রা পেতে যাচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: পোশাকের দাম বাড়ানো যাচ্ছে না কেন?
কাজী ইফতেখার হোসেন: সমস্যা যেটা হয়েছে, সেটা হলো কটনসহ বিভিন্ন মেটারিয়েল ও শিপিং খরচ বেড়েছে। কাস্টমারের পক্ষে কোভিড পরবর্তী অবস্থায় এসে সেভাবে বেশি দাম দেওয়া সম্ভব নয়। সারা বিশ্বে মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে, তার সঙ্গে ব্যবসার প্রবৃদ্ধিও কমেছে। এসবের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই ভোক্তা তাদের কেনাকাটার পরিকল্পনাটা করছে।
আজকের পত্রিকা: উদ্যোক্তারা বলছেন তারা লোকসান দিয়ে ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছেন। বাস্তবতা কী?
কাজী ইফতেখার হোসেন: কটনের বাড়তি দাম, শিপিংয়ের বাড়তি খরচ এসবের সমন্বয় করতে গিয়ে ক্রেতারা কিছুটা চাপে আছে। তাই আমরা যে বাড়তি দাম নিতে চাচ্ছি, সেটাতে আনা যাচ্ছে না। কোভিডের কারণে পণ্যের জাহাজিকরণের খরচ প্রায় ৫০০ শতাংশ বেড়েছে। এত বড় বাড়তি খরচের সমন্বয় করা ক্রেতার জন্য অনেক কঠিন। কারণ আমরা কিন্তু দর-কষাকষি করেই পণ্যটি কিনছি। এখন আমি যদি বলি দাম পাইনি, তাহলে আমি পণ্য বিক্রি করছি কেন? আমিতো দর-কষাকষি করেই পণ্য দিচ্ছি। লোকসান দিয়ে তো পণ্য বিক্রি করব না। বারবার লোকসান লোকসান বললে ক্রেতারা সেটাকে নেতিবাচক হিসেবে নিতে পারে। এটা দেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
আজকের পত্রিকা: বাড়তি অর্ডার নিয়ে যথাসময়ে পণ্য পাঠাতে কী করতে হবে?
কাজী ইফতেখার হোসেন: সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কোভিডের সময় প্রতিটি কারখানা তাদের খরচ কমানোর জন্য তাদের প্রোডাকশন লাইন কমিয়েছে। অনেক কর্মী গ্রামে গিয়ে আর ফেরত আসেনি। এর ফলে কর্মীদের একটা ঘাটতি তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি ওই সময়ে মালিকরাও এত বড় ধাক্কা নেওয়ার সামর্থ্য না থাকায় উৎপাদন সংকুচিত করেছে। সেগুলোকে আবারও আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে একটু সময় লাগছে। এটা একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে হবে। রাতারাতি হবে না। সে জন্য সময় দিতে হবে। তবে সবাইকে মনে রাখতে হবে যাতে কোনো ভাবেই কোনো অর্ডার ননডেলিভারী না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। না হলে দেশের ইমেজের যে ক্ষতি হবে সেটা পোষানো যাবে না।
আজকের পত্রিকা: বাজারকে টেকসই করতে কী করতে হবে?
কাজী ইফতেখার হোসেন: আসলে বাজারকে টেকসই করতে হলে পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ করতে হবে। আমরা মুখে বলি কিন্তু করি না। আমাদের দেখতে হবে বিভিন্ন দেশের ঝুড়িতে কী ধরনের এইচএস কোড থাকে। সেটা দেখে আমাদের প্রোডাক্ট লাইন পরিবর্তন করতে হবে। সেভাবে পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ করে এগোতে হবে। মোদ্দা কথা হলো আমরা কেবল টিশার্ট, শার্ট, ট্রাউজার–এসব তৈরি করি। এর বাইরে আর কী করা যায় সেদিকে ভাবতে হবে। নতুন নতুন পণ্য নিয়ে কাজ করতে হবে। প্রতিযোগী দেশগুলো কোন কোন এইচএস কোডের পণ্য রপ্তানি করে সেসবের তথ্য নিয়ে তার আলোকে পরিকল্পনা করতে হবে। তখন আমাদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়বে এবং উন্নতর পণ্যের দিকে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া যাবে।
আজকের পত্রিকা: এখানে প্রযুক্তি সংযোজন কতটা কাজে দেবে?
কাজী ইফতেখার হোসেন: আমি মনে করি প্রতিযোগী দেশের বাইরেও আমাদের চিন্তা করতে হবে যে কীভাবে পোশাক খাতকে আরও উন্নতর জায়গায় নিতে পারি। এর মানেই কিন্তু আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্ট নয়। মনে রাখতে হবে আমরা যতো আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্টে যাব, ততই আমাদের কর্মীরা কাজ হারাবে। তাই আমাদের সেমি অটোমেটিক পণ্যের প্রযুক্তিতে যেতে হবে। আমাদের কর্মীদের কথা চিন্তা করতে হবে।
বাংলাদেশের পোশাকের বৈশ্বিক চাহিদা বাড়ছে কেন? চাহিদা বাড়লেও কেন ভালো দাম পাচ্ছেন না উদ্যোক্তারা? পোশাক খাতের বাজারকে টেকসই করা যায় কীভাবে? এসব বিষয় নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট কাজী ইফতেখার হোসেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: পোশাকের বৈশ্বিক ক্রেতাদের বাংলাদেশমুখীতা বাড়ছে কেন?
কাজী ইফতেখার হোসেন: বাংলাদেশ যেহেতু কটনভেজড পোশাক উৎপাদক দেশ, তাই অর্ডারের বাড়তি চাপ আছে। আর ইউরোপীয় দেশগুলোতে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ এবং আমেরিকায় ৫২ থেকে ৬০ শতাংশের মত ভ্যাকসিনেশন হয়ে গেছে। ফলে সেখানের মানুষের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। স্টোরগুলো পুরোদমে খুলে যাচ্ছে। মানুষ বাইরে বের হচ্ছে, কেনাকাটায় ফিরছে। ট্রাডিশনাল পোশাকের চাহিদা বাড়ছে। আগে মানুষ বাসায় বসে অনলাইনে অর্ডার করে পোশাক কিনত। এখন বাইরে বের হওয়ার কারণে ফ্যাশনেবল পোশাক কম চললেও, প্রচলিত কেনাকাটা বাড়তে শুরু করেছে। আগামীতে ইংরেজি নতুন বছর আসছে সেটা ঘিরে বড় কেনাকাটার আয়োজন চলছে। কারণ করোনার কারণে গেল দুটি ক্রিসমাস ও সামার উৎসব তারা উদ্যাপন করতে পারেনি। সুতরাং এসব কারণে বাজার একটা নতুন মাত্রা পেতে যাচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: পোশাকের দাম বাড়ানো যাচ্ছে না কেন?
কাজী ইফতেখার হোসেন: সমস্যা যেটা হয়েছে, সেটা হলো কটনসহ বিভিন্ন মেটারিয়েল ও শিপিং খরচ বেড়েছে। কাস্টমারের পক্ষে কোভিড পরবর্তী অবস্থায় এসে সেভাবে বেশি দাম দেওয়া সম্ভব নয়। সারা বিশ্বে মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে, তার সঙ্গে ব্যবসার প্রবৃদ্ধিও কমেছে। এসবের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই ভোক্তা তাদের কেনাকাটার পরিকল্পনাটা করছে।
আজকের পত্রিকা: উদ্যোক্তারা বলছেন তারা লোকসান দিয়ে ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছেন। বাস্তবতা কী?
কাজী ইফতেখার হোসেন: কটনের বাড়তি দাম, শিপিংয়ের বাড়তি খরচ এসবের সমন্বয় করতে গিয়ে ক্রেতারা কিছুটা চাপে আছে। তাই আমরা যে বাড়তি দাম নিতে চাচ্ছি, সেটাতে আনা যাচ্ছে না। কোভিডের কারণে পণ্যের জাহাজিকরণের খরচ প্রায় ৫০০ শতাংশ বেড়েছে। এত বড় বাড়তি খরচের সমন্বয় করা ক্রেতার জন্য অনেক কঠিন। কারণ আমরা কিন্তু দর-কষাকষি করেই পণ্যটি কিনছি। এখন আমি যদি বলি দাম পাইনি, তাহলে আমি পণ্য বিক্রি করছি কেন? আমিতো দর-কষাকষি করেই পণ্য দিচ্ছি। লোকসান দিয়ে তো পণ্য বিক্রি করব না। বারবার লোকসান লোকসান বললে ক্রেতারা সেটাকে নেতিবাচক হিসেবে নিতে পারে। এটা দেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
আজকের পত্রিকা: বাড়তি অর্ডার নিয়ে যথাসময়ে পণ্য পাঠাতে কী করতে হবে?
কাজী ইফতেখার হোসেন: সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কোভিডের সময় প্রতিটি কারখানা তাদের খরচ কমানোর জন্য তাদের প্রোডাকশন লাইন কমিয়েছে। অনেক কর্মী গ্রামে গিয়ে আর ফেরত আসেনি। এর ফলে কর্মীদের একটা ঘাটতি তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি ওই সময়ে মালিকরাও এত বড় ধাক্কা নেওয়ার সামর্থ্য না থাকায় উৎপাদন সংকুচিত করেছে। সেগুলোকে আবারও আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে একটু সময় লাগছে। এটা একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে হবে। রাতারাতি হবে না। সে জন্য সময় দিতে হবে। তবে সবাইকে মনে রাখতে হবে যাতে কোনো ভাবেই কোনো অর্ডার ননডেলিভারী না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। না হলে দেশের ইমেজের যে ক্ষতি হবে সেটা পোষানো যাবে না।
আজকের পত্রিকা: বাজারকে টেকসই করতে কী করতে হবে?
কাজী ইফতেখার হোসেন: আসলে বাজারকে টেকসই করতে হলে পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ করতে হবে। আমরা মুখে বলি কিন্তু করি না। আমাদের দেখতে হবে বিভিন্ন দেশের ঝুড়িতে কী ধরনের এইচএস কোড থাকে। সেটা দেখে আমাদের প্রোডাক্ট লাইন পরিবর্তন করতে হবে। সেভাবে পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ করে এগোতে হবে। মোদ্দা কথা হলো আমরা কেবল টিশার্ট, শার্ট, ট্রাউজার–এসব তৈরি করি। এর বাইরে আর কী করা যায় সেদিকে ভাবতে হবে। নতুন নতুন পণ্য নিয়ে কাজ করতে হবে। প্রতিযোগী দেশগুলো কোন কোন এইচএস কোডের পণ্য রপ্তানি করে সেসবের তথ্য নিয়ে তার আলোকে পরিকল্পনা করতে হবে। তখন আমাদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়বে এবং উন্নতর পণ্যের দিকে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া যাবে।
আজকের পত্রিকা: এখানে প্রযুক্তি সংযোজন কতটা কাজে দেবে?
কাজী ইফতেখার হোসেন: আমি মনে করি প্রতিযোগী দেশের বাইরেও আমাদের চিন্তা করতে হবে যে কীভাবে পোশাক খাতকে আরও উন্নতর জায়গায় নিতে পারি। এর মানেই কিন্তু আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্ট নয়। মনে রাখতে হবে আমরা যতো আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্টে যাব, ততই আমাদের কর্মীরা কাজ হারাবে। তাই আমাদের সেমি অটোমেটিক পণ্যের প্রযুক্তিতে যেতে হবে। আমাদের কর্মীদের কথা চিন্তা করতে হবে।
ইউনিক গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাখাওয়াত হোসেন। পর্যটনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মনজুরুল ইসলাম।
০৩ অক্টোবর ২০২৪বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, সুফি এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কোনো বিভাজনমূলক এজেন্ডায় রাজনীতির দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহৃত না হওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা দৃঢ়ভাবে কোনো সাম্প্রদায়িক ফাঁদে আটকা পড়তে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করি। কোনোভাবেই তা হতে দেওয়া যাবে না।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪‘আমি এটাকে ঠিক রাজনৈতিক ভাবাদর্শ বলব না। আমি এটাকে বলব, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, সেটা আমার পারিবারিক শিক্ষা। আমাদের ঘরের ডাইনিং টেবিল থেকে শুরু করে যেকোনো ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পরিবারের বড়দের সাথে আমরা দ্বিমত পোষণ করতে পেরেছি। ছোট থেকে বড়, কারও কোনো কথা বা কাজ ভুল মনে হলে সেটাকে আমরা তার প্রতি স
৩১ আগস্ট ২০২৪একেক মানুষ বেছে নেন একেক পেশা। তাঁদের মধ্যে কারও কারও পেশা একটু ভিন্ন ধরনের। যেমন—মো. মুনসুর আলী ওরফে মন্টু খলিফা। বাপ-দাদার পেশাকে ভালোবেসে শিশুদের খতনা করানো বা হাজামের কাজ বেছে নিয়েছেন পেশা হিসেবে। জীবনে পার করেছেন প্রায় ৮৫ বছর। জানিয়েছেন গত ৬০ বছরে ২ লাখের বেশি শিশুর মুসলমানি বা সুন্নতে খতনা দিয়
৩০ মার্চ ২০২৪