ফারুক মেহেদী
করোনার ক্ষতি উত্তরণে কারা অগ্রাধিকার পেতে পারেন? তাঁদের চিহ্নিত করার উপায় কী? ঋণ পাওয়ার পদ্ধতি কী হবে? এসব বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন ইউএনডিপির কান্ট্রি ইকোনমিস্ট ড. নাজনীন আহমেদ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: করোনার মধ্যেই সবকিছু স্বাভাবিক। এ পরিস্থিতি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
ড. নাজনীন আহমেদ: সরকারসহ সবাইকে মনে রাখতে হবে, যত দিন পর্যন্ত জনসংখ্যার অন্তত অর্ধেককে ভ্যাকসিনেশন করা না হবে, তত দিন পর্যন্ত ঝুঁকি থাকবে। সবকিছু চলছে বলেই কিন্তু সব স্বাভাবিক নয়। প্রতিটি মানুষের মধ্যেই চলাফেরা, বাজার করা প্রভৃতি ক্ষেত্রে আতঙ্ক আছে। যে পরিমাণ কেনাকাটা হওয়ার কথা, সে পরিমাণে হচ্ছে না। মানুষ অসুস্থতা থেকে সেরে ওঠার পরও কিন্তু এর প্রভাব থেকে যায়, যাকে পোস্ট-ইফেক্ট বলে। কাজেই আমাদের করোনার ঝুঁকি পুরো চলে গেছে—এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। যত দিন পর্যন্ত না আমাদের ভ্যাকসিনেশনটা একটা সন্তোষজনক পর্যায়ে আসবে, তত দিন পর্যন্ত ঝুঁকি থেকে যাবে। সে পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা, অর্থনীতি সবকিছুতে একটা সতর্কতা থাকতে হবে।
আজকের পত্রিকা: করোনার ক্ষতি উত্তরণে কারা অগ্রাধিকার পেতে পারেন?
ড. নাজনীন আহমেদ: আমাদের করোনা উত্তরণের ক্ষেত্রে প্রথম ভাবনাটা হতে হবে দরিদ্র মানুষ। বিশেষ করে এ সময়ে যাঁরা সাময়িক দরিদ্র হয়েছে, নিম্ন মধ্যবিত্ত–তাঁদের দিকে মনোযোগটা দিতে হবে সবচেয়ে বেশি। অতিদরিদ্রদের জন্য কোভিড ছাড়াও সরকারের ভিজিডি, ভিজিডিএফসহ অন্তত ১০০টি কর্মসূচি আছে। এসব কর্মসূচির অগ্রাধিকারই হলো দরিদ্র ও অতিদরিদ্র। যাঁরা নিম্নমধ্যবিত্ত, কোভিডের সময় যাঁদের চাকরি গেছে, গ্রামে চলে গেছেন, যাঁরা ফিরতে চান–এই জনগোষ্ঠীর দিকে মনোযোগ দিতে হবে। এ জন্য তাঁদের কর্মসংস্থানটা দরকার। দ্রুত কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সরকারের দিক থেকে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচিতে তাঁদের যুক্ত করতে হবে। এ ছাড়া বেসরকারি খাতের সঙ্গে সমন্বয় করেও কিছু একটা করতে পারে। বিশেষ করে যেসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকের চাকরি চলে গেছে, সেসব প্রতিষ্ঠান নিয়ে কী করা যায়—ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর সঙ্গে বসে আলাপ করে ঠিক করতে হবে।
আজকের পত্রিকা: কীভাবে করা যায় কাজটি?
ড. নাজনীন আহমেদ: প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করলেও ব্যাংকের দিক থেকে বন্ধ প্রতিষ্ঠানের প্রতি ঋণ দেওয়ায় আগ্রহ থাকবে না। সুতরাং আমাদের বড় ফোকাস হওয়া উচিত যেসব নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষ অসহায় অবস্থায় আছে, তাদের কর্মসংস্থান। এ জন্য সরকারের কিছু উদ্যোগ থাকতে হবে। পাশাপাশি যেসব বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে, সেগুলো যদি খুলতে চায়, সে ব্যাপারে করণীয় নির্ধারণ করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের তালিকা করতে পারে। তারা তা সরকারকে সরবরাহ করবে। সব তো বন্ধ হয়নি। কারও হয়তো সবই ঠিক আছে, শুধু কিছু ঋণ দিলে কারখানাটি চালু করতে পারবে। এ ঋণটা হয়তো দীর্ঘ সময়ের জন্য দেওয়া হলো। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। তাঁদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা দিতে হবে। আগের মতো গণহারে নয়। এ উদ্যোগটা এখন পর্যন্ত নেওয়া হয়নি।
আজকের পত্রিকা: পোশাক খাতে বড়দের চেয়ে ছোটরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। তাদের জন্য কী করা যায়?
ড. নাজনীন আহমেদ: পোশাক খাতের মধ্যেও ক্ষতিগ্রস্ত কারখানা আছে। ছোট কারখানার অনেকই বন্ধ হয়ে গেছে, অধিকাংশ অর্ডার পাচ্ছে বড় কারখানাগুলো। অ্যামাজন বা আলিবাবার জন্য ছোটদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেয়ে বড়দের থেকে একসঙ্গে বিপুল পরিমাণ পণ্য কেনা সহজ। এ কারণে বড়দের অর্ডার বাড়লেও ছোটরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সুতরাং আমি বলব, ক্ষুদ্র, মাঝারি যেসব শিল্প বন্ধ হয়েছে, সেগুলোর জন্য বিশেষ প্রণোদনা দিতে হবে। এটা দান-খয়রাত নয়, ঋণই। মোটকথা, শিল্প খাতের দিকে মনোযোগটা বাড়াতে হবে।
আজকের পত্রিকা: সেবা খাতও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদের কীভাবে সহায়তা করা যায়?
ড. নাজনীন আহমেদ: সেবা খাতের একটা অংশ, যারা আইসিটি, ই-কমার্স নিয়ে কাজ করে, তারা ভালো চলেছে। কিন্তু রেস্টুরেন্ট, কমিউনিটি সেন্টার, পরিবহন, হোটেল পর্যটন–এসব খাতের যারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের সহায়তা দিতে হবে। গণহারে দেওয়ার সুযোগ নেই। এখন দিতে হবে নির্দিষ্ট করে। ব্যবসায়ী সংগঠনের মাধ্যমে তালিকা করে তা যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনে সরকার এদের গ্যারান্টার হয়ে সহায়তাটা দেওয়া যেতে পারে। অথবা ক্ষুদ্রঋণে যেমন অনেক গ্যারান্টার একজনকে ঋণ দেয়; কখনো ঋণখেলাপি হলে সবাই দায়বদ্ধ হয়–এ রকমও করা যেতে পারে। শিল্প খাতের মতো সেবা খাতেও এ রকম স্ট্র্যাটেজিক হয়ে ঋণ দিতে হবে। খাতগুলোকে অবশ্যই আগামী দু-তিন বছর কঠোর তদারকির মধ্যে রাখতে হবে।
করোনার ক্ষতি উত্তরণে কারা অগ্রাধিকার পেতে পারেন? তাঁদের চিহ্নিত করার উপায় কী? ঋণ পাওয়ার পদ্ধতি কী হবে? এসব বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন ইউএনডিপির কান্ট্রি ইকোনমিস্ট ড. নাজনীন আহমেদ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: করোনার মধ্যেই সবকিছু স্বাভাবিক। এ পরিস্থিতি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
ড. নাজনীন আহমেদ: সরকারসহ সবাইকে মনে রাখতে হবে, যত দিন পর্যন্ত জনসংখ্যার অন্তত অর্ধেককে ভ্যাকসিনেশন করা না হবে, তত দিন পর্যন্ত ঝুঁকি থাকবে। সবকিছু চলছে বলেই কিন্তু সব স্বাভাবিক নয়। প্রতিটি মানুষের মধ্যেই চলাফেরা, বাজার করা প্রভৃতি ক্ষেত্রে আতঙ্ক আছে। যে পরিমাণ কেনাকাটা হওয়ার কথা, সে পরিমাণে হচ্ছে না। মানুষ অসুস্থতা থেকে সেরে ওঠার পরও কিন্তু এর প্রভাব থেকে যায়, যাকে পোস্ট-ইফেক্ট বলে। কাজেই আমাদের করোনার ঝুঁকি পুরো চলে গেছে—এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। যত দিন পর্যন্ত না আমাদের ভ্যাকসিনেশনটা একটা সন্তোষজনক পর্যায়ে আসবে, তত দিন পর্যন্ত ঝুঁকি থেকে যাবে। সে পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা, অর্থনীতি সবকিছুতে একটা সতর্কতা থাকতে হবে।
আজকের পত্রিকা: করোনার ক্ষতি উত্তরণে কারা অগ্রাধিকার পেতে পারেন?
ড. নাজনীন আহমেদ: আমাদের করোনা উত্তরণের ক্ষেত্রে প্রথম ভাবনাটা হতে হবে দরিদ্র মানুষ। বিশেষ করে এ সময়ে যাঁরা সাময়িক দরিদ্র হয়েছে, নিম্ন মধ্যবিত্ত–তাঁদের দিকে মনোযোগটা দিতে হবে সবচেয়ে বেশি। অতিদরিদ্রদের জন্য কোভিড ছাড়াও সরকারের ভিজিডি, ভিজিডিএফসহ অন্তত ১০০টি কর্মসূচি আছে। এসব কর্মসূচির অগ্রাধিকারই হলো দরিদ্র ও অতিদরিদ্র। যাঁরা নিম্নমধ্যবিত্ত, কোভিডের সময় যাঁদের চাকরি গেছে, গ্রামে চলে গেছেন, যাঁরা ফিরতে চান–এই জনগোষ্ঠীর দিকে মনোযোগ দিতে হবে। এ জন্য তাঁদের কর্মসংস্থানটা দরকার। দ্রুত কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সরকারের দিক থেকে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচিতে তাঁদের যুক্ত করতে হবে। এ ছাড়া বেসরকারি খাতের সঙ্গে সমন্বয় করেও কিছু একটা করতে পারে। বিশেষ করে যেসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকের চাকরি চলে গেছে, সেসব প্রতিষ্ঠান নিয়ে কী করা যায়—ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর সঙ্গে বসে আলাপ করে ঠিক করতে হবে।
আজকের পত্রিকা: কীভাবে করা যায় কাজটি?
ড. নাজনীন আহমেদ: প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করলেও ব্যাংকের দিক থেকে বন্ধ প্রতিষ্ঠানের প্রতি ঋণ দেওয়ায় আগ্রহ থাকবে না। সুতরাং আমাদের বড় ফোকাস হওয়া উচিত যেসব নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষ অসহায় অবস্থায় আছে, তাদের কর্মসংস্থান। এ জন্য সরকারের কিছু উদ্যোগ থাকতে হবে। পাশাপাশি যেসব বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে, সেগুলো যদি খুলতে চায়, সে ব্যাপারে করণীয় নির্ধারণ করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের তালিকা করতে পারে। তারা তা সরকারকে সরবরাহ করবে। সব তো বন্ধ হয়নি। কারও হয়তো সবই ঠিক আছে, শুধু কিছু ঋণ দিলে কারখানাটি চালু করতে পারবে। এ ঋণটা হয়তো দীর্ঘ সময়ের জন্য দেওয়া হলো। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। তাঁদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা দিতে হবে। আগের মতো গণহারে নয়। এ উদ্যোগটা এখন পর্যন্ত নেওয়া হয়নি।
আজকের পত্রিকা: পোশাক খাতে বড়দের চেয়ে ছোটরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। তাদের জন্য কী করা যায়?
ড. নাজনীন আহমেদ: পোশাক খাতের মধ্যেও ক্ষতিগ্রস্ত কারখানা আছে। ছোট কারখানার অনেকই বন্ধ হয়ে গেছে, অধিকাংশ অর্ডার পাচ্ছে বড় কারখানাগুলো। অ্যামাজন বা আলিবাবার জন্য ছোটদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেয়ে বড়দের থেকে একসঙ্গে বিপুল পরিমাণ পণ্য কেনা সহজ। এ কারণে বড়দের অর্ডার বাড়লেও ছোটরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সুতরাং আমি বলব, ক্ষুদ্র, মাঝারি যেসব শিল্প বন্ধ হয়েছে, সেগুলোর জন্য বিশেষ প্রণোদনা দিতে হবে। এটা দান-খয়রাত নয়, ঋণই। মোটকথা, শিল্প খাতের দিকে মনোযোগটা বাড়াতে হবে।
আজকের পত্রিকা: সেবা খাতও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদের কীভাবে সহায়তা করা যায়?
ড. নাজনীন আহমেদ: সেবা খাতের একটা অংশ, যারা আইসিটি, ই-কমার্স নিয়ে কাজ করে, তারা ভালো চলেছে। কিন্তু রেস্টুরেন্ট, কমিউনিটি সেন্টার, পরিবহন, হোটেল পর্যটন–এসব খাতের যারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের সহায়তা দিতে হবে। গণহারে দেওয়ার সুযোগ নেই। এখন দিতে হবে নির্দিষ্ট করে। ব্যবসায়ী সংগঠনের মাধ্যমে তালিকা করে তা যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনে সরকার এদের গ্যারান্টার হয়ে সহায়তাটা দেওয়া যেতে পারে। অথবা ক্ষুদ্রঋণে যেমন অনেক গ্যারান্টার একজনকে ঋণ দেয়; কখনো ঋণখেলাপি হলে সবাই দায়বদ্ধ হয়–এ রকমও করা যেতে পারে। শিল্প খাতের মতো সেবা খাতেও এ রকম স্ট্র্যাটেজিক হয়ে ঋণ দিতে হবে। খাতগুলোকে অবশ্যই আগামী দু-তিন বছর কঠোর তদারকির মধ্যে রাখতে হবে।
ইউনিক গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাখাওয়াত হোসেন। পর্যটনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মনজুরুল ইসলাম।
০৩ অক্টোবর ২০২৪বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, সুফি এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কোনো বিভাজনমূলক এজেন্ডায় রাজনীতির দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহৃত না হওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা দৃঢ়ভাবে কোনো সাম্প্রদায়িক ফাঁদে আটকা পড়তে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করি। কোনোভাবেই তা হতে দেওয়া যাবে না।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪‘আমি এটাকে ঠিক রাজনৈতিক ভাবাদর্শ বলব না। আমি এটাকে বলব, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, সেটা আমার পারিবারিক শিক্ষা। আমাদের ঘরের ডাইনিং টেবিল থেকে শুরু করে যেকোনো ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পরিবারের বড়দের সাথে আমরা দ্বিমত পোষণ করতে পেরেছি। ছোট থেকে বড়, কারও কোনো কথা বা কাজ ভুল মনে হলে সেটাকে আমরা তার প্রতি স
৩১ আগস্ট ২০২৪একেক মানুষ বেছে নেন একেক পেশা। তাঁদের মধ্যে কারও কারও পেশা একটু ভিন্ন ধরনের। যেমন—মো. মুনসুর আলী ওরফে মন্টু খলিফা। বাপ-দাদার পেশাকে ভালোবেসে শিশুদের খতনা করানো বা হাজামের কাজ বেছে নিয়েছেন পেশা হিসেবে। জীবনে পার করেছেন প্রায় ৮৫ বছর। জানিয়েছেন গত ৬০ বছরে ২ লাখের বেশি শিশুর মুসলমানি বা সুন্নতে খতনা দিয়
৩০ মার্চ ২০২৪