ফারুক মেহেদী
লকডাউন কি কোনো সমাধান? নাকি অন্য উপায় ভাবা যেত? লকডাউন অর্থনীতিতে কী প্রভাব ফেলবে, এসব বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন জাপান–বাংলাদেশ চেম্বারের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমানে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বারভিডার প্রেসিডেন্ট আবদুল হক। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: লকডাউন কীভাবে মোকাবিলা করছে ব্যবসায়ীরা?
আবদুল হক: একটা ভয়াবহ অবস্থা চলছে এখন। যদিও ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করে চেষ্টা করছে টিকে থাকার জন্য। প্রকৃত ব্যবসায়ী বিশেষ করে উৎপাদন, সেবা, এসএমই খাতের তারা একটা কঠিন সময় পার করছে। প্রায় এক বছর চার মাসের মধ্যে তারা সবাই রীতিমতো সংগ্রাম করছে। প্রতিকূল অবস্থার ভেতরও চট্টগ্রাম কাস্টমস প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে। প্রায় ১৭ শতাংশের মতো প্রবৃদ্ধি। এতে প্রমাণিত হয় যে ব্যবসায়ীরা সুযোগ পেলেই চেষ্টা করে ব্যবসাটাকে সচল রাখতে।
আজকের পত্রিকা: লকডাউন না দিয়ে তো উপায় ছিল না সরকারের।
আবদুল হক: সরকার হয়তো যথার্থ কারণেই কঠিন লকডাউন দিয়েছে। সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে, হয়তো এর বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। বৈজ্ঞানিক সমাধান ছিল বড় রকমের প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়া এবং টিকাদান কর্মসূচিকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক করা যেত। কিন্তু অর্থনীতি বসে যাচ্ছে। একটা বিশাল জনগোষ্ঠী কর্মহীন হয়ে পড়ছে। যারা স্বল্প আয়ের মানুষ, দিন আনে দিন খায় কিংবা কাজ করে খায়, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ব্যবসায়ী, সেবা খাত–তাদের তো এখন না খেয়ে মরার উপক্রম। আমি মনে করি, সীমিত আকারে সবকিছুই চালু রাখা যেত। এভাবে পুরো লকডাউন কোনো সমাধান নয়। এটা ভয়ংকর। সরকার মৃত্যুর হার যথাযথভাবে কমানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু এর বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি দরকার ছিল। কীভাবে ব্যাপকহারে টিকা দেওয়া যায়, স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারটা আরও কীভাবে নিশ্চিত করা যায়। এখন যেভাবে করা হয়েছে, তাতে অর্থনীতি অকার্যকর হয়ে যাবে।
আজকের পত্রিকা: লকডাউনে নীতিগত কোনো দুর্বলতা দেখছেন?
আবদুল হক: ব্যক্তিগতভাবে আমি চরম এক হতাশার মধ্যে আছি। আমার ধারণা, গোটা জাতিই এ হতাশায় ভুগছে। পুরো বিষয়টাকে যদি বিবেচনায় নেন, তাহলে নীতির জায়গায় যে মারাত্মক দুর্বলতাগুলো আছে, সেটা ধরতে পারবেন। এটা শুধু এক জায়গায় নয়; নীতির জন্য যথাযথ ফোরামগুলো নেই। স্টেকহোল্ডাররা সচল নয়। সব মিলিয়ে নীতির জায়গায় দৈন্য ও ভঙ্গুরতা আছে। স্বাস্থ্য খাতের বিশেষজ্ঞরা হয়তো সরকারকে পরামর্শ দিচ্ছেন, কিন্তু অর্থনীতির জন্য আরও সচেতন হয়ে যে চিন্তা করা দরকার ছিল।
আজকের পত্রিকা: সরকারি সেবা বা সহায়তা নিয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?
আবদুল হক: সার্বিকভাবে জবাবদিহির ঘাটতি রয়েছে। অনেক কর্মকর্তা বেনামে ব্যবসা করছে। তারাই টেন্ডার করে, তারাই সাপ্লাই করে। ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে। ভয়াবহ বিষয়। এক টাকার জিনিস এক শ টাকায় কিনছে। বড়রা সহায়তা পেয়েছে কিন্তু ছোটরা কীভাবে বাঁচবে? কৃষক বা শ্রমিক কি পাচ্ছে? পোশাক খাতে দিয়েছে, এটাকে স্বাগত জানাই। কিন্তু সার্বিকভাবে তো পৌঁছাচ্ছে না।
লকডাউন কি কোনো সমাধান? নাকি অন্য উপায় ভাবা যেত? লকডাউন অর্থনীতিতে কী প্রভাব ফেলবে, এসব বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন জাপান–বাংলাদেশ চেম্বারের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমানে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বারভিডার প্রেসিডেন্ট আবদুল হক। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: লকডাউন কীভাবে মোকাবিলা করছে ব্যবসায়ীরা?
আবদুল হক: একটা ভয়াবহ অবস্থা চলছে এখন। যদিও ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করে চেষ্টা করছে টিকে থাকার জন্য। প্রকৃত ব্যবসায়ী বিশেষ করে উৎপাদন, সেবা, এসএমই খাতের তারা একটা কঠিন সময় পার করছে। প্রায় এক বছর চার মাসের মধ্যে তারা সবাই রীতিমতো সংগ্রাম করছে। প্রতিকূল অবস্থার ভেতরও চট্টগ্রাম কাস্টমস প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে। প্রায় ১৭ শতাংশের মতো প্রবৃদ্ধি। এতে প্রমাণিত হয় যে ব্যবসায়ীরা সুযোগ পেলেই চেষ্টা করে ব্যবসাটাকে সচল রাখতে।
আজকের পত্রিকা: লকডাউন না দিয়ে তো উপায় ছিল না সরকারের।
আবদুল হক: সরকার হয়তো যথার্থ কারণেই কঠিন লকডাউন দিয়েছে। সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে, হয়তো এর বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। বৈজ্ঞানিক সমাধান ছিল বড় রকমের প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়া এবং টিকাদান কর্মসূচিকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক করা যেত। কিন্তু অর্থনীতি বসে যাচ্ছে। একটা বিশাল জনগোষ্ঠী কর্মহীন হয়ে পড়ছে। যারা স্বল্প আয়ের মানুষ, দিন আনে দিন খায় কিংবা কাজ করে খায়, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ব্যবসায়ী, সেবা খাত–তাদের তো এখন না খেয়ে মরার উপক্রম। আমি মনে করি, সীমিত আকারে সবকিছুই চালু রাখা যেত। এভাবে পুরো লকডাউন কোনো সমাধান নয়। এটা ভয়ংকর। সরকার মৃত্যুর হার যথাযথভাবে কমানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু এর বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি দরকার ছিল। কীভাবে ব্যাপকহারে টিকা দেওয়া যায়, স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারটা আরও কীভাবে নিশ্চিত করা যায়। এখন যেভাবে করা হয়েছে, তাতে অর্থনীতি অকার্যকর হয়ে যাবে।
আজকের পত্রিকা: লকডাউনে নীতিগত কোনো দুর্বলতা দেখছেন?
আবদুল হক: ব্যক্তিগতভাবে আমি চরম এক হতাশার মধ্যে আছি। আমার ধারণা, গোটা জাতিই এ হতাশায় ভুগছে। পুরো বিষয়টাকে যদি বিবেচনায় নেন, তাহলে নীতির জায়গায় যে মারাত্মক দুর্বলতাগুলো আছে, সেটা ধরতে পারবেন। এটা শুধু এক জায়গায় নয়; নীতির জন্য যথাযথ ফোরামগুলো নেই। স্টেকহোল্ডাররা সচল নয়। সব মিলিয়ে নীতির জায়গায় দৈন্য ও ভঙ্গুরতা আছে। স্বাস্থ্য খাতের বিশেষজ্ঞরা হয়তো সরকারকে পরামর্শ দিচ্ছেন, কিন্তু অর্থনীতির জন্য আরও সচেতন হয়ে যে চিন্তা করা দরকার ছিল।
আজকের পত্রিকা: সরকারি সেবা বা সহায়তা নিয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?
আবদুল হক: সার্বিকভাবে জবাবদিহির ঘাটতি রয়েছে। অনেক কর্মকর্তা বেনামে ব্যবসা করছে। তারাই টেন্ডার করে, তারাই সাপ্লাই করে। ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে। ভয়াবহ বিষয়। এক টাকার জিনিস এক শ টাকায় কিনছে। বড়রা সহায়তা পেয়েছে কিন্তু ছোটরা কীভাবে বাঁচবে? কৃষক বা শ্রমিক কি পাচ্ছে? পোশাক খাতে দিয়েছে, এটাকে স্বাগত জানাই। কিন্তু সার্বিকভাবে তো পৌঁছাচ্ছে না।
ইউনিক গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাখাওয়াত হোসেন। পর্যটনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মনজুরুল ইসলাম।
০৩ অক্টোবর ২০২৪বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, সুফি এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কোনো বিভাজনমূলক এজেন্ডায় রাজনীতির দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহৃত না হওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা দৃঢ়ভাবে কোনো সাম্প্রদায়িক ফাঁদে আটকা পড়তে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করি। কোনোভাবেই তা হতে দেওয়া যাবে না।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪‘আমি এটাকে ঠিক রাজনৈতিক ভাবাদর্শ বলব না। আমি এটাকে বলব, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, সেটা আমার পারিবারিক শিক্ষা। আমাদের ঘরের ডাইনিং টেবিল থেকে শুরু করে যেকোনো ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পরিবারের বড়দের সাথে আমরা দ্বিমত পোষণ করতে পেরেছি। ছোট থেকে বড়, কারও কোনো কথা বা কাজ ভুল মনে হলে সেটাকে আমরা তার প্রতি স
৩১ আগস্ট ২০২৪একেক মানুষ বেছে নেন একেক পেশা। তাঁদের মধ্যে কারও কারও পেশা একটু ভিন্ন ধরনের। যেমন—মো. মুনসুর আলী ওরফে মন্টু খলিফা। বাপ-দাদার পেশাকে ভালোবেসে শিশুদের খতনা করানো বা হাজামের কাজ বেছে নিয়েছেন পেশা হিসেবে। জীবনে পার করেছেন প্রায় ৮৫ বছর। জানিয়েছেন গত ৬০ বছরে ২ লাখের বেশি শিশুর মুসলমানি বা সুন্নতে খতনা দিয়
৩০ মার্চ ২০২৪