অনলাইন ডেস্ক
প্রশ্ন: কেন্দ্র সরকার ও উলফার মধ্যে দুই বছর পর আলোচনা আবার শুরুর খবর কি সত্য?
অরবিন্দ: হ্যাঁ, সত্যি। অন্যবারের মতো আমরা এ আলোচনার জন্য দিল্লি যাচ্ছি না। আগের আলোচনায় ওই পক্ষে যারা ছিলেন, তাঁদের সবাই অবসর নিয়েছেন। এরই মধ্যে কেন্দ্রের প্রতিনিধি হিসেবে আসামেই আমরা এ কে মিশ্রের (গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক বিশেষ পরিচালক) সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা করেছি। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্য অংশগুলোর (বিশেষত নাগা বিদ্রোহী সংগঠন) সঙ্গেও তিনি আলাপ করছেন। আমরা তাঁর কাছে আগাম একটি প্রস্তাব চেয়েছি। এ বিষয়ে আগের আলোচকদের সঙ্গেই আমাদের সব দাবি জানানো হয়েছে। এ নিয়ে নতুন করে আলাপের কিছু নেই। এখন শুধু চুক্তি স্বাক্ষরই বাকি আছে।
প্রশ্ন: এর পর কী?
অরবিন্দ: চূড়ান্ত ঘোষণার বিষয়ে সরকার এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। মনে হচ্ছে, এই আলোচনার সাফল্য কে দাবি করবে, তা নিয়ে একটি প্রতিযোগিতা আছে। কিন্তু আমাদের দিক থেকে এমন কিছু নেই। প্রচার নিয়ে আমরা ভাবি না। আমরা শুধু চাই, আসামের নৃগোষ্ঠীগুলো তাদের অধিকার পাক এবং সেই অধিকারকে সুরক্ষা দেওয়া হোক। এ নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা দেখা দিলে আমরা তা সই করব না। সে ক্ষেত্রে পুরো বিষয়টি আমরা পরবর্তী প্রজন্মের হাতে ছেড়ে দেব। তারা চাইলে এটি এগিয়ে নিতে পারবে।
এরই মধ্যে যথেষ্ট হয়েছে বলে আমরা মনে করি। আসামের জন্য আমাদের অনেক সহযোদ্ধা জীবন দিয়েছেন। যখন আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম উপলব্ধি করবে এবং আমাদের বর্ণিত সংকটগুলোই মোকাবিলা করবে, তখন তারাই করণীয় ঠিক করবে।
প্রশ্ন: সরকারের লক্ষ্য নিয়ে এখনো আপনার মধ্যে কোনো সংশয় আছে?
অরবিন্দ: বহু বছরের আলোচনার পর উভয় পক্ষ একই বিন্দুতে এসে মিলেছে বলে আমরা আশাবাদী। সর্বশেষ আলোচনা আমাদের এই ইঙ্গিত দিয়েছে যে, তারা (কেন্দ্র সরকার) চূড়ান্ত চুক্তিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।
আমাদের দিক থেকে, এই বছরের ১৫ আগস্ট বা তার আগেই একটি চুক্তি হবে বলে আশা করছি। বল এখন তাদের কোর্টে। এখনো কিছু সময় আছে। আর আমরা বিশ্বাস করি এ বিষয়ে দ্রুতই সরকার পক্ষের অবস্থান জানতে পারব।
প্রশ্ন: তার মানে কি কেন্দ্র সরকার আপনাদের সব দাবি মেনে নিয়েছে?
অরবিন্দ: আমরা আমাদের সব দাবি জানিয়েছি। আর তারা এগুলো বাছবিচার করে দেখেছে। আর তারপর উভয় পক্ষই এ বিষয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গির কথা জানিয়েছে। তারা একটা সমাধান প্রস্তাব করেছে, যা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয়েছে।
প্রশ্ন: এখানকার নৃগোষ্ঠীগুলোর ভূমির অধিকার এবং ছয়টি গোষ্ঠীর জাতি পরিচয়ের মতো বিষয়গুলো আপনাদের দাবিনামায় রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অরবিন্দ: কিছু লোক এমন গুজব ছড়ায়। আমরা আসামের সব নৃগোষ্ঠীর সুরক্ষা চাই, শুধু ছয়টি গোষ্ঠীর নয়। (২০১৯ সালের জানুয়ারিতে তাই অহম, মোরান, মাতাক, সুতি, কোচ রাজবংশী ও চা-বাগানের নৃগোষ্ঠীগুলোকে তালিকাভুক্ত জনজাতি হিসেবে কেন্দ্রের মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিলেও তা এখনো আইন হিসেবে লোকসভায় পাস হয়নি।)
আমাদের অবস্থান হচ্ছে—আসামে শত শত বছর ধরে বাস করা জনগোষ্ঠীগুলোর সুরক্ষা প্রয়োজন। এই গোষ্ঠীগুলোর কোনটি বড় বা ছোট, সেটা কোনো বিষয় নয়। তাদের সুরক্ষা দিতে হবে। তাদের অবশ্যই আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আমাদের পূর্ণাঙ্গ আলোচনা হয়েছে এবং আমরা এই অবস্থানেই অনড়। এখানে একটি শব্দেরও পরিবর্তন আমরা মানব না। সরকারও এর সঙ্গে একমত হয়েছে। এই পর্যায়ে আমাদের একমাত্র আহ্বান থাকবে—গুজব বন্ধ করুন।
প্রশ্ন: তার মানে, পুরো ব্যাপারটা অবৈধ অভিবাসী সম্পর্কিত?
অরবিন্দ: অবৈধ অভিবাসীরা (বাংলাদেশ থেকে আসা) আসামের মানুষের অস্তিত্বের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। আমরাও এই ‘বহিরাগত’ সমস্যার ব্যাপারে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। উদাহরণস্বরূপ ধুবড়ি জেলার কথা বলি। সেখানে আদিবাসী কোচ রাজবংশীরা বর্তমানে সিদ্ধান্ত গ্রহণমূলক কোনো ভূমিকা রাখতে পারেন না (কারণ তাঁরা সেখানে সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছেন)। পরিস্থিতিটা তিনসুকিয়া, দিগবই, গোয়াহাটির কিছু অংশ এবং রাজ্যের আরও অন্যান্য এলাকাতে একই রকম। এখন কি আপনি এমন একজনকে আপনার প্রতিনিধি হিসেবে মেনে নেবেন যে মাত্র কয়েক দশক আগে আপনার এলাকায় এসেছে। কেউই মেনে নেবে না...
ছয় বছরব্যাপী আসাম মুভমেন্টের পেছনে কিন্তু এই বিদেশি বা অবৈধ অভিবাসী ইস্যুটিই প্রধান কারণ ছিল। (১৯৮০-এর দশকে এই ধরনের লোকদের চিহ্নিত করা এবং নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর এই আন্দোলন ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল) নির্বাচনী নথিতে বিদেশি নাগরিকদের নাম পাওয়া গিয়েছিল এবং এভাবেই আন্দোলনের শুরু। স্বার্থান্বেষী লোকেরা এই সমস্যাটি বছরের পর বছর জিইয়ে রাখতে দিয়েছেন, যা এখন আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করছে এবং আমাদের রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রতি হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই বিষয়টি নিয়েও আমাদের বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এই কারণেই আমরা বহু বছর ধরে (প্রায় এক দশক) অপেক্ষা করছি সরকারের সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে। আমাদের কোনো নেতাই কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দেননি বা সরকারি চাকরি নেননি বা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রস্তাব গ্রহণ করেননি। আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছানো এবং আমরা এ ক্ষেত্রে কোনো সমঝোতা (ছাড়) করিনি। এই অবস্থানে আমরা অনড় থাকব।
প্রশ্ন: আসাম মুভমেন্টের ইতি ঘটানোর লক্ষ্যে ১৯৮৫ সালে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল তা এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। তাহলে উলফার চুক্তি যে আগেরটির ভাগ্য বরণ করবে না তার নিশ্চয়তা কী?
অরবিন্দ: এই সন্ধিক্ষণে আমাদের কোন ধরনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে সেটি আমি প্রকাশ করতে পারব না। কিন্তু আমি আপনাকে বলতে পারি যে, আমরা সাংবিধানিক নিশ্চয়তা চেয়েছি। ভারত সরকার সেটি গ্রহণ করলে তবেই আমরা চুক্তিতে সই করব।
প্রশ্ন: আপনি কি আদিবাসী সম্প্রদায়গুলোর সাংবিধানিক সুরক্ষার কথা বোঝাতে চাইছেন?
অরবিন্দ: ঠিক ধরেছেন। অতীতে এটা আমরা স্পষ্ট করেই বলেছি এবং সরকারও বলেছে, এটি সম্ভব। কেন্দ্র যদি বিষয়টি ঝুলে রাখে, তাহলে কোনো চুক্তিতে যাওয়ার অবকাশ নেই এবং সিদ্ধান্ত আসামের জনগণের ওপর ছেড়ে দেব।
প্রশ্ন: পরেশ বড়ুয়াকে (উলফা-ইন্ডিপেনডেন্টের নেতা) কি এই আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য বলেছিলেন।
অরবিন্দ: এটা তো আলাদা সংগঠন এবং তাদের আলাদা কাউন্সিল আছে। তাদের (মূল) দাবি আমাদের থেকে আলাদা। তিনি (পরেশ বড়ুয়া) মাঝেমধ্যে আমাদের সদস্যদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন, কিন্তু আমাদের আলোচনায় তাঁর কিছু করার ছিল না।
প্রশ্ন: উলফা-ইন্ডিপেনডেন্ট যে নতুন করে সদস্য সংগ্রহ শুরু করেছে সে ব্যাপারে কী বলবেন?
অরবিন্দ: সোশ্যাল মিডিয়াতে কিছু লোকের শেয়ার করা তথ্যের ভিত্তিতে মিডিয়াতে বিষয়টি হাইলাইট করা হয়েছে। এ ধরনের সদস্য সংগ্রহ একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। এবং এটি একেবারেই উদ্বেগের কোনো বিষয় নয়। কত লোক ফেরত এল (সংগঠন ত্যাগ) সাধারণ মানুষ কিন্তু এটা নিয়ে মোটেও ভাবিত নয়। আমি আপনাকে বলতে পারি, এমন বহু লোক আছে যারা ঘরে ফিরেছে এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে।
প্রশ্ন: কেন্দ্র সরকার ও উলফার মধ্যে দুই বছর পর আলোচনা আবার শুরুর খবর কি সত্য?
অরবিন্দ: হ্যাঁ, সত্যি। অন্যবারের মতো আমরা এ আলোচনার জন্য দিল্লি যাচ্ছি না। আগের আলোচনায় ওই পক্ষে যারা ছিলেন, তাঁদের সবাই অবসর নিয়েছেন। এরই মধ্যে কেন্দ্রের প্রতিনিধি হিসেবে আসামেই আমরা এ কে মিশ্রের (গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক বিশেষ পরিচালক) সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা করেছি। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্য অংশগুলোর (বিশেষত নাগা বিদ্রোহী সংগঠন) সঙ্গেও তিনি আলাপ করছেন। আমরা তাঁর কাছে আগাম একটি প্রস্তাব চেয়েছি। এ বিষয়ে আগের আলোচকদের সঙ্গেই আমাদের সব দাবি জানানো হয়েছে। এ নিয়ে নতুন করে আলাপের কিছু নেই। এখন শুধু চুক্তি স্বাক্ষরই বাকি আছে।
প্রশ্ন: এর পর কী?
অরবিন্দ: চূড়ান্ত ঘোষণার বিষয়ে সরকার এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। মনে হচ্ছে, এই আলোচনার সাফল্য কে দাবি করবে, তা নিয়ে একটি প্রতিযোগিতা আছে। কিন্তু আমাদের দিক থেকে এমন কিছু নেই। প্রচার নিয়ে আমরা ভাবি না। আমরা শুধু চাই, আসামের নৃগোষ্ঠীগুলো তাদের অধিকার পাক এবং সেই অধিকারকে সুরক্ষা দেওয়া হোক। এ নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা দেখা দিলে আমরা তা সই করব না। সে ক্ষেত্রে পুরো বিষয়টি আমরা পরবর্তী প্রজন্মের হাতে ছেড়ে দেব। তারা চাইলে এটি এগিয়ে নিতে পারবে।
এরই মধ্যে যথেষ্ট হয়েছে বলে আমরা মনে করি। আসামের জন্য আমাদের অনেক সহযোদ্ধা জীবন দিয়েছেন। যখন আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম উপলব্ধি করবে এবং আমাদের বর্ণিত সংকটগুলোই মোকাবিলা করবে, তখন তারাই করণীয় ঠিক করবে।
প্রশ্ন: সরকারের লক্ষ্য নিয়ে এখনো আপনার মধ্যে কোনো সংশয় আছে?
অরবিন্দ: বহু বছরের আলোচনার পর উভয় পক্ষ একই বিন্দুতে এসে মিলেছে বলে আমরা আশাবাদী। সর্বশেষ আলোচনা আমাদের এই ইঙ্গিত দিয়েছে যে, তারা (কেন্দ্র সরকার) চূড়ান্ত চুক্তিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।
আমাদের দিক থেকে, এই বছরের ১৫ আগস্ট বা তার আগেই একটি চুক্তি হবে বলে আশা করছি। বল এখন তাদের কোর্টে। এখনো কিছু সময় আছে। আর আমরা বিশ্বাস করি এ বিষয়ে দ্রুতই সরকার পক্ষের অবস্থান জানতে পারব।
প্রশ্ন: তার মানে কি কেন্দ্র সরকার আপনাদের সব দাবি মেনে নিয়েছে?
অরবিন্দ: আমরা আমাদের সব দাবি জানিয়েছি। আর তারা এগুলো বাছবিচার করে দেখেছে। আর তারপর উভয় পক্ষই এ বিষয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গির কথা জানিয়েছে। তারা একটা সমাধান প্রস্তাব করেছে, যা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয়েছে।
প্রশ্ন: এখানকার নৃগোষ্ঠীগুলোর ভূমির অধিকার এবং ছয়টি গোষ্ঠীর জাতি পরিচয়ের মতো বিষয়গুলো আপনাদের দাবিনামায় রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অরবিন্দ: কিছু লোক এমন গুজব ছড়ায়। আমরা আসামের সব নৃগোষ্ঠীর সুরক্ষা চাই, শুধু ছয়টি গোষ্ঠীর নয়। (২০১৯ সালের জানুয়ারিতে তাই অহম, মোরান, মাতাক, সুতি, কোচ রাজবংশী ও চা-বাগানের নৃগোষ্ঠীগুলোকে তালিকাভুক্ত জনজাতি হিসেবে কেন্দ্রের মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিলেও তা এখনো আইন হিসেবে লোকসভায় পাস হয়নি।)
আমাদের অবস্থান হচ্ছে—আসামে শত শত বছর ধরে বাস করা জনগোষ্ঠীগুলোর সুরক্ষা প্রয়োজন। এই গোষ্ঠীগুলোর কোনটি বড় বা ছোট, সেটা কোনো বিষয় নয়। তাদের সুরক্ষা দিতে হবে। তাদের অবশ্যই আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আমাদের পূর্ণাঙ্গ আলোচনা হয়েছে এবং আমরা এই অবস্থানেই অনড়। এখানে একটি শব্দেরও পরিবর্তন আমরা মানব না। সরকারও এর সঙ্গে একমত হয়েছে। এই পর্যায়ে আমাদের একমাত্র আহ্বান থাকবে—গুজব বন্ধ করুন।
প্রশ্ন: তার মানে, পুরো ব্যাপারটা অবৈধ অভিবাসী সম্পর্কিত?
অরবিন্দ: অবৈধ অভিবাসীরা (বাংলাদেশ থেকে আসা) আসামের মানুষের অস্তিত্বের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। আমরাও এই ‘বহিরাগত’ সমস্যার ব্যাপারে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। উদাহরণস্বরূপ ধুবড়ি জেলার কথা বলি। সেখানে আদিবাসী কোচ রাজবংশীরা বর্তমানে সিদ্ধান্ত গ্রহণমূলক কোনো ভূমিকা রাখতে পারেন না (কারণ তাঁরা সেখানে সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছেন)। পরিস্থিতিটা তিনসুকিয়া, দিগবই, গোয়াহাটির কিছু অংশ এবং রাজ্যের আরও অন্যান্য এলাকাতে একই রকম। এখন কি আপনি এমন একজনকে আপনার প্রতিনিধি হিসেবে মেনে নেবেন যে মাত্র কয়েক দশক আগে আপনার এলাকায় এসেছে। কেউই মেনে নেবে না...
ছয় বছরব্যাপী আসাম মুভমেন্টের পেছনে কিন্তু এই বিদেশি বা অবৈধ অভিবাসী ইস্যুটিই প্রধান কারণ ছিল। (১৯৮০-এর দশকে এই ধরনের লোকদের চিহ্নিত করা এবং নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর এই আন্দোলন ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল) নির্বাচনী নথিতে বিদেশি নাগরিকদের নাম পাওয়া গিয়েছিল এবং এভাবেই আন্দোলনের শুরু। স্বার্থান্বেষী লোকেরা এই সমস্যাটি বছরের পর বছর জিইয়ে রাখতে দিয়েছেন, যা এখন আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করছে এবং আমাদের রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রতি হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই বিষয়টি নিয়েও আমাদের বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এই কারণেই আমরা বহু বছর ধরে (প্রায় এক দশক) অপেক্ষা করছি সরকারের সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে। আমাদের কোনো নেতাই কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দেননি বা সরকারি চাকরি নেননি বা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রস্তাব গ্রহণ করেননি। আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছানো এবং আমরা এ ক্ষেত্রে কোনো সমঝোতা (ছাড়) করিনি। এই অবস্থানে আমরা অনড় থাকব।
প্রশ্ন: আসাম মুভমেন্টের ইতি ঘটানোর লক্ষ্যে ১৯৮৫ সালে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল তা এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। তাহলে উলফার চুক্তি যে আগেরটির ভাগ্য বরণ করবে না তার নিশ্চয়তা কী?
অরবিন্দ: এই সন্ধিক্ষণে আমাদের কোন ধরনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে সেটি আমি প্রকাশ করতে পারব না। কিন্তু আমি আপনাকে বলতে পারি যে, আমরা সাংবিধানিক নিশ্চয়তা চেয়েছি। ভারত সরকার সেটি গ্রহণ করলে তবেই আমরা চুক্তিতে সই করব।
প্রশ্ন: আপনি কি আদিবাসী সম্প্রদায়গুলোর সাংবিধানিক সুরক্ষার কথা বোঝাতে চাইছেন?
অরবিন্দ: ঠিক ধরেছেন। অতীতে এটা আমরা স্পষ্ট করেই বলেছি এবং সরকারও বলেছে, এটি সম্ভব। কেন্দ্র যদি বিষয়টি ঝুলে রাখে, তাহলে কোনো চুক্তিতে যাওয়ার অবকাশ নেই এবং সিদ্ধান্ত আসামের জনগণের ওপর ছেড়ে দেব।
প্রশ্ন: পরেশ বড়ুয়াকে (উলফা-ইন্ডিপেনডেন্টের নেতা) কি এই আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য বলেছিলেন।
অরবিন্দ: এটা তো আলাদা সংগঠন এবং তাদের আলাদা কাউন্সিল আছে। তাদের (মূল) দাবি আমাদের থেকে আলাদা। তিনি (পরেশ বড়ুয়া) মাঝেমধ্যে আমাদের সদস্যদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন, কিন্তু আমাদের আলোচনায় তাঁর কিছু করার ছিল না।
প্রশ্ন: উলফা-ইন্ডিপেনডেন্ট যে নতুন করে সদস্য সংগ্রহ শুরু করেছে সে ব্যাপারে কী বলবেন?
অরবিন্দ: সোশ্যাল মিডিয়াতে কিছু লোকের শেয়ার করা তথ্যের ভিত্তিতে মিডিয়াতে বিষয়টি হাইলাইট করা হয়েছে। এ ধরনের সদস্য সংগ্রহ একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। এবং এটি একেবারেই উদ্বেগের কোনো বিষয় নয়। কত লোক ফেরত এল (সংগঠন ত্যাগ) সাধারণ মানুষ কিন্তু এটা নিয়ে মোটেও ভাবিত নয়। আমি আপনাকে বলতে পারি, এমন বহু লোক আছে যারা ঘরে ফিরেছে এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে।
ইউনিক গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাখাওয়াত হোসেন। পর্যটনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মনজুরুল ইসলাম।
০৩ অক্টোবর ২০২৪বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, সুফি এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কোনো বিভাজনমূলক এজেন্ডায় রাজনীতির দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহৃত না হওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা দৃঢ়ভাবে কোনো সাম্প্রদায়িক ফাঁদে আটকা পড়তে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করি। কোনোভাবেই তা হতে দেওয়া যাবে না।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪‘আমি এটাকে ঠিক রাজনৈতিক ভাবাদর্শ বলব না। আমি এটাকে বলব, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, সেটা আমার পারিবারিক শিক্ষা। আমাদের ঘরের ডাইনিং টেবিল থেকে শুরু করে যেকোনো ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পরিবারের বড়দের সাথে আমরা দ্বিমত পোষণ করতে পেরেছি। ছোট থেকে বড়, কারও কোনো কথা বা কাজ ভুল মনে হলে সেটাকে আমরা তার প্রতি স
৩১ আগস্ট ২০২৪একেক মানুষ বেছে নেন একেক পেশা। তাঁদের মধ্যে কারও কারও পেশা একটু ভিন্ন ধরনের। যেমন—মো. মুনসুর আলী ওরফে মন্টু খলিফা। বাপ-দাদার পেশাকে ভালোবেসে শিশুদের খতনা করানো বা হাজামের কাজ বেছে নিয়েছেন পেশা হিসেবে। জীবনে পার করেছেন প্রায় ৮৫ বছর। জানিয়েছেন গত ৬০ বছরে ২ লাখের বেশি শিশুর মুসলমানি বা সুন্নতে খতনা দিয়
৩০ মার্চ ২০২৪