ফারুক মেহেদী
বিদ্যুৎ বিতরণ ও সঞ্চালনব্যবস্থাটা কেমন? উৎপাদনে জ্বালানি সমস্যা তীব্র হচ্ছে কেন? বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর উদ্যোগ কতটা যৌক্তিক? এসব বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: বিদ্যুৎ খাত কেমন চলছে?
মোহাম্মদ হোসেন: আমরা আসলে জটিল অবস্থায় আছি। একটা পর্যায় থেকে আরেকটি পর্যায়ে যাওয়ার সন্ধিক্ষণে আছি। আমাদের চাহিদার চেয়ে এখন উৎপাদনসক্ষমতা অনেক বেশি। এরপরও সীমাবদ্ধতাটা হলো, আমাদের প্রাথমিক জ্বালানির সংকট আছে। অন্যদিকে আমরা বিগত ৭-৮ বছরে ৪৭ শতাংশ থেকে প্রায় শতভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে পারলেও সে অনুযায়ী বিতরণ বা সঞ্চালনব্যবস্থাটা টেকসই করতে পারিনি। এই দুটো কারণে আমরা উৎপাদনসক্ষমতা বাড়ালেও এর কাঙ্ক্ষিত সুফল পাচ্ছি না। এটা হলো সহজ-সরল স্বীকারোক্তি।
আজকের পত্রিকা: আর্থিক সমস্যার কারণে জটিলতা তৈরি হচ্ছে?
মোহাম্মদ হোসেন: আর্থিক সমস্যা নয়। প্রথমত, প্রাথমিক জ্বালানির বিষয়টি আমাদের হাতে নেই। আমাদের নিজস্ব গ্যাস যা ছিল তা ফুরিয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন এলএনজি আমদানি করি। এটার পেছনে খরচ বাড়ছে। এলএনজি টার্মিনাল বা অবকাঠামো নির্মাণ, সক্ষমতা ইত্যাদি সীমাবদ্ধতা আছে। এ ছাড়া আমাদের অনেক কয়লা মজুত থাকার পরও আমরা একটি মাত্র খনি থেকে কয়লা উত্তোলন করছি। দেশের খাদ্যনিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে শুধু একটি থেকেই কয়লা তুলছি। কয়লা উত্তোলনের ক্ষেত্রে একটা পর্যায় শেষ করে আরেকটায় যেতে হয়। বিদ্যুৎ খাতের মতো ওখানেও একটা জটিলতা আছে। একটা পর্যায় থেকে আরেকটায় যেতে কয়লা উত্তোলন বাধাগ্রস্ত হয়। এই হলো প্রাথমিক জ্বালানির সমস্যাটি। সঞ্চালন ও বিতরণব্যবস্থাটা উন্নয়নের ক্ষেত্রেও টাকা কোনো সমস্যা নয়।
আজকের পত্রিকা: টেকসই বিতরণব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজ কতটা এগোচ্ছে?
মোহাম্মদ হোসেন: যেভাবে মানুষকে বিদ্যুৎ দেওয়া হয়েছে সেভাবে বিতরণব্যবস্থা টেকসই করা হয়নি। সেই কাজটা এখন আমরা করার চেষ্টা করছি। যেখানে বিতরণ লাইনে সমস্যা, সেখানে ক্যাপাসিটি বাড়াচ্ছি। যেখানে ট্রান্সফরমারের সমস্যা, সেখানে ট্রান্সফরমার ক্যাপাসিটি বাড়াচ্ছি। যেখানে সাবস্টেশন করা দরকার–করছি। এগুলো করার জন্য সময় দিতে হবে। এসব করতে গিয়েই অভিযোগ পাচ্ছি যে, এত বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরও কেন বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। পুরো ব্যবস্থাটা তৈরি করতে কখনো কখনো বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করতে হয়।
আজকের পত্রিকা: জ্বালানির সংকট কতটা ভোগাচ্ছে সরকারকে?
মোহাম্মদ হোসেন: জ্বালানির অভাবে কিন্তু আমরা হিমশিম খাচ্ছি। আমাদের যেমন ১১ হাজার মেগাওয়াটের গ্যাসভিত্তিক সক্ষমতা আছে। কিন্তু গ্যাসের অভাবে আমরা সর্বোচ্চ ৭ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন করতে পারি। ইদানীং আরও কম পাচ্ছি। যখন আমাদের ১৩ হাজারের সক্ষমতা হয়, তখন তেলভিত্তিক, আবার বড়পুকুরিয়া কয়লা দিয়েও উৎপাদন হচ্ছে। এই বিকল্পগুলো থাকার কারণেই আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদনটা করে যেতে পারছি। এই অতিরিক্ত সক্ষমতা হলো, বিকল্প রাখার জন্যই সবাইকে স্বস্তি দেওয়া হয়েছে।
আজকের পত্রিকা: কোভিডকালীন বিদ্যুতের দাম বাড়ানো কতটা যৌক্তিক?
মোহাম্মদ হোসেন: যেহেতু কোভিডকালীন সময়। মানুষের আর্থিক অবস্থা খারাপ। মানুষের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে সরকার কিন্তু সব সময়ই ভর্তুকি দেয়। এটা সরকারের সিদ্ধান্ত। তবে আমি মনে করি, সরকার যথাযথ সিদ্ধান্তই নেবে। আগে সরকার নয় হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিত, এখন না-হয় আরও এক হাজার কোটি টাকা বাড়বে। এটা মূলত সরকারের সিদ্ধান্ত। যদিও এটা সামাজিক পণ্য। সরকার যেহেতু সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়টি দেখে, সুতরাং সরকার যেটা ভালো হয় করবে।
বিদ্যুৎ বিতরণ ও সঞ্চালনব্যবস্থাটা কেমন? উৎপাদনে জ্বালানি সমস্যা তীব্র হচ্ছে কেন? বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর উদ্যোগ কতটা যৌক্তিক? এসব বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: বিদ্যুৎ খাত কেমন চলছে?
মোহাম্মদ হোসেন: আমরা আসলে জটিল অবস্থায় আছি। একটা পর্যায় থেকে আরেকটি পর্যায়ে যাওয়ার সন্ধিক্ষণে আছি। আমাদের চাহিদার চেয়ে এখন উৎপাদনসক্ষমতা অনেক বেশি। এরপরও সীমাবদ্ধতাটা হলো, আমাদের প্রাথমিক জ্বালানির সংকট আছে। অন্যদিকে আমরা বিগত ৭-৮ বছরে ৪৭ শতাংশ থেকে প্রায় শতভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে পারলেও সে অনুযায়ী বিতরণ বা সঞ্চালনব্যবস্থাটা টেকসই করতে পারিনি। এই দুটো কারণে আমরা উৎপাদনসক্ষমতা বাড়ালেও এর কাঙ্ক্ষিত সুফল পাচ্ছি না। এটা হলো সহজ-সরল স্বীকারোক্তি।
আজকের পত্রিকা: আর্থিক সমস্যার কারণে জটিলতা তৈরি হচ্ছে?
মোহাম্মদ হোসেন: আর্থিক সমস্যা নয়। প্রথমত, প্রাথমিক জ্বালানির বিষয়টি আমাদের হাতে নেই। আমাদের নিজস্ব গ্যাস যা ছিল তা ফুরিয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন এলএনজি আমদানি করি। এটার পেছনে খরচ বাড়ছে। এলএনজি টার্মিনাল বা অবকাঠামো নির্মাণ, সক্ষমতা ইত্যাদি সীমাবদ্ধতা আছে। এ ছাড়া আমাদের অনেক কয়লা মজুত থাকার পরও আমরা একটি মাত্র খনি থেকে কয়লা উত্তোলন করছি। দেশের খাদ্যনিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে শুধু একটি থেকেই কয়লা তুলছি। কয়লা উত্তোলনের ক্ষেত্রে একটা পর্যায় শেষ করে আরেকটায় যেতে হয়। বিদ্যুৎ খাতের মতো ওখানেও একটা জটিলতা আছে। একটা পর্যায় থেকে আরেকটায় যেতে কয়লা উত্তোলন বাধাগ্রস্ত হয়। এই হলো প্রাথমিক জ্বালানির সমস্যাটি। সঞ্চালন ও বিতরণব্যবস্থাটা উন্নয়নের ক্ষেত্রেও টাকা কোনো সমস্যা নয়।
আজকের পত্রিকা: টেকসই বিতরণব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজ কতটা এগোচ্ছে?
মোহাম্মদ হোসেন: যেভাবে মানুষকে বিদ্যুৎ দেওয়া হয়েছে সেভাবে বিতরণব্যবস্থা টেকসই করা হয়নি। সেই কাজটা এখন আমরা করার চেষ্টা করছি। যেখানে বিতরণ লাইনে সমস্যা, সেখানে ক্যাপাসিটি বাড়াচ্ছি। যেখানে ট্রান্সফরমারের সমস্যা, সেখানে ট্রান্সফরমার ক্যাপাসিটি বাড়াচ্ছি। যেখানে সাবস্টেশন করা দরকার–করছি। এগুলো করার জন্য সময় দিতে হবে। এসব করতে গিয়েই অভিযোগ পাচ্ছি যে, এত বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরও কেন বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। পুরো ব্যবস্থাটা তৈরি করতে কখনো কখনো বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করতে হয়।
আজকের পত্রিকা: জ্বালানির সংকট কতটা ভোগাচ্ছে সরকারকে?
মোহাম্মদ হোসেন: জ্বালানির অভাবে কিন্তু আমরা হিমশিম খাচ্ছি। আমাদের যেমন ১১ হাজার মেগাওয়াটের গ্যাসভিত্তিক সক্ষমতা আছে। কিন্তু গ্যাসের অভাবে আমরা সর্বোচ্চ ৭ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন করতে পারি। ইদানীং আরও কম পাচ্ছি। যখন আমাদের ১৩ হাজারের সক্ষমতা হয়, তখন তেলভিত্তিক, আবার বড়পুকুরিয়া কয়লা দিয়েও উৎপাদন হচ্ছে। এই বিকল্পগুলো থাকার কারণেই আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদনটা করে যেতে পারছি। এই অতিরিক্ত সক্ষমতা হলো, বিকল্প রাখার জন্যই সবাইকে স্বস্তি দেওয়া হয়েছে।
আজকের পত্রিকা: কোভিডকালীন বিদ্যুতের দাম বাড়ানো কতটা যৌক্তিক?
মোহাম্মদ হোসেন: যেহেতু কোভিডকালীন সময়। মানুষের আর্থিক অবস্থা খারাপ। মানুষের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে সরকার কিন্তু সব সময়ই ভর্তুকি দেয়। এটা সরকারের সিদ্ধান্ত। তবে আমি মনে করি, সরকার যথাযথ সিদ্ধান্তই নেবে। আগে সরকার নয় হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিত, এখন না-হয় আরও এক হাজার কোটি টাকা বাড়বে। এটা মূলত সরকারের সিদ্ধান্ত। যদিও এটা সামাজিক পণ্য। সরকার যেহেতু সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়টি দেখে, সুতরাং সরকার যেটা ভালো হয় করবে।
ইউনিক গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাখাওয়াত হোসেন। পর্যটনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মনজুরুল ইসলাম।
০৩ অক্টোবর ২০২৪বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, সুফি এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কোনো বিভাজনমূলক এজেন্ডায় রাজনীতির দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহৃত না হওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা দৃঢ়ভাবে কোনো সাম্প্রদায়িক ফাঁদে আটকা পড়তে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করি। কোনোভাবেই তা হতে দেওয়া যাবে না।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪‘আমি এটাকে ঠিক রাজনৈতিক ভাবাদর্শ বলব না। আমি এটাকে বলব, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, সেটা আমার পারিবারিক শিক্ষা। আমাদের ঘরের ডাইনিং টেবিল থেকে শুরু করে যেকোনো ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পরিবারের বড়দের সাথে আমরা দ্বিমত পোষণ করতে পেরেছি। ছোট থেকে বড়, কারও কোনো কথা বা কাজ ভুল মনে হলে সেটাকে আমরা তার প্রতি স
৩১ আগস্ট ২০২৪একেক মানুষ বেছে নেন একেক পেশা। তাঁদের মধ্যে কারও কারও পেশা একটু ভিন্ন ধরনের। যেমন—মো. মুনসুর আলী ওরফে মন্টু খলিফা। বাপ-দাদার পেশাকে ভালোবেসে শিশুদের খতনা করানো বা হাজামের কাজ বেছে নিয়েছেন পেশা হিসেবে। জীবনে পার করেছেন প্রায় ৮৫ বছর। জানিয়েছেন গত ৬০ বছরে ২ লাখের বেশি শিশুর মুসলমানি বা সুন্নতে খতনা দিয়
৩০ মার্চ ২০২৪