ইয়াসিন আরাফাত, ঢাকা
গত বছরের শেষদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মসনদে পরিবর্তনের হাওয়া বয়। মার্কিন নির্বাচনে নানা নাটকীয়তার পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধোগতি সুনিশ্চিত হয়েছে বটে; তবে নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মনে ক্ষমতার শুরুর দিকের স্বস্তি আর নেই। বরং রাশিয়া-চীনে কিছুটা অস্বস্তিতেই আছেন তিনি।
২০২০ সালের শেষের দিকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরাজয় নিশ্চিত হওয়া যায়। মার্কিন নির্বাচনে বাইডেনের বিজয়কে নস্যাৎ এবং সে সময় মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন বানচাল করার লক্ষ্যেই গত ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে হামলা চালান ট্রাম্পের উগ্র সমর্থকেরা। নজিরবিহীন ওই সহিংসতায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় উসকানিমূলক পোস্ট দেওয়ার কারণে ট্রাম্পকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করে ফেসবুক ও টুইটার। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানায়, ট্রাম্প ২০২৩ সাল পর্যন্ত ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে পারবেন না।
এত হুলুস্থুলের পরও ক্ষমতায় নির্দিষ্ট সময়ের বেশি থাকতে পারেননি ট্রাম্প। চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি তিনি হোয়াইট হাউস ছাড়েন। যাওয়ার আগে বাইডেনের নাম উল্লেখ না করে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি তাঁকে স্বাগত জানাচ্ছি। দেশে নতুন একটি সরকার আসতে চলেছে। নিরাপদ ও সমৃদ্ধ আমেরিকা গড়ার লক্ষ্যে আমি সেই সরকারের সাফল্য কামনা করছি।’
ট্রাম্প হোয়াইট হাউস ছাড়ার পরদিন অর্থাৎ ২১ জানুয়ারি ৪৬তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন জো বাইডেন। ওই শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নেননি ট্রাম্প। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, ১৮৬৯ সালে অ্যান্ড্রু জনসনের পর থেকে এই প্রথম কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাঁর উত্তরসূরির অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগদান থেকে বিরত থাকেন।
তবে উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। অন্যদের মধ্যে ছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, জর্জ ডব্লিউ বুশ ও বিল ক্লিনটন এবং সাবেক ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা, লরা বুশ ও হিলারি ক্লিনটন।
প্রথা অনুযায়ী প্রথমে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন কমলা হ্যারিস। যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী, প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান ও প্রথম দক্ষিণ এশীয় হিসেবে এই পদে অধিষ্ঠিত হন কমলা। এরপর শপথ গ্রহণ করেন জো বাইডেন। শপথের পর তুমুল করতালি ও হর্ষধ্বনিতে অভিনন্দন জানানো হয় এ দুজনকে।
শপথ নেওয়ার পর প্রথম দিনেই ট্রাম্পের বিতর্কিত ১৫ পদক্ষেপ ও আদেশ বাতিল করেন জো বাইডেন। এদিন তিনি ১৫টি নির্বাহী আদেশ ও দুটি দাপ্তরিক নথিতে সই করেন।
বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে বাইডেন বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, ট্রাম্পের নীতি পাল্টে দিতে তিনি দেরি করতে রাজি নন। ক্ষমতায় আসার এক মাস না পেরোতেই গত ২০ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রকে প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ফেরান বাইডেন। এই চুক্তি থেকে বের হয়ে গিয়েছিলেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক-সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে সই করেন বাইডেন। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাধ্যতামূলক মাস্ক পরার বিরোধী ছিলেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করার যে প্রক্রিয়া ট্রাম্প শুরু করেছিলেন, তা-ও থামিয়ে দেন বাইডেন।
বাইডেন আমলে চলতি বছরের অন্যতম একটি বড় ঘটনা ছিল আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার। গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রসহ তার সব মিত্রদেশ সেনা প্রত্যাহার করে নেয়। শেষ হয় ২০ বছরের যুদ্ধ। এর মধ্যেই ত্বরিতগতিতে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালেবান। আফগানিস্তান ছাড়ার আগে রাজধানী কাবুলে বোমা হামলায় ১৩ জন মার্কিন সেনা নিহত হয়। এসব ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধী রিপাবলিকান পার্টির নেতাদের তোপের মুখে পড়েছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের কেউ কেউ তো বাইডেনের পদত্যাগও দাবি করে বসেন তখন।
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহারের বিষয়ে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে চুক্তি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন ট্রাম্প। সেনা প্রত্যাহারের সমালোচনার জবাবে বাইডেন বলেছিলেন, ট্রাম্পের করা চুক্তি বাস্তবায়ন করতে গিয়েই তাঁকে ৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
এদিকে ইরাক থেকেও সেনা প্রত্যাহার করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ইরাক থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে দেশটি। এমনটি হলে সেখানেও ১৯ বছরের মার্কিন সেনা উপস্থিতির অবসান ঘটবে।
তবে বাইডেন ট্রাম্পের অনেক নীতির বিরোধিতা করলেও চীন ও রাশিয়া নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব আগের মতোই আছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের আমলে গত মার্চে প্রথম যুক্তরাষ্ট্র ও পরে চীনের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা শুরু হয়। সেখানে দুই পক্ষই পরস্পরকে তীব্র ভাষায় তিরস্কার করে।
আলাস্কার অ্যাংকোরেজ শহরে এই আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেইক সুলিভান। চীনের পক্ষে আলোচনায় যোগ দেন দেশটির পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক সবচেয়ে সিনিয়র কর্মকর্তা ইয়াং জিয়েচি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই।
আলোচনার শুরুতেই উদ্বোধনী বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিস্টার ব্লিনকেন একদম সোজাসাপ্টা ভাষায় বলেন, ‘চীনের বিভিন্ন পদক্ষেপের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র তার গভীর উদ্বেগ এই আলোচনায় আনবে, বিশেষ করে শিনজিয়াং, হংকং, তাইওয়ান, যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার হামলা এবং মার্কিন মিত্রদের ওপর অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগের বিষয়গুলো।’
আর এর জবাবে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই অভিযোগ করেন এই বলে যে, ওয়াশিংটন তার সামরিক পরাক্রম এবং অর্থনৈতিক শক্তিকে কাজে লাগাচ্ছে অন্য দেশকে দমিয়ে রাখতে। এত দিন বাণিজ্য ও উইঘুরদের মানবাধিকার ইস্যুতে বিরোধ থাকলেও এ বছর তাইওয়ান এবং দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন কর্মকাণ্ড নিয়ে বেইজিং ও ওয়াশিংটনের বিরোধ আরও তীব্র হয়। এহেন পরিস্থিতিতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক কিছুটা স্বাভাবিক করার উদ্দেশ্যে সোমবার চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে গত ১৬ নভেম্বর ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেন জো বাইডেন। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত থামাতে নীতিগত সীমারেখা তৈরির প্রস্তাব দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আর বেইজিং থেকে বাইডেনকে ‘পুরোনো বন্ধু’ বলে উষ্ণ সম্বোধন করেন চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং।
তবে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বন্ধুত্বের বদলে বিরোধের আবহই এখন পর্যন্ত প্রাধান্য বিস্তার করে আছে। সর্বশেষ মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর অবৈধ নজরদারির অভিযোগে দেশটির একটি জৈবপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই চীনা প্রতিষ্ঠানের ওপর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে মার্কিন বাণিজ্য বিভাগ।
এর আগে ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগের অফিস অব ফরেন অ্যাসেট কন্ট্রোল (ওএফএসি) সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দপ্তরের সঙ্গে মিলে বিভিন্ন দেশের ১৫ ব্যক্তি ও ১০ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এর মধ্যে চীনের স্টার্ট-আপ সেন্সটাইম গ্রুপের নামও ছিল।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, নতুন করে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক আরও খারাপ করে তুলবে।
ক্ষমতা নেওয়ার পর চলতি বছরের ১৭ জুন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মার্কিন কূটনীতিকদের বরাতে জানা যায়, সেখানে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ, সাইবার হামলা, রাশিয়ার জেলবন্দী বিরোধী নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনির মুক্তির বিষয়ের পাশাপাশি রাশিয়ায় ‘বন্দী’ আমেরিকানদের বিষয়েও কথা তোলেন। দেড় ঘণ্টার ওই বৈঠকের পর পুতিন বলেন, সেই বৈঠক ছিল পুরোপুরি গঠনমূলক। সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনায় সম্মত হয়েছে দুই দেশই। তবে এ নিয়ে কোনো দেশই আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করেনি।
চীনের মতোই রাশিয়ার সঙ্গে ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নিয়ত উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে আবারও উত্তেজনা দেখা দেয়। এবারের ইস্যুটি হলো ইউক্রেন। এ নিয়ে ৮ ডিসেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এক বৈঠক হয়। বৈঠকে পুতিনকে কড়া হুঁশিয়ারি দেন বাইডেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, ইউক্রেনে রুশ অভিযানের আশঙ্কার প্রেক্ষাপটে ‘কড়া অর্থনৈতিক ও অন্যান্য ব্যবস্থা’ নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
ইউক্রেন সীমান্তের কাছে ৯০ হাজারেরও বেশি রুশ সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আশঙ্কা আছে, আগামী বছরের শুরুতেই ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। তবে রাশিয়ার পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
শেষটা করা যাক ট্রাম্পকে দিয়ে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এরই মধ্যে জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি আবার অংশ নেবেন। এদিকে ফেসবুক-টুইটার থেকে নিষিদ্ধ হওয়ার পর গত অক্টোবরে ট্রুথ সোশ্যাল নামে এবার নতুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চালুর ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প।
নতুন প্ল্যাটফর্মটি ‘বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর নিপীড়নের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে’ বলে মন্তব্য করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর অভিযোগ, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো যুক্তরাষ্ট্রে বিরোধী মতকে ‘চুপ করিয়ে দিচ্ছে’।
প্রেসিডেন্ট আমলে সংগতি ও অসংগতিপূর্ণ নানা ধরনের কাজ করে সমালোচিত ট্রাম্প চলতি বছর প্রেসিডেন্ট না হয়েও এগুলো বলে মার্কিন গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন। ট্রাম্পের জন্য আরেকটি খারাপ খবর হলো—এবার ফোর্বস সাময়িকীর ৪০০ মার্কিন ধনীর তালিকায় তিনি নেই। বলা হচ্ছে, মহামারি করোনা শুরু হওয়ার পর তাঁর সম্পদ কমেছে ৬০ কোটি মার্কিন ডলার।
সব মিলিয়ে বলা যায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে সাবেক হওয়ার পর থেকেই পাদপ্রদীপের আলো থেকে বাধ্য হয়েই সরে যেতে হয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন আসায় বিশ্ববাসী কিছুটা স্বস্তি পেলেও বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট পুরোপুরি সুবিধাজনক অবস্থানে নেই। কারণ, সেই চীন-রাশিয়া। নতুন বছরে পুতিন-সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বাইডেনের সম্পর্ক কেমন থাকে, তা-ই এখন দেখার।
তথ্যসূত্র: বিবিসি, রয়টার্স, ফোর্বস, এএফপি ও সিএনএন
গত বছরের শেষদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মসনদে পরিবর্তনের হাওয়া বয়। মার্কিন নির্বাচনে নানা নাটকীয়তার পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধোগতি সুনিশ্চিত হয়েছে বটে; তবে নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মনে ক্ষমতার শুরুর দিকের স্বস্তি আর নেই। বরং রাশিয়া-চীনে কিছুটা অস্বস্তিতেই আছেন তিনি।
২০২০ সালের শেষের দিকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরাজয় নিশ্চিত হওয়া যায়। মার্কিন নির্বাচনে বাইডেনের বিজয়কে নস্যাৎ এবং সে সময় মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন বানচাল করার লক্ষ্যেই গত ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে হামলা চালান ট্রাম্পের উগ্র সমর্থকেরা। নজিরবিহীন ওই সহিংসতায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় উসকানিমূলক পোস্ট দেওয়ার কারণে ট্রাম্পকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করে ফেসবুক ও টুইটার। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানায়, ট্রাম্প ২০২৩ সাল পর্যন্ত ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে পারবেন না।
এত হুলুস্থুলের পরও ক্ষমতায় নির্দিষ্ট সময়ের বেশি থাকতে পারেননি ট্রাম্প। চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি তিনি হোয়াইট হাউস ছাড়েন। যাওয়ার আগে বাইডেনের নাম উল্লেখ না করে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি তাঁকে স্বাগত জানাচ্ছি। দেশে নতুন একটি সরকার আসতে চলেছে। নিরাপদ ও সমৃদ্ধ আমেরিকা গড়ার লক্ষ্যে আমি সেই সরকারের সাফল্য কামনা করছি।’
ট্রাম্প হোয়াইট হাউস ছাড়ার পরদিন অর্থাৎ ২১ জানুয়ারি ৪৬তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন জো বাইডেন। ওই শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নেননি ট্রাম্প। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, ১৮৬৯ সালে অ্যান্ড্রু জনসনের পর থেকে এই প্রথম কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাঁর উত্তরসূরির অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগদান থেকে বিরত থাকেন।
তবে উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। অন্যদের মধ্যে ছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, জর্জ ডব্লিউ বুশ ও বিল ক্লিনটন এবং সাবেক ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা, লরা বুশ ও হিলারি ক্লিনটন।
প্রথা অনুযায়ী প্রথমে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন কমলা হ্যারিস। যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী, প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান ও প্রথম দক্ষিণ এশীয় হিসেবে এই পদে অধিষ্ঠিত হন কমলা। এরপর শপথ গ্রহণ করেন জো বাইডেন। শপথের পর তুমুল করতালি ও হর্ষধ্বনিতে অভিনন্দন জানানো হয় এ দুজনকে।
শপথ নেওয়ার পর প্রথম দিনেই ট্রাম্পের বিতর্কিত ১৫ পদক্ষেপ ও আদেশ বাতিল করেন জো বাইডেন। এদিন তিনি ১৫টি নির্বাহী আদেশ ও দুটি দাপ্তরিক নথিতে সই করেন।
বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে বাইডেন বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, ট্রাম্পের নীতি পাল্টে দিতে তিনি দেরি করতে রাজি নন। ক্ষমতায় আসার এক মাস না পেরোতেই গত ২০ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রকে প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ফেরান বাইডেন। এই চুক্তি থেকে বের হয়ে গিয়েছিলেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক-সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে সই করেন বাইডেন। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাধ্যতামূলক মাস্ক পরার বিরোধী ছিলেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করার যে প্রক্রিয়া ট্রাম্প শুরু করেছিলেন, তা-ও থামিয়ে দেন বাইডেন।
বাইডেন আমলে চলতি বছরের অন্যতম একটি বড় ঘটনা ছিল আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার। গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রসহ তার সব মিত্রদেশ সেনা প্রত্যাহার করে নেয়। শেষ হয় ২০ বছরের যুদ্ধ। এর মধ্যেই ত্বরিতগতিতে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালেবান। আফগানিস্তান ছাড়ার আগে রাজধানী কাবুলে বোমা হামলায় ১৩ জন মার্কিন সেনা নিহত হয়। এসব ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধী রিপাবলিকান পার্টির নেতাদের তোপের মুখে পড়েছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের কেউ কেউ তো বাইডেনের পদত্যাগও দাবি করে বসেন তখন।
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহারের বিষয়ে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে চুক্তি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন ট্রাম্প। সেনা প্রত্যাহারের সমালোচনার জবাবে বাইডেন বলেছিলেন, ট্রাম্পের করা চুক্তি বাস্তবায়ন করতে গিয়েই তাঁকে ৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
এদিকে ইরাক থেকেও সেনা প্রত্যাহার করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ইরাক থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে দেশটি। এমনটি হলে সেখানেও ১৯ বছরের মার্কিন সেনা উপস্থিতির অবসান ঘটবে।
তবে বাইডেন ট্রাম্পের অনেক নীতির বিরোধিতা করলেও চীন ও রাশিয়া নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব আগের মতোই আছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের আমলে গত মার্চে প্রথম যুক্তরাষ্ট্র ও পরে চীনের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা শুরু হয়। সেখানে দুই পক্ষই পরস্পরকে তীব্র ভাষায় তিরস্কার করে।
আলাস্কার অ্যাংকোরেজ শহরে এই আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেইক সুলিভান। চীনের পক্ষে আলোচনায় যোগ দেন দেশটির পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক সবচেয়ে সিনিয়র কর্মকর্তা ইয়াং জিয়েচি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই।
আলোচনার শুরুতেই উদ্বোধনী বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিস্টার ব্লিনকেন একদম সোজাসাপ্টা ভাষায় বলেন, ‘চীনের বিভিন্ন পদক্ষেপের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র তার গভীর উদ্বেগ এই আলোচনায় আনবে, বিশেষ করে শিনজিয়াং, হংকং, তাইওয়ান, যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার হামলা এবং মার্কিন মিত্রদের ওপর অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগের বিষয়গুলো।’
আর এর জবাবে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই অভিযোগ করেন এই বলে যে, ওয়াশিংটন তার সামরিক পরাক্রম এবং অর্থনৈতিক শক্তিকে কাজে লাগাচ্ছে অন্য দেশকে দমিয়ে রাখতে। এত দিন বাণিজ্য ও উইঘুরদের মানবাধিকার ইস্যুতে বিরোধ থাকলেও এ বছর তাইওয়ান এবং দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন কর্মকাণ্ড নিয়ে বেইজিং ও ওয়াশিংটনের বিরোধ আরও তীব্র হয়। এহেন পরিস্থিতিতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক কিছুটা স্বাভাবিক করার উদ্দেশ্যে সোমবার চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে গত ১৬ নভেম্বর ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেন জো বাইডেন। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত থামাতে নীতিগত সীমারেখা তৈরির প্রস্তাব দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আর বেইজিং থেকে বাইডেনকে ‘পুরোনো বন্ধু’ বলে উষ্ণ সম্বোধন করেন চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং।
তবে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বন্ধুত্বের বদলে বিরোধের আবহই এখন পর্যন্ত প্রাধান্য বিস্তার করে আছে। সর্বশেষ মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর অবৈধ নজরদারির অভিযোগে দেশটির একটি জৈবপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই চীনা প্রতিষ্ঠানের ওপর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে মার্কিন বাণিজ্য বিভাগ।
এর আগে ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগের অফিস অব ফরেন অ্যাসেট কন্ট্রোল (ওএফএসি) সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দপ্তরের সঙ্গে মিলে বিভিন্ন দেশের ১৫ ব্যক্তি ও ১০ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এর মধ্যে চীনের স্টার্ট-আপ সেন্সটাইম গ্রুপের নামও ছিল।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, নতুন করে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক আরও খারাপ করে তুলবে।
ক্ষমতা নেওয়ার পর চলতি বছরের ১৭ জুন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মার্কিন কূটনীতিকদের বরাতে জানা যায়, সেখানে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ, সাইবার হামলা, রাশিয়ার জেলবন্দী বিরোধী নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনির মুক্তির বিষয়ের পাশাপাশি রাশিয়ায় ‘বন্দী’ আমেরিকানদের বিষয়েও কথা তোলেন। দেড় ঘণ্টার ওই বৈঠকের পর পুতিন বলেন, সেই বৈঠক ছিল পুরোপুরি গঠনমূলক। সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনায় সম্মত হয়েছে দুই দেশই। তবে এ নিয়ে কোনো দেশই আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করেনি।
চীনের মতোই রাশিয়ার সঙ্গে ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নিয়ত উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে আবারও উত্তেজনা দেখা দেয়। এবারের ইস্যুটি হলো ইউক্রেন। এ নিয়ে ৮ ডিসেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এক বৈঠক হয়। বৈঠকে পুতিনকে কড়া হুঁশিয়ারি দেন বাইডেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, ইউক্রেনে রুশ অভিযানের আশঙ্কার প্রেক্ষাপটে ‘কড়া অর্থনৈতিক ও অন্যান্য ব্যবস্থা’ নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
ইউক্রেন সীমান্তের কাছে ৯০ হাজারেরও বেশি রুশ সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আশঙ্কা আছে, আগামী বছরের শুরুতেই ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। তবে রাশিয়ার পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
শেষটা করা যাক ট্রাম্পকে দিয়ে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এরই মধ্যে জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি আবার অংশ নেবেন। এদিকে ফেসবুক-টুইটার থেকে নিষিদ্ধ হওয়ার পর গত অক্টোবরে ট্রুথ সোশ্যাল নামে এবার নতুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চালুর ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প।
নতুন প্ল্যাটফর্মটি ‘বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর নিপীড়নের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে’ বলে মন্তব্য করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর অভিযোগ, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো যুক্তরাষ্ট্রে বিরোধী মতকে ‘চুপ করিয়ে দিচ্ছে’।
প্রেসিডেন্ট আমলে সংগতি ও অসংগতিপূর্ণ নানা ধরনের কাজ করে সমালোচিত ট্রাম্প চলতি বছর প্রেসিডেন্ট না হয়েও এগুলো বলে মার্কিন গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন। ট্রাম্পের জন্য আরেকটি খারাপ খবর হলো—এবার ফোর্বস সাময়িকীর ৪০০ মার্কিন ধনীর তালিকায় তিনি নেই। বলা হচ্ছে, মহামারি করোনা শুরু হওয়ার পর তাঁর সম্পদ কমেছে ৬০ কোটি মার্কিন ডলার।
সব মিলিয়ে বলা যায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে সাবেক হওয়ার পর থেকেই পাদপ্রদীপের আলো থেকে বাধ্য হয়েই সরে যেতে হয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন আসায় বিশ্ববাসী কিছুটা স্বস্তি পেলেও বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট পুরোপুরি সুবিধাজনক অবস্থানে নেই। কারণ, সেই চীন-রাশিয়া। নতুন বছরে পুতিন-সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বাইডেনের সম্পর্ক কেমন থাকে, তা-ই এখন দেখার।
তথ্যসূত্র: বিবিসি, রয়টার্স, ফোর্বস, এএফপি ও সিএনএন
অপ্রাপ্তবয়স্ক নারী হলেও সম্মতির ভিত্তিতে তাঁর সঙ্গে যৌনসঙ্গম ধর্ষণ হিসেবে গণ্য হবে বলে রায় দিয়েছে মুম্বাই হাইকোর্ট। আইন অনুযায়ী এ ক্ষেত্রে সম্মতিকে বৈধতার জন্য যুক্তি হিসেবে প্রদর্শন গ্রহণযোগ্য হবে না।
২১ মিনিট আগেএখন থেকে মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা শরিফ জিয়ারতের জন্য আগাম অনুমতি নিতে হবে। অতিরিক্ত ভিড় থেকে মসজিদের কার্যক্রম বিঘ্ন হওয়া ঠেকাতে এবং ঐতিহাসিক স্থাপত্য সংরক্ষণের এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেকোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব এবং সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা এই পতনের প্রধান কারণ। জাতীয় দারিদ্র্য হ্রাস ত্বরান্বিতকরণ টিমের নীতি বিশেষজ্ঞ এগা কুরনিয়া ইয়াজিদ বলেন, ‘বিভিন্ন আন্তঃসংযুক্ত কারণ মধ্যবিত্ত শ্রেণির সংকোচনের জন্য দায়ী। মধ্যবিত্তরা মূলত কর রাজস্বে বড় অবদান রাখে। কিন্তু তারা খুবই সীমিত
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন প্রায় ৯০ জন ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা। অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনবিরোধী সহিংসতার অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার এক চিঠিতে তাঁরা এ আহ্বান জানান। বার্তা
৩ ঘণ্টা আগে