অনলাইন ডেস্ক
গাজায় ইসরায়েলি সহিংসতার প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে গতকাল বুধবার ক্যাপিটল হিলে প্রবেশ করে বিক্ষোভ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইহুদি সম্প্রদায়ের মানুষেরা। তাঁরা এক যোগে ক্যাপিটল ভেতরে ঢুকে মার্কিন পার্লামেন্টের একটি ভবনের দখল নিয়ে নেন। এ সময় আইন প্রণেতা এবং বাইডেন প্রশাসনকে গাজায় যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ নেওয়ার জোরালো আহ্বান জানান তাঁরা।
বিক্ষোভকারীদের পরিহিত কালো টি–শার্টে লেখা—‘ইহুদিরা বলছে যুদ্ধবিরতি চাই’ এবং ‘আমাদের দোহাই দিয়ো না’। বিক্ষোভকারীরা একটি ভবনের মেঝেতে বসে হাততালি ও গান গেয়ে প্রতিবাদ জানান। তাঁদের হাতে একটি বড় ব্যানার লেখা ছিল, ‘যুদ্ধবিরতি’ এবং ‘গাজাকে বাঁচতে দাও’।
মার্কিন ক্যাপিটল পুলিশ এক্স হ্যান্ডলে বলেছে, ‘আমরা বিক্ষোভকারীদের বিক্ষোভ বন্ধ করার জন্য সতর্ক করেছিলাম। এরপরও তাঁরা তা মেনে না নিলে তাঁদের গ্রেপ্তার করতে শুরু করি।’
ক্যাপিটল পুলিশ জানিয়েছে, ভবনের ভেতরে বিক্ষোভের অনুমতি নেই। তবে বিক্ষোভকারীরা সিবিএস নিউজকে বলেছেন, ভিজিটর সিকিউরিটি চেকপয়েন্টের মাধ্যমে আইনত এবং সঠিকভাবেই তাঁরা ভবনে প্রবেশ করেছিলেন। তাঁদের সেখানে জমায়েত হওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিক্ষোভ শুরু করার পরে পুলিশ সতর্ক করতে থাকে। না শোনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ প্রাথমিক তথ্য বলছে, প্রায় ৩০০ বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। তবে বেশ কিছুক্ষণ ধরে আটকের প্রক্রিয়া চলতে থাকায় এ সংখ্যা আরও বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্যাপিটল পুলিশ জানিয়েছে, তিনজনের বিরুদ্ধে পুলিশ কর্মকর্তাদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
জায়নিজম বা ইহুদি জাতিবাদী ধারণার বিরোধী সংগঠন ‘ইহুদি ভয়েস ফর পিস’ এই বিক্ষোভের আয়োজন করে। এই সংগঠনের এক্স হ্যান্ডলে বলা হয়েছে, যখন ৫০০ ইহুদি, রাব্বি (ইহুদি ধর্মগুরু) এবং হলোকাস্ট সারভাইভারদের উত্তরসূরি ‘গাজাকে বাঁচতে দাও’ বলে স্লোগান দিচ্ছিল এবং তাদের আটক করা হয়, তখন বাইরে ১০ হাজার মানুষ তাঁদের পক্ষে গান গাইছিল। যুদ্ধবিরতির দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামব না।
সংগঠনটি তাদের এক্স হ্যান্ডলে আরও বলেছে, ৭৫ বছর ধরে ইসরায়েল সরকার ফিলিস্তিনিদের ভূমি দখল করে আছে এবং ফিলিস্তিনি সম্প্রদায়ের মানুষকে নির্মূলের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আর এখন যুক্তরাষ্ট্রে পূর্ণ সমর্থনে গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে। আর এখানে আমরা ইহুদি তাদের এই অপকর্মের সহযোগী হতে অস্বীকৃতি জানিয়ে যাচ্ছি এবং আমরা কখনো তোমাদের সহযোগী হব না।
গতকাল ক্যাপিটল হিলের ভেতরে প্রবেশের আগে শত শত মানুষ ক্যাপিটলের কাছে ন্যাশনাল মলে জড়ো হয়ে বাইডেন প্রশাসনকে যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানায়।
বিক্ষোভ অংশ নেওয়া একাধিক ব্যক্তি সিবিএস নিউজকে বলেন, বাইডেন প্রশাসন এই মুহূর্তে ইসরায়েলকে চাপ দেওয়ার রাখে। নিরপরাধ মানুষদের প্রাণ বাঁচাতে এটি করতে হবে। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে হবে। বাইডেন প্রশাসনকে চোখ খুলে তাকানোর অনুরোধ করেন তাঁরা। একজন বলেন, ‘গাজায় কী ঘটছে দেখুন। গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ দেখুন। আমি এই মুহূর্তে যুদ্ধবিরতির দাবি জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে বিপুলসংখ্যক ইহুদি ধর্মাবলম্বী বসবাস করেন। তাঁদের মধ্যে নানা ধর্মীয় গোষ্ঠী আছে। সেখানকার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ইহুদি ইসরায়েল রাষ্ট্রের বিরোধিতা করেন।
গাজায় ইসরায়েলি সহিংসতার প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে গতকাল বুধবার ক্যাপিটল হিলে প্রবেশ করে বিক্ষোভ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইহুদি সম্প্রদায়ের মানুষেরা। তাঁরা এক যোগে ক্যাপিটল ভেতরে ঢুকে মার্কিন পার্লামেন্টের একটি ভবনের দখল নিয়ে নেন। এ সময় আইন প্রণেতা এবং বাইডেন প্রশাসনকে গাজায় যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ নেওয়ার জোরালো আহ্বান জানান তাঁরা।
বিক্ষোভকারীদের পরিহিত কালো টি–শার্টে লেখা—‘ইহুদিরা বলছে যুদ্ধবিরতি চাই’ এবং ‘আমাদের দোহাই দিয়ো না’। বিক্ষোভকারীরা একটি ভবনের মেঝেতে বসে হাততালি ও গান গেয়ে প্রতিবাদ জানান। তাঁদের হাতে একটি বড় ব্যানার লেখা ছিল, ‘যুদ্ধবিরতি’ এবং ‘গাজাকে বাঁচতে দাও’।
মার্কিন ক্যাপিটল পুলিশ এক্স হ্যান্ডলে বলেছে, ‘আমরা বিক্ষোভকারীদের বিক্ষোভ বন্ধ করার জন্য সতর্ক করেছিলাম। এরপরও তাঁরা তা মেনে না নিলে তাঁদের গ্রেপ্তার করতে শুরু করি।’
ক্যাপিটল পুলিশ জানিয়েছে, ভবনের ভেতরে বিক্ষোভের অনুমতি নেই। তবে বিক্ষোভকারীরা সিবিএস নিউজকে বলেছেন, ভিজিটর সিকিউরিটি চেকপয়েন্টের মাধ্যমে আইনত এবং সঠিকভাবেই তাঁরা ভবনে প্রবেশ করেছিলেন। তাঁদের সেখানে জমায়েত হওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিক্ষোভ শুরু করার পরে পুলিশ সতর্ক করতে থাকে। না শোনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ প্রাথমিক তথ্য বলছে, প্রায় ৩০০ বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। তবে বেশ কিছুক্ষণ ধরে আটকের প্রক্রিয়া চলতে থাকায় এ সংখ্যা আরও বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্যাপিটল পুলিশ জানিয়েছে, তিনজনের বিরুদ্ধে পুলিশ কর্মকর্তাদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
জায়নিজম বা ইহুদি জাতিবাদী ধারণার বিরোধী সংগঠন ‘ইহুদি ভয়েস ফর পিস’ এই বিক্ষোভের আয়োজন করে। এই সংগঠনের এক্স হ্যান্ডলে বলা হয়েছে, যখন ৫০০ ইহুদি, রাব্বি (ইহুদি ধর্মগুরু) এবং হলোকাস্ট সারভাইভারদের উত্তরসূরি ‘গাজাকে বাঁচতে দাও’ বলে স্লোগান দিচ্ছিল এবং তাদের আটক করা হয়, তখন বাইরে ১০ হাজার মানুষ তাঁদের পক্ষে গান গাইছিল। যুদ্ধবিরতির দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামব না।
সংগঠনটি তাদের এক্স হ্যান্ডলে আরও বলেছে, ৭৫ বছর ধরে ইসরায়েল সরকার ফিলিস্তিনিদের ভূমি দখল করে আছে এবং ফিলিস্তিনি সম্প্রদায়ের মানুষকে নির্মূলের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আর এখন যুক্তরাষ্ট্রে পূর্ণ সমর্থনে গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে। আর এখানে আমরা ইহুদি তাদের এই অপকর্মের সহযোগী হতে অস্বীকৃতি জানিয়ে যাচ্ছি এবং আমরা কখনো তোমাদের সহযোগী হব না।
গতকাল ক্যাপিটল হিলের ভেতরে প্রবেশের আগে শত শত মানুষ ক্যাপিটলের কাছে ন্যাশনাল মলে জড়ো হয়ে বাইডেন প্রশাসনকে যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানায়।
বিক্ষোভ অংশ নেওয়া একাধিক ব্যক্তি সিবিএস নিউজকে বলেন, বাইডেন প্রশাসন এই মুহূর্তে ইসরায়েলকে চাপ দেওয়ার রাখে। নিরপরাধ মানুষদের প্রাণ বাঁচাতে এটি করতে হবে। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে হবে। বাইডেন প্রশাসনকে চোখ খুলে তাকানোর অনুরোধ করেন তাঁরা। একজন বলেন, ‘গাজায় কী ঘটছে দেখুন। গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ দেখুন। আমি এই মুহূর্তে যুদ্ধবিরতির দাবি জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে বিপুলসংখ্যক ইহুদি ধর্মাবলম্বী বসবাস করেন। তাঁদের মধ্যে নানা ধর্মীয় গোষ্ঠী আছে। সেখানকার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ইহুদি ইসরায়েল রাষ্ট্রের বিরোধিতা করেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, তিনি রবার্ট এফ. কেনেডি জুনিয়রকে স্বাস্থ্য ও মানবসেবা মন্ত্রণালয়ের (এইচএইচএস) প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেবেন। তিনি বলেছেন, সাবেক এই ডেমোক্র্যাট নেতা (কেনেডি জুনিয়র) এই পদে থেকে ‘ক্ষতিকর রাসায়নিক ও দূষণ থেকে সবার সুরক্ষা নিশ্চিত ক
১ ঘণ্টা আগেস্বাধীনতা যুদ্ধের পর এই প্রথম কোনো পাকিস্তানি মালবাহী জাহাজ বাংলাদেশের বন্দরে ভিড়েছে। গতকাল বুধবার পাকিস্তানের করাচি থেকে ছেড়ে আসা জাহাজটি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে ভেড়ে। নানা কারণেই পাকিস্তানি মালবাহী জাহাজটির বাংলাদেশের বন্দরে ভেড়ার বিষয়টিকে ঐতিহাসিক বলা হচ্ছে। আর এই ঐতিহাসিক বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্
২ ঘণ্টা আগেতুলসী গ্যাবার্ডকে মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান হিসেবে বেছে নিয়েছেন সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। তুলসী গ্যাবার্ড কে? নিয়োগ পেলে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক হওয়া প্রথম হিন্দু নারী। সাবেক এই মার্কিন সেনা একসময় রাজনীতি করেছ
১০ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এক দিন পর থেকেই আভাস পাওয়া যাচ্ছিল, এবার মার্কিন আইনসভা কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণও যাচ্ছে রিপাবলিকানদের হাতে। শেষমেশ তা-ই হলো। গত বুধবার মার্কিন গণমাধ্যমগুলো নিশ্চিত করেছে, এই হাউসের নিয়ন্ত্রণও পেল নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের
১১ ঘণ্টা আগে