অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার হুমকির মুখে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছেছে ভেনেজুয়েলার সরকার ও বিরোধী দল। কিন্তু শীর্ষ এক রাজনৈতিক নেতাসহ বিরোধী দলের কয়েকজন সদস্যের প্রার্থী হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়নি নিকোলা মাদুরোর সরকার।
আগামী বছরের দ্বিতীয়ার্ধে অনুষ্ঠিত হবে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখে দেশটিতে নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া এবং বিরোধীদের দমন-পীড়নের শঙ্কা ব্যাপারে সন্দেহ জানিয়ে ওপেক-এর সদস্য রাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার তেল বাণিজ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তবে সংকটময় অর্থনৈতিক অবস্থায় থাকা দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির সরকার ও বিরোধী দল এই নিষেধাজ্ঞা এড়াতে কিছু বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘ সহ আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরা এই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন বলে জানানো হয়েছে।
নরওয়ের মধ্যস্থতায় বার্বাডোজে গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয় ভেনেজুয়েলার সরকারি দল ও বিরোধী দলের এই বৈঠক। ১১ মাস পর দুই দলের এই বৈঠক শেষে নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেওয়ার ব্যাপারে সম্মতির কথা জানানো হয়। এ ছাড়া, অভ্যন্তরীণ নিয়ম মেনে দুই দলই নির্বাচনে তাদের প্রার্থী বেছে নিতে পারার ব্যাপারেও সম্মত হয় দুই দল। তবে বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মারিয়া করিনা মাচাদো সহ বিরোধী দলের কয়েকজন নেতাকে দেওয়া নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়া হবে না বলেও জানানো হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকলে তাদের পক্ষে নির্বাচনে প্রার্থিতা করা সম্ভব নাও হতে পারে।
ভেনেজুয়েলার কন্ট্রোলার জেনারেল কর্তৃক দেওয়া নিষেধাজ্ঞাগুলোকে বেআইনি বলে আখ্যা দিয়েছে বিরোধীরা। তারা বলেছে, বিরোধী প্রার্থীদের ব্যাপারে কোনো সরকারি বাধাকে ওয়াশিংটন সমর্থন করে না। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের মাধ্যমে বিরোধী প্রার্থীদের তাদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে বৈঠকে আশা প্রকাশ করেন বিরোধী প্রতিনিধিদলের প্রধান জেরার্ডো ব্লাইড।
কিন্তু চুক্তি স্বাক্ষরের পর সংবাদ সম্মেলনে সরকারি প্রতিনিধিদলের প্রধান হোর্হে রদ্রিগেজ বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করতে চাই যে, কারও ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলে তিনি প্রার্থী হতে পারবেন না।’
জো বাইডেনের প্রশাসন বলেছিল যে, নিকোলাস মাদুরো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় কিছু ছাড় দিলে ভেনেজুয়েলার ওপর থেকে দীর্ঘস্থায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা তুলে নেওয়া হবে। বার্বাডোজে অনুষ্ঠিত বৈঠকে হওয়া চুক্তিগুলো হোয়াইট হাউস খতিয়ে দেখছে। নিষেধাজ্ঞা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কিনা, তা এখনো পরিষ্কার হয়নি।
একটি যৌথ বিবৃতিতে ভেনেজুয়েলার পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ব্রিটেন এবং কানাডা। তারা বলেছে, ‘আমরা আজ বার্বাডোজে ভেনেজুয়েলার নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক চুক্তিকে স্বাগত জানাই।’ এই বিবৃতিতে রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি, নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকারের মতো যে বিষয়গুলো চুক্তিতে ছিল না সেগুলোও অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের সূত্রগুলো বলেছে যে, মাদুরো তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে ব্যর্থ হলে মার্কিন নীতিতেও আসতে পারে পরিবর্তন। আর, ভেনেজুয়েলার বিপর্যস্ত অর্থনীতির জন্য তেলের আয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ভেনেজুয়েলা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কাতারে নিজেদের মধ্যে একটি আলোচনায় বসবে বলে গত সপ্তাহে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল। মাদুরো যদি বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন তবে অন্তত একটি বিদেশি তেল কোম্পানিকে ভেনেজুয়েলার অপরিশোধিত তেল কেনার অনুমতি দেওয়া হতো বলে তখন আলোচনা হয় দুই পক্ষের। এতে করে ভেনেজুয়েলা তার ঋণ পরিশোধ করার ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও সমর্থ হবে বলে দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি সেই আলোচনাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার হুমকির মুখে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছেছে ভেনেজুয়েলার সরকার ও বিরোধী দল। কিন্তু শীর্ষ এক রাজনৈতিক নেতাসহ বিরোধী দলের কয়েকজন সদস্যের প্রার্থী হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়নি নিকোলা মাদুরোর সরকার।
আগামী বছরের দ্বিতীয়ার্ধে অনুষ্ঠিত হবে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখে দেশটিতে নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া এবং বিরোধীদের দমন-পীড়নের শঙ্কা ব্যাপারে সন্দেহ জানিয়ে ওপেক-এর সদস্য রাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার তেল বাণিজ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তবে সংকটময় অর্থনৈতিক অবস্থায় থাকা দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির সরকার ও বিরোধী দল এই নিষেধাজ্ঞা এড়াতে কিছু বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘ সহ আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরা এই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন বলে জানানো হয়েছে।
নরওয়ের মধ্যস্থতায় বার্বাডোজে গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয় ভেনেজুয়েলার সরকারি দল ও বিরোধী দলের এই বৈঠক। ১১ মাস পর দুই দলের এই বৈঠক শেষে নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেওয়ার ব্যাপারে সম্মতির কথা জানানো হয়। এ ছাড়া, অভ্যন্তরীণ নিয়ম মেনে দুই দলই নির্বাচনে তাদের প্রার্থী বেছে নিতে পারার ব্যাপারেও সম্মত হয় দুই দল। তবে বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মারিয়া করিনা মাচাদো সহ বিরোধী দলের কয়েকজন নেতাকে দেওয়া নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়া হবে না বলেও জানানো হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকলে তাদের পক্ষে নির্বাচনে প্রার্থিতা করা সম্ভব নাও হতে পারে।
ভেনেজুয়েলার কন্ট্রোলার জেনারেল কর্তৃক দেওয়া নিষেধাজ্ঞাগুলোকে বেআইনি বলে আখ্যা দিয়েছে বিরোধীরা। তারা বলেছে, বিরোধী প্রার্থীদের ব্যাপারে কোনো সরকারি বাধাকে ওয়াশিংটন সমর্থন করে না। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের মাধ্যমে বিরোধী প্রার্থীদের তাদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে বৈঠকে আশা প্রকাশ করেন বিরোধী প্রতিনিধিদলের প্রধান জেরার্ডো ব্লাইড।
কিন্তু চুক্তি স্বাক্ষরের পর সংবাদ সম্মেলনে সরকারি প্রতিনিধিদলের প্রধান হোর্হে রদ্রিগেজ বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করতে চাই যে, কারও ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলে তিনি প্রার্থী হতে পারবেন না।’
জো বাইডেনের প্রশাসন বলেছিল যে, নিকোলাস মাদুরো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় কিছু ছাড় দিলে ভেনেজুয়েলার ওপর থেকে দীর্ঘস্থায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা তুলে নেওয়া হবে। বার্বাডোজে অনুষ্ঠিত বৈঠকে হওয়া চুক্তিগুলো হোয়াইট হাউস খতিয়ে দেখছে। নিষেধাজ্ঞা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কিনা, তা এখনো পরিষ্কার হয়নি।
একটি যৌথ বিবৃতিতে ভেনেজুয়েলার পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ব্রিটেন এবং কানাডা। তারা বলেছে, ‘আমরা আজ বার্বাডোজে ভেনেজুয়েলার নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক চুক্তিকে স্বাগত জানাই।’ এই বিবৃতিতে রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি, নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকারের মতো যে বিষয়গুলো চুক্তিতে ছিল না সেগুলোও অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের সূত্রগুলো বলেছে যে, মাদুরো তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে ব্যর্থ হলে মার্কিন নীতিতেও আসতে পারে পরিবর্তন। আর, ভেনেজুয়েলার বিপর্যস্ত অর্থনীতির জন্য তেলের আয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ভেনেজুয়েলা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কাতারে নিজেদের মধ্যে একটি আলোচনায় বসবে বলে গত সপ্তাহে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল। মাদুরো যদি বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন তবে অন্তত একটি বিদেশি তেল কোম্পানিকে ভেনেজুয়েলার অপরিশোধিত তেল কেনার অনুমতি দেওয়া হতো বলে তখন আলোচনা হয় দুই পক্ষের। এতে করে ভেনেজুয়েলা তার ঋণ পরিশোধ করার ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও সমর্থ হবে বলে দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি সেই আলোচনাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, তিনি রবার্ট এফ. কেনেডি জুনিয়রকে স্বাস্থ্য ও মানবসেবা মন্ত্রণালয়ের (এইচএইচএস) প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেবেন। তিনি বলেছেন, সাবেক এই ডেমোক্র্যাট নেতা (কেনেডি জুনিয়র) এই পদে থেকে ‘ক্ষতিকর রাসায়নিক ও দূষণ থেকে সবার সুরক্ষা নিশ্চিত ক
১ ঘণ্টা আগেস্বাধীনতা যুদ্ধের পর এই প্রথম কোনো পাকিস্তানি মালবাহী জাহাজ বাংলাদেশের বন্দরে ভিড়েছে। গতকাল বুধবার পাকিস্তানের করাচি থেকে ছেড়ে আসা জাহাজটি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে ভেড়ে। নানা কারণেই পাকিস্তানি মালবাহী জাহাজটির বাংলাদেশের বন্দরে ভেড়ার বিষয়টিকে ঐতিহাসিক বলা হচ্ছে। আর এই ঐতিহাসিক বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্
১ ঘণ্টা আগেতুলসী গ্যাবার্ডকে মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান হিসেবে বেছে নিয়েছেন সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। তুলসী গ্যাবার্ড কে? নিয়োগ পেলে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক হওয়া প্রথম হিন্দু নারী। সাবেক এই মার্কিন সেনা একসময় রাজনীতি করেছ
১০ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এক দিন পর থেকেই আভাস পাওয়া যাচ্ছিল, এবার মার্কিন আইনসভা কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণও যাচ্ছে রিপাবলিকানদের হাতে। শেষমেশ তা-ই হলো। গত বুধবার মার্কিন গণমাধ্যমগুলো নিশ্চিত করেছে, এই হাউসের নিয়ন্ত্রণও পেল নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের
১০ ঘণ্টা আগে