স্ত্রীকে জীবন্ত মাটিচাপা দেওয়ার সাত বছর পর দায় স্বীকার, আমৃত্যু কারাদণ্ড 

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ মে ২০২৪, ১৭: ১৬

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে স্ত্রীকে জীবন্ত মাটিচাপা দিয়ে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার কোনো সুযোগ নেননি। 

মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে ডেভিড প্যাগনিয়ানো নিজের স্ত্রীকে বাড়ির পাশে জীবন্ত মাটিচাপা দেন। হত্যাকাণ্ডের সাত বছর পর তিনি বিচার শুরু হওয়ার আগেই নিজের দোষ স্বীকার করে আপিলের সুযোগ ছাড়াই বিচারককে শাস্তি দিতে বলেন। 

ইয়াভাপাই কাউন্টি অ্যাটর্নির অফিস অনুসারে, ৬২ বছর বয়সী প্যাগনিয়ানোকে গত ৯ মে অপহরণ এবং জালিয়াতির দায়ে আরও সাড়ে ১৬ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। 

কাউন্টি অ্যাটর্নি ডেনিস ম্যাকগ্রেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এক তরুণী মাকে অপহরণ এবং হত্যার কারণে এলাকায় ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় আমার অফিস এই মামলায় মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।’ 

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৩৯ বছর বয়সী সান্দ্রা প্যাগনিয়ানো ২০১৭ সালের মে মাসে স্বামীকে তালাক দেওয়ার প্রক্রিয়ায় ছিলেন। ঠিক ওই সময়ই তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। সান্দ্রা এবং ডেভিড সম্পর্ক ছিন্ন করলেও তাঁদের দুই তরুণী কন্যাকে নিয়ে একই বাড়িতে বসবাস করতেন। 

সান্দ্রা প্যাগনিয়ানোর মরদেহ প্রিসকটের উত্তরে একটি গ্রামীণ এলাকায় হাত-পা বাধা অবস্থায় একটি হাতে খোঁড়া কবর থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে কাউন্টি মেডিকেল পরীক্ষকের অফিস তাঁকে জীবিত কবর দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে। 

কাউন্টি শেরিফের কর্মকর্তারা বলেছেন, আলামত মোতাবেক মাটিচাপা দেওয়ার পরেও সান্দ্রা প্যাগনিয়ানো বাঁচার জন্য চেষ্টা করেছেন এবং পাঁচ মিনিট পর্যন্ত সজ্ঞান ছিলেন। 

ডেভিড প্যাগনিয়ানোর মোবাইল ফোনের লোকেশনে দেখা গেছে, তিনি স্ত্রীর নিখোঁজ হওয়ার কয়েক দিন আগে এবং অপহরণের রাতে ওই মাটিচাপা দেওয়ার স্থানে ছিলেন। 

স্যান্ড্রা প্যাগনিয়ানোর নিখোঁজ হওয়ার পরে গোয়েন্দারা বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় দায়ের করা দুটি নোট উদ্ধার করে। ওই নোটগুলোতে সান্দ্রা লিখেন, তিনি ডেভিড প্যাগনিয়ানোকে ছেড়ে চলে যাচ্ছেন এবং তাঁকে বাড়ি, গাড়ি এবং সন্তানদের হেফাজত দিচ্ছেন। 

তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নোটগুলোর ফরেনসিক পরীক্ষায় দেখা গেছে সেগুলো সান্দ্রা নয় ডেভিড প্যাগনিয়ানো লিখেছিলেন। 

স্ত্রীর মরদেহ পাওয়ার পরে একটি বিচারকমণ্ডলী তাঁকে হত্যায় জড়িত বলে অভিযুক্ত করেছিলেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরাসরি সমুদ্রপথে বাণিজ্য সম্পর্কের ঐতিহাসিক যুগে বাংলাদেশ–পাকিস্তান, শঙ্কায় ভারত

হাসিনা ক্ষমতা ছাড়ার পর দেশ ‘মবের মুল্লুক’: সামিনা লুৎফা

অধিকৃত অঞ্চলে প্রাকৃতিক সম্পদের সার্বভৌম মালিকানা ফিলিস্তিনিদের, জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস

গাজীপুরে বেতন পেলেন ৫ কারখানার সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক, কাজে যোগ দেবে কাল

বিসিএস নিয়োগ: নিজেই রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার তথ্য দিয়ে ফেঁসে যাচ্ছেন অনেকে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত