অনলাইন ডেস্ক
ক্ষমতায় টিকে থাকতে শেষ মুহূর্তে মার্শাল ল জারি করতে চেয়েছিলেন পাকিস্তানের সদ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এমনকি সেনা প্রধান কামার জাভেদ বাজওয়াকেও বরখাস্ত করতে চেয়েছিলেন। একটি গোপন নথির ভিত্তিতে এমন দাবি করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিরোধীদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার পরিবর্তে মার্শাল ল জারি করার হুমকি দিয়েছিলেন ইমরান খান। পাকিস্তানের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা গার্ডিয়ানকে জানিয়েছে, অনাস্থা ভোটের দিন বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিলেন ইমরান খান। কিন্তু ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার কোনো চেষ্টাই শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি।
প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে তিনি ভোট বন্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন। তারপর জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছিলেন। এ ছাড়া তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য ‘বিদেশি ষড়যন্ত্র’ হয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন।
কিন্তু তাঁর সকল প্রচেষ্টাই সুপ্রিম কোর্টের কাছে ব্যর্থ হয়ে যায়। পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত ইমরান খানের সংসদ ভেঙে দেওয়ার পদক্ষেপকে সংবিধান লঙ্ঘন বলে আখ্যা দেন এবং অনাস্থা ভোট আয়োজন করার আদেশ দেন। গত শনিবার আদালতের আদেশ মেনে সারা দিন নানা নাটকীয়তার পর মধ্যরাতে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরু হয় এবং ১৭৪-০ ভোটে ইমরানের বিরুদ্ধে আনীত অনাস্থা প্রস্তাব পাস হয়। ফলে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান ইমরান খান।
এর আগে, শুক্রবার ইমরানের দলের একজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী বিরোধী দলের একজন নেতাকে হুমকি দিয়ে বার্তা পাঠান, যেখানে লেখা ছিল—‘মার্শাল ল চান? নাকি নির্বাচন? পছন্দ আপনার।’
এমন হুমকির পর বিরোধী নেতারা মনে করেছিলেন, ইমরানের নির্বাচনের দাবি তাদের মেনে নেওয়া উচিত। তা না হলে ইমরান সামরিক শক্তির হাতে ক্ষমতা তুলে দেবেন। কারণ পাকিস্তানের ইতিহাসে এমনটি বারবার ঘটেছে। পরে অবশ্য তাঁরা ইমরানের হুমকি উপেক্ষা করেন। কারণ হিসেবে একজন বিরোধী দলীয় নেতা গার্ডিয়ানকে বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি এবং ইমরান খানও বিশ্বাস করেন যে সেনাবাহিনীর কাছে ক্ষমতা তুলে দেওয়া উচিত নয়।’
এদিকে একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা (গার্ডিয়ান যার নাম প্রকাশ করেনি) বলেছেন, ‘অনাস্থা ভোটের দিন ইমরানের দল প্রায় ১৪ ঘণ্টা নানাভাবে বিলম্ব করেছিল। কারণ ইমরান খান তখন সেনা প্রধান কামার জাভেদ বাজওয়াকে বরখাস্ত করার চেষ্টা করছিলেন, যাতে সেনাবাহিনী ক্ষমতা নিয়ে নেয় এবং মার্শাল ল জারি করে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘সেনা প্রধানকে বরখাস্ত করার তথ্য সেনাবাহিনী আগেই পেয়েছিল। সে জন্য ইমরানের পরিকল্পনাটি ব্যর্থ হয়ে যায়। ক্ষমতায় থাকার জন্য ইমরান বড় ধরনের সংকট তৈরি করতে চেয়েছিলেন।’
গত শনিবার তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী এবং ইমরানের দলের একজন প্রভাবশালী নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী বলেছিলেন, ‘দেশে যদি সামরিক আইন জারি হয়, তার জন্য বিরোধী দলগুলোই দায়ী থাকবে।’ এ থেকে বোঝা যায় ইমরানের ক্ষমতাসীন সরকার সম্ভবত সামরিক হস্তক্ষেপের মঞ্চ তৈরি করছিল।
এমনকি বিরোধী দলীয় নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিও অভিযোগ করে বলেছিলেন, ‘ইমরান খান চান সেনাবাহিনী এসে ক্ষমতা গ্রহণ করুক।’
হাইকোর্টের একজন আইনজীবী আদনান ইকবাল বলেছিলেন, ‘রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য সেনাপ্রধানকে অপসারণ করার চেষ্টা করছেন ইমরান খান।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে গার্ডিয়ান লিখেছে, শনিবার রাতে ইমরান খান ও সামরিক বাহিনীর মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছিল। সেই রাতে ইমরান খান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। পাকিস্তানের স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, সেনা প্রধান ইমরান খানকে ভাগ্য মেনে নিতে এবং ভোটে হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে বলেছিলেন।
অবশেষে স্পিকার নাটকীয়ভাবে পদত্যাগ করার পরে এবং মধ্যরাতের সময়সীমার মাত্র কয়েক মিনিট আগে জাতীয় পরিষদে ভোট হয়। ইমরান খান ভোটে হেরে যান। ইমরান খানই পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে অপসারিত হলেন।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী অবশ্য রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের কথা অস্বীকার করেছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এসব ‘ভিত্তিহীন গুজব’। সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘জনগণকে বিভ্রান্ত করতে এবং দেশে অরাজকতা সৃষ্টির জন্য এসব বানোয়াট গল্প ছড়ানো হচ্ছে। এই ধরনের সমস্ত অপচেষ্টা পাকিস্তানের জনগণ পরাজিত করবে। পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানে শান্তির নিশ্চয়তাদাতা। শত্রুরা অকারণে সশস্ত্র বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে।’
পাকিস্তান সম্পর্কিত পড়ুন:
ক্ষমতায় টিকে থাকতে শেষ মুহূর্তে মার্শাল ল জারি করতে চেয়েছিলেন পাকিস্তানের সদ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এমনকি সেনা প্রধান কামার জাভেদ বাজওয়াকেও বরখাস্ত করতে চেয়েছিলেন। একটি গোপন নথির ভিত্তিতে এমন দাবি করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিরোধীদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার পরিবর্তে মার্শাল ল জারি করার হুমকি দিয়েছিলেন ইমরান খান। পাকিস্তানের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা গার্ডিয়ানকে জানিয়েছে, অনাস্থা ভোটের দিন বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিলেন ইমরান খান। কিন্তু ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার কোনো চেষ্টাই শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি।
প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে তিনি ভোট বন্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন। তারপর জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছিলেন। এ ছাড়া তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য ‘বিদেশি ষড়যন্ত্র’ হয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন।
কিন্তু তাঁর সকল প্রচেষ্টাই সুপ্রিম কোর্টের কাছে ব্যর্থ হয়ে যায়। পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত ইমরান খানের সংসদ ভেঙে দেওয়ার পদক্ষেপকে সংবিধান লঙ্ঘন বলে আখ্যা দেন এবং অনাস্থা ভোট আয়োজন করার আদেশ দেন। গত শনিবার আদালতের আদেশ মেনে সারা দিন নানা নাটকীয়তার পর মধ্যরাতে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরু হয় এবং ১৭৪-০ ভোটে ইমরানের বিরুদ্ধে আনীত অনাস্থা প্রস্তাব পাস হয়। ফলে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান ইমরান খান।
এর আগে, শুক্রবার ইমরানের দলের একজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী বিরোধী দলের একজন নেতাকে হুমকি দিয়ে বার্তা পাঠান, যেখানে লেখা ছিল—‘মার্শাল ল চান? নাকি নির্বাচন? পছন্দ আপনার।’
এমন হুমকির পর বিরোধী নেতারা মনে করেছিলেন, ইমরানের নির্বাচনের দাবি তাদের মেনে নেওয়া উচিত। তা না হলে ইমরান সামরিক শক্তির হাতে ক্ষমতা তুলে দেবেন। কারণ পাকিস্তানের ইতিহাসে এমনটি বারবার ঘটেছে। পরে অবশ্য তাঁরা ইমরানের হুমকি উপেক্ষা করেন। কারণ হিসেবে একজন বিরোধী দলীয় নেতা গার্ডিয়ানকে বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি এবং ইমরান খানও বিশ্বাস করেন যে সেনাবাহিনীর কাছে ক্ষমতা তুলে দেওয়া উচিত নয়।’
এদিকে একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা (গার্ডিয়ান যার নাম প্রকাশ করেনি) বলেছেন, ‘অনাস্থা ভোটের দিন ইমরানের দল প্রায় ১৪ ঘণ্টা নানাভাবে বিলম্ব করেছিল। কারণ ইমরান খান তখন সেনা প্রধান কামার জাভেদ বাজওয়াকে বরখাস্ত করার চেষ্টা করছিলেন, যাতে সেনাবাহিনী ক্ষমতা নিয়ে নেয় এবং মার্শাল ল জারি করে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘সেনা প্রধানকে বরখাস্ত করার তথ্য সেনাবাহিনী আগেই পেয়েছিল। সে জন্য ইমরানের পরিকল্পনাটি ব্যর্থ হয়ে যায়। ক্ষমতায় থাকার জন্য ইমরান বড় ধরনের সংকট তৈরি করতে চেয়েছিলেন।’
গত শনিবার তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী এবং ইমরানের দলের একজন প্রভাবশালী নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী বলেছিলেন, ‘দেশে যদি সামরিক আইন জারি হয়, তার জন্য বিরোধী দলগুলোই দায়ী থাকবে।’ এ থেকে বোঝা যায় ইমরানের ক্ষমতাসীন সরকার সম্ভবত সামরিক হস্তক্ষেপের মঞ্চ তৈরি করছিল।
এমনকি বিরোধী দলীয় নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিও অভিযোগ করে বলেছিলেন, ‘ইমরান খান চান সেনাবাহিনী এসে ক্ষমতা গ্রহণ করুক।’
হাইকোর্টের একজন আইনজীবী আদনান ইকবাল বলেছিলেন, ‘রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য সেনাপ্রধানকে অপসারণ করার চেষ্টা করছেন ইমরান খান।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে গার্ডিয়ান লিখেছে, শনিবার রাতে ইমরান খান ও সামরিক বাহিনীর মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছিল। সেই রাতে ইমরান খান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। পাকিস্তানের স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, সেনা প্রধান ইমরান খানকে ভাগ্য মেনে নিতে এবং ভোটে হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে বলেছিলেন।
অবশেষে স্পিকার নাটকীয়ভাবে পদত্যাগ করার পরে এবং মধ্যরাতের সময়সীমার মাত্র কয়েক মিনিট আগে জাতীয় পরিষদে ভোট হয়। ইমরান খান ভোটে হেরে যান। ইমরান খানই পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে অপসারিত হলেন।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী অবশ্য রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের কথা অস্বীকার করেছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এসব ‘ভিত্তিহীন গুজব’। সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘জনগণকে বিভ্রান্ত করতে এবং দেশে অরাজকতা সৃষ্টির জন্য এসব বানোয়াট গল্প ছড়ানো হচ্ছে। এই ধরনের সমস্ত অপচেষ্টা পাকিস্তানের জনগণ পরাজিত করবে। পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানে শান্তির নিশ্চয়তাদাতা। শত্রুরা অকারণে সশস্ত্র বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে।’
পাকিস্তান সম্পর্কিত পড়ুন:
ওই প্রবাসীকে পাবলিক প্রসিকিউশনের কাছে পাঠিয়েছে কুয়েতি পুলিশ। ওই ব্যক্তির দাবি, ১৯৮৮ সালে এক কুয়েতি নারীর কাছ থেকে অর্থের বিনিময়ে তিনি নাগরিকত্ব নেন। তিনি নিজেকে কুড়িয়ে পাওয়া শিশু দাবি করেন এবং ওই নারী তাঁকে দত্তক নিতে চেয়েছিলেন বলে জানান। তিনি আরও জানান, ওই নারী এখন বেঁচে নেই।
২ ঘণ্টা আগেশনিবার রাত ১০টা নাগাদ অন্তত ১০-১২ জন প্রথম বর্ষের ছাত্রকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। দুই থেকে তিন ঘণ্টা ধরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এরপর পরিচয় দিতে বলা হয়। অনিল দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান।
৬ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধের চিত্র বদলে দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। রাশিয়া এটিকে সরাসরি পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সংঘাত হিসেবে বিবেচনা করতে পারে, যা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি।
৬ ঘণ্টা আগেসুপারশপ তো বটেই রাস্তার পাশে ফুটপাতেও আমরা চাইলেই একটি কলা কিনতে পারি। এর জন্য পকেটে অন্তত ১০ টাকা থাকা প্রয়োজন। কিন্তু সেই একই কলা, শুধু দেওয়ালের মধ্যে একটি টেপ দিয়ে আটকানো—এর দাম নাকি ১০ লাখ ডলার ছাড়িয়ে যাবে!
১৭ ঘণ্টা আগে