অনলাইন ডেস্ক
সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের আক্রমণের মুখে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর থেকেই ইসরায়েল দেশটির ভূখণ্ডে আগ্রাসন চালাচ্ছে। বাশার আল-আসাদ রাশিয়ায় পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে ইসরায়েল সিরিয়ায় অন্তত ৪৮০ বার আক্রমণ করেছে। জাতিসংঘের প্রতিবাদ সত্ত্বেও ইসরায়েল ১৯৭৪ সাল থেকে দুই দেশের মধ্যে থাকা বাফার জোনেও সামরিক আগ্রাসন চালিয়েছে।
এই প্রথম নয় যে, ইসরায়েল সিরিয়ায় আক্রমণ চালাচ্ছে। এর আগেও দেশটি একাধিকবার সিরিয়ায় হামলা চালিয়েছে। অতীতে আক্রমণের জন্য যুক্তি হিসেবে ইসরায়েলে বলেছে, তারা সিরিয়ায় ইরানের সামরিক অবস্থান ধ্বংস করছে। তবে ইরান বলেছে, তাদের কোনো সেনা বর্তমানে সিরিয়ায় নেই। এখন ইসরায়েল বলছে, তাদের লক্ষ্য সিরিয়ার সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করা।
ইসরায়েল দাবি করছে, তারা ‘সন্ত্রাসীদের’ হাতে অস্ত্র পড়ার বিষয়টি ঠেকানোর চেষ্টা করছে। ইসরায়েল চিহ্নিত এই সন্ত্রাসবাদী শক্তিগুলোর মধ্যে আছে—হায়াত তাহরির আল-শামও (এইচটিএস)। যারা আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার অভিযানে প্রধান বিরোধী গোষ্ঠী ছিল।
ইসরায়েল বলছে, তারা সিরিয়ার সামরিক সুবিধাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। এর মধ্যে—অস্ত্রাগার, গোলাবারুদ গুদাম, বিমানবন্দর, নৌঘাঁটি এবং গবেষণাও কেন্দ্র আছে। ইসরায়েল গোলান মালভূমিতে অবস্থিত দুই দেশের মাঝের বাফার জোনেও সামরিক বাহিনী মোতায়েন করেছে। এই অঞ্চলকে ১৯৭৪ সালের জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় চুক্তি অনুসারে একটি আনুষ্ঠানিকভাবে ‘নিরস্ত্রীকৃত’ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
ইসরায়েল গোলান মালভূমির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই দখল করেছে এবং জাতিসংঘ নির্ধারিত ৪০০ বর্গকিলোমিটারের বাফার জোনেও এখন ঢুকে পড়েছে। বাকি অংশটি সিরিয়ার নিয়ন্ত্রণে। সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীও গোলান হাইটস থেকে ১০ কিলোমিটার (৬ মাইল) ভেতরে কাতানা অঞ্চলে ইসরায়েলি ট্যাংকদের অগ্রসর হতে দেখেছে। তবে ইসরায়েলের সামরিক সূত্রগুলো এমন আগ্রাসনের কথা অস্বীকার করেছে।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে, বিশেষ করে বিগত তিন দিনে ইসরায়েল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কসহ আল-মায়েদিন, তারতুস ও মাসাইয়াফে আক্রমণ চালিয়েছে। পাশাপাশি লেবানন-সিরিয়া সীমান্তের কুসাইর ক্রসিং এবং দক্ষিণে খালখালাহ সামরিক বিমানবন্দরেও হামলা করেছে।
ইসরায়েল দাবি করছে, তারা নিজেদের প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সোমবার সাংবাদিকদের জানান, গোলান মালভূমির পাশের সাবেক সিরিয়া অঞ্চল—যা ১৯৭৪ সাল থেকে একটি নিরস্ত্রীকৃত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত—চিরকালই ইসরায়েলের অংশ থাকবে।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সা’আর সিরিয়ায় ইসরায়েলি হামলার পক্ষে ওকালতি করে বলেছেন, ইসরায়েলের উদ্দেশ্য ছিল সন্দেহভাজন রাসায়নিক অস্ত্র স্থাপনা এবং দূরপাল্লার রকেট স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু করা, যাতে সেগুলো ইসরায়েলের বিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হাতে পড়তে না পারে। তিনি বলেন, ‘আমরা সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিচ্ছি। এ জন্যই আমরা কৌশলগত অস্ত্র ব্যবস্থা লক্ষ্যবস্তু করেছি। যেমন—অবশিষ্ট রাসায়নিক অস্ত্র বা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং রকেট, যাতে এগুলো চরমপন্থীদের হাতে না চলে যায়।’
ইসরায়েল সিরিয়ার কাছ থেকে কী চায় তা এখনো স্পষ্ট নয়। দেশটির সরকার ‘ইসরায়েলের প্রতিরক্ষার স্বার্থে কাজ করা’ ছাড়া আর কোনো বিবৃতি দেয়নি, যা থেকে উদ্দেশ্য নির্ণয় করা যেতে পারে। তবে কিছু উল্লেখযোগ্য ইসরায়েলি ব্যক্তিত্ব দেশটির পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে তাদের মতামত প্রকাশ করেছেন।
ইসরায়েলের বিরোধীদলীয় নেতা বেনি গান্তজ সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি ইসরায়েলের জন্য ঐতিহাসিক সুযোগ।’ নীতিনির্ধারকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের উচিত সিরিয়ার দ্রুজ, কুর্দি এবং অন্যান্য গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করা।’ এ সময় তিনি ইঙ্গিত দেন যে, ইসরায়েল ওই সব গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করতে পারে যারা বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করা সশস্ত্র বিরোধী জোটের বিরুদ্ধে ছিল।
একই দিনে টাইমস অব ইসরায়েলের সাবেক ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তা কর্নেল (অব.) আনান ওয়াহাবি বলেন, ‘সিরিয়াকে একাধিক ক্যানটনে ভাগ করা যেতে পারে, যেখানে স্বাধীনভাবে কাজ করা বাইরের শক্তির সঙ্গে ইসরায়েলসহ, সহযোগিতা করতে পারবে।’
সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের আক্রমণের মুখে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর থেকেই ইসরায়েল দেশটির ভূখণ্ডে আগ্রাসন চালাচ্ছে। বাশার আল-আসাদ রাশিয়ায় পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে ইসরায়েল সিরিয়ায় অন্তত ৪৮০ বার আক্রমণ করেছে। জাতিসংঘের প্রতিবাদ সত্ত্বেও ইসরায়েল ১৯৭৪ সাল থেকে দুই দেশের মধ্যে থাকা বাফার জোনেও সামরিক আগ্রাসন চালিয়েছে।
এই প্রথম নয় যে, ইসরায়েল সিরিয়ায় আক্রমণ চালাচ্ছে। এর আগেও দেশটি একাধিকবার সিরিয়ায় হামলা চালিয়েছে। অতীতে আক্রমণের জন্য যুক্তি হিসেবে ইসরায়েলে বলেছে, তারা সিরিয়ায় ইরানের সামরিক অবস্থান ধ্বংস করছে। তবে ইরান বলেছে, তাদের কোনো সেনা বর্তমানে সিরিয়ায় নেই। এখন ইসরায়েল বলছে, তাদের লক্ষ্য সিরিয়ার সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করা।
ইসরায়েল দাবি করছে, তারা ‘সন্ত্রাসীদের’ হাতে অস্ত্র পড়ার বিষয়টি ঠেকানোর চেষ্টা করছে। ইসরায়েল চিহ্নিত এই সন্ত্রাসবাদী শক্তিগুলোর মধ্যে আছে—হায়াত তাহরির আল-শামও (এইচটিএস)। যারা আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার অভিযানে প্রধান বিরোধী গোষ্ঠী ছিল।
ইসরায়েল বলছে, তারা সিরিয়ার সামরিক সুবিধাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। এর মধ্যে—অস্ত্রাগার, গোলাবারুদ গুদাম, বিমানবন্দর, নৌঘাঁটি এবং গবেষণাও কেন্দ্র আছে। ইসরায়েল গোলান মালভূমিতে অবস্থিত দুই দেশের মাঝের বাফার জোনেও সামরিক বাহিনী মোতায়েন করেছে। এই অঞ্চলকে ১৯৭৪ সালের জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় চুক্তি অনুসারে একটি আনুষ্ঠানিকভাবে ‘নিরস্ত্রীকৃত’ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
ইসরায়েল গোলান মালভূমির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই দখল করেছে এবং জাতিসংঘ নির্ধারিত ৪০০ বর্গকিলোমিটারের বাফার জোনেও এখন ঢুকে পড়েছে। বাকি অংশটি সিরিয়ার নিয়ন্ত্রণে। সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীও গোলান হাইটস থেকে ১০ কিলোমিটার (৬ মাইল) ভেতরে কাতানা অঞ্চলে ইসরায়েলি ট্যাংকদের অগ্রসর হতে দেখেছে। তবে ইসরায়েলের সামরিক সূত্রগুলো এমন আগ্রাসনের কথা অস্বীকার করেছে।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে, বিশেষ করে বিগত তিন দিনে ইসরায়েল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কসহ আল-মায়েদিন, তারতুস ও মাসাইয়াফে আক্রমণ চালিয়েছে। পাশাপাশি লেবানন-সিরিয়া সীমান্তের কুসাইর ক্রসিং এবং দক্ষিণে খালখালাহ সামরিক বিমানবন্দরেও হামলা করেছে।
ইসরায়েল দাবি করছে, তারা নিজেদের প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সোমবার সাংবাদিকদের জানান, গোলান মালভূমির পাশের সাবেক সিরিয়া অঞ্চল—যা ১৯৭৪ সাল থেকে একটি নিরস্ত্রীকৃত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত—চিরকালই ইসরায়েলের অংশ থাকবে।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সা’আর সিরিয়ায় ইসরায়েলি হামলার পক্ষে ওকালতি করে বলেছেন, ইসরায়েলের উদ্দেশ্য ছিল সন্দেহভাজন রাসায়নিক অস্ত্র স্থাপনা এবং দূরপাল্লার রকেট স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু করা, যাতে সেগুলো ইসরায়েলের বিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হাতে পড়তে না পারে। তিনি বলেন, ‘আমরা সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিচ্ছি। এ জন্যই আমরা কৌশলগত অস্ত্র ব্যবস্থা লক্ষ্যবস্তু করেছি। যেমন—অবশিষ্ট রাসায়নিক অস্ত্র বা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং রকেট, যাতে এগুলো চরমপন্থীদের হাতে না চলে যায়।’
ইসরায়েল সিরিয়ার কাছ থেকে কী চায় তা এখনো স্পষ্ট নয়। দেশটির সরকার ‘ইসরায়েলের প্রতিরক্ষার স্বার্থে কাজ করা’ ছাড়া আর কোনো বিবৃতি দেয়নি, যা থেকে উদ্দেশ্য নির্ণয় করা যেতে পারে। তবে কিছু উল্লেখযোগ্য ইসরায়েলি ব্যক্তিত্ব দেশটির পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে তাদের মতামত প্রকাশ করেছেন।
ইসরায়েলের বিরোধীদলীয় নেতা বেনি গান্তজ সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি ইসরায়েলের জন্য ঐতিহাসিক সুযোগ।’ নীতিনির্ধারকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের উচিত সিরিয়ার দ্রুজ, কুর্দি এবং অন্যান্য গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করা।’ এ সময় তিনি ইঙ্গিত দেন যে, ইসরায়েল ওই সব গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করতে পারে যারা বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করা সশস্ত্র বিরোধী জোটের বিরুদ্ধে ছিল।
একই দিনে টাইমস অব ইসরায়েলের সাবেক ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তা কর্নেল (অব.) আনান ওয়াহাবি বলেন, ‘সিরিয়াকে একাধিক ক্যানটনে ভাগ করা যেতে পারে, যেখানে স্বাধীনভাবে কাজ করা বাইরের শক্তির সঙ্গে ইসরায়েলসহ, সহযোগিতা করতে পারবে।’
সিরিয়ার নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় দেশটিতে নিজেদের পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠক করেছেন ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার সদস্যরা। মূলত সিরিয়ায় নিজেদের প্রত্যাশিত বিভাজন নিয়ে আলোচনার জন্য এর আয়োজন করা হয়।
৮ ঘণ্টা আগেপর্নো তারকাকে ঘুষ দেওয়ার তথ্য গোপনের মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত একটি ব্যতিক্রমী দণ্ড দিয়েছেন। তাঁকে কারাদণ্ড বা জরিমানা নয়, বরং দেওয়া হয়েছে ‘শর্তহীন মুক্তি’।
৮ ঘণ্টা আগেআত্মহত্যার চেষ্টাকে অপরাধ গণ্য করার আইন বাতিল ঘোষণা করেছে কেনিয়ার আদালত। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দেশটির হাইকোর্টের বিচারক লরেন্স মুগাম্বি এই যুগান্তকারী রায় দেন। তিনি রায় ঘোষণার সময় বলেন, ‘দণ্ডবিধির ২২৬ ধারা সংবিধানে বর্ণিত সর্বোচ্চ মানের স্বাস্থ্য অধিকারের পরিপন্থী।
৯ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লস অ্যাঞ্জেলেসে ছড়িয়ে পড়া আগুনে প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচজন। ঘরছাড়া হয়েছে ১ লাখের বেশি মানুষ। ক্ষতির প্রাথমিক পরিমাণ ৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ ধ্বংসযজ্ঞ শুধু লস অ্যাঞ্জেলেসের স্থানীয় সমস্যা নয়, এটি পুরো যুক্তরাষ্ট্রের আবাসন বাজার এবং জ
৯ ঘণ্টা আগে