অনলাইন ডেস্ক
সৌদি আরবের নেতা মোহাম্মদ বিন সালমানের শাসনামলে মৃত্যুদণ্ডের হার প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। সৌদি আরবের ইতিহাসে গত ছয় বছর ছিল সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সময়। শুধু গত বছরই দেশটিতে ১৪৭ জনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলেছে, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের শাসনামলে ব্যক্তিস্বাধীনতাসহ আরও নানা বিষয়ে ব্যাপক সংস্কারের মাধ্যমে সৌদি আরব আধুনিকতার দিকে প্রবেশ করলেও দেশটিতে মৃত্যুদণ্ডের হার ঐতিহাসিকভাবে বেড়েছে। বিশেষত, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছেন মোহাম্মদ বিন সালমান।
ইউরোপিয়ান সৌদি অর্গানাইজেশন ফর হিউম্যান রাইটস ও রিপ্রিভ নামের দুটি সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবে ২০১৫ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে প্রতি বছর গড়ে ১২৯ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। ২০১০ সাল থেকে ২০১৪ সালের পর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের হার প্রায় ৮২ শতাংশ বেড়েছে। গত বছর ১৪৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, যাদের মধ্যে অন্তত ৯০ জন অহিংস ছিলেন।
সংস্থা দুটি আরও বলেছে, গত বছরের ১২ মার্চ পর্যন্ত ৮১ জনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এটি সৌদি আরবের ইতিহাসে সর্বকালের সর্বোচ্চসংখ্যক মৃত্যুদণ্ড।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, সৌদি আরবের মৃত্যুদণ্ডের আবেদন বৈষম্য ও অবিচারে ছেয়ে গেছে এবং সৌদি সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এর ব্যবহার নিয়ে মিথ্যা বলেছে। ভিন্নমতাবলম্বী ও প্রতিবাদকারীদের নির্মূল করার জন্য মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
গত ছয় বছরে সৌদি আরবে শিশু, নারী ও বিদেশি নাগরিকদের মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যাও সামান্য বেড়েছে। সম্প্রতি দেশটিতে মাদকের অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর আগে এশিয়ার এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে কেবল ইরানেই ব্যাপক মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতো।
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ক্ষমতায় আসার পর সৌদি সমাজে ব্যাপক সংস্কার করেছেন। এর মধ্যে নারীদের কর্মক্ষেত্রে প্রবেশাধিকার বাড়ানোসহ বিভিন্ন ধরনের সংস্কার পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। কিন্তু ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করার জন্য তিনি ভিন্নমতকে কঠোরভাবে দমন করেছেন। তিনি অসহিষ্ণুতাকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছেন। রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বীদের গণহারে আটক করেছেন। এ ছাড়া তিনি মৃত্যুদণ্ডকে অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন।
ইউরোপে নির্বাসিত সৌদি রাজপরিবারের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ‘এটি (মৃত্যুদণ্ড) আক্ষরিক অর্থে একটি তলোয়ার, যা আমাদের সবার ওপর ঝুলছে। যারাই প্রিন্সের বিরোধিতা করছে, তারাই মৃত্যুদণ্ডের শিকার হচ্ছে অথবা নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছে। আপনারা গাদ্দাফির কথা ভাবুন অথবা সাদ্দামের কথা ভাবুন, আমরা এখন সেখানে আছি।’
সৌদি আরবের নেতা মোহাম্মদ বিন সালমানের শাসনামলে মৃত্যুদণ্ডের হার প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। সৌদি আরবের ইতিহাসে গত ছয় বছর ছিল সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সময়। শুধু গত বছরই দেশটিতে ১৪৭ জনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলেছে, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের শাসনামলে ব্যক্তিস্বাধীনতাসহ আরও নানা বিষয়ে ব্যাপক সংস্কারের মাধ্যমে সৌদি আরব আধুনিকতার দিকে প্রবেশ করলেও দেশটিতে মৃত্যুদণ্ডের হার ঐতিহাসিকভাবে বেড়েছে। বিশেষত, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছেন মোহাম্মদ বিন সালমান।
ইউরোপিয়ান সৌদি অর্গানাইজেশন ফর হিউম্যান রাইটস ও রিপ্রিভ নামের দুটি সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবে ২০১৫ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে প্রতি বছর গড়ে ১২৯ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। ২০১০ সাল থেকে ২০১৪ সালের পর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের হার প্রায় ৮২ শতাংশ বেড়েছে। গত বছর ১৪৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, যাদের মধ্যে অন্তত ৯০ জন অহিংস ছিলেন।
সংস্থা দুটি আরও বলেছে, গত বছরের ১২ মার্চ পর্যন্ত ৮১ জনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এটি সৌদি আরবের ইতিহাসে সর্বকালের সর্বোচ্চসংখ্যক মৃত্যুদণ্ড।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, সৌদি আরবের মৃত্যুদণ্ডের আবেদন বৈষম্য ও অবিচারে ছেয়ে গেছে এবং সৌদি সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এর ব্যবহার নিয়ে মিথ্যা বলেছে। ভিন্নমতাবলম্বী ও প্রতিবাদকারীদের নির্মূল করার জন্য মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
গত ছয় বছরে সৌদি আরবে শিশু, নারী ও বিদেশি নাগরিকদের মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যাও সামান্য বেড়েছে। সম্প্রতি দেশটিতে মাদকের অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর আগে এশিয়ার এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে কেবল ইরানেই ব্যাপক মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতো।
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ক্ষমতায় আসার পর সৌদি সমাজে ব্যাপক সংস্কার করেছেন। এর মধ্যে নারীদের কর্মক্ষেত্রে প্রবেশাধিকার বাড়ানোসহ বিভিন্ন ধরনের সংস্কার পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। কিন্তু ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করার জন্য তিনি ভিন্নমতকে কঠোরভাবে দমন করেছেন। তিনি অসহিষ্ণুতাকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছেন। রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বীদের গণহারে আটক করেছেন। এ ছাড়া তিনি মৃত্যুদণ্ডকে অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন।
ইউরোপে নির্বাসিত সৌদি রাজপরিবারের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ‘এটি (মৃত্যুদণ্ড) আক্ষরিক অর্থে একটি তলোয়ার, যা আমাদের সবার ওপর ঝুলছে। যারাই প্রিন্সের বিরোধিতা করছে, তারাই মৃত্যুদণ্ডের শিকার হচ্ছে অথবা নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছে। আপনারা গাদ্দাফির কথা ভাবুন অথবা সাদ্দামের কথা ভাবুন, আমরা এখন সেখানে আছি।’
অপ্রাপ্তবয়স্ক নারী হলেও সম্মতির ভিত্তিতে তাঁর সঙ্গে যৌনসঙ্গম ধর্ষণ হিসেবে গণ্য হবে বলে রায় দিয়েছে মুম্বাই হাইকোর্ট। আইন অনুযায়ী এ ক্ষেত্রে সম্মতিকে বৈধতার জন্য যুক্তি হিসেবে প্রদর্শন গ্রহণযোগ্য হবে না।
১৭ মিনিট আগেএখন থেকে মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা শরিফ জিয়ারতের জন্য আগাম অনুমতি নিতে হবে। অতিরিক্ত ভিড় থেকে মসজিদের কার্যক্রম বিঘ্ন হওয়া ঠেকাতে এবং ঐতিহাসিক স্থাপত্য সংরক্ষণের এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেকোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব এবং সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা এই পতনের প্রধান কারণ। জাতীয় দারিদ্র্য হ্রাস ত্বরান্বিতকরণ টিমের নীতি বিশেষজ্ঞ এগা কুরনিয়া ইয়াজিদ বলেন, ‘বিভিন্ন আন্তঃসংযুক্ত কারণ মধ্যবিত্ত শ্রেণির সংকোচনের জন্য দায়ী। মধ্যবিত্তরা মূলত কর রাজস্বে বড় অবদান রাখে। কিন্তু তারা খুবই সীমিত
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন প্রায় ৯০ জন ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা। অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনবিরোধী সহিংসতার অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার এক চিঠিতে তাঁরা এ আহ্বান জানান। বার্তা
৩ ঘণ্টা আগে