অনলাইন ডেস্ক
গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরু হয়েছে গত বছরের ৭ অক্টোবর। এর পর থেকে পেরিয়ে গেছে তিন মাস পাঁচ দিনেরও বেশি। এই সময়ে খুব অল্প সময়ই ইসরায়েলি হামলার হাত থেকে নিস্তার পেয়েছে গাজাবাসী। সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৩ হাজার ৮০০ জনের বেশি। এই সময়ে আহত হয়েছে আরও অন্তত ৬০ হাজার।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় বিগত ৯৯ দিনে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ৮৪৩। এই সময়ে ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৬০ হাজার ৩১৭ জন।
এদিকে, জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) বা বিশ্ব আদালতে দক্ষিণ আফ্রিকার আনা গাজায় গণহত্যার অভিযোগকে ‘স্থূল ও বিকৃত’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল। নেদারল্যান্ডসের হেগে গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আর গতকাল শুনানির দ্বিতীয় দিনে চলে ইসরায়েলের পাল্টা বক্তব্য।
শুনানিতে গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণ অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়ে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিচারকদের আহ্বান জানায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিমান হামলা ও স্থল অভিযান চালিয়ে গাজায় ২৩ হাজারেরও বেশি বেসামরিক মানুষকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়। আরও বলা হয়, ইসরায়েলের লক্ষ্যই ছিল গাজাবাসীকে নিশ্চিহ্ন করা।
তবে শুনানির দ্বিতীয় দিনে এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলেছে, ইসরায়েলের ধ্বংস চায় যে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হামাস—তারই মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছে দক্ষিণ আফ্রিকা। গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানগুলোকে হামাস এবং অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইনি উপদেষ্টা তাল বেকার।
শুনানিতে তিনি বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকা ঘটনাগুলোকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছে। গণহত্যা যদি হয়েই থাকে, তবে সেটা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সংঘটিত হয়েছে। আদালতের কাছে গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ করার নির্দেশ চেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সে প্রসঙ্গে তাল বেকার বলেন, এর মাধ্যমে আবেদনকারী ইসরায়েলের আত্মরক্ষার সহজাত অধিকারকে নস্যাৎ করতে চেয়েছেন। পাশাপাশি তারা ইসরায়েলকে প্রতিরক্ষাবিহীন অবস্থায় রাখতে চায়।
ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার অভিযোগ তুলে নৃশংস হামলা বন্ধের দাবিতে গত ডিসেম্বরের শেষে আইসিজেতে মামলাটি দায়ের করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ২৩ হাজার বেসামরিক মানুষ হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে, যেখানে ১০ হাজারের বেশি শিশু। এই মামলার আবেদনপত্রের সঙ্গে ৮৪ পৃষ্ঠার একটি নথি সংযুক্ত করে দক্ষিণ আফ্রিকা দাবি করেছে, ইসরায়েল ১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘন করেছে।
জাতিসংঘের ১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশনকে ভিত্তি করে মামলাটি দায়ের করে বলা হয়েছে, গাজায় অভিযান চালানো ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের পাশাপাশি গণহত্যা এবং এ-সম্পর্কিত অপরাধে সংশ্লিষ্টতারও প্রমাণ রয়েছে।
গত ৩০ ডিসেম্বর মামলার আবেদন জমা দেওয়ার দিন আইসিজেকে দ্রুত এ বিষয়ে শুনানির অনুরোধ করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই অনুরোধে সাড়া দিয়ে ১১ জানুয়ারি শুনানি শুরুর দিন ধার্য করেন বিশ্ব আদালত। গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বন্ধের দাবিতে এই মামলা নিষ্পত্তি হতে বছরও লেগে যেতে পারে।
গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরু হয়েছে গত বছরের ৭ অক্টোবর। এর পর থেকে পেরিয়ে গেছে তিন মাস পাঁচ দিনেরও বেশি। এই সময়ে খুব অল্প সময়ই ইসরায়েলি হামলার হাত থেকে নিস্তার পেয়েছে গাজাবাসী। সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৩ হাজার ৮০০ জনের বেশি। এই সময়ে আহত হয়েছে আরও অন্তত ৬০ হাজার।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় বিগত ৯৯ দিনে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ৮৪৩। এই সময়ে ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৬০ হাজার ৩১৭ জন।
এদিকে, জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) বা বিশ্ব আদালতে দক্ষিণ আফ্রিকার আনা গাজায় গণহত্যার অভিযোগকে ‘স্থূল ও বিকৃত’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল। নেদারল্যান্ডসের হেগে গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আর গতকাল শুনানির দ্বিতীয় দিনে চলে ইসরায়েলের পাল্টা বক্তব্য।
শুনানিতে গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণ অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়ে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিচারকদের আহ্বান জানায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিমান হামলা ও স্থল অভিযান চালিয়ে গাজায় ২৩ হাজারেরও বেশি বেসামরিক মানুষকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়। আরও বলা হয়, ইসরায়েলের লক্ষ্যই ছিল গাজাবাসীকে নিশ্চিহ্ন করা।
তবে শুনানির দ্বিতীয় দিনে এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলেছে, ইসরায়েলের ধ্বংস চায় যে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হামাস—তারই মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছে দক্ষিণ আফ্রিকা। গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানগুলোকে হামাস এবং অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইনি উপদেষ্টা তাল বেকার।
শুনানিতে তিনি বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকা ঘটনাগুলোকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছে। গণহত্যা যদি হয়েই থাকে, তবে সেটা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সংঘটিত হয়েছে। আদালতের কাছে গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ করার নির্দেশ চেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সে প্রসঙ্গে তাল বেকার বলেন, এর মাধ্যমে আবেদনকারী ইসরায়েলের আত্মরক্ষার সহজাত অধিকারকে নস্যাৎ করতে চেয়েছেন। পাশাপাশি তারা ইসরায়েলকে প্রতিরক্ষাবিহীন অবস্থায় রাখতে চায়।
ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার অভিযোগ তুলে নৃশংস হামলা বন্ধের দাবিতে গত ডিসেম্বরের শেষে আইসিজেতে মামলাটি দায়ের করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ২৩ হাজার বেসামরিক মানুষ হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে, যেখানে ১০ হাজারের বেশি শিশু। এই মামলার আবেদনপত্রের সঙ্গে ৮৪ পৃষ্ঠার একটি নথি সংযুক্ত করে দক্ষিণ আফ্রিকা দাবি করেছে, ইসরায়েল ১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘন করেছে।
জাতিসংঘের ১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশনকে ভিত্তি করে মামলাটি দায়ের করে বলা হয়েছে, গাজায় অভিযান চালানো ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের পাশাপাশি গণহত্যা এবং এ-সম্পর্কিত অপরাধে সংশ্লিষ্টতারও প্রমাণ রয়েছে।
গত ৩০ ডিসেম্বর মামলার আবেদন জমা দেওয়ার দিন আইসিজেকে দ্রুত এ বিষয়ে শুনানির অনুরোধ করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই অনুরোধে সাড়া দিয়ে ১১ জানুয়ারি শুনানি শুরুর দিন ধার্য করেন বিশ্ব আদালত। গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বন্ধের দাবিতে এই মামলা নিষ্পত্তি হতে বছরও লেগে যেতে পারে।
অপ্রাপ্তবয়স্ক নারী হলেও সম্মতির ভিত্তিতে তাঁর সঙ্গে যৌনসঙ্গম ধর্ষণ হিসেবে গণ্য হবে বলে রায় দিয়েছে মুম্বাই হাইকোর্ট। আইন অনুযায়ী এ ক্ষেত্রে সম্মতিকে বৈধতার জন্য যুক্তি হিসেবে প্রদর্শন গ্রহণযোগ্য হবে না।
২৯ মিনিট আগেএখন থেকে মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা শরিফ জিয়ারতের জন্য আগাম অনুমতি নিতে হবে। অতিরিক্ত ভিড় থেকে মসজিদের কার্যক্রম বিঘ্ন হওয়া ঠেকাতে এবং ঐতিহাসিক স্থাপত্য সংরক্ষণের এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেকোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব এবং সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা এই পতনের প্রধান কারণ। জাতীয় দারিদ্র্য হ্রাস ত্বরান্বিতকরণ টিমের নীতি বিশেষজ্ঞ এগা কুরনিয়া ইয়াজিদ বলেন, ‘বিভিন্ন আন্তঃসংযুক্ত কারণ মধ্যবিত্ত শ্রেণির সংকোচনের জন্য দায়ী। মধ্যবিত্তরা মূলত কর রাজস্বে বড় অবদান রাখে। কিন্তু তারা খুবই সীমিত
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন প্রায় ৯০ জন ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা। অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনবিরোধী সহিংসতার অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার এক চিঠিতে তাঁরা এ আহ্বান জানান। বার্তা
৩ ঘণ্টা আগে