অনলাইন ডেস্ক
ইরানের যে ঘটনাটি সবার দৃষ্টিগোচর হলো, তা সংঘটিত হয়েছিল দেশটির তেহরানের কদস সিটিতে। এই শহরেরই একজন মা তাঁর কন্যার স্কুলের ভর্তি ফি দিতে পারছিলেন না। পরে এই বকেয়ার জন্য তাঁকে মেয়ের স্কুলের ক্লাসরুম পরিষ্কার করে দিতে হয়েছে। বিষয়টি ইরানজুড়ে এখন নতুন ইস্যুতে পরিণত হয়েছে।
ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকে ভুক্তভোগী নারী বলেছিলেন, ‘আমার আর কোনো উপায় ছিল না। বেতন দিতে পারিনি বলে, আমার মেয়ের ইতিমধ্যে দুই বছর ড্রপ হয়ে গেছে। তাই তার জন্য আমি পরিষ্কারের কাজটি করেছি।’
রোববার ইরান ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেহরানের এই ঘটনাটি নিয়ে ইরানের মানুষেরা নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করেছে। তাঁদের কেউ কেউ ইরানের সংবিধানের ‘অনুচ্ছেদ ৩০’-এর প্রসঙ্গ টানছেন। সংবিধানের এই অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রের সব নাগরিককে মাধ্যমিক স্কুল পর্যন্ত বিনা বেতনে শিক্ষা প্রদানের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।
জন অসন্তোষের মুখে গত বুধবার তেহরানের কুদস শহরের শিক্ষা বিভাগ ঘোষণা করেছে, শিক্ষার্থীর মাকে দিয়ে শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার করানোর ঘোষণায় ওই স্কুলের প্রিন্সিপালকে ইতিমধ্যে বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনাটির তদন্তে ইতিমধ্যে একটি কমিটিকেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ইরান ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, তেহরানের ঘটনাটি ইরানে এ ধরনের ঘটনার প্রথম নজির নয়। এই ঘটনাটি দেশজুড়ে জানাজানি হলেও এই ধরনের ঘটনা দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে অহরহই দেখা যায়।
পূর্ব ইরানের খোরাসান রাজাভি প্রদেশের একজন বাবা দাবি করেছেন, তাঁর কন্যার ভর্তির জন্যও স্কুল পরিষ্কারের শর্ত দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এমনকি বিষয় কাউকে জানালে মেয়েকে বহিষ্কারেরও হুমকি দিয়েছিলেন ওই স্কুলের কর্মকর্তারা।
তেহরানের অন্য একটি স্কুলে নিম্ন আয়ের পরিবারের অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। এতে বলা হয়েছিল—ভর্তি ফি প্রদান করুন, নয়তো পরিচ্ছন্নতা বা রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করুন।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে ইরানে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এর ফলে অসংখ্য পরিবার সন্তানদের পড়াশোনা করানোর সক্ষমতাও হারাচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরানের স্কুলগুলো থেকে ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও দ্রুত হারে বাড়ছে।
ইরানের যে ঘটনাটি সবার দৃষ্টিগোচর হলো, তা সংঘটিত হয়েছিল দেশটির তেহরানের কদস সিটিতে। এই শহরেরই একজন মা তাঁর কন্যার স্কুলের ভর্তি ফি দিতে পারছিলেন না। পরে এই বকেয়ার জন্য তাঁকে মেয়ের স্কুলের ক্লাসরুম পরিষ্কার করে দিতে হয়েছে। বিষয়টি ইরানজুড়ে এখন নতুন ইস্যুতে পরিণত হয়েছে।
ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকে ভুক্তভোগী নারী বলেছিলেন, ‘আমার আর কোনো উপায় ছিল না। বেতন দিতে পারিনি বলে, আমার মেয়ের ইতিমধ্যে দুই বছর ড্রপ হয়ে গেছে। তাই তার জন্য আমি পরিষ্কারের কাজটি করেছি।’
রোববার ইরান ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেহরানের এই ঘটনাটি নিয়ে ইরানের মানুষেরা নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করেছে। তাঁদের কেউ কেউ ইরানের সংবিধানের ‘অনুচ্ছেদ ৩০’-এর প্রসঙ্গ টানছেন। সংবিধানের এই অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রের সব নাগরিককে মাধ্যমিক স্কুল পর্যন্ত বিনা বেতনে শিক্ষা প্রদানের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।
জন অসন্তোষের মুখে গত বুধবার তেহরানের কুদস শহরের শিক্ষা বিভাগ ঘোষণা করেছে, শিক্ষার্থীর মাকে দিয়ে শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার করানোর ঘোষণায় ওই স্কুলের প্রিন্সিপালকে ইতিমধ্যে বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনাটির তদন্তে ইতিমধ্যে একটি কমিটিকেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ইরান ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, তেহরানের ঘটনাটি ইরানে এ ধরনের ঘটনার প্রথম নজির নয়। এই ঘটনাটি দেশজুড়ে জানাজানি হলেও এই ধরনের ঘটনা দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে অহরহই দেখা যায়।
পূর্ব ইরানের খোরাসান রাজাভি প্রদেশের একজন বাবা দাবি করেছেন, তাঁর কন্যার ভর্তির জন্যও স্কুল পরিষ্কারের শর্ত দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এমনকি বিষয় কাউকে জানালে মেয়েকে বহিষ্কারেরও হুমকি দিয়েছিলেন ওই স্কুলের কর্মকর্তারা।
তেহরানের অন্য একটি স্কুলে নিম্ন আয়ের পরিবারের অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। এতে বলা হয়েছিল—ভর্তি ফি প্রদান করুন, নয়তো পরিচ্ছন্নতা বা রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করুন।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে ইরানে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এর ফলে অসংখ্য পরিবার সন্তানদের পড়াশোনা করানোর সক্ষমতাও হারাচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরানের স্কুলগুলো থেকে ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও দ্রুত হারে বাড়ছে।
স্বাধীনতা যুদ্ধের পর এই প্রথম কোনো পাকিস্তানি মালবাহী জাহাজ বাংলাদেশের বন্দরে ভিড়েছে। গতকাল বুধবার পাকিস্তানের করাচি থেকে ছেড়ে আসা জাহাজটি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে ভেড়ে। নানা কারণেই পাকিস্তানি মালবাহী জাহাজটির বাংলাদেশের বন্দরে ভেড়ার বিষয়টিকে ঐতিহাসিক বলা হচ্ছে। আর এই ঐতিহাসিক বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্
২৫ মিনিট আগেতুলসী গ্যাবার্ডকে মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান হিসেবে বেছে নিয়েছেন সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। তুলসী গ্যাবার্ড কে? নিয়োগ পেলে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক হওয়া প্রথম হিন্দু নারী। সাবেক এই মার্কিন সেনা একসময় রাজনীতি করেছ
৯ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এক দিন পর থেকেই আভাস পাওয়া যাচ্ছিল, এবার মার্কিন আইনসভা কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণও যাচ্ছে রিপাবলিকানদের হাতে। শেষমেশ তা-ই হলো। গত বুধবার মার্কিন গণমাধ্যমগুলো নিশ্চিত করেছে, এই হাউসের নিয়ন্ত্রণও পেল নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের
৯ ঘণ্টা আগেহিজাব আইন অমান্যকারীদের মানসিক রোগী হিসেবে বিবেচনার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। এমন নারীদের জন্য ‘মানসিক চিকিৎসা কেন্দ্র’ চালুর ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। ইরানের নারী ও পরিবার বিভাগের নীতি ও অনৈতিকতা প্রতিরোধ দপ্তরের প্রধান মেহরি তালেবি দারেস্তানি গত মঙ্গলবার এ ঘোষণা দেন।
১১ ঘণ্টা আগে