অনলাইন ডেস্ক
‘অস্তিত্ব সংকটে’ পড়লে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক স্ট্র্যাটেজিক কাউন্সিলের প্রধান কামাল খারাজি। তিনি বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদনের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা রয়েছে। তবে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির জারি করা ফতোয়ার (ধর্মীয় রায়) কারণে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত আছে।
লেবাননের সংবাদমাধ্যম আল-মায়াদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।
সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, খারাজি এই অঞ্চলের উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ইরানের অবস্থান তুলে ধরে যেকোনো উত্তেজনার জন্য প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন। একইসঙ্গে ইরানের যুদ্ধ এড়ানোর ইচ্ছার কথাও জানান এই কর্মকর্তা।
দেশটির সামরিক সক্ষমতা এবং অস্তিত্বগত হুমকির প্রতিক্রিয়া হিসেবে পারমাণবিক নীতির পরিবর্তনের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে অপারেশন ট্রু প্রমিস-২ এর মাধ্যমে প্রতিরোধমূলক ক্ষমতা প্রদর্শন করেছে ইরান। আগামীতে কী হবে তা এখন ইসরায়েলের ওপর নির্ভর করছে। তারা যদি শত্রুতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যায়, তবে ইরান যথাযথ প্রতিক্রিয়া জানাবে।
পারমাণবিক নীতি পরিবর্তনের সম্ভাবনা সম্পর্কে এক প্রশ্নের উত্তরে খারাজি বলেন, এটি সম্ভব, বিশেষত যদি ইরান ‘অস্তিত্বগত হুমকির’ সম্মুখীন হয়। শুধু সার্বভৌমত্ব রক্ষার খাতিরেই ইরান এমন পরিবর্তন নিতে পারে।
তিনি বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদনের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা রয়েছে। তবে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির জারি করা ফতোয়ার (ধর্মীয় রায়) কারণে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত আছে।
ইরানি এই কর্মকর্তা বলেন, নীতি পরিবর্তনটি ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য প্রযোজ্য হবে। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ক্ষমতা বিভিন্ন অভিযানে প্রদর্শিত হয়েছে। এখন ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর পরিসরের ওপর মনোযোগ দেয়া হচ্ছে। ইরান সম্ভবত ক্ষেপণাস্ত্রের পরিসর বৃদ্ধি এবং উন্নয়ন করতে পারে। খারাজি বলেন, এই অঞ্চলে ‘অসামান্য’ যুদ্ধ চলছে, যার নেতৃত্ব দিচ্ছে ইসরায়েল। তারা জাতিগত নিধন ও হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে। যারা নিজেদের জীবন, অস্তিত্ব ও জমির জন্য লড়াই করছে তাদের বিরুদ্ধে ইসরায়েল যুদ্ধ করছে।
মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ দ্রুত শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করে ইরানি এই কর্মকর্তা বলেন, ইসরায়েল ভয়াবহ জাতিগত নিধন ঘটাচ্ছে। তারা ভুলভাবে মনে করছে যে, তারা বিজয় অর্জন করেছে। তবে এই ধরনের কর্মকাণ্ডকে সত্যিকার বিজয় হিসেবে দেখার সুযোগ নেই বরং এটি মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
ইসরায়েলের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা গাজার অবরুদ্ধ মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী সরবরাহ করতে জাতিসংঘের সাহায্য সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-কে বাধা দিয়েছে। সংস্থাটি গাজার অবরুদ্ধ মানুষের জন্য পানি ও খাবার সরবরাহ করে, কিন্তু দখলদার বাহিনী সে কাজে বাধা দিচ্ছে।
কামাল খারাজি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ‘জাগ্রত হতে এবং ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে’ আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, আমরা এখনো পশ্চিম, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রকে এসব নিষ্ঠুর অপরাধমূলক কাজকে সমর্থন করতে দেখছি। ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে অর্থায়ন ও অস্ত্র পাঠানোর মাধ্যমে তারা সমর্থন করছে। তবে চূড়ান্ত ফলাফল পরিষ্কার, কারণ জনগণের ইচ্ছা এবং তাদের প্রতিরোধকে দমন করা যাবে না।’
ফিলিস্তিনি এবং লেবানিজ সবাই এই নৃশংসতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে ও বিজয় অর্জন করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ দাবি করে তিনি বলেন, গাজা কিংবা লেবাননের যেকোনো সিদ্ধান্তকে তার দেশ সমর্থন দেবে। ইরান তার পূর্ববর্তী চুক্তিগুলির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তবে বিপরীত পক্ষ তাদের দায়িত্ব পালন করেনি। আলোচনার পরিবর্তে ইসলামিক রিপাবলিক অফ ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ চালিয়ে গেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
‘অস্তিত্ব সংকটে’ পড়লে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক স্ট্র্যাটেজিক কাউন্সিলের প্রধান কামাল খারাজি। তিনি বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদনের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা রয়েছে। তবে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির জারি করা ফতোয়ার (ধর্মীয় রায়) কারণে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত আছে।
লেবাননের সংবাদমাধ্যম আল-মায়াদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।
সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, খারাজি এই অঞ্চলের উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ইরানের অবস্থান তুলে ধরে যেকোনো উত্তেজনার জন্য প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন। একইসঙ্গে ইরানের যুদ্ধ এড়ানোর ইচ্ছার কথাও জানান এই কর্মকর্তা।
দেশটির সামরিক সক্ষমতা এবং অস্তিত্বগত হুমকির প্রতিক্রিয়া হিসেবে পারমাণবিক নীতির পরিবর্তনের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে অপারেশন ট্রু প্রমিস-২ এর মাধ্যমে প্রতিরোধমূলক ক্ষমতা প্রদর্শন করেছে ইরান। আগামীতে কী হবে তা এখন ইসরায়েলের ওপর নির্ভর করছে। তারা যদি শত্রুতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যায়, তবে ইরান যথাযথ প্রতিক্রিয়া জানাবে।
পারমাণবিক নীতি পরিবর্তনের সম্ভাবনা সম্পর্কে এক প্রশ্নের উত্তরে খারাজি বলেন, এটি সম্ভব, বিশেষত যদি ইরান ‘অস্তিত্বগত হুমকির’ সম্মুখীন হয়। শুধু সার্বভৌমত্ব রক্ষার খাতিরেই ইরান এমন পরিবর্তন নিতে পারে।
তিনি বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদনের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা রয়েছে। তবে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির জারি করা ফতোয়ার (ধর্মীয় রায়) কারণে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত আছে।
ইরানি এই কর্মকর্তা বলেন, নীতি পরিবর্তনটি ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য প্রযোজ্য হবে। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ক্ষমতা বিভিন্ন অভিযানে প্রদর্শিত হয়েছে। এখন ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর পরিসরের ওপর মনোযোগ দেয়া হচ্ছে। ইরান সম্ভবত ক্ষেপণাস্ত্রের পরিসর বৃদ্ধি এবং উন্নয়ন করতে পারে। খারাজি বলেন, এই অঞ্চলে ‘অসামান্য’ যুদ্ধ চলছে, যার নেতৃত্ব দিচ্ছে ইসরায়েল। তারা জাতিগত নিধন ও হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে। যারা নিজেদের জীবন, অস্তিত্ব ও জমির জন্য লড়াই করছে তাদের বিরুদ্ধে ইসরায়েল যুদ্ধ করছে।
মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ দ্রুত শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করে ইরানি এই কর্মকর্তা বলেন, ইসরায়েল ভয়াবহ জাতিগত নিধন ঘটাচ্ছে। তারা ভুলভাবে মনে করছে যে, তারা বিজয় অর্জন করেছে। তবে এই ধরনের কর্মকাণ্ডকে সত্যিকার বিজয় হিসেবে দেখার সুযোগ নেই বরং এটি মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
ইসরায়েলের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা গাজার অবরুদ্ধ মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী সরবরাহ করতে জাতিসংঘের সাহায্য সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-কে বাধা দিয়েছে। সংস্থাটি গাজার অবরুদ্ধ মানুষের জন্য পানি ও খাবার সরবরাহ করে, কিন্তু দখলদার বাহিনী সে কাজে বাধা দিচ্ছে।
কামাল খারাজি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ‘জাগ্রত হতে এবং ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে’ আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, আমরা এখনো পশ্চিম, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রকে এসব নিষ্ঠুর অপরাধমূলক কাজকে সমর্থন করতে দেখছি। ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে অর্থায়ন ও অস্ত্র পাঠানোর মাধ্যমে তারা সমর্থন করছে। তবে চূড়ান্ত ফলাফল পরিষ্কার, কারণ জনগণের ইচ্ছা এবং তাদের প্রতিরোধকে দমন করা যাবে না।’
ফিলিস্তিনি এবং লেবানিজ সবাই এই নৃশংসতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে ও বিজয় অর্জন করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ দাবি করে তিনি বলেন, গাজা কিংবা লেবাননের যেকোনো সিদ্ধান্তকে তার দেশ সমর্থন দেবে। ইরান তার পূর্ববর্তী চুক্তিগুলির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তবে বিপরীত পক্ষ তাদের দায়িত্ব পালন করেনি। আলোচনার পরিবর্তে ইসলামিক রিপাবলিক অফ ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ চালিয়ে গেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তুলসী গ্যাবার্ডকে মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান হিসেবে বেছে নিয়েছেন সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। তুলসী গ্যাবার্ড কে? নিয়োগ পেলে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক হওয়া প্রথম হিন্দু নারী। সাবেক এই মার্কিন সেনা একসময় রাজনীতি করেছ
৮ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এক দিন পর থেকেই আভাস পাওয়া যাচ্ছিল, এবার মার্কিন আইনসভা কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণও যাচ্ছে রিপাবলিকানদের হাতে। শেষমেশ তা-ই হলো। গত বুধবার মার্কিন গণমাধ্যমগুলো নিশ্চিত করেছে, এই হাউসের নিয়ন্ত্রণও পেল নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের
৯ ঘণ্টা আগেহিজাব আইন অমান্যকারীদের মানসিক রোগী হিসেবে বিবেচনার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। এমন নারীদের জন্য ‘মানসিক চিকিৎসা কেন্দ্র’ চালুর ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। ইরানের নারী ও পরিবার বিভাগের নীতি ও অনৈতিকতা প্রতিরোধ দপ্তরের প্রধান মেহরি তালেবি দারেস্তানি গত মঙ্গলবার এ ঘোষণা দেন।
১১ ঘণ্টা আগেজনগণের ভোটাধিকার হরণ, অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার ও সংবিধানের ২৬তম সংশোধনী পাসের প্রতিবাদে ২৪ নভেম্বর (বুধবার) দেশব্যাপী ‘চূড়ান্ত’ বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন কারান্তরীণ পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) তাঁর মুক্তি ও নির্বাচনে কথিত কারচুপির বিরুদ্ধে বিক্ষ
১৩ ঘণ্টা আগে