অনলাইন ডেস্ক
প্রতিবেশী দেশ ভারতে আজ শুক্রবার শুরু হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় নির্বাচন। নির্বাচনে প্রায় ১০০ কোটি মানুষ ভোট দেবেন। এতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সবচেয়ে শক্তিশালী প্রার্থী। নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের আগে চলুন জেনে নেওয়া যাক দেশটির নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পর্কে।
ভারতের আইনসভা
পাঁচ বছরের মেয়াদি ভারতের আইনসভার নিম্নকক্ষ লোকসভায় ৫৪৩টি আসনে রয়েছে। সরকার গঠন করতে কোনো দল বা জোটকে ২৭২ আসনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) গতবার ৩০৩টি আসন জিতে সরকার গঠন করে। তাঁদের প্রধান বিরোধী ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (আইএনসি) পেয়েছিল মাত্র ৫২টি আসন।
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আসনগুলো ছাড়াও ভারতের রাষ্ট্রপতি লোকসভায় দুজন অ্যাংলো-ইন্ডিয়ানকে মনোনীত করতে পারেন।
কোথায় এবং কখন নির্বাচন হচ্ছে
বিস্তীর্ণ দেশজুড়ে ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আংশিকভাবে সাত ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোটাররা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) তাঁদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন, যা দেশটিতে প্রথম ১৯৮২ সালে চালু হয়েছিল এবং শূন্য দশকের শুরু থেকে এর ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়।
ভারতে ১৯ এপ্রিল, ২৬ এপ্রিল, ৭ মে, ১৩ মে, ২০ মে, ২৫ মে এবং ১ জুন ভোটগ্রহণ হবে। এরপর ৪ জুন ভোট গণনা শুরু হবে।
নির্বাচন ব্যবস্থা কীভাবে কাজ করে?
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল জাতি রাষ্ট্রটি ‘ফার্স্ট-পাস্ট-দ্য-পোস্ট সিস্টেম’ অনুসরণ করে। যেখানে ভোটাররা একটি নির্বাচনী এলাকায় একজন প্রার্থীকে ভোট দেন এবং সর্বাধিক ভোটপ্রাপ্ত প্রার্থী আসনটিতে জয়ী হন। ভারতে ভোট দেওয়ার বয়স ১৮ বছর এবং প্রার্থীদের কমপক্ষে ২৫ বছর বয়স হতে হয়।
ভারতে মোট ৯৬ কোটি ৮০ লাখ ভোটার নিবন্ধিত, যার মধ্যে ৪৯ কোটি ৭০ লাখ পুরুষ এবং ৪৭ কোটি ১০ লাখ নারী। ভারতে গতবারের জাতীয় নির্বাচনে পুরুষদের তুলনায় নারী ভোটারদের বেশি ভোট দিয়েছিলেন। এবারেও সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকতে যাচ্ছে বলা ধারণা করা হচ্ছে।
প্রধান প্রার্থী কারা?
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী তার দৌড়ে শীর্ষে রয়েছেন নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর ডান হাত ডেপুটি অমিত শাহ। এরপরেই রয়েছেন ভারতের প্রধান বিরোধী নেতা কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী। তবে গান্ধীর মা সোনিয়া গান্ধী এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না।
এই নির্বাচন কেন গুরুত্বপূর্ণ?
ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর মতো টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় যেতে মরিয়া মোদি। তিনি বলেছেন, বিজেপির নেতৃত্বে জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট আবারও বিজয়ী হয়ে ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে মধ্যম আয়ের দেশ থেকে একটি উন্নত অর্থনীতির দেশে পরিণত করা গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটি গত কয়েক বছরে দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। নির্বাচনে জয়ী হলে মোদি এটিকে তৃতীয় অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার ‘গ্যারান্টি’ দিয়েছেন।
বিজেপির মূল ভোটার হিন্দুরা, যারা দেশের ১৪২ কোটি জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ। মোদি এই বছরের শুরুতে একটি বিতর্কিত স্থানে বিশাল মন্দির নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ফলে এবারও তিনি হিন্দুদের ভোট পেতে যাচ্ছেন।
বিরোধী ‘ইন্ডিয়া জোটে’ দুই ডজনেরও বেশি কেন্দ্রিক ও বাম দল বলছে, দেশের গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ অবস্থানকে বাঁচাতে, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে তুলে ধরতে, কৃষকদের জন্য দাম বাড়াতে এবং তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে তাঁদের বিজয় অপরিহার্য।
তবে জনমত জরিপ বলছে, বিজেপির হাতে এবারও কংগ্রেস জোট ধরাশায়ী হতে চলেছে।
প্রতিবেশী দেশ ভারতে আজ শুক্রবার শুরু হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় নির্বাচন। নির্বাচনে প্রায় ১০০ কোটি মানুষ ভোট দেবেন। এতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সবচেয়ে শক্তিশালী প্রার্থী। নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের আগে চলুন জেনে নেওয়া যাক দেশটির নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পর্কে।
ভারতের আইনসভা
পাঁচ বছরের মেয়াদি ভারতের আইনসভার নিম্নকক্ষ লোকসভায় ৫৪৩টি আসনে রয়েছে। সরকার গঠন করতে কোনো দল বা জোটকে ২৭২ আসনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) গতবার ৩০৩টি আসন জিতে সরকার গঠন করে। তাঁদের প্রধান বিরোধী ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (আইএনসি) পেয়েছিল মাত্র ৫২টি আসন।
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আসনগুলো ছাড়াও ভারতের রাষ্ট্রপতি লোকসভায় দুজন অ্যাংলো-ইন্ডিয়ানকে মনোনীত করতে পারেন।
কোথায় এবং কখন নির্বাচন হচ্ছে
বিস্তীর্ণ দেশজুড়ে ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আংশিকভাবে সাত ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোটাররা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) তাঁদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন, যা দেশটিতে প্রথম ১৯৮২ সালে চালু হয়েছিল এবং শূন্য দশকের শুরু থেকে এর ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়।
ভারতে ১৯ এপ্রিল, ২৬ এপ্রিল, ৭ মে, ১৩ মে, ২০ মে, ২৫ মে এবং ১ জুন ভোটগ্রহণ হবে। এরপর ৪ জুন ভোট গণনা শুরু হবে।
নির্বাচন ব্যবস্থা কীভাবে কাজ করে?
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল জাতি রাষ্ট্রটি ‘ফার্স্ট-পাস্ট-দ্য-পোস্ট সিস্টেম’ অনুসরণ করে। যেখানে ভোটাররা একটি নির্বাচনী এলাকায় একজন প্রার্থীকে ভোট দেন এবং সর্বাধিক ভোটপ্রাপ্ত প্রার্থী আসনটিতে জয়ী হন। ভারতে ভোট দেওয়ার বয়স ১৮ বছর এবং প্রার্থীদের কমপক্ষে ২৫ বছর বয়স হতে হয়।
ভারতে মোট ৯৬ কোটি ৮০ লাখ ভোটার নিবন্ধিত, যার মধ্যে ৪৯ কোটি ৭০ লাখ পুরুষ এবং ৪৭ কোটি ১০ লাখ নারী। ভারতে গতবারের জাতীয় নির্বাচনে পুরুষদের তুলনায় নারী ভোটারদের বেশি ভোট দিয়েছিলেন। এবারেও সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকতে যাচ্ছে বলা ধারণা করা হচ্ছে।
প্রধান প্রার্থী কারা?
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী তার দৌড়ে শীর্ষে রয়েছেন নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর ডান হাত ডেপুটি অমিত শাহ। এরপরেই রয়েছেন ভারতের প্রধান বিরোধী নেতা কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী। তবে গান্ধীর মা সোনিয়া গান্ধী এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না।
এই নির্বাচন কেন গুরুত্বপূর্ণ?
ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর মতো টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় যেতে মরিয়া মোদি। তিনি বলেছেন, বিজেপির নেতৃত্বে জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট আবারও বিজয়ী হয়ে ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে মধ্যম আয়ের দেশ থেকে একটি উন্নত অর্থনীতির দেশে পরিণত করা গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটি গত কয়েক বছরে দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। নির্বাচনে জয়ী হলে মোদি এটিকে তৃতীয় অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার ‘গ্যারান্টি’ দিয়েছেন।
বিজেপির মূল ভোটার হিন্দুরা, যারা দেশের ১৪২ কোটি জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ। মোদি এই বছরের শুরুতে একটি বিতর্কিত স্থানে বিশাল মন্দির নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ফলে এবারও তিনি হিন্দুদের ভোট পেতে যাচ্ছেন।
বিরোধী ‘ইন্ডিয়া জোটে’ দুই ডজনেরও বেশি কেন্দ্রিক ও বাম দল বলছে, দেশের গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ অবস্থানকে বাঁচাতে, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে তুলে ধরতে, কৃষকদের জন্য দাম বাড়াতে এবং তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে তাঁদের বিজয় অপরিহার্য।
তবে জনমত জরিপ বলছে, বিজেপির হাতে এবারও কংগ্রেস জোট ধরাশায়ী হতে চলেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্ক জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গোপনে সাক্ষাৎ করেছেন। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে তাঁরা সাক্ষাৎ করেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস ইরানের দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে
১ ঘণ্টা আগেইসরায়েল অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে যেসব প্রাকৃতিক সম্পদ আছে সেগুলোর সার্বভৌম মালিকানা ফিলিস্তিনি জনগণের। এই বিষয়টির স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। প্রস্তাবটিতে পশ্চিমা বিশ্বের অনেকগুলো দেশ সমর্থন দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে এই প্রস্তাব পাস হয়
২ ঘণ্টা আগেচিকিৎসার জন্য ২০০৭ সালে ভারতের আসামে গিয়েছিল বাংলাদেশের সিলেটের এক পরিবার। শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালে পরিবারের এক মেয়ে স্থানীয় এক যুবকের প্রেমে পড়ে। শেষমেশ তাঁকে বিয়ে করে সেখানেই থেকে যান তিনি। তবে তাঁর ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ কখনোই প্রশস্ত ছিল না। ২০১৯ সালে বিজেপি সরকার হিন্দুস
৩ ঘণ্টা আগেউত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন আত্মঘাতী ড্রোনের ব্যাপক উৎপাদন শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর মতে, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এমন ড্রোনের ব্যবহার বাড়ার প্রেক্ষাপটে সামরিক মতবাদেও দ্রুত পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। আজ শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ—এর বরাত দিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদ
৩ ঘণ্টা আগে