প্রতিনিধি, কলকাতা
ঠিক দুই বছর আগে সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি বা এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে ভারত। নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে ১৯ লাখের বেশি মানুষকে এ তালিকায় রাখা হয়নি। এদের বেশির ভাগই বাঙালি; বেশ কিছু নেপালিরাও রয়েছেন। তবে সেই তালিকা এখনো কার্যকর না করায় আসামে নাগরিকত্বের পরীক্ষায় পাশ করা বাঙালিদেরও চরম দুর্ভোগে দিন কাটাতে হচ্ছে।
আসামের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার দাবি, এনআরসি তালিকা পুনরায় যাচাই করতে হবে। রাজ্যের নতুন এনআরসি সমন্বয়ক হীতেশ দেবশর্মাও বলছেন, ফের যাচাই করতে হবে গোটা তালিকা। পরিস্থিতি এমন, ১৬০০ কোটি রুপি খরচ করে রচিত এনআরসি তালিকাও বাঙালির রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করতে ব্যর্থ হচ্ছে।
ভারতের স্বাধীনতার পর থেকেই অভিযোগ, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীতে ভরে গেছে আসাম। তাই ১৯৫১ সালে আসামে দেশের প্রথম এনআরসি তৈরি হয়। তারপর বহুবার আসামের মাটি রক্তাক্ত হওয়ায় শুধুমাত্র আসামে আবারও শুরু হয় এনআরসি প্রক্রিয়া। ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চকে ধরা হয় ভিত্তি বছর। রাজ্যের ৩ কোটি ২৯ লাখ ৯১ হাজার ৩৮৪টি আবেদন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নজরদারিতে বারবার যাচাই করেই প্রকাশিত হয় তালিকা। সেই চূড়ান্ত তালিকায় ৩ কোটি ১১ লাখ ২১ হাজার ৪ জন ঠাঁই পান। তালিকা প্রকাশের আগে সীমান্তবর্তী জেলাগুলির ২৮ শতাংশ নাম পুনরায় যাচাই করা হয়। এনআরসি প্রক্রিয়া চলাকালে বহু মানুষ আতঙ্কে প্রাণ হারান। তালিকা প্রকাশের পরও মৃত্যুর মিছিল বন্ধ হয়নি।
এর পরেও প্রকাশিত তালিকা মানতে নারাজ বিজেপি। তাঁদের দাবি, বহু বিদেশির নাম রয়েছে এনআরসি তালিকায়। তাই রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েই হিমন্ত দাবি করেন, গোটা রাজ্যে ১০ শতাংশ এবং সীমান্তবর্তী জেলায় ২০ শতাংশ নাম ফের যাচাই করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলাও রুজু হয়েছে। এনআরসি সমন্বয়ক অবশ্য এক শ শতাংশই ফের যাচাইয়ের আবেদন করেছেন। ফলে এনআরসি তালিকায় নাম থাকলেও আসামের বাঙালিদের কোন লাভ হচ্ছে না।
এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা কার্যকর না হওয়ার জন্য বিজেপিকেই দায়ী করেছেন ভারতের জাতীয় সংসদের সাবেক সদস্য তথা তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেব। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি এনআরসি-কে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। তিনি বলেন, 'ভোটার তালিকায় যাদের নাম আছে তাঁরা সকলেই ভারতের নাগরিক। তাঁদের ভোটেই তো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচিত হয়েছেন। তাই ভোটাররা সকলেই নাগরিক। নইলে সরকারটাই তো অবৈধ! '
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, কংগ্রেসের দেবব্রত শইকিয়ার মতে, 'এনআরসি তালিকা কার্যকর না করে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টকেই অমর্যাদা করছে। কারণ সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতেই প্রকাশিত হয়েছিল এই তালিকা'।
নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সমন্বয় সমিতির সভাপতি তথা আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য তপোধীর ভট্টাচার্যের মতে, 'উগ্র অসমিয়া আধিপত্যবাদীরা ইতিহাসকে বিকৃত করে আসাম থেকে বাঙালিকে নির্মূল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এনআরসিকে ব্যবহার করা হচ্ছে বাঙালি-নিধনের অস্ত্র হিসেবে'।
সারা আসাম সংখ্যালঘু ছাত্র সংস্থা (আমসু) নেতা রেজাউল করিম সরকারের দাবি, 'অবিলম্বে এনআরসি তালিকা কার্যকর করতে হবে। সেই সঙ্গে এনআরসি থেকে বাদ পড়াদের নাগরিকত্ব প্রমাণের সুযোগ দিতে হবে'।
এদিকে, এনআরসি তালিকা গৃহীত না হওয়ায় আসামের বাঙালিরা একাধিক সমস্যায় জর্জরিত বলে জানিয়েছেন, আমরা বাঙালি নেতা সাধন পুরকায়স্থ। তাঁর অভিযোগ, 'বিদ্যালয়ে ভর্তি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে গিয়ে পদে পদে বিপাকে পড়ছেন বাঙালিরা'।
ঠিক দুই বছর আগে সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি বা এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে ভারত। নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে ১৯ লাখের বেশি মানুষকে এ তালিকায় রাখা হয়নি। এদের বেশির ভাগই বাঙালি; বেশ কিছু নেপালিরাও রয়েছেন। তবে সেই তালিকা এখনো কার্যকর না করায় আসামে নাগরিকত্বের পরীক্ষায় পাশ করা বাঙালিদেরও চরম দুর্ভোগে দিন কাটাতে হচ্ছে।
আসামের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার দাবি, এনআরসি তালিকা পুনরায় যাচাই করতে হবে। রাজ্যের নতুন এনআরসি সমন্বয়ক হীতেশ দেবশর্মাও বলছেন, ফের যাচাই করতে হবে গোটা তালিকা। পরিস্থিতি এমন, ১৬০০ কোটি রুপি খরচ করে রচিত এনআরসি তালিকাও বাঙালির রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করতে ব্যর্থ হচ্ছে।
ভারতের স্বাধীনতার পর থেকেই অভিযোগ, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীতে ভরে গেছে আসাম। তাই ১৯৫১ সালে আসামে দেশের প্রথম এনআরসি তৈরি হয়। তারপর বহুবার আসামের মাটি রক্তাক্ত হওয়ায় শুধুমাত্র আসামে আবারও শুরু হয় এনআরসি প্রক্রিয়া। ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চকে ধরা হয় ভিত্তি বছর। রাজ্যের ৩ কোটি ২৯ লাখ ৯১ হাজার ৩৮৪টি আবেদন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নজরদারিতে বারবার যাচাই করেই প্রকাশিত হয় তালিকা। সেই চূড়ান্ত তালিকায় ৩ কোটি ১১ লাখ ২১ হাজার ৪ জন ঠাঁই পান। তালিকা প্রকাশের আগে সীমান্তবর্তী জেলাগুলির ২৮ শতাংশ নাম পুনরায় যাচাই করা হয়। এনআরসি প্রক্রিয়া চলাকালে বহু মানুষ আতঙ্কে প্রাণ হারান। তালিকা প্রকাশের পরও মৃত্যুর মিছিল বন্ধ হয়নি।
এর পরেও প্রকাশিত তালিকা মানতে নারাজ বিজেপি। তাঁদের দাবি, বহু বিদেশির নাম রয়েছে এনআরসি তালিকায়। তাই রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েই হিমন্ত দাবি করেন, গোটা রাজ্যে ১০ শতাংশ এবং সীমান্তবর্তী জেলায় ২০ শতাংশ নাম ফের যাচাই করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলাও রুজু হয়েছে। এনআরসি সমন্বয়ক অবশ্য এক শ শতাংশই ফের যাচাইয়ের আবেদন করেছেন। ফলে এনআরসি তালিকায় নাম থাকলেও আসামের বাঙালিদের কোন লাভ হচ্ছে না।
এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা কার্যকর না হওয়ার জন্য বিজেপিকেই দায়ী করেছেন ভারতের জাতীয় সংসদের সাবেক সদস্য তথা তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেব। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি এনআরসি-কে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। তিনি বলেন, 'ভোটার তালিকায় যাদের নাম আছে তাঁরা সকলেই ভারতের নাগরিক। তাঁদের ভোটেই তো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচিত হয়েছেন। তাই ভোটাররা সকলেই নাগরিক। নইলে সরকারটাই তো অবৈধ! '
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, কংগ্রেসের দেবব্রত শইকিয়ার মতে, 'এনআরসি তালিকা কার্যকর না করে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টকেই অমর্যাদা করছে। কারণ সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতেই প্রকাশিত হয়েছিল এই তালিকা'।
নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সমন্বয় সমিতির সভাপতি তথা আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য তপোধীর ভট্টাচার্যের মতে, 'উগ্র অসমিয়া আধিপত্যবাদীরা ইতিহাসকে বিকৃত করে আসাম থেকে বাঙালিকে নির্মূল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এনআরসিকে ব্যবহার করা হচ্ছে বাঙালি-নিধনের অস্ত্র হিসেবে'।
সারা আসাম সংখ্যালঘু ছাত্র সংস্থা (আমসু) নেতা রেজাউল করিম সরকারের দাবি, 'অবিলম্বে এনআরসি তালিকা কার্যকর করতে হবে। সেই সঙ্গে এনআরসি থেকে বাদ পড়াদের নাগরিকত্ব প্রমাণের সুযোগ দিতে হবে'।
এদিকে, এনআরসি তালিকা গৃহীত না হওয়ায় আসামের বাঙালিরা একাধিক সমস্যায় জর্জরিত বলে জানিয়েছেন, আমরা বাঙালি নেতা সাধন পুরকায়স্থ। তাঁর অভিযোগ, 'বিদ্যালয়ে ভর্তি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে গিয়ে পদে পদে বিপাকে পড়ছেন বাঙালিরা'।
এখন থেকে মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা শরিফ জিয়ারতের জন্য আগাম অনুমতি নিতে হবে। অতিরিক্ত ভিড় থেকে মসজিদের কার্যক্রম বিঘ্ন হওয়া ঠেকাতে এবং ঐতিহাসিক স্থাপত্য সংরক্ষণের এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেকোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব এবং সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা এই পতনের প্রধান কারণ। জাতীয় দারিদ্র্য হ্রাস ত্বরান্বিতকরণ টিমের নীতি বিশেষজ্ঞ এগা কুরনিয়া ইয়াজিদ বলেন, ‘বিভিন্ন আন্তঃসংযুক্ত কারণ মধ্যবিত্ত শ্রেণির সংকোচনের জন্য দায়ী। মধ্যবিত্তরা মূলত কর রাজস্বে বড় অবদান রাখে। কিন্তু তারা খুবই সীমিত
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন প্রায় ৯০ জন ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা। অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনবিরোধী সহিংসতার অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার এক চিঠিতে তাঁরা এ আহ্বান জানান। বার্তা
৩ ঘণ্টা আগেশ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনূঢ়া কুমারা দিসানায়েকের নেতৃত্বে বামপন্থী দল ন্যাশনাল পিপল পাওয়ার (এনপিপি) আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় লাভ করেছে। এই জয়ের মার্ক্সবাদী প্রেসিডেন্ট দিসানায়েকে কঠোর ব্যয় সংকোচন নীতি শিথিল করার জন্য ম্যান্ডেট পেয়েছেন
৩ ঘণ্টা আগে